You dont have javascript enabled! Please enable it!

এলসি খােলা বন্ধ থাকায় এক কোটি টাকার ঔষধ আমদানি হয়নি

ঢাকা: জানা গেছে, ৭৩-৭৪ জানুয়ারি-জুন শিপিং পিরিয়ডে টিসিবি মােট ৬ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার ঔষধের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে ৪ কোটি ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার ঔষধ এই পিরিয়ডে এসে পৌঁছেছে। বাকী ঔষধ এলসি বন্ধ রাখার দরুন এসে পৌঁছায়নি। তারাও সরবরাহ সময়মত করা হয়নি বলে অভিযােগ করা হয়েছে।

গত দুই মাস যাবত চট্টগ্রাম বন্দরে টিসিবি আমদানিকৃত ৪ হাজার বাক্স ঔষধ পড়ে রয়েছে। খালাসের অপেক্ষায়। এই ৪ হাজার বাক্স ঔষধের বিক্রয় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে টিসিবি কর্তৃপক্ষের সাথে যােগাযােগ করা হলে জনৈক কর্মকর্তা জানান যে, জরুরি ভিত্তিতে ঔষধ খালাস করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তা হয়ে যাবে।

এছাড়াও টিসিবির গুদামে বর্তমানে ৭০ লক্ষ টাকার ঔষধ জমা রয়েছে। এগুলাে বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটারদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিস্ট্রিবিউটারদের গাফেলতির দরুন এগুলাে সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ৭৪-৭৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর শিপিং পিরিয়ডে ২ কোটি টাকার ঔষধ আমদানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। এই শিপিং পিরিয়ড শেষ হওয়ার আর মাত্র দু’মাস বাকী রয়েছে। এখনও কোন ঔষধ এসে পৌঁছায়নি। বেসরকারিভাবে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ঔষধে আমদানিরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু এ ঔষধ কবে এসে পৌছাবে তার কোন হদিস নেই। বাকী ২৫ লাখ টাকার ঔষধ ডেফার্ড পেমেন্টের মাধ্যমে আমদানি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গেছে। এদিকে দেশে জীবন রক্ষাকারী ঔষধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। ঔষধের মূল্যের বাজার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। টাকা দিয়েও কোনাে কোনাে ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় না।৪২

রেফারেন্স:

১৪ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!