১২ অক্টোবর মঙ্গলবার ১৯৭১
শিমলায় এক জনসভায় বক্তৃতাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে শরণার্থী আসছে তাতে এশিয়া মহাদেশে শান্তির ব্যাপারটি এক বিরাট ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পাকিস্তান এক মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি মােকাবিলায় ভারত প্রস্তুত। | প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষার জন্য পাহাড়ের মতাে অটল রয়েছে। তিনি ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও শাসনতন্ত্র প্রকাশের কথা ঘােষণা করেন। ঢাকা সফররত পিপলস পার্টি প্রতিনিধি দলের সাথে স্থানীয় একদল রাজনৈতিক নেতা হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাক্ষাৎ করে নিজেদের পিপিপিতে যােগদান ও পিপিপির টিকিটে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তারা হলেন পিডিপির সাবেক প্রাদেশিক প্রধান আব্দুস সালাম খান, কাইয়ুম মুসলিম লীগের কাজী কাদের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রাদেশিক প্রধান পীর মােহসীন উদ্দিন দুদু মিয়া, কনভেনশন লীগের হাসিম উদ্দিন, মস্কোপন্থী ন্যাপের আহমেদুল কবীর ও মিয়া মনসুর আলী এবং ভাসানী ন্যাপের আনােয়ার জাহিদ। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ নগরীর কয়েকটি স্থানে মুক্তিবাহিনীর বােমা হামলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিধ্বস্ত। কুমিল্লা শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনীর গােলাবর্ষণ।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান