You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৯৭২-৭৫ : আওয়ামী লীগ আমলের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও তৎপরতা

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। তিনি জনগণের কাছে কিছু করার জন্যে চেয়েছিলেন মাত্র তিন বছর। পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়ার দীর্ঘ ছয় বছর ও জেনারেল এরশাদের আরো দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলের সাথে বঙ্গবন্ধুর এই তিন বছর শাসনের বহুল আলোচিত তুলনার কথাটি এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মর্তব্য। জেনারেল জিয়া বা জেনারেল এরশাদকে কখনোই ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশের হাল ধরতে হয়নি এবং তাদের ক্ষমতাসীন থাকার সময়ও বঙ্গবন্ধুর চেয়ে দীর্ঘ। এ-কথা স্বীকার না-করা কূপমন্ডুকতা, যা ইতিহাস রচনাকে করবে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট। বস্তুতপক্ষে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সময়ও দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় এত কম যে তা নিতান্ত সামান্যই।
এতসব সত্ত্বেও “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমল জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি, দিয়েছে শুধু একটা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ” —এমন অভিযোগের প্রকৃতপক্ষে সারবত্তা নেই। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ের একটি পরিসংখ্যান এই প্রসঙ্গে উত্থাপন করা যায়, যাতে দেখা যাবে যুদ্ধপরবর্তী সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগের কতকগুলি ইতিবাচক পদক্ষেপ আর্থ-সামাজিক জীবনে মৌলিক রূপান্তরের সূচনা করেছিল।

১৯৭২
২ জানুয়ারী : বাংলাদেশ সংবাদপত্র (প্রশাসন) অধ্যাদেশ জারি।
জাতীয় মিলিশিয়ার জন্যে কেন্দ্রীয় বোর্ড গঠন।

৭ জানুয়ারী : বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড আদেশ জারি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রশাসন আদেশ জারি।

১১ জানুয়ারী: অস্থায়ী শাসনতন্ত্র আদেশ জারি।

১৩ জানুয়ারী: ১৯৭২ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া ও সুদ-সমেত কৃষিজমির খাজনা মওকুফ।

১৪ জানুয়ারী: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি গড়ে তোলার সরকারি প্রত্যয় ঘোষণা।

১৫ জানুয়ারী: সরকারি অনুষ্ঠানে মদ নিষিদ্ধ।

১৭ জানুয়ারী: অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি।
পৌরসভা ও শহর কমিটির অধীন সমস্ত বাড়ির বকেয়া ট্যাক্স ও এই খাতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেয় সমস্ত পাওনা মওকুফ।
বাংলাদেশ হাইকোর্ট আদেশ জারি।

১৮ জানুয়ারী: পাকিস্তানী সামরিক আদালতে দন্ডিত সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের ক্ষমা প্রদর্শন।
নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দানের সিদ্ধান্ত।

১৯ জানুয়ারী: গাড়ি কেনার জন্যে ঋণ বন্ধ ঘোষণা।

২০ জানুয়ারী: বাংলাদেশ আইন অফিসার আদেশ জারি।

২৪ জানুয়ারী: সরকারি কর্মচারী চাকরি আদেশ জারি।

২৫ জানুয়ারী: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জমির সেচ মওকুফ।
পাট রফতানির ওপর শুল্ক আরোপ।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠিত।
২৯টি বীমা কোম্পানী সরকারী হাতে গ্রহণ।

২৯ জানুয়ারী: বাংলাদেশ জাহাজ কর্পোরেশন আদেশ জারি।

২ ফেব্রুয়ারী: সরকারী অফিস ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিলাসদ্রব্য ক্রয় নিষিদ্ধ।

৫ ফেব্রুয়ারী: ৩৯২টি শিল্পের দায়িত্ব সরকারী হাতে নেওয়া।
৯ ফেব্রুয়ারী: ১০ কোটি টাকার বাংলাদেশ-সোভিয়েত পণ্য বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১১ ফেব্রুয়ারী: স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাতিল করে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু।

১৪ ফেব্রুয়ারী: লবণ শুল্ক প্রত্যাহার।

১৭ ফেব্রুয়ারী: স্বস্তি পরিষদে জাতিসংঘের মহাসচিব ওয়াইল্ড হেইম কর্তৃক যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের জন্যে ৪১১ কোটি টাকার প্রস্তাব।

১৮ ফেব্রুয়ারী: বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধার আদেশ জারি।

২০ ফেব্রুয়ারী: পরিবার প্রতি একশত বিঘার বেশী জমি না রাখতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

২৫ ফেব্রুয়ারী: স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানকারী সরকারী ও আধা-সরকারী কর্মচারীদের এক মাসের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত।

২৯ ফেব্রুয়ারী: বাংলাদেশ রাইফেলস গঠিত।

২ মার্চ : ৩৩৩ কোটি টাকার বাংলাদেশ-সোভিয়েত অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর।

৩ মার্চ : বাংলাদেশের প্রথম মুদ্রা একশত টাকা ও এক টাকার নোট বাজারে চালু।

৭ মার্চ : যুদ্ধবিধ্বস্ত চারটি রেলসেতু নির্মাণে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি।

১১ মার্চ : নির্দিষ্ট হারের বেশী ইজারা বা তোলা আদায় নিষিদ্ধ।

১৯ মার্চ : বাংলাদেশ-ভারত পঁচিশ বছর মেয়াদী সহযোগিতা ও মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর।

২৩ মার্চ : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আদেশ জারি।

২৬ মার্চ : ব্যাংক, বীমা, বস্ত্র, চিনিকল, পাটশিল্প ইত্যাদি শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আদেশ জারি।

২৮ মার্চ : চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

৬ এপ্রিল : আওয়ামী লীগ থেকে ১৬ জন সংসদ সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত।

৮ এপ্রিল : সামরিক বাহিনীতে সম্মিলিত কমান্ড বাতিল করে তিনটি পৃথক স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনী গঠিত।

৯ এপ্রিল : আওয়ামী লীগ থেকে আরো ৭ জন সংসদ সদস্য বহিষ্কৃত।

১২ এপ্রিল : স্বাধীনতা সংগ্রামে বীরত্বের জন্যে ৪৩ জনকে খেতাব দান।

১৬ এপ্রিল : বাংলাদেশে ঘোড়দৌড়ের জুয়াখেলা ও মদ্যপান নিষিদ্ধ।

১৮ এপ্রিল : বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ।

২৪ এপ্রিল : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আমদানী নীতি ঘোষণা।

২৬ এপ্রিল : বাংলাদেশ থেকে ইজারাদারি প্রথা বাতিল ঘোষণা।

১ মে : মে দিবস স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্যে বাড়তি অর্থসাহায্যের ঘোষণা।

১৫ মে : কাপড় ও সূতা বন্টনে এজেন্সী, কোট ও পারমিট ব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষুদ্র শিল্প কর্পোরেশনের মাধ্যমে তাঁতীদের সরাসরি সূতা বন্টনের ব্যবস্থা।

১৮ মে : ড. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন বাতিল।

২০ মে : বাংলাদেশের আঙ্কটাডের সদস্যপদ লাভ।

২৪ মে : বিদ্রোহী কবি নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনয়ন।

২৫ মে : মওজুতদার ও কালোবাজারীদের শায়েস্তা করার আইন জারি।

২৬ মে : বাংলা উন্নয়ন বোর্ড বাতিল বাংলা একাডেমীর সাথে সংযুক্তকরণ।

২৬ জুন : বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সমীক্ষা দল গঠন।

৩০ জুন : স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন বাজেট—নতুন কর ধার্য ছাড়াই ঘোষণা। দেশরক্ষা খাতের চেয়ে শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ খাতে বরাদ্দ বেশি ঘোষণা।

১২ জুলাই : যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা রেলসেতু পুনরায় চালু।

১৩ জুলাই : স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস রচনার জন্যে কমিটি গঠন।
বিনানুমতিতে পটকা ফুটানো নিষিদ্ধ।

১৫ জুলাই : পাকিস্তানে আটক বাঙালী কর্মচারীদের পোষ্যদের জন্যে খোরাকি ভাতা প্রদানের নির্দেশ।

২৬ জুলাই : ৫৩ হাজার ৪১৫টি ভুয়া রেশন কার্ড বাতিল।

৩ আগস্ট : পাকিস্তানে আটক কর্মচারীদের পোষ্যদের মাসিক ভাতা দানের সিদ্ধান্ত।

৯ আগস্ট : তাঁতীদের ঋণদানের জন্যে ব্যাংক কনসোর্টিয়াম গঠিত।

১৯ আগস্ট : মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন গঠিত।

২১ আগস্ট : বাংলাদেশের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে ১১-১ ভোটে রায়।

৩১ আগস্ট : লাইসেন্স-পারমিট বাতিল করে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর সুপারিশ।

২ সেপ্টেম্বর : রেলওয়ে কমিশন গঠিত।

১৮ সেপ্টেম্বর : কালোবাজারী, মওজুতদারী ও ভেজাল-বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৯১ জনকে গ্রেফতার ও ১৯ জনের কারাদন্ড।

২২ সেপ্টেম্বর : দুর্নীতির অভিযোগে ১৯ জন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বহিষ্কৃত।

২৭ সেপ্টেম্বর : শ্রমনীতি ঘোষণা।

৬ অক্টোবর : চোরাচালান বন্ধ রোধে সেনাবাহিনী তলব।

১০ অক্টোবর : মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত। ৪ কোটি টাকার মূলধন নির্ধারিত। গুলিস্তান, নাজ, মুন সিনেমা হল, ফান্টা, কোকাকোলা, সিরকো সোপ ট্রাস্টকে প্রদান।

৪ নভেম্বর : বাঙালী জাতির প্রথম সংবিধান গণপরিষদে (সংসদে) উত্থাপিত।
৫ নভেম্বর : জেলাওয়ারী চাকরির কোটা নির্ধারণ।

৬ নভেম্বর : বাংলাদেশ কলম্বো পরিকল্পনার সদস্য নির্বাচিত।

১০ নভেম্বর : বাংলাদেশের ‘গ্যাট’ (আন্তর্জাতিক ট্যারিফ ও বাণিজ্য সংস্থা)-এর সদস্যপদ লাভ।

১৭ নভেম্বর : দুনিয়ার বিভিন্ন মহাদেশের ২৩টি দেশের উদ্যোগ : বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দাও।

২৪ নভেম্বর : বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠিত।

১৪ ডিসেম্বর : সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গৃহীত।

১৬ ডিসেম্বর : বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স সহ সকল কালাকানুন বাতিল।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।

২২ ডিসেম্বর : মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক উন্মোচন।

১৯৭৩
৯ জানুয়ারী : বিমানবন্দরে ১১০ ভরি সোনা আটক।

১২ জানুয়ারী : বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত।

৮ ফেব্রুয়ারী : জাতিসংঘ মহাসচিব কুর্ট ওয়াইল্ড হেইমের ঢাকা আগমন।

২৩ ফেব্রুয়ারী : প্রশাসন সহ সর্বস্তরে বাংলাভাষা ব্যবহারের নির্দেশ।

২৩ মার্চ : বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ বোর্ড গঠিত।

২৬ মার্চ : ৫৪৬ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান।

৯ এপ্রিল : কৃষিতে অবদানের জন্যে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারের সিদ্ধান্ত।

১৪ এপ্রিল : চাকরি পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ।

২১ এপ্রিল : কৃষি ব্যাংক অধ্যাদেশ জারি।

২৬ এপ্রিল : ঢাকায় ৭৮ জনের ডিলারশিপ ও লাইসেন্স বাতিল।

২৭ এপ্রিল : দোকানে দ্রব্যমূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দান।

১৭ মে : মন্ত্রী সভা থেকে মিজানুর রহমান চৌধুরী বহিষ্কার।

১৮ মে : বেতন কমিশনের প্রতিবেদন তৈরি।

২৩ মে : ঢাকায় এশীয় শান্তি সম্মেলন।

১ জুন : শিল্প-শ্রমিকদের জন্যে আলাদা বেতন কমিশন গঠিত।

৮ জুন : ঢাকায় ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধারের নির্দেশ।

১৮ জুন : তিনটি অঞ্চলে ৩০৩টি ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার দল নিয়োগ।
বাংলাদেশ বিমান বোয়িং সার্ভিস শুরু।

২৮ জুন : বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র বিল গৃহীত।

২৯ জুন : কৃষি আয়ের ওপর কর প্রত্যাহার।

১০ জুলাই : সরকারী কর্মচারীদের নতুন বেতন হার ঘোষণা।

১৪ জুলাই : সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল গৃহীত।

২৮ জুলাই : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি।

১৯ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ-পাকিস্তান লোক বিনিময় শুরু।

২২ সেপ্টেম্বর : পাট কর্পোরেশন বিল পাস।

২৪ সেপ্টেম্বর : কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিল পাস।

২৫ সেপ্টেম্বর : ন্যাশনাল ডাক্তারদের স্বীকৃতি লাভ।

২৭ সেপ্টেম্বর : যুদ্ধে বিধ্বস্ত ভৈরব রেলসেতু আবার চালু।

১ নভেম্বর : ১,৭৮৩ জন ব্যবসায়ীর ডিলারশিপ বাতিল।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারী চাকুরের মর্যাদা লাভ।
বাংলাদেশের রেডক্রস লীগের সদস্যপদ লাভ।

২৭ নভেম্বর : ৪,৪৫৫ কোটি টাকার প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রকাশ।

২৭ ডিসেম্বর : দেশের প্রথম পশমী বস্ত্রমিল উদ্বোধন।

১৯৭৪
১৯ ফেব্রুয়ারী : ঢাকা পৌরসভাকে কর্পোরেশনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত।

২৩ ফেব্রুয়ারী : ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদে বাংলাদেশ।

৪ মার্চ : ভুয়া হোসিয়ারী মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ।

৬ মার্চ : ৯৮১ জনের ডিলারশিপ বাতিল।

১৫ জুন : আওয়ামী লীগের আরো দু’জন সংসদ সদস্যকে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার।

৮ জুলাই : বিদেশ সফরের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ।

১৩ জুলাই : চায়ের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার।

১৬ জুলাই : পুঁজি বিনিয়োগ সিলিং ৩ কোটি টাকায় বৃদ্ধি।

২৬ জুলাই : সংবাদপত্র বেতনবোর্ড গঠিত।

১৩ আগস্ট : বাংলাদেশের ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সদস্যপদ লাভ।

৭ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভ।

৫ অক্টোবর : বাংলাদেশে তেল অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানীর সাথে চুক্তি।

১৪ ডিসেম্বর : জাতিসংঘের জরুরী খাদ্যসাহায্য তালিকায় বাংলাদেশের স্থান লাভ।

১৭ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের বিশ্বখাদ্য পরিষদের সদস্যপদ লাভ।

১৯৭৫
৩ জানুয়ারী : কলকাতা চোরাচালানী ও কালোবাজারীর জন্যে মৃত্যুদন্ড আদেশ জারি।

১৯ জানুয়ারী : সেনাবাহিনীর গুলিতে সীমান্তে ৫০ জন চোরাচালানী নিহত।

২৩ জানুয়ারী : ৩৫টি পরিত্যক্ত শিল্প ইউনিট বিক্রয়।

৩০ জানুয়ারী : ভুয়া রেশন কার্ড রাখার দায়ে ৩৬ জন রেশন দোকান মালিক ও কর্মচারী গ্রেফতার।

৭ ফেব্রুয়ারী : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে সাড়ে ৭ লাখ ভুয়া রেশন কার্ড বাতিল।

৬ মার্চ : রামপুরায় নতুন টেলিভিশন ভবন উদ্বোধন।

৮ মার্চ : সন্তোষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক মোহাম্মদ আলী কলেজ উদ্বোধন।

১০ মার্চ : বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কেবল রপ্তানী শুরু।

১৩ মার্চ : সংসদ সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার জন্যে নির্দেশ জারি।

১৭ মার্চ : কয়লা ব্যবসা সরকারী নিয়ন্ত্রণে আনা।

২১ মার্চ : সরকার কর্তৃক ‘এসো’র দায়িত্ব গ্রহণ।

১ এপ্রিল : বহুমুখী পল্লী সমবায়ের নীল নকশা তৈরির কাজ সম্পন্ন।

৩ এপ্রিল : সশস্ত্র সমাজবিরোধীদের ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।

১৫ এপ্রিল : শিল্পাচার্য জয়নুলের সংগ্রহশালা ময়মনসিংহে উদ্বোধন।

১৬ এপ্রিল : ইসলামিক ফাউন্ডেশন অধ্যাদেশ জারি।

১৮ এপ্রিল : গঙ্গার পানিবন্টন প্রশ্নে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি সই।

১৭ মে : বাংলাদেশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য নির্বাচিত।

২৯ মে : নাট্যানুষ্ঠানের ওপর থেকে প্রমোদকর বিলুপ্ত।

১৪ জুন : বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম উপগ্রহ যোগাযোগ ভূকেন্দ্র উদ্বোধন।

২০ জুন : খাদ্য সরবরাহ দ্রুত করতে সেনা ও নৌবাহিনী নিয়োগ।

৩০ জুন : মনু নদী প্রকল্প : ঢাকা-কুয়েত মৈত্রীচুক্তি সই।

১ জুলাই : সুদানে ২৪ কোটি টাকার পাট রপ্তানী।

৩ জুলাই : এক ব্যান্ড রেডিও ও ২০ ইঞ্চি টেলিভিশন থেকে লাইসেন্স ফি বাতিল।

১৬ জুলাই : ১৭ জন দুঃস্থ শিল্পী ও সাহিত্যিককে আর্থিক সাহায্য দান।

১৯ জুলাই : যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পুনরায় চালু।

২১ জুলাই : দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম মঞ্জুর অপসারিত।

২৪ জুলাই : কারখানা-শ্রমিকদের নিয়মিত রেশনদানের সিদ্ধান্ত।

২৬ জুলাই : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি গ্রহণে বঙ্গবন্ধুর অস্বীকৃতি।

০০০

Reference: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর সময়কাল – ড. মোহাম্মদ হাননান

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!