২২ জুন মঙ্গলবার ১৯৭১
পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি খান আবদুল কাইয়ুম খান শক্তিশালী কেন্দ্রের গ্যারান্টি দিয়ে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা সমর্থনকারী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী মনােভাবাসম্পন্ন সমস্ত দল বা গ্রুপের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরােপের দাবি জানান। খুলনা বৈকরি, যশােরের বেনাপােল ও বগুড়ার পাঁচবিবিতে মুক্তিবাহিনী। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্দলীয় সদস্য এস, বি, জামান ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্রোহ দমনে পাক সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে এ জন্য আরও শান্তি কমিটি ও ভিজিলেন্স কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণদানকালে বলেন, আমাদের আজ বড় লক্ষ্য হবে মাতৃভূমিকে সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে আমাদের ৬০ লাখ মানুষকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা। দলমত নির্বিশেষে আজ বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রতিটি মানুষ বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা বুকে তুলে নিয়েছেন ৬০ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে। বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষ এই বন্ধুত্বের কথা চিরদিন মনে রাখবেন । চিরকাল আমরা বন্ধুত্বের হস্ত প্রসারিত করে রাখব।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান