You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৬ নভেম্বর শুক্রবার ১৯৭১

প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক সামরিক আদেশে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সকল গ্রুপ ও উপগ্রুপকে নিষিদ্ধ করে পার্টির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, পাকিস্তান যখন তার পূর্বাংশে অভ্যন্তরীণ নাশকতামূলক কর্মতৎপরতা দমনে ব্যস্ত, তখন ন্যাপ শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানকে ধ্বংস করার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা এঁটে চলেছে। অধ্যাপক মােজাফফর আহমদ বর্তমানে ভারতে অবস্থান করে দেশের  বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সহযােগিতা করছেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রথম প্ররােচনা দেন। বর্তমানে তিনি আমাদের শত্রুপক্ষের মাঝে অবস্থান করছেন। পাকিস্তানি বিরােধীদের চূড়ামণি। খান আবদুল গফফার খান বর্তমানে শত্রুদের সাথে খােলাখুলি সখ্যতা স্থাপন করেছেন। ইয়াহিয়া খান বলেন, ন্যাপ নিষিদ্ধ ঘােষিত হলেও এ দলের নির্বাচিত এম এনএ ও এমপিদের আসন বহাল থাকবে। রাওয়ালপিন্ডিতে এক সরকারি ঘােষণায় বলা হয়, হিলি এলাকায় যুদ্ধ হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণরূপে হটিয়ে দিয়েছে। নােয়াপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িটি পুনর্দখল করা হয়েছে। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা (মুক্তিযােদ্ধা) ফেনী এলাকার বিলােনিয়ায় প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছে। সেখানে যুদ্ধ চলছে। যশােরের চৌগাছায়ও তুমুল যুদ্ধ চলছে। | প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতিসংঘ মহাসচিব উথান্টের কাছে জরুরি বার্তা পাঠান। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গােলাম আজম এক বিবৃতিতে রাজাকারদের হাতে সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আধুনিক অস্ত্র পেলে তারা দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযােদ্ধা) খতম করতে সমর্থ।

 

সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!