২০ আগস্ট শুক্রবার ১৯৭১
করাচির মাসরুর বিমান ঘাঁটির ইনস্ট্রাক্টর ফ্লাইয়ার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি ট্রেইনার জেট বিমান হাইজ্যাক করে মুজিবনগরে পালিয়ে আসার সময় দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর অসীম সাহসিকতার জন্য মরণােত্তর বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়া হয়। সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খান ১৩ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যকে সামরিক আদালতের সামনে হাজির হবার নির্দেশ দেন। এঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মিসেস নূরজাহান মােরশিদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এম, ওয়ালিউল্লাহ, কাজী জহিরুল কাইয়ুম, খােন্দকার মােশতাক আহমদ, খােরশেদ আলম, নূরুল ইসলাম চৌধুরী, মােহাম্মদ ইদ্রিস, মােস্তাফিজুর রহমান, খালেদ মােহাম্মদ আলী, খাজা আহমদ, নূরুল হক এবং মােহাম্মদ হানিফ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতর থেকে এক প্রেসনােটে বলা হয় : বেআইনি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান প্রখ্যাত আইনজীবী এ. কে. ব্রোহীকে বিশেষ সামরিক আদালতে তার পক্ষ সমর্থনের জন্য মনােনীত করেছেন। প্রেসনােটে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রধান গত ১১ আগস্ট বিশেষ সামরিক আদালতে প্রথম উপস্থিত হবার পর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিন জন আইনজীবীর নামের তালিকা প্রদান করেন। গত ১১ আগস্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণার অভিযােগে শেখ মুজিবুর রহমানের রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার শুরু হয়েছে। মামলার সমস্ত শুনানি গােপন রাখা হবে ।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান