আরব আমিরাতের বাংলাদেশে দ্রুত উন্নয়নে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস
ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তােলার জন্য সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য দান করবে। আবুধাবী থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের নেতা ড. হাসান আব্বাস জাকী আজ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে এ কথা বলেন। ৫০ কোটি ডলারে আবুধাবী তহবিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদের উপদেষ্টা ড. জাকী আরাে বলেন যে, বাংলাদেশে তার ৫দিন ব্যাপী সফরে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নতুন জাতির উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে যৌথ প্রকল্প গ্রহণের জন্য সম্ভাব্য সব রকম সুযােগ সৃষ্টি করা। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলােচনার মাধ্যমে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযােগিতার সীমা নির্ধারণের জন্য সম্ভাব্য সব রকম প্রচেষ্টা চালাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ড. জাকী প্রসঙ্গত আরাে বলেন তার দেশ বগুড়ার জয়পুরহাটে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরী এবং চট্টগ্রামে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। যাতে করে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে। আরব বিশ্বের একজন।
শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ড. জাকী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তারা আবুধাবীতে বাংলাদেশের সহায়তায় জুট ও জুট কার্পেটিং শিল্প ও চা প্রসেসিং শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখবেন। ইতােপূর্বে এই প্রতিনিধি দলটি ঢাকা বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলে তাদের বিপুলভাবে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। শিল্প প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে আলােচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন প্রমুখের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে খাদ্য সমস্যাসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী নিয়ে আলােচনা করা হয়। এছাড়া তারা দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্পে সহযােগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলােচনা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। বৈঠক শেষে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন যে, তারা সকল ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহায়তার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে আলােচনা করেন। আলােচনা আরাে চলবে। আমিরাত প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন কর্পোরেশন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন। আমিরাতের প্রতিনিধি দল ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।৮৮
রেফারেন্স:
২৯ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত