বাংলাদেশের গ্যাস বিদেশের সার তৈরি কাজে রপ্তানি করা যেতে পারে
ওয়াশিংটন: বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় মজুত গ্যাস বিদেশে সার তৈরির কাজে ব্যবহারের জন্য রপ্তানি করা যেতে পারে বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক জরিপে জানা গেছে। বিশ্ব ব্যাংকের জরিপে বলা হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশসমূহ সারের চাহিদা পুরােপুরি মেটাতে হলে ৫শ কোটি ডলার বিনিয়ােগ করা প্রয়ােজন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পিত রিপাের্টে বলা হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশসমূহ ১০ কোটি ১৪ লাখ মেট্রিক টন নাইট্রোজেন ও ফসফেট উৎপাদিত হয় এবং ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে ১১ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে যে ক্ষেত্রে চাহিদা ৮ কোটি ৬০ লাখ টন সে ক্ষেত্রে ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২২ কোটি ৬০ লাখে পৌছাবে বলে রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, উন্নয়নশীল দেশে ১১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ১২ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি দেখা দিবে। এই ঘাটতি উৎপাদন বৃদ্ধি করে অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করে পূরণ করা যেতে পারে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে সারের অতিরিক্ত কারখানা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিশ্বের অর্থসমৃদ্ধ দেশসমূহ সহায়তা করতে পারে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে অতিরিক্ত সারের চাহিদা মেটানাের জন্য মৌলিক কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফসফেট পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে। নাইট্রোজেন সার তৈরির কাজে উন্নয়নশীল দেশে এই স্বল্প মূল্যের কাঁচামাল ব্যবহার করা উচিত। এ দুটো দেশ ছাড়াও আলজেরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, পারস্য উপসাগরীয় দেশসমূহেও প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে।২৫
পৃষ্ঠা: ৫৪৮
রেফারেন্স:
৮ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত