You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.07 | ৭ নভেম্বর রবিবার ১৯৭১ - সংগ্রামের নোটবুক

৭ নভেম্বর রবিবার ১৯৭১

পিপিপি প্রধান জনাব ভুট্টো পিকিং সফর শেষে করাচি ফিরে বলেন, চীন পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। মিশন এক শ ভাগ সফল ।। | ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ফ্রান্স যাত্রার প্রাক্কালে ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে তার আলােচনার কিছু নেই। এটি ইসলামাবাদ ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বিষয়। বর্তমান উত্তেজনা নিরসনে প্রথমে বাংলাদেশে অধিকতর শান্তিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে। এতে ভারতে শরণার্থী আসা বন্ধ হবে। বর্তমান সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কোনাে বিরােধ নয়। কিন্তু এতে ভারত জড়িয়ে পড়েছে এ জন্য যে, ভারতে শরণার্থীরা যাচ্ছে।  মিসেস গান্ধী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলােচনাই বর্তমান সমস্যার কার্যকর সমাধান। কারণ, তিনিই বাঙালি জনগণের স্বীকৃত নেতা। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জনগণের অনুমােদনের ভিত্তিতে যে-কোনাে সমাধানই সম্ভব। ওটি তাদের দেশ, তাদের আন্দোলন এবং তাদেরকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বাঙালিরা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনাে সিদ্ধান্ত মেনে নেবে, তা বিশ্বাস করার কোনাে কারণ থাকতে পারে না। চীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তারা সম্ভবত কোনাে বিরােধে জড়াবেন না। | মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি মি. জিগলার ওয়াশিংটনে বলেন, পূর্ব পাকিস্তান সঙ্কট প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি মীমাংসার অপেক্ষায় রয়েছেন। উভয় পক্ষ চাইলে তিনি এ লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। চায় শান্তিপূর্ণ মীমাংসা।  নারায়ণগঞ্জে গেরিলাদের গুলিতে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও মুসলিম লীগ নেতা সুলতান উদ্দিন খান, শহর শাস্তি কমিটির সদস্য আমির হােসেন ও সােনাকান্দা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক হাজী সাহের আলী, নবীগঞ্জ শান্তি বাহিনীর সদস্য হাজী আবদুল লতিফ ও সােহরাব হােসেন নিহত হন। চট্টগ্রামে ওয়াপদা ভবনে বােমা বিস্ফোরণ ঘটে।

সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান