স্বাধীনতা আমাদের সম্পদ আহরণের সুযােগ দিয়েছে
জাতিসংঘ: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অবহেলা ও শােষণের ফলে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারিনি। কিন্তু স্বাধীনতা আমাদের আশার আলাে দেখিয়েছে এবং সম্পদের আহরণ ও সুষম ব্যবহারের সুযােগ করে দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে ভাষণদানকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন উপরােক্ত অভিমত প্রকাশ করেন। ড. হােসেন বলেন, এ সমস্যা শুধু আমাদের একার নয়। বিশ্বের বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশই এই সমস্যায় জর্জরিত। তদুপরি বিশ্বজুড়ে আজ যে মুদ্রাস্ফীতি চলছে। তাতেও উন্নয়ন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্যের ঘাটতিও অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দেখলেই উন্নয়নকামী দেশগুলাের সমস্যাগুলাে বােঝা যাবে। বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে প্রতীক হিসেবে ধরা যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্যাসের আকারে পানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। সমুদ্রে ও অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলােতে মাছ প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও দেশে রয়েছে অপুষ্টি, রােগ, শােক, নিরক্ষরতা, বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা।৩১
রেফারেন্স:
১০ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত