২১ মে শুক্রবার ১৯৭১
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল আগা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান করাচিতে এক বিবৃতিতে বলেন, গােলযােগের সময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে যেসব পাকিস্তানি নাগরিক দেশত্যাগ করেছেন আমি তাদের রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তিদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে এসে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে ভারত তাদের দেশত্যাগে প্রলুব্ধ করে। তিনি বলেন, দেশের পূর্বাংশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে। | ঢাকাস্থ চীনের কন্সাল জেনারেল মি, চ্যাং ইং বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটেছে তা পাকিস্তানের ঘরােয়া ব্যাপার। খুলনায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খান এ. সবুর, প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী এস, এম, আমজাদ হােসেন ও প্রাক্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য এ, কে, এম, ইউসুফ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের জাতীয় সংহতি বিরােধী কার্যকলাপ ব্যর্থ করে দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রদ্রোহীদের নির্মূলের কাজে নিয়ােজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযােগিতা করার জন্য প্রদেশের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাই। আবুল হােসেনকে সভাপতি ও আবদুল খালেককে সম্পাদক করে বরিশাল মহকুমা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী ফখরুদ্দিন আহমদ ও সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এম. এ. হান্নান ময়মনসিংহ জেলা কমিটি, এডভােকেট ফজলুল হক নেত্রকোনা মহকুমা কমিটি, মওলানা মোসলেহউদ্দিন, আবদুল আওয়াল জান, সাবেক এম, এন, এ. শরিফ উদ্দিন, মওলানা আতাহার আলী কিশােরগঞ্জ মহকুমা কমিটি, হাকিম হাবীবুর রহমান টাঙ্গাইল জেলা কমিটি, সাবেক এম, পি, এ. আবদুল জলিল মিয়া ও আবদুল হান্নান দাদুমিয়া হালুয়াঘাট থানা কমিটি, এডভােকেট মইদুর রহমান, সাবেক এম, পি, এ. জাফর আলম চৌধুরী কক্সবাজার থানা কমিটি, পাত্তে আলী মিয়া ও এম, এ, খালেক ফতুল্লা থানা কমিটি এবং মােহাম্মদ ইসমাইল খান ও ডা. এ. মুকিত খানকে নিয়ে হিজলা। থানা শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান