১৪ মার্চ রবিবার ১৯৭১
আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘােষিত অহিংস অসহযােগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচির শেষ দিন। জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যােগদানের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৪ দফা পূর্বশর্ত মেনে নেওয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং যুব, মহিলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সভা-সমাবেশ-শশাভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বিবৃতির মাধ্যমে অসহযােগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে নতুন নির্দেশ ঘােষণা করেন। বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির আকাক্ষাকে নির্মূল করা যাবে না। আমরা অজেয়। কারণ আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত । আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররা যাতে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু বলেন, জনগণের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম এগিয়ে চলেছে। বল প্রয়ােগের মাধ্যমে যারা শাসন করার চক্রান্ত করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে কি রকম ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রয়ােজন আমাদের জনগণ বিশ্ববাসীর কাছে তা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকই আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার যােগ্যতা অর্জন করেছে। যারা নগ্ন বল প্রয়ােগের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল জনগণ চূড়ান্তভাবে তাদের পর্যুদস্ত করেছে। | বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা অকুণ্ঠচিত্তে জানিয়ে দিয়েছেন, আত্মসমর্পণ নয়, তারা আত্মত্যাগের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক এ অবস্থায়ও অবিবেচক সামরিক কর্তৃপক্ষ। আইন জারি করে বেসামরিক কর্মচারীদের দমিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের জানা নেই, ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ আজ সামরিক আইনের কাছে নতি স্বীকার করার জন্য সংকল্পবদ্ধ। আওয়ামী লীগ প্রধান বেসামরিক কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আমার অনুরােধ আপনারা কোনাে হুমকির কাছে মাথা নত করবেন না। অসহযােগ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আপনাদের ও আপনাদের পরিবারবর্গের পেছনে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বল প্রয়ােগের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতা অর্জন না করব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম পূর্ণোদ্যমে চলবে। এই লক্ষ্যে আমি যে-কোনাে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার এবং সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে যে-কোনাে বল প্রয়ােগের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সকালে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও ন্যাপ নেতা খান আবদুল ওয়ালী খান আলােচনা বৈঠকে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে রুদ্ধদ্বার কক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টা এই আলােচনা চলে। বৈঠকে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ. এইচ. এম, কামরুজ্জামান ও ওয়ালী ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা গাউস বক্স বেজেঞ্জো উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের লবিতে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবন্ধু বলেন, স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। হিসেবে জীবনযাপনের জন্যই আমাদের সংগ্রাম।
জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম চলবেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী ঐক্যবদ্ধ জনগােষ্ঠীকে পৃথিবীর কোনাে শক্তিই দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খান বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওয়ালী খান বলেন, আমি পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসেছি। আমার দল ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বসার পক্ষপাতি। কেননা, জাতীয় পরিষদই হচ্ছে শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সম্পর্কে আলােচনা ও তার সমাধানের উপযুক্ত স্থান। |এ সময় একজন বিদেশি সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবেন?’ জবাবে বঙ্গবন্ধু পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘প্রেসিডেন্ট কি ঢাকায় এসেছেন?’ প্রশ্নকর্তা জবাব দেন না।’ তখন বঙ্গবন্ধু প্রশ্ন করেন, তাহলে কিভাবে দেখা হতে পারে?’ প্রশ্নকর্তা নিরুত্তর থাকলে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ঢাকা এলে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছি।’ এর আগে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনের সামনে সমবেত সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা কারও ওপর অত্যাচার করতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি আমাদের ওপর নির্যাতন চালাতে চেষ্টা করে তাহলে আমরাও তাকে সহজে ছেড়ে দেব না।
বাংলার সাত কোটি মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস নিশ্চিত করতে যে-কোনাে চরম ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসহযােগ আন্দোলনের সমর্থনে সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে সকালে বায়তুল মােকাররম প্রাঙ্গণে সমাবেশ শেষে প্রেস কর্মচারীরা মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গেলে তিনি তাদের স্বাগত জানিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি এম. এ. করিম সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর হাতে একটি আবেদনপত্র দেন। তাতে নেতার যে-কোনাে নির্দেশ পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে অবিলম্বে একটি জাতীয় সরকার গঠন ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘােষণার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুরােধ জানানাে হয়। বঙ্গবন্ধু শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অহিংস অসহযােগ আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশৃঙ্খলা ও হিংসাত্মক পন্থায় কোনাে আন্দোলন সফল হয় না। এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারী জনতার সংগ্রামকে বানচালের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সংগ্রামী জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজেদের মুক্তির জন্য বাংলার প্রতিটি গৃহকে এক একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে গড়ে তােলার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা তােফায়েল আহমদও বক্তৃতা করেন। পরে সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারীরা শােভাযাত্রা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নেন। করাচির নিশাত পার্কে পিপলস পার্টির উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় পিপিপি-র চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের দুই অংশের দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রস্তাব দেন। তিনি পশ্চিম
পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা হিসেবে তার সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের জনসাধারণ চায় দেশের দুই অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দুটি দলই এক সাথে কাজ করুক। তিনি বলেন, ছয় দফার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাই দাবি করছে। বরিশালে এক জনসভায় বাংলা জাতীয় লীগ প্রধান আতাউর রহমান খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করার আহ্বান জানান। ১১৫ নং সামরিক নির্দেশের প্রতিবাদে দেশরক্ষা বিভাগের বেসামরিক কর্মচারীরা সকালে নগরীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তারা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে তার সাথে দেখা করে বর্তমান আন্দোলনের সাথে সংহতি ও কর্মস্থল বর্জনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ঘােষণা করেন। সরকারি কর্মচারী সমন্বয় কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে ১১৫ নং সামরিক নির্দেশ কার্যকর না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানাে হয়। বিভিন্ন সংগঠন পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে ১১৫ নং সামরিক নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়। সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে লালবাগ বালুরমাঠে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ডাকসুর সহ-সভাপতি আ, স, ম, আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদুস মাখন ও ছাত্রনেতা শেখ শহীদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। বিকেলে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলাে ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে ঢাকা নগর ছাত্রলীগের আঞ্চলিক শাখাসমূহের কর্মকর্তাদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হক সভাপতিত্ব করেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ ও নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হােসেন বক্তৃতা করেন। ডিআইটি ভবন প্রাঙ্গণে টিভি নাট্যশিল্পীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন অসহযােগ আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। বাংলা একাডেমীতে লেখক সংগ্রাম শিবিরের উদ্যোগে লেখক সমাবেশ শেষে শােভাযাত্রা বের করা হয়। ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) বায়তুল মােকাররম প্রাঙ্গণে জনসভার আয়ােজন করে। সভা শেষে দীর্ঘ মিছিল বের করা হয়। সদরঘাটে ফরােয়ার্ড স্টুডেন্টস ব্লকের উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । সন্ধ্যায় পল্টন ময়দানে কথাশিল্পী সম্প্রদায় কবিতা পাঠ ও গণসঙ্গীতের আসর বসায় । বাংলাদেশের জন্য খাদ্যশস্যবাহী ‘মন্টেসেলাে ভিক্টরি’ নামের আরেকটি জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। ওসান এন্ডুরাস’ নামের সমরাস্ত্রবাহী আর একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১০ নং জেটিতে নােঙর করে।
গত ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৬ নং জেটিতে নােঙর করা। অস্ত্রবাহী জাহাজ ‘সােয়াত’-এর সমরাস্ত্র খালাসের চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষ বরকর্মী ও শ্রমিকদের অসহযােগিতার কারণে ব্যর্থ হয়। প্রাদেশিক পরিষদের আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এক বিবৃতিতে গত ১১ মার্চ খাদ্যবাহী জাহাজ ‘ভিনটেজ হরাইজন’এর গতিপথ চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তে করাচি বন্দরে পরিবর্তনের ঘটনা সম্পর্কে অবিলম্বে তদন্ত অনুষ্ঠানের দাবি জানান। ঢাকায় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার ইমাম হােসেন এক বিবৃতিতে অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানরত সমস্ত অবাঙালি সৈন্যকে প্রত্যাহার করে বাঙালি সৈন্যদের তাদের স্থলাভিষিক্ত করার আহ্বান জানান। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দেশ থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরােধের উদ্দেশ্যে ঢাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপােস্ট স্থাপন করে। রাতে সংগ্রাম পরিষদের নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহাজান সিরাজ, আ. স. ম. আবদুর রব ও আবদুল কদুস মাখন এক যুক্ত বিবৃতিতে বর্তমানে বাংলাদেশে ছুটিতে অবস্থানকারী কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালি কর্মচারীদের পশ্চিম পাকিস্তানে গমন থেকে বিরত থেকে নিজ নিজ এলাকার সংগ্রাম পরিষদের সাথে যােগাযােগ করতে অনুরােধ জানান। জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ প্রতিটি শ্রমিক এলাকায় সংগ্রাম পরিষদ ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে ট্রেনিং প্রদানের নির্দেশ দেয়। | করাচিতে পশ্চিম পাকিস্তানি শিল্পপতিরা প্রেসিডেন্টের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। এই স্মারকলিপিতে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতির স্বার্থে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টকে অনুরােধ করা হয়। শিল্পপতিরা বলেন, বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাম্প্রতিক অসহযােগ আন্দোলনের ফলে পশ্চিম পাকিস্তানি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সমুদয় অর্থ বাংলাদেশে আটকা পড়ে গেছে। এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে শীঘই পশ্চিম পাকিস্তানের কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়বে। কেননা, পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান বাজার বাংলাদেশ ।
সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান