৪ জুলাই রবিবার ১৯৭১
ঢাকায় ঘােষণা করা হয় সাতক্ষীরা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভােকেট আবদুল গাফফার ভারত থেকে ফিরে এসে নিজেকে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে সােপর্দ করেছেন। ফেনী থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ওবায়দুল্লাহ মজুমদার বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। পাকিস্তান ব্রিটেনের কাছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, বিবিসি ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদলিপিতে লন্ডনে বাংলাদেশ সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ ব্রিটিশ নাগরিক ও প্রবাসীরা (বাঙালিরা) যে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন তার প্রতি ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। লিপিতে বলা হয় গ্রেট ব্রিটেনে বাংলাদেশের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গােলাবারুদ কেনার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। লিপিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার এ্যালেক ডগলাস হিউমের ২৩ জুনের বিবৃতিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয় । মি. হিউম বিবৃতিতে বলেছিলেন, রাজনৈতিক সমাধানের দিকে প্রকৃত উন্নতির জোরালাে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে নতুন করে কোনাে ব্রিটিশ সাহায্য দেওয়া হবে না। রংপুরের গড্ডিমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান