You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৫ মে শনিবার ১৯৭১

ঢাকায় সামরিক গভর্নর জেনারেল টিক্কা খান বলেন, প্রদেশের সকল স্থান থেকে সশস্ত্র প্রতিরােধ নির্মূল করা হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে সন্ত্রাস চলছে । দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযােদ্ধা) নির্মূল করতে বেশিদিন লাগবে না। মুক্তিযােদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাবাহিনীকে সহযােগিতা করার জন্য। ‘রাজাকার বাহিনী’ গঠন করা হয়। সামরিক শাসন কর্তৃপক্ষ ঘােষণা করেন, তিন জন এম. পি. এ. যথাক্রমে যশােরের মঈনুদ্দিন মিয়াজী, খুলনার হাবিবুর রহমান খান ও মােহাম্মদ সাঈদ আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ, এস, এম, সােলায়মান এক বেতার বক্তৃতায় বলেন, পাকিস্তান টিকে থাকতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।  (মুক্তিযোেদ্ধা) সীমান্ত অঞ্চলে যােগাযােগ ব্যবস্থা বিনষ্ট করে প্রদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিধ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। মজদুর ফেডারেশনের সভাপতি কে. এ. হাই এক বেতার বক্তৃতায় শ্রমিককর্মচারীদের অবিলম্বে কাজে যােগদানের আহ্বান জানান। ঢাকায় কাজী আলতাফ হােসেন ও সাবেক পার্লামেন্ট সেক্রেটারি সিরাজুদ্দিন আহমদকে শান্তি কমিটির নির্বাহী সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করা হয়। সাবেক এম. পি. এ. ইজারউদ্দিন আহমদকে গোসাইরহাট থানার; কাজী আলতাফ হােসেন, ডা, আবদুল মুকিত ও দেলােয়ার হােসেনকে হিজলা থানার; কাজী আলতাফ হােসেনকে বরিশাল সদর মহকুমার এবং আবদুল্লাহ হারুন ও মওলানা আবদুল মজিদকে মুলাদি থানার কর্মকর্তা করে শান্তি কমিটির বিভিন্ন শাখা গঠন করা হয়। ভারতে বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬শ ৬৭ জন।  ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হিউম কমন্সসভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলােচনায় বলেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা পাকিস্তান সরকারের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে চলেছি। আমরা পাকিস্তানের জনগণের বর্তমান সমস্যাসমূহের একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই এবং বাইরে থেকে কেউ। তা চাপিয়ে দিতে পারে না।

সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!