৪ ডিসেম্বর শনিবার ১৯৭১
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দুপুরে জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘােষণা করে বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি। এখন শক্রর প্রতি চরম ধ্বংসাত্মক প্রত্যাঘাত হানার সময় এসেছে। আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুকে আমাদের ভূখণ্ড থেকেই বিতাড়িত করবে না, শত্রুর ভূখণ্ডে গিয়ে তাদের নির্মূল করবে। তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি প্রতিপক্ষকে চরম আঘাত হানার ও সীমান্ত অতিক্রমের নির্দেশ দেন। | রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের উভয় অংশে যুদ্ধ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় চাপ মােকাবিলা করা। হচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেবে বলে চীন ওয়াদা করেছে। ঢাকার আকাশে বিমান যুদ্ধ শুরু হয়। মিত্রবাহিনীর (ভারতীয়) বিমান পাঁচ বার ঢাকা বিমানবন্দরে হামলা চালায়। | নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্টে ভাষণদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং বলেন, ভারত জাতিসংঘে কোনাে আনুষ্ঠানিক অভিযোেগ উত্থাপন করবে না। তবে পাকিস্তানের হামলা সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, সােভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানাে হয়েছে। | ময়মনসিংহ রণাঙ্গনে কমলপুর ফাড়ি যৌথবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে। ঠাকুরগাঁও মুক্ত হয়।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান