২২ জুলাই বৃহস্পতিবার ১৯৭১
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ। সদস্যদের উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কেবল ভারত সরকার নয়, এই মহান বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে তারা বিনাদ্বিধায় আমাদের লাখ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে বুকে তুলে নিয়েছেন। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আজ আমরা ভারতের জনগণ, সরকার ও রাজ্য সরকারসমূহকে জানিয়ে দিতে চাই—আপনারা যে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করেছেন তার প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশের জনগণ চিরদিনের জন্য আপনাদের বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করবেন এবং চিরকাল বন্ধুত্বের হাত আপনাদের দিকে প্রসারিত করে রাখবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে তার মূল লক্ষ্য দেশ উদ্ধার। সেদিন দূরে নয় যেদিন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হবে। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মিয়া মােহাম্মদ তােফায়েল করাচিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই মর্মে দাবি জানান, আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য গােলযােগে অংশ নিয়েছিলেন, সেসব সদস্যের আসন বাতিল করে গত নির্বাচনে যারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন সেসব শূন্য আসনে তাদের নির্বাচিত বলে ঘােষণা করতে হবে।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান