You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৯ নভেম্বর সােমবার ১৯৭১

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পাঠানাে এক পত্রে পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মােতায়েনের আবেদন জানান। সারাদিন যশােরের কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর। মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পর রাতে পাকিস্তানিরা জানমালের ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে  কমলপুর ফাড়ি ত্যাগ করে। চৌগাছা এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী যশােরের দিকে অগ্রাভিযান চালায়। সিলেট জেলায়ও উভয় বাহিনী দিনব্যাপী পরস্পরের ওপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায়। সংযুক্ত কোয়ালিশন পার্টির নেতা নূরুল আমিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে দেখা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি মােকাবিলার জন্য তিনি প্রেসিডেন্টকে কতিপয় বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। ঢাকায় ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল এ. এ. কে. নিয়াজী বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ অঘােষিত যুদ্ধে কেবল মুক্তিবাহিনী নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীও শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তিবাহিনীর প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কোনাে সমর্থন নেই। তারা প্রদেশের নিরীহ জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। সীমান্তের নিভৃত এলাকায়। জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার ব্যাপারে তারা শুধু সাফল্য অর্জন করছে। কেন্দ্রীয় শান্তিবাহিনী ভারতের পূর্ব পাকিস্তান আক্রমণের প্রতিবাদে ঢাকায় সাধারণ হরতাল পালন করে। চীনা প্রেসিডেন্ট লী শিয়েন নিয়েন ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার আবেদন জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বার্তা পাঠান।

সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!