You dont have javascript enabled! Please enable it! বিভিন্ন যুদ্ধের বর্ননা ১১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশ বাহিনী। শিরোনাম সূত্র তারিখ
৫। ইয়াহিয়ার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সরূপ উদঘাটন করে প্রকাশিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিশেষ ইস্তেহার বাংলাদেশ আর্কাইভস, মুজিবনগর ——–১৯৭১

পাকিস্তানের ‘প্রেসিডেন্ট জেনারেল! ইয়াহিয়া খান শুধুমাত্র বিশ্বেসেরা খুনী হিসেবে নয় একজন অতুলনীয় মিথ্যুক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থাকবেন। জেনারেল ইয়াহিয়া সরকারী কর্মচারিদের সাধারণ ক্ষমার যে ডাক দিয়েছেন সেটা নির্জলা মিথ্যা ছাড়া কিছু নয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর জন্য বিশ্বনেতৃত্বকে ভুল বোঝানোই ছিল এর উদ্যেশ্য। মূলত এটি একটি ধাপ্পাবাজি মাত্র। পাকিস্তান রেডিও ও অন্যান্য তথ্য গণমাধ্যম প্রচার করে যে ইবিআর এবং ইপিআর এর ২০০০ সৈন্য এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাক প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পন করেছে। তারা দাবি করে অনুপস্থিতির সময়ের বকেয়া বেতন ও তাদের দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ পেশায় পুনর্বাসিত করা হয়েছে। কিন্তু আসল কথা হল এসব কিছুই করা হয়নি। প্রস্তাব এবং আত্মসমর্পণের বিষয়টি ও সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই নয়, আগে গ্রেফতারকৃতদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে যে কথা বলা হয়েছে সেটা ছিল মিথ্যা। একজন বাঙালি Fit লেফটেন্যান্ট যিনি সম্প্রতি ঢাকা ক্যন্টনমেন্ট পাকবাহিনীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছেন তিনি অনেকের নাম বলেন যারা সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাবের পরেও সেখানে বন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। গত দুই মাস ধরে যেসব বন্দীদের অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে যাদের নাম তিনি মনে করতে পেরেছিলেন সেগুলো নিম্নে বর্নিত হল-

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন (আর্মি সার্ভিস কোর)
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জলিল (ই বেঙ্গল)
মেজর কামাল (মেডিকেল কোরে)
মেজর কাজী আশরাফ (আর্মি সার্ভিস কোর)
মেজর আলতাফ (ইন্টেলিজেন্স)
মেজর আওলাদ হোসাইন (ইপিআর)
ক্যাপ্টেন আজিজ (ই বেঙ্গল সেন্টার) ক্যা
প্টেন সুজা (সেনাবাহিনী পুলিশ)
ক্যাপ্টেন আলম (আর্মি প্রকৌশলী)
ক্যাপ্টেন হুদা (আর্টিলারি)
লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরী (ই বেঙ্গল)
সেকেন্ড লে জিয়াউদ্দিন (আর্টিলারি)
উইং কমান্ডার এ রহমান (পাফ)
স্কোয়াড্রন লিডার মঞ্জুর (পি এ এফ)
স্কোয়াড্রন লিডার মহিবুর রহমান (পি এফ)
স্কোয়াড্রন লিডার বদিউর রহমান (পি এফ)
স্কোয়াড্রন লিডার শামসুর রহমান (পি এফ)
Fit লেফটেন্যান্ট খলিলুর রহমান (পি এ এফ)
ফিট লেফটেন্যান্ট মির্জা (পি এ এফ)
ফ্লাইং অফিসার ফজলুর রহমান (পি এ এফ)
জনাব মহিউদ্দিন, এমপিএ
জনাব লোকমান হোসেন (পরিচালক, টেলিযোগাযোগ)
জনাব আব্দুল্লাহ (উপ-পরিচালক, জিওলজিক্যাল সার্ভে)
জনাব মোজাম্মেল হক
এসডিও, রাজবাড়ী
এসডিও, মাদারীপুর
জনাব নুরুল মোমেন এসপি ফরিদপুর
মেজর মান্নান (বেলুচ রেজিমেন্ট)
যশোরে ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান (আর্মি শিক্ষা কর্পস) আটক রয়েছেন।

এছাড়া আরও অনেক কর্মকর্তা অন্যান্য সেনানিবাসগুলোতে বন্দী আছেন। লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরী ছাড়া বাকি অফিসারদের কেউ স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ ছিল না। এঁদের মধ্যে কয়েকজন, যারা ছুটিতে ছিলেন, টিক্কা খানের ক্ষমার খোলসের আড়ালে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। অনেককে গ্রেফতারের একমাত্র কারণ ছিল যে তারা বাঙালি। লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরীকে যখন চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি প্রাণপনে পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছিলেন এবং আহত হয়ে পড়েন। তাকে রেডিওতে জোর করে সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভালো বলতে বলা হয়েছিল যাতে অনেকে সেখানে যোগ দেয়। এখনো তাঁর উপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। অত্যধিক প্রহারের কারণে তিনি প্রায় খোঁড়া হয়ে গেছেন। এভাবে দিন রাত সকল গ্রেফতার কৃত অফিসার ও অন্যান্য পদবীর শত শত বাঙ্গালী কর্মকর্তাদের পাকবাহিনী অমানবিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এদের কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দি নেয়া হয় যে শেখ মুজিবের যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা ভুল করেছে-পাকিস্তানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

ইয়াহিয়া খান ও তার সামরিক জান্তারা খুব ভালো করেই জানত যে সমস্ত বিশ্ব জানতে পারবে তারা একদল খুনি ছাড়া কিছুই নয় যারা জোর করে তাদের গনহত্যাকে ঢাকার চেষ্টা করছে। সাধারণ ক্ষমা থাক বা না থাক বাঙলার মাটিতে ইয়াহিয়া খানের সৈন্যদের কবর রচনা চলমান থাকবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশ আর্কাইভস, মুজিবনগর,
৫ নাম্বার দলিল, পেজঃ ১৭৬-১৭৭,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ একাদশ খণ্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৬। বাংলাদেশ সশস্ত্র সংগ্রামের ওপর একটি পর্যালচনা-প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের বক্তৃতা বাংলাদেশ আর্কাইভস, মুজিবনগর ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

ট্রান্সলেটেড বাই-Razibul Bari Palash
<১১, ৬, ১৭৮-১৮০>

৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীনের জাতির উদ্যেশ্যে ভাষণ-

আমার প্রিয় দেশবাসী ওসহযোদ্ধারা-
শেষবার আপনাদের সাথে কথা হবার পর পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের জনগন পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তার পাঠানো অসংখ্য শত্রুসেনাদের এদেশের আনাচে-কানাচে গড়া সুরক্ষিত ও নিরাপদ সামরিক ঘাঁটিতে বীরবিক্রমে ক্রমাগত যে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তা এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আমাদের অর্থনৈতিক অবরোধ, জলে-স্থলে আমাদের গেরিলাদের অসাধারণ মেধাবী আক্রমণকৌশল, ক্রমাগত শক্তিশালী ও প্রবল হতে থাকা আমাদের প্রতিরোধ-শক্তি-ইত্যাদি প্রমাণ করে যে তাঁদের পরাজয় খুব-ই সন্নিকটে। তবে আমি, ধৈর্য ও সংযমের উপর জোর দিতে চাই। আমি মনে করি শত্রুকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য এবং এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ শেষে দেশ পুনর্নির্মাণের জন্য এই দুটো গুণের সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন হবে।

বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার ভারসাম্যে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ক্ষমতার এই পরিবর্তনকে ব্যাবহার করে শত্রুপক্ষ তাঁদের স্বার্থ নগদায়ন করার যে কুপ্রচেস্টা নিয়েছিল সেটা ব্যার্থ হয়েছে-আমার সে প্রমাণ পেলাম সাম্প্রতিক ইন্দো-সোভিয়েত চুক্তিতে। বাঙালি নিঃসন্দেহে তাদের নিজস্ব ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। তারা তাদের ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রচেষ্টা দিয়ে সেটা জেনেছে ও শিখেছে। কিন্তু তবুও সান্ত্বনা এই যে-যাদের কাছ থেকে শুধু ‘সতর্ক’ থাকার চেষ্টা করেছি সেটা এখন ‘সমর্থন’এর পর্যায়ে রূপ নিচ্ছে। কিছু দেশের সরকার যদিও রক্ষণশীল ভূমিকায় থেকেছে তবু তাঁদের জনগণের আকুন্ঠ সমর্থন, সমবেদনা ও একাত্মতা প্রকাশের খবর আমরা পাচ্ছি। তাই আমরা আশা করি সেইসব সরকার খুব দ্রুত তাঁদের রক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরে এসে আমাদের পাশে দাঁড়াবে।

বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ একথা বিশ্বাস করেনা যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চালিয়ে জনগণের স্বস্তি ফিরিয়ে আনার যে নীতি গ্রহণ করেছে তা বাস্তবে সম্ভব হবে। যদিও জাতিসংঘ মনে করেনা যে দখলদার পাকবাহিনী দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ত্রাণসামগ্রী বাঙ্গালীদের মাঝে বিতরণ সুষ্ঠু হচ্ছেনা! একথা বলাই বাহুল্য যে পাকসেনারা তাদের হেলিকপ্টার, নৌযান আর যানবাহন দিয়ে বাঙ্গালীর জন্য ত্রাণ বিতরণ করে বেড়াবে! এসব ত্রাণসামগ্রীর সবই পাকবাহিনী ব্যাবহার করছে। শুধু তাই নয়, ইউ এন রিলিফ টিমের কমিউনিকেশন এক্সপার্টরা প্রশ্নাতীতভাবে পাকবাহিনীকে নানারকম লজিস্টিক বেনিফিট দিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়ানক মিশনটিকে তারা মানবতার-সেবা বলে আখ্যা দিচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্ব সংস্থার মর্যাদা সম্পর্কে যত্নবান হলে এখনই তার ইউএন রিলিফ অপারেশন নামের এই উপহাস বন্ধ করার সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দখলদার বাহিনী শুধুমাত্র অতিবর্বর নয়-যেমনটি তাদের গণহত্যা এবং ধ্বংসের দ্বারা প্রমাণিত হয়-তারা আসলে তিলে তিলে আমাদের সব শুষে নিতে চাইছে নানারকম মিথ্যা আর প্রতারণার ফাঁদ দিয়ে। কিছুদিন পর পর তারা নানারকম আপসের ফর্মুলা দিয়ে তাদের চতুর স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করত এবং আমাদের মানুষকে বিভ্রান্ত করে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের যে দৃঢ় সংকল্প সেটাকে দুর্বল করে দেবার চেষ্টা করত।

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সামরিক জান্তারা বাংলাদেশে খুব দ্রুত বেসামরিক প্রশাসন ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করার মিথ্যা বানী দিয়ে আসে। জেনারেল ইয়াহিয়া আর ঘৃণিত টিক্কার প্রতিস্থাপন, বাঙ্গালীদের ব্যার্থ করার চেষ্টা, জনবিচ্ছিন্নতা, জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব, এই সবই ছিল মূলত প্রতারণার ফাঁদ যাতে নির্লজ্জ সামরিক শাসন, গণহত্যা ও শোষণ অব্যাহত থাকে।

জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সম্মেলনে কিছু কিছু সদস্যের সাথে বিশদ প্রদর্শনী করে আর কাউকে বসার সুযোগ না দিয়ে ইয়াহিয়া কাদের খুশি করতে চান আমাদের জানা নেই। জাতির নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ-যারা তাদের জনগণের ইচ্ছার ধারক-তাদের কর্তৃত্ব হরণ করে-তাদেরকে অনুপস্থিত রেখে ঐ অংশের জনগণের সমর্থন প্রমাণ করতে চাওয়া ব্যার্থ চেষ্টা মাত্র। এমএনএ ও এমপিএ গন গত জুলাইয়ে তাদের চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ব্যাপারে তাদের মতামত বলবত রাখেন। তাদের বিরুদ্দে নেয়া কোন প্রকার অনৈতিক ট্রায়াল অথবা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করনে তাদের এই সিদ্ধান্তে কোন পরিবর্তন হবেনা।

বাঙালিদের উপর ভয়ানক গণহত্যা ও একনায়ক ইয়াহিয়া বাঙ্গালীর নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে একটি সামরিক আদালতে গোপন বিচারে তার নিযুক্ত এটর্নীদের প্রভাবিত করে জোর করে অপরাধী দেখিয়ে কারারোধ করে রেখে মিথ্যা হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টায় সমগ্র বিশ্বে এক তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর বিচারের ট্রায়াল সম্পর্কে আমি সমস্ত বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দিতে চাই-যে বিচার করাই হোক না কেন-সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর ভালবাসাসিক্ত যে বঙ্গবন্ধু বাঙলীর চোখে স্বাধীন বাঙলার স্বপ্ন এঁকে দিয়েছেন-যাকে শত্রুরা বন্দি করে রেখেছে-সেই প্রাণপ্রিয় ব্যাক্তিটিকেই তারা এদেশের ক্ষমতায় দেখতে চান। বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্যান্য দেশ, সরকার, জনগণ ও জুরিদের সাথে সব রকমের পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। এর কাছে কোন চতুরতা সামান্য প্রভাব ফেলবে না বলে আমি আশা করি। কিন্তু আমি আমার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, যারা তথাকথিত ট্রায়ালের নামে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন অনিশ্চিত করতে চাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। পাশাপাশি যাদের ইসলামাবাদের সঙ্গে প্রভাব আছে তাদের কাছে অবিলম্বে শেখ মুজিবের নিরাপদ মুক্তির জন্য সাহায্যের আবেদন করছি।

সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের অধীনে কর্মরত বাঙ্গালী কূটনীতিকরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে যোগ দিয়েছেন। এতে আমাদের শক্তি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বহিঃবিশ্বে আমাদের সরকারের ভাবমূর্তি ও স্বীকৃতি প্রাপ্যতা আরও সহজ হবে। দেখা যাচ্ছে স্বীকৃতি দ্রুত যুদ্ধ সমাপ্তির নির্দেশক এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় সূচক বহন করে। বাংলাদেশের জনগণ, যারা শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছেন-যারা এতোটা শারীরিক ও মানসিক ভুক্তভোগী হয়েছেন-যে বোধ হয় আর কেউ কোনোদিন ভোগ করেনি। যারা গণতন্ত্রে ও মানবিকতায় বিশ্বাস করে তারা নিশ্চয়ই আমাদের সমর্থন দেবে।

পশ্চিম পাকিস্তানীদের অত্যাচার, নির্যাতনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক বন্যাও দুঃখকষ্টের একটি নিষ্ঠুর মাত্রা যোগ করেছে।। দুঃখের সাগরের মত বন্যা আমাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গ্রাস করেছে। শোষণ ও বিদ্রূপনীতির আরেকটি হল বাংলাদেশে এই বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকসরকারের চরম অবহেলা। এটা খুব স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ও বাঙ্গালীর নিয়তি নির্ধারনে বাঙ্গালীদেরকেই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।

বাঙ্গালীর জীবন যাপনের সূচক আর অন্তর্বেদনা পরিমাপ যোগ্য অবস্থায় নেই। কিন্তু আমি বিশ্বাস ও অনুভব করি বাঙ্গালীর হৃদয়ের কম্পন-যা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও যুদ্ধের মত সবকিছুর উপর বিজয় অর্জন সম্ভব।

পরিশেষে, আমি শ্রদ্ধাভরে ধন্যবাদ জানাই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের-যাদের অসীম সাহস, আত্মাহুতি এবং সাফল্য জাতিকে গর্বিত করে আর ভবিষ্যতের আশা জাগায়। বাংলাদেশের জনগণ এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের সংহতি সুসংহত করেছে। এই সংহতিই যেন তাদের অদম্য শক্তিতে পরিণত হয় এই কামনা।

জয় বাঙলা

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৭। সিলেট অঞ্চলে মুক্তিসেনাদের প্রচণ্ড লড়াইয়ের সংবাদ জানিয়ে প্রেরিত একটি তার বার্তা বাংলাদেশ আর্কাইভস, মুজিবনগর ১৫ সেপ্টেম্বর, ৭১

কম্পাইল্ড বাই-Razibul Bari Palash
<১১, ৭, ১৮১>

কিউ-১৬৩০-এ পি ৪-শামসুল করিমগঞ্জ ক্যাম্প এ এস এম ১৫ পেইজ-১

নিউজ ইডিটর বাংলাদেশ আর্কাইভস ১৩/১ পাম এ ভেন্ডিকা ১৯–

সিলেট সেক্টর-১৫ সেপ্টেম্বর মুক্তিবাহিনী সিলেটের পুর্ব ফ্রন্টে মঙ্গলবার সকালে ৬ ঘণ্টা খারেম্পুর শররপার এলাকায় যুদ্ধ করে। শত্রুদের ৩৫০ জন ছিল। একজন নিহত। ৬ জন আহত। পাকসেনাদের ২ টি ব্যাটালিয়ন ভারী অস্ত্র দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে প্রতিরোধ করে।

সকালের নামাজের পর শত্রুরা প্রায় ২ হাজার সাধারণ জনগণকে জবাই করে ও গুলি করে হত্যা করে।

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৮। বাংলাদেশের সশস্ত্র সংগ্রাম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের আবারও ভাষণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মুজিবনগর – এর দলিল ২৩ নভেম্বর ১৯৭১

কম্পাইল্ড বাই-Aparajita Neel
<১১, ৮, ১৮২-১৮৩ >

জাতির উদ্দেশ্যে ২৩ নভেম্বর ১৯৭১-এ প্রদত্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদের বেতার ভাষণঃ

দেশবাসী সংগ্রামী ভাইবোনেরা,

গত সেপ্টেম্বর মাসে আপনাদের কাছে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের পর্যালোচনা করেছিলাম তারপর আড়াই মাস কেটে গেছে। এর মধ্যে আমাদের সাফল্য এসেছে নানা দিক থেকে। দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ যে সর্বক্ষেত্রে তীব্রতর হয়েছে, সে কথা শত্রু মিত্র নির্বিশেষে সকলেই স্বীকার করেছেন। মুক্তিবাহিনী এখন যে কোন সময়ে যে কোন জায়গায় শত্রুকে আঘাত করতে পারে; এমনকি শত্রুর নিরাপদ অবস্থানেরকেন্দ্রে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে তাকে বিমুঢ় করে দিতে পারে। জলে-স্থলে চমকপ্রদ অগ্রগতি ঘটেছে মুক্তিবাহিনীর। নদীপথে হানাদাররা বিপর্যস্ত, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় অকেজো, বাংলাদেশের বিস্তৃত অঞ্চল শত্রুমুক্ত। ক্রমেই অধিকতর এলাকায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর প্রশাসন চালু হচ্ছে। আর সৈন্য, সামগ্রী ও মনোবল হারিয়ে শত্রুপক্ষ হতাশায় ততই উন্মাদ হয়ে উঠেছে।

একদিকে রণক্ষেত্রে শত্রুর বিপর্যয় ঘটেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ইসলামাবাদের দুষ্কৃতকারীরা আজ দিশাহারা ও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশয় ও ভীতির উদ্রেক হয়েছে তাদের মনে। বাংলাদেশের জনগনের অপরিমেয় দুর্দশা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তারা পশ্চম পাকিস্তানকেও টেনে নিয়ে গেছে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক ভাঙ্গনের মুখে। এখন তারা চায় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে একটা আন্তর্জাতিক সংকট সৃষ্টি করতে। তারা আশা করে যে, এমন একটা যুদ্ধ হলে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের থেকে পৃথিবীর দৃষ্টি অন্যদিকে নিবন্ধ হবে, মুক্তিবাহিনীর হাতে তাদের পরাজয়ের গ্লানি গোপন করা যাবে এবং এমন একটা পরিস্থিতির উদ্ভব হবে যাতে তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। কিন্তু আমি প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছি যে, এর একটি উদ্দেশ্যও সিদ্ধ হবে না। বরঞ্চ এতে তাদের ভ্রান্তি অপরাধ ও আত্মঘাতের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে মাত্র এবং পরিণামে তাদের আত্মবিনাশ সুনিশ্চিত হবে। সামরিক শাসকচক্র আত্মহত্যার যে ব্যবস্থাই করে থাকুক না কেন আর এই উপমহাদেশের জন্য যে ব্যবস্থাই বিশেষ বিশেষ রাস্ট্রের মনঃপূত হোক না কেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যাবস্থা একটাই-আর তা হল পূর্ন স্বাধীনতা। ইতিহাসের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রতিদিন প্রমাণিত হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার প্রকল্প ও স্বাধীনতা রক্ষার শক্তি। দখলদার সৈন্যবাহিনীর (অস্পষ্ট) আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ইতিহাস মানুষকে অন্ততঃ এই শিক্ষা দিয়েছে যে, জনসাধারণের ইচ্ছাশক্তির পরাজয় নেই – এমনকি, এক বিশ্বশক্তির সমরসম্ভার দিয়েও জনগণের মুক্তি সংগ্রাম দমন করা যায় না।

এশিয়ার গণতন্ত্রের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে কোন পাশ্চাত্য দেশের নিরাসক্তি লক্ষ্য করার মতো। মনে হয় মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদার চাইতে এখানে তারা সরকারের স্থিতিশীলতার গুরত্ব দেন বেশী। এটা শোচনীয়। কিন্তু ভারতকে অর্থ সাহায্যের বিনিময়ে বাংলাদেশের শরণার্থীদেরকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রস্তাব যখন কোন রাষ্ট্র উত্থাপন করেন, তখন আমরা শিউরে না উঠে পারি না। এই প্রস্তাবে গণহত্যা ও তার ফলাফলকে নীরবে মেনে নেওয়া হয়েছে, পর্বতপ্রমাণ অবিচার ও অন্যায়কে বিনা বাক্যে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে গণহত্যা ও ব্যাপক বাস্তত্যাগের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানী সন্ত্রাসের ফলে যারা ছিন্নমূল হয়েছেন, তারা অস্থাবর সম্পত্তি নন যে বিনিময়ে তাদেরকে হাতবদল করা যাবে। সম্মান ও মর্যাদার নিজ বাসভূমে ফেরার জন্মগত অধিকার তাদের আছে এবং তারা সেখানে সেভাবেই ফিরে আসবেন আর আমি বলছি যে, তার খুব বেশী দেরী নেই।

ঠিক এই সময়ে এই উপমহাদেশের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ দল পাঠিয়ে প্রেসিডেন্ট নিক্সন কি উদ্দেশ্য সাধন করতে চান? তার দেশের কূটনীতিবিদ ও আইন সভার সদস্যেরা অবগত নন এমন কি নতুন তথ্য তিনি জানতে ইচ্ছুক? দশ লক্ষ বাঙ্গালীকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং প্রায় এক কোটি মানুষকে বাস্তত্যাগে বাধ্য করা সত্ত্বেও পাকিস্তান সরকারকে তার প্রশাসন নিন্দা করেননি। এখন তথ্য সংগ্রাহক পাঠিয়ে কি ফল তারা লাভ করতে চান, জানিনা। এতে আমাদের সংকল্পের কোন ব্যত্যয় হবে না। সে সংকল্প হল দেশকে শত্রুমুক্ত করে নিজেদের অভিপ্রেত সমাজ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

অশ্রু ও রক্তের বিনিময়ে যা স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়ছি, সে স্বাধীনতা লাভের দিনটি নিকটতর হয়েছে। কিন্তু তার জন্য আরও আত্মত্যাগ, কষ্টস্বীকার ও জীবনদানের প্রয়োজন হবে। স্বাধীনতার ধারনা অশেষ অর্থগর্ভ। স্বাধীনতার তাৎপর্য নির্ভর করে যুদ্ধাবস্থায় আমরা কি মূল্য দিই এবং শান্তির সময়ে এর কি ব্যবহার করি, তার উপর। শত্রুসংহারে প্রতিজ্ঞা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তাই শহীদদের রক্তের উপযুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিজ্ঞার আমাদেরকে নতুন করে নিতে হবে। বাংলাদেশের শহরে ও গ্রামে তরুনেরা যে যুদ্ধে লিপ্ত তা বিদেশের দখলদারদেরকে বিতাড়িত করার সংগ্রাম ও অসাম্য সুবিধাভোগের অবসান ঘটানোর সংগ্রাম। আমাদের আজকের সংগ্রাম সেদিনই সার্থক হবে, যে দিন আমরা বঙ্গবন্ধু-প্রতিশ্রুতি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই। সমাজের যে ভবিষ্যৎ রুপ এখন বাংলাদেশের জনসাধারণ প্রত্যক্ষ করেছেন সেখানে সমানাধিকারের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবন গঠিত হবে এবং উন্নয়ন ও পরিপূর্নতার সাধারন লক্ষ্যে উপনীত হবার প্রয়াসে সকলে অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের জনসাধারণের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজও পাকিস্তানের সামরিক চক্রের হাতে বন্দী হয়ে রয়েছেন। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, তাকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে হানাদার সৈন্যদের নিষ্ক্রমণের সকল পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে শত্রুকে আমরা চরম আঘাত হানব আর তখনই জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্রূর সত্যের মুখোমুখি হবেন।

বাংলাদেশের জনগনের কাছে আমার আহবানঃ
মুক্তিসংগ্রামের বর্তমানের পর্যায়কে চূড়ান্ত স্তরে নিয়ে চলুন। যেসব সরকারী কর্মচারী রাজাকার, পুলিশ বা অন্যান্য ব্যক্তি বিবেকের নির্দেশের বিরুদ্ধে হানাদারদার কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা সামরিক চক্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সুযোগ গ্রহণ করুন। শত্রুপক্ষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় হাত মিলিয়েছেন, তাদেরকে আমি শেষবারের মত বলতে চাইঃ বিশ্বাসঘাতকতার পথ পরিহার করুণ। হাজার হাজার মুক্তিসেনা আজ শত্রুকে ঘিরে রেখেছে, তার অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে। সকলে প্রস্তুত থাকুনঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আহবানে চরম মুহূর্তে যেন সর্বশক্তি দিয়ে শত্রুকে একযোগে চরম আঘাত করতে পারেন।

বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে যারা সাফল্যের বর্তমান স্তরে নিয়ে এসেছেন, সেই বীর শহীদ, সেই অকূতোভয় যোদ্ধা ও সংগ্রামী জনগণকে আমি সালাম জানাই।

জয় বাংলা।

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৯। বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর উদ্যেশ্য প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর ভাষণ বাংলাদেশ আর্কাইভস মুজিবনগর ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

ট্রান্সলেটেড বাইঃ Razibul Bari Palash
<১১, ৯, ১৮৪-১৮৯>

বাংলাদেশ ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার, মুজিবনগর
জনসংযোগ বিভাগ
২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

প্রতি
বার্তা সম্পাদক,
বাংলাদেশ আর্কাইভস

স্যার
কর্নেল MAG ওসমানী পিএলসি এমএনএ, বাংলাদেশ বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ (মুক্তিবাহিনী) আজ রাতে জাতি এবং মুক্তিবাহিনীর লোকদের উদ্যেশ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেবেন। টেক্সট টু স্পিচ আপনার নিউজ পেপারে প্রকাশনার জন্য অগ্রগামী করা হল। এই টেক্সট সক্রিয় ব্রডকাস্ট করার পূর্ব পর্যন্ত গোপনীয় হিসাবে গণ্য করবেন।

ধন্যবাদান্তে
বিনীত
স্বা /-নজরুল ইসলাম
জনসংযোগ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ বাহিনী।

রেডিও টক এর টেক্সট
কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী, পি এস সি, এম এন এ,
কমান্ডার ইন চিফ বাংলাদেশ বাহিনী (‘মুক্তিবাহিনী’)

দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত আমার শ্রদ্ধেয় দেশবাসী,

আজ আমাদের উপর আরোপিত যুদ্ধের ৬ মাস পূর্ণ হল। বাংলাদেশ বাহিনীর (‘মুক্তিবাহিনী’) কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে আমি আপনাদের সাহসী ছেলেদের নিয়ে গঠিত এই বাহিনীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই বাহিনী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছে। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আপনারা যাদের উপর বিশ্বাস ও আস্থা অর্পন করেছেন এই সরকার তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

আপনারা দেশের কর্তা এবং আমরা আপনারদের সেবায় আপনাদের মানবাধিকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মানবাধিকার ও সার্বভৌমত্বের প্রতি দখলদার সেনাদের এই হুমকি জাতিসংঘ মানবাধিকার জাতিসংঘ চার্টারের ঘোর লঙ্ঘন। এবং ২৩ শে মার্চ ১৯৪০ সালের লাহোর রেজোল্যুশনের লঙ্ঘন-যেখানে বলা ছিল এই দুইটি অঞ্চল স্বাধীন ও সার্বভৌম ভাবে তাদের নিজ নিজ অংশ পরিচালনা করবে। এই মত ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে মানুষের দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং আর কখনো সংশোধিত হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ ধারাবাহিকভাবে এই উপনিবেশবাদদের অনিষ্ট থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু এই উপনিবেশবাদ পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকেরা আরও আঁকড়ে ধরে আছেন। অবশেষে, ইয়াহিয়ার সামরিক প্রশাসন বেয়নেটের খোঁচায় প্রথমবারের মতো সাধারণ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হল, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে। এতে বাংলাদেশের মানুষ ৯৯% ভোট দেয় এবং ভোটের ৮০% বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগ পায়-যারা অন্যায় শাসন ও উপনিবেশবাদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চায়।

আওয়ামী লীগ সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। আমাদের স্বাধীনতা প্রেমী মানুষ পরম শান্তি লাভ করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসাবে এটি সর্বজন প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু ফলাফল সামরিক জান্তাকে অবাক করে। তাড়া হিসাবে ভুল করেছিল। তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ৬০% ভোট পাবে আর বাকি ৪০% এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ভোট নিয়ে তারা সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে। তারপর কী হল? জনাব ভুট্টো তার হাত প্রয়োগ করলেন। গণতন্ত্রের চর্চা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি চরম অসম্মান করে তিনি তিনি ঢাকায় ৩রা মার্চ ১৯৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অংশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এবং অধিবেশনের সহিংসতার হুমকি স্থগিত করা হয় নি। তাঁর হুমকি সামরিক শাসকদের দ্বারা সম্মান করা হতো। অধিবেশন স্থগিতের এই অনাহূত ঘটনায় জনগন অসন্তোষ প্রকাশ করে ও তাদের উপর বুলেট চালানো হয়। বাংলাদেশের জনগণ তারপর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের আশ্রয় নেয়। এবং তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর তাদের আস্থা প্রকাশ করছিল। জনাব ভুট্টো তখন কৌশলী প্রস্তাব দিলেন যে ক্ষমতার বণ্টন যে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাকে সেখানে দেয়া হবে। এটা স্পষ্ট যে বাঙালির কাছে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের কাছে তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই-এর উল্টোটাও প্রযোজ্য। আর্থ-সামাজিক সমস্যা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ক্রমাগত ঘনীভূত হতে থাকে। সাথে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ। পূর্ব পাকিস্তানের মুখপাত্র শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগে এই অচলাবস্থার একটি দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছিলেন এবং পরামর্শের ভিত্তিতে ক্ষমতার পৃথক বণ্টনের জন্য ভুট্টোকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেনারেল ইয়াহিয়া আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাবের সাথে একমত হন (তিনি ২৬ মার্চ ১৯৭১ যৌথভাবে এটি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন)। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসকরা এটা চায়নি। ভুট্টো চতুরভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাধান্য এবং অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্ষমতা ধরে রাখার আয়োজন করেন-যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মেনে নিতে পারেননি। যখন এসব কর্মকান্ড চলছিল তখন হঠাত করে কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে বিমান ও জাহাজে করে প্রচুর সৈন্য আসতে থাকে এবং ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাত্রির দিকে ইয়াহিয়ার পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনী যুদ্ধাপরাধের দামামা বাজাতে শুরু করে। শেখ মুজিবের বাড়িতে মেশিনগান ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমার নিজের ঘর মেশিনগান ফায়ারে ভেঙে দেয়া হয়। সৌভাগ্যক্রমে আমি পালাতে সক্ষম হই। তারপর তাদের বেলেল্লাপনা শুরু হল। সেই রাতে ঢাকা শহরে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুদের নিহত কর হয়। অঘোষিত গণহত্যা, আগ্রাসন মধ্যে, সে রাতে যখন শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল যুবক (যারা আগামীর ভবিষ্যৎ), শ্রমিক, দরিদ্র রুটি উপার্জনকারী, মায়ের কোলে শিশু, নিরস্ত্র বাঙালি অফিসার ও নিয়মিত বাহিনীর লোকেদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়-বোঝা যায় যে এটি ছিল সুপরিকল্পিত। হিন্দু নারীসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদেরকে তারা ধর্ষণ ও হত্যা করে এবং নগ্ন করে হাঁটতে বলে। উপাসনালয় ধ্বংস, গ্রামীণ বসতবাড়িতে এবং ফসলে আগুণ এবং জেনেভা কনভেনশনের হিউম্যান রাইটস চার্টার এ সন্নিবেশিত সবকিছুকে অবজ্ঞা করে তারা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ও জঘন্য গণহত্যা ও ধংস পরিচালনা করে। শাসকদের লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালী নামের যে জাতিসত্তা বিরাজমান তাকে বিলুপ্ত করা, বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব পঙ্গু করে দেয়া ও লড়াইয়ের সামর্থ্য এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনাকে নিছক অস্ত্রের মুখে চিরদিনের জন্য ধ্বংস করে দেয়া।

এই গণহত্যা ও নগ্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শান্তিকামী সাহসী বাঙ্গালীরা জেগে ওঠে। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য আত্মত্যাগের অসামান্য উদাহরণ দিতে থাকে। বেসামরিক নাগরিক, চাকুরীজীবী সবাই আমাদের মানবাধিকার আদায়ের লক্ষে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যায়। তারা আমাদের নারীদের সম্মান, আমাদের বুদ্ধিজীবি, যুবক ও শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য লড়াই শুরু করে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের (বেঙ্গল টাইগার) এর সাহসী লোক, তাদের মধ্যে যারা খুব সাহসী আইআর অফিসারদের নেতৃত্বে ছিল তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, নিরস্ত্র করে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হয়েছে। অনেকে কোন ভাবে গুলি থেকে বেঁচে যান, যাদের অনেকে পশ্চিম পাকিস্তানের-বিশেষভাবে লাহোরের যারা ১৯৬৫ সালের তাণ্ডবে তাদের বাড়িগুলো রক্ষা পায়। সাবেক পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) অনেকে-যারা পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পালাতে পেরেছে তারা নিয়মিত বাহিনীতে যোগদান করেন। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে সাধারণ বাঙ্গালী পুলিশের ওপর মাঝারি ট্যাঙ্ক দিয়ে আক্রমণ করা হয়। ভাগ্য বিপক্ষে থাকলেও তারা প্রায় ৪ ঘন্টা ঘরে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। পরে তারা পিছিয়ে যায় এবং বাংলাদেশের নিরস্ত্র বাঙ্গালীকে রক্ষা করছিলে এমন দলে যুক্ত হয়ে যায়। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও পুলিশরা একই কাজ করেন। এরা সবাই দ্রুত পুনঃসজ্জিত হয় এবং বিভিন্ন জায়গাতে নেতৃত্ব দেয়া শুরু করে যেখানে সৈন্য, মাঝি, এয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ধরনের লোকের অংশগ্রহণ ছিল। তাই এই বাহিনীকে মুক্তি বাহিনী (সেনাবাহিনী নয়) নাম দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ফোর্সের নিয়মিত বাহিনী ছাড়াও অনিয়মত বাহিনী নিয়ে গন বাহিনী তৈরি করা হয়। এই বাহিনীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ-উচ্চশিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সাধারণ ছাত্র, শিল্প শ্রমিক ও কৃষক যোগ দেয়। এদের সবার উদ্দেশ্য ছিল হানাদার বাহিনীর ধ্বংসলীলা বন্ধ করা এবং আমাদের জনগণের মানবাধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। অবস্থা বুঝে যুদ্ধ কৌশল বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে আমাদের সাহসী ছেলেরা যুদ্ধে সফলতার একটি রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা নিজেদের চেয়ে সংখ্যা ও শক্তিতে বড় শত্রুসেনাদের সাথে দৃঢ় প্রত্যয়ে ভয়ানক লড়াই চালিয়ে গেছে। তাদের ডেডিকেশন, লক্ষ্য ও সাহসের সাথে লড়াই করে প্রচুর হতাহত হয়ছে-আজ পর্যন্ত যার সংখ্যা ২৫০০০ এরও বেশী। শত্রুরা আমাদের নিরস্ত্র লোক, অসহায় নারী ও নিষ্পাপ শিশুদের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে করেছে, স্বামীদের হত্যা করার পর নারীদের ধর্ষণ, মায়ের উপস্থিতিতে শিশু হত্যা, এত সুনিপুনভাবে চালিয়েছে যাতে করে মনে হয় তারা স্রিস্টিকর্তার বিচারে বিশ্বাস করেনা। তবুও তারা মুভ করতে ভয় পেত। তাদের চলার পথে সামনে পেছনে তারা বাঙ্গালীকে রাখত। তবুও তারা মুক্তিবাহিনী থেকে নিজেদের নিরাপদ মনে করছিলোনা। সাহসী মুক্তিবাহিনীর প্রতি আমার আদেশ থাকবে তারা যেন শত্রুদের সহযোগীদের অতি সত্তর আটক করে এবং মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে। তাদের কেউ যদি মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করতে চায় তবে তাঁর সাথে ভালো আচরণ করা হবে। এবং তারা যেন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম খুবই গোপন রাখে।

বাংলাদেশ ফোর্সে নিয়মিত বীর যোদ্ধাদের নিয়ে ‘মুক্তিবাহিনী’ এবং সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে গঠিত ‘গন বাহিনী’কে আমি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমাদের শত্রুরা আমেরিকা ও চীন থেকে আধুনিক জেট বিমান, ভারী বন্দুক ও অত্যাধুনিক অস্ত্র পেয়েছে। কিন্তু আমাদের পাশে আছে আমাদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতা। ভয়ানক সংকল্প ও বীরত্বের সঙ্গে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করছে।

অনেক শহীদের হয়েছে, অনেক আহত বা অক্ষম হয়েছে কিন্তু আপনারা শত্রুপক্ষে এর চেয়ে ৪০ গুণ বেশি হতাহতের করেছেন। আপনারা বাংলাদেশের শহর ও জেলা শহর থেকে অর্থনৈতিক সম্পদ গ্রহণ থেকে তাদের ঠেকিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাদের আমাদের অর্থনৈতিক সম্পদ নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। শত্রুদের রসদ বহনকারী প্রায় ১৫ টি নৌকা সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আপনাদের বীরত্বের পুরস্কার হিসাবে সরকার ও কমান্ডারগণ চার রকমের পুরস্কার দেবার কথা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আছে:-

ক। সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন-নগদ ১০০০০ রুপি
খ খুব উচ্চ মানসম্পন্ন-৫০০০ রুপি
গ প্রশংসনীয় মান-২০০০ রুপি
ঘ। বীরত্বের স্বীকৃতি সরূপ সনদপত্র

দ্বিতীয়ত, কমান্ডাররা ঘোষণা করেছেন যারা নিহত হবে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তাৎক্ষণিক নগদ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং সরকার তাদের বাসস্থান ও খাদ্যের ব্যাবস্থা করবে। যুদ্ধের পর তাদের একটি মাসিক অনুদান দেওয়া হবে। যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হবে তাদের সমাজে পুনর্বাসন করার ব্যাবস্থা করা হবে।

যেকোন পরিস্থিতে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যত দ্রুত সম্বভ অমানবিক, বর্বর, অধার্মিক শত্রুদের ধ্বংস করতে হবে। এইজন্য দেশের সকল নাগরিককে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। যে সকল বাঙালি কর্মকর্তা, সৈন্য, নাবিক, এয়ারম্যান, শ্রমিক, ছাত্র ও যুবক (শরণার্থী শিবির আছে সেগুলিসহ) এখনো যুদ্ধে নামেননি তাদের অতি সত্তর সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন এই যুদ্ধ সত্য ও ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ, দেশ রক্ষার জন্য এবং আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ ও দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ঠেকানোর জন্য যুদ্ধ।

বিদেশে আমাদের প্রবাসীরা যারা আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, নির্যাতনের ব্যাপারে ওইসব দেশকে সচেতন ও এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন আমি তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া তাদের আর্থিক সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি। আমি আপনাদের সাহায্যের হাত আরও প্রসারিত করার অনুরোধ জানাই এবং পাশাপাশি এই অনুরোধ করি যে আমাদের পরামর্শ ছাড়া কোথাও খরচ করবেন না। এভাবে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে আমাদের বিজয়ের ক্ষণ দ্রুততর হবে।

যুদ্ধে জয়ের জন্য আমাদের তিনটি জিনিসের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে-

১। বিশ্বাস-স্রস্টার বিচারে বিশ্বাস রাখতে হবে। ন্যায়বিচার ও সত্যে সবসময় জয়লাভ করেছে। এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন-তাতে কোন বাঁধাই আপনাদের কাছে কঠিন মনে হবেনা। এবং অবশ্যই আপনারা বিজয় লাভ করবেন।

২। দৃঢ় লক্ষ্য-যে কোন মূল্যে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

৩। নিস্বার্থ এবং সবল প্রচেষ্টা-যুদ্ধে জেতার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অসীম-কারণ এখানে প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির সম্ভবনা থাকে। আমাদের ব্যাক্তিগত ও সমষ্টিগত ভাবে এর জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাতে আমাদের ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই থাকুক। দিনরাত পরিকল্পনা মাফিক প্রস্তুতি নিয়ে শত্রুদের আঘাত করতে হবে এবং ধ্বংস করতে হবে। শেষ শত্রুটি জীবিত থাকা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যে শত্রুরা আমাদের মাঝে বিভক্তির সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করবে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবে। আমাদের সেটা পাহারা দিয়ে রাখতে হবে।

আমাদের লাখ লাখ মানুষ দমন বাহিনী দ্বারা উচ্ছেদ হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক সমস্যা সত্ত্বেও, সরকার উদার ভাবে তাদের গ্রহণ করেছে এবং সাময়িকভাবে তাদের দেখাশোনা করছে-এইজন্য আমি ভারতের সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। এই শরণার্থী শিবিরে আমাদের মানুষ আশ্বস্ত থাকতে পারে যে আমরা তাদের জীবন্ত বাড়িতে ফিরে আসা দেখতে পাব।

বাংলাদেশ এর জনগণ এখন যুদ্ধে লিপ্ত। আমাদিগের এটি একটি জাতীয় যুদ্ধ যাতে সমগ্র জাতি, রাজনৈতিক বিশ্বাসের, শ্রেণী, ধর্মবিশ্বাস-সব মিলে নির্বিশেষে একাত্ম হয়েছে। তাদের আদর্শ ইস্পাতের মত শক্তিশালী। আমরা নৈতিকতা বর্জিত অধার্মিক শত্রুকে আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে যেকোণ মূল্যে দেশ স্বাধীন করব।

আমাদের প্রিয় ও মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি, সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা প্রত্যাহার-এর সাথে কোন আপোস করা হবেনা।

তাই আপনার যেখানেই থাকুন না কেন-নদী, হ্রদ, ক্ষেত, এবং দুর্গম গ্রাম, নদীমাতৃক জনপথ, সড়ক রুট, গ্রামীণ বাজার, শিল্পকেন্দ্র, শহর ও উপশহর-শত্রুদের উপর কঠোর আঘাত করুন। যা আছে তাই দিয়ে তাদের ধ্বংস করুন। প্রিয় দেশবাসী আপনারা এগিয়ে আসুন। আমাদের দেশের নারী পুরুষ-প্রত্যেকের জীবন ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা-সন কিছু বিবেচনায় নিয়ে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন।

উপসংহার, আমি মহান বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতার লাইন দিয়ে শেষ করতে চাই-
“Striking at the doors of dawn
We shall bring a brighter mom
Singing the song of youth
We shall bring life to the value of desolation
We shall give spirit anew
With vigor of arms anew”

জয় বাংলা

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১০। দক্ষিণ পূর্ব জোন এর মুক্তিবাহিনীর লড়াইয়ের খবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়, মুজিব নগরের দলিলপত্র ১২-১৪ নভেম্বর ১৯৭১

কম্পাইল্ড বাইঃ Fazla Rabbi Shetu
<১১, ১০, ১৯০-১৯১>

দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলঃ ১৪ নভেম্বর ১৯৭১

পহেলা নভেম্বরে শত্রুসেনারা যখন কুমিল্লার কসবা এলাকার মুক্তি শিবিরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন মুক্তিবাহিনী ব্যাপক গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। হঠাৎ এই আক্রমণে হতচকিত হয়ে শত্রুসেনারা পালাতে শুরু করে। কিন্তু এই সময়ে শত্রুবাহিনীর ৯ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়। ঐদিনই মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে ২ পাকসেনাকে ঘায়েল করে।

২ নভেম্বরে মুক্তিবাহিনী কসবার কাছাকাছি এক পাক শিবিরে আক্রমণ চালিয়ে ২ পাকসেনা, ১ মিলিশিয়া এবং ৫ রাজাকারকে খতম করে। ৩ নভেম্বর লাশগুলো খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় পানচারা এলাকায় পাক শিবিরে হামলা করে ৩ পাকসেনাকে হত্যা করে এবং ৪ জন আহত হয়।

৭ নভেম্বরে নোয়াখালীর পরশুরাম এবং ছাগলনাইয়ার পাকসেনা শিবিরে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী কিছু হালকা ধরণের অস্ত্রশস্ত্র এবং ৩ ইঞ্চি মর্টার নিয়ে ভারী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। সেসময় পাকসেনারাও ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অনেকক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় চলে। পয়ত্রিশ জন পাকসেনা এই মুখোমুখি যুদ্ধে নিহত হয়।

৩০ অক্টোবর শত্রুবাহিনী কুমিল্লার গাইয়ারবঙ্গ মুক্তিশিবিরে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী ব্যাপক সাহসিকতার সাথে এই আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং পাকসেনাদের হটিয়ে দেয়। পাকসেনাদের ২৫ জন ঘায়েল হয় এ পাল্টা আক্রমণে এবং দুজন মুক্তিবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। ঐ একই দিন সিলেটের রানীরগাঁ অঞ্চলের পাকসেনাদের শিবিরে আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী ৬ জনকে ঘায়েল করে। মৃতদেহগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। মুক্তি সদস্যরা এখান থেকে অনেক থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল নিজেদের দখলে নেয়।

৩১ অক্টোবর কুমিল্লার কোটেশ্বরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং ৩ ইঞ্চি মর্টার নিয়ে পাকশিবিরে আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী। পাকসেনারা ২ ইঞ্চি মর্টার এবং কামান দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে। ১ ঘণ্টা ধরে চলা এই ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধে ৭ পাকসেনা নিহত এবং আমাদের ১ মুক্তি সদস্য সামান্য আহত হন।

নোয়াখালী, বাংলাদেশ ১৩ নভেম্বর। সম্প্রতি মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে বহু রাজাকার ও হানাদার পাক বাহিনীর সহায়তাকারীদের হত্যা করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

গত ১২ অক্টোবর মুক্তিবাহিনীর ক’জন গেরিলা লাকসাম থানার অন্তর্গত গরুয়া গ্রামের আবদুল হক বেপারীর পুত্র আলী আকবর রাজাকারকে তার শ্বশুরালয় থেকে এনে হত্যা করেছে। এই রাজাকারের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী তার মৃত্যু খবর পেয়ে আনন্দে উল্লসিত হয়ে ওঠে। মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার অন্তর্গত কুতুবপুর গ্রামের রাজাকার ওয়ালিউল্লাহ, সেনবাগ থানার অন্তর্গত ছাতারপাইয়া গ্রামের আনোয়ার আলীর পুত্র দলিলুর রহমানকে হানাদার বাহিনীর গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে হত্যা করেছে। একই দিনে গেরিলারা লক্ষীপুর থানার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের বদু মিঞার পুত্র আবুল খায়ের এবং সেনবাগ থানার অন্তর্গত বসন্তপুর গ্রামে অন্তর্গত বসন্তপুর গ্রামে আনা মিয়ার পুত্র মুখলেছুর রহমানকে হত্যা করেছে।

গত ২৮ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ থানা পার্শ্ববর্তী অন্যান মুক্ত এলাকা দখল করার উদ্দ্যেশ্যে নানা ধরনের অস্ত্রসহ রামগঞ্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শত্রুদলের এ অতর্কিত আগমনের খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনী তাদেরকে লক্ষীপুর-রামগঞ্জ সড়কের উপর কাপিলাতলী, রামগঞ্জ, মীরগঞ্জের নিকট বাধা প্রদান করে। ফলে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে ৩০ জন হানাদার সৈন্য নিহত হয়। এই ঘটনার পর হানাদার বাহিনীর আর একটি দল সেখানে আসে এবং নিরীহ জনসাধারণের ঘর-বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই সময়ে তারা কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে।

গত ১৯ অক্টোবর চৌমুহনী ও সেতুভাঙ্গার কিছুসংখ্যক রাজাকার একদল হানাদার সৈন্যসহ বেগমগঞ্জ থানার অন্তর্গত কাজীরহাট নামক বাজারে এসে বহু দোকানপাট লুণ্ঠন করে এবং পরে পুড়িয়ে দেয়। শত্রুদের এ দলটি আম্বরনগরের মুক্তিবাহিনী অবস্থানের উপর আক্রমনের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু মুক্তিবাহিনী পূর্বাহ্নে এ খবর পেয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং শত্রুরা কাছাকাছি এসে তাদের উপর প্রচন্ড আক্রমন চালায়। এ আক্রমণের ফলে বহুসংখ্যক রাজাকার নিহত এবং ৬ জন ধৃত হয়।

জয়াগ গান্ধী আশ্রমের দু’জন কর্মী শ্রী দেবেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৭০) এবং শ্রী মদন মোহন চট্টোপাধ্যায় (৬৮) সম্প্রতি পাকসৈন্যদের হাতে নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মহাত্মা গান্ধী স্থাপনের জন্য এখানে যখন আগমন করেছিলেন তখন এ দুজন দেশসেবক শান্তি মিশনে যোগ দেন এবং তখন থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ তারা নোয়াখালীর এই জায়গায় গান্ধী আশ্রমে অবস্থান করছিলেন।

১২ নভেম্বরে মুক্তিবাহিনী একই সময়ে কুমিল্লার লক্ষ্মীপুর এবং কাইয়ুমপুর এলাকার পাকশিবিরে হামলা চালায়। কামান এবং মর্টারের মাধ্যমে পরিচালিত এই আক্রমণগুলোতে ৯ পাকসেনা নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়। এরপর মুক্তিবাহিনী সালদা নদী পার হয়ে বাজার এবং রেলস্টেশনে অবস্থিত পাকসেনা বাঙ্কারে ১০৬ আরসিএল বন্দুক ব্যবহার করে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। হঠাৎ হামলায় পর্যদুস্ত হয়ে কিছু পাকসেনা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পালায়। আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পাকসেনা কমান্ডার বিমানবাহিনীর সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান, কিন্তু কোন সাহায্য আসেনি। বরং এই গোপন বার্তাটির অর্থ সফলভাবে বের করে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। একই সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা করে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে একই সাথে সালদানদী রেলস্টেশনের পূর্ব, উত্তর এবং পশ্চিম দিক দিয়ে ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। আবার ঐ সময়েই মর্টার হামলা চালিয়ে সালদানদী বাজার এবং নয়নপুর বাজারের পাকসেনাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। পাকসেনারা কিছু হালকা অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ করে। একদিনব্যাপী এই যুদ্ধ চলতে থাকে। এইসময়ে পাকসেনাদের বাঙ্কারগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং মুক্তিবাহিনীর ভারী শেল বর্ষণে টিকতে না পেরে পাকবাহিনী ঐ এলাকা ছেড়ে পলায়ন করে। মুক্তিবাহিনী এলাকাগুলোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিন পাঞ্জাবী সেনার মৃতদেহ এবং এক রেঞ্জারকে আহত অবস্থায় আটক করে। আহত রেঞ্জার নিশ্চিত করে, পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৩০ সদস্য এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে। মুক্তিবাহিনীর ২ সদস্য শহীদ এবং ৬ জন আহত হন। মুক্তিবাহিনী এই এলাকা থেকে ৩০,০০০ রাউন্ড গুলি, ৩টি এলএমজি রাইফেল, ৫টি টমি বন্দুক, ১টি আরসিএল, ১২টি চাইনিজ রাইফেল, শতাধিক কম্বল এবং বিশাল পরিমাণ খাদ্যভাণ্ডার নিজেদের দখলে নেয়।

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১১। বাংলাদেশ হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা সম্পর্কে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ আর্কাইভস, মুজিবনগর ২৩ নভেম্বর ১৯৭১

কম্পাইল্ড বাইঃ Razibul Bari Palash
<১১, ১১, ১৯২-১৯৩>

বাংলাদেশ বাহিনীর হেডকোয়ার্টার, মুজিবনগর
২৩ নভেম্বর ১৯৭১
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা

গত ৭ মাসে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার নোংরা কাহিনীর বিবরণ কখনোই সম্পূর্ণ জানা যাবেনা। কিন্তু মুক্তিবাহিনী ক্রমাগত বিভিন্ন এলাকা দখল মুক্ত করার জন্য ধীরে ধীরে এর পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। প্রতিটি এলাকার নিজস্ব ভয়াবহ এবং অন্তর্বেদনার গল্প আছে।

ভুরুঙ্গামারী-উত্তরাঞ্চলের রংপুরের একটি শান্তিপূর্ণ জনপদ ছিল। গত ছয় মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এমন কোন নির্যাতন নেই যা এখানে সঙ্ঘটিত হয়নি।

১৪/১৫ নভেম্বর রাতে ভুরুঙ্গামারীর সাথে উত্তরাঞ্চলের রংপুরের একটি অংশ মুক্তিবাহিনীর দ্বারা শত্রুমুক্ত হয়। তারা শহরে ঢুকে যা দেখেছে তা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নোংরা ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে মধ্যযুগীয় কায়দায় দলবল নিয়ে ভ্রষ্টাচার ও নৃশংসতায় মেতে ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব রেজিমেন্ট সেনাবাহিনীর ২৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।

মুক্তিবাহিনীর একের পর এক শত্রু বাঙ্কারে আক্রমণ করে প্রতিটি ইঞ্চিতে যা দেখেছে তাতে নির্জনে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে। শেষ সময়ে পাকিস্তানি সেনারা একটি স্থানীয় সরকারী ভবনে তাদের চূড়ান্ত আশ্রয় বানিয়েছিল। তারা এটিকে একটি ক্ষুদ্র দুর্গে পরিণত করে। শত্রুসৈন্যরা ক্যাপ্টেন আতাউল্লা খান ও আর্টিলারি অফিসার সেকেন্ড লে মোহাম্মদ নওয়াজ এর নেতৃত্বে এলএমজি, HMG এবং মর্টার থেকে ক্রমাগত আগুনের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রু অবস্থানের উপর মর্টার ও MMG ব্যবহার করায় একটি অপ্রতিরোধ্য আক্রমণে রূপ নেয়। একটি হিংস্র যুদ্ধের শেষে শত্রু পরাভূত হয় এবং ভুরুঙ্গামারী ছয় মাসের পর মুক্ত হয়। পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। শত্রুদের ক্যাপ্টেনকে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডো নিজের হাতে গুলি করে হত্যা করে। পঁচিশ টি শত্রু মৃতদেহ ভবনের চারপাশে পাওয়া যায়। আর্টিলারি অফিসার লে নওয়াজসহ ১১ জন শত্রুসৈন্যদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাকি শত্রুরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। এত বড় বিজয়ে আনন্দ করার প্রাক্বালে একটি দৃশ্য দেখে তাদের সেই আনন্দ মলিন হয়ে যায়। একটি বদ্ধ কক্ষ থেকে শব্দ শুনে তারা দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং প্রায় ২৫ জন ক্ষুধার্ত এবং নগ্ন আসুস্থ কিছু নারীদের দেখতে পায় যাদের মধ্যে কারো কারো বয়স ছিল ১০ বা ১১। তারা সব নিথর ভাবে তাকিয়ে ছিল এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন লাগছিল। স্কুল ভবনের অন্য একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা পুরুষ ও শিশুদের আরেকটি গ্রুপ পায়। এসব নারীদের মর্মান্তিক কাহিনীর বর্ননা শুনে মুক্তিযোদ্ধারা চোখের জল ফেলতে থাকে।

সেখানে একজন স্থানীয় মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষকের স্ত্রী ছিলেন কয়েকমাস পর তার শিশুপুত্রের মুখ দেখতে পান। তাঁর ৪০ বছর বয়সী স্বামী ১০ টি কোরান শরিফ দিয়ে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। পাকসেনারা তাঁর কাছে তাঁর স্ত্রীকে দাবি করলে তিনি অসম্মতি জানান-তাই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। স্বামীকে হত্যার পর তাকে জোর করে ক্যাপ্টেন আতাউল্লার কক্ষে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সন্তানদের একজনকে তার উপস্থিতিতে বেয়নেট দিয়ে হত্যা করে বাকি ২ সন্তানের ভয় দেখিয়ে তাঁর সম্মতি আদায় করা হয়। তারপর পরবর্তী পাঁচ মাস তিনি একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে অপমানকর অগ্নিপরীক্ষা দেন। ভুরুঙ্গামারী স্বাধীনতার পর তিনি তার কনিষ্ঠ সন্তানের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হন। কিন্তু তার অন্য সন্তানকে পাওয়া যায়নি।

ভুরুঙ্গামারী মুক্ত হবার আগে পাকবাহিনী জামিলা খাতুন নামে ১১ বছরের এক কিশোরীকে তাঁর মায়ের সাথে একত্রে ধরে নিয়ে অত্যাচার করা হয়। এর চেয়ে জঘন্য আর কোন অপরাধ হতে পারে না।

৪০ বছর বয়সই আমিনা খাতুন তখন ছিলেন গর্ভাবস্থার শেষ দিকে-তবু তাকে পাঞ্জাবি সেনারা ক্ষমা করেনি। শিকারের উপর নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পরেছিল। সে প্রতিরোধ করতে গেলে একজন পাকিস্তানি সেনা নৃশংসভাবে বুট দিয়ে তাঁর পেটে লাথি দেয় এবং সে ভয়ঙ্কর ব্যথা পায়-এবং সেই ব্যাথার চোটে সন্তান প্রসব করে ফেলেন। এরপর দিনের পর দিন তাকে অমানবিক ভাবে সৈন্যরা বারংবার ধর্ষণ করে।

ইবারুদ্দিন মণ্ডল, অনেকের সাথে স্কুল ঘরের একটি রুমে তালাবদ্ধ অনেক ছিলেন। তার স্ত্রীকে না দিতে চাওয়ায় তার পা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়। সৌভাগ্যবসত স্বাধীনতার পর ছাড়া পেয়ে সে জানতে পারে তাঁর স্ত্রী পালিয়ে যেতে পেরেছিল। স্বাধীনতার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিছু মুক্তিবাহিনীর সৈন্যদের সাহায্যে তিনি তার স্বামীর দেখা পেয়ে যান।

এভাবে প্রায় ৫০০ বন্দীদের প্রত্যেকের ছিল নানা রকম বীভৎস কাহিনী।

অফিসের কারারুদ্ধ কক্ষে বন্ধী থাকার সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতেও তাদের যেতে দেয়া হত না। পুরুষ ও শিশুদের দিয়ে সেনারা বাংকার খনন, জায়গা পরিষ্কার এবং জালানি কাঠ কাটানো-এইসব কাজ করাত। তাদের ঠিক মত খেতে দেয়া হতোনা।

ভুরুঙ্গামারী এলাকায় মাইলের পর মাইল মানুষের দুর্দশার পাশা পাশি শুষ্ক ধানক্ষেত এবং বিধ্বংস পাটের গুদাম দেখা যেতে থাকে। এক সময়ের সবুজ এবং শান্তিপূর্ণ এই ভূমি পাকসেনাদের বীভৎস অত্যাচারের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ বাহিনী।

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১২। যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে সেক্টর সমূহের রিপোর্ট ১ নং সেক্টরের দলিলপত্র জুলাই-ডিসেম্বর ১৯৭১

ট্রান্সলেটেড বাইঃ – Razibul Bari Palash
<১১, ১২, ১৯৪-৩২৫>

এনকে ১/২৩ ডিটিজি
২৩১০১০
জি আর-৪৮

এফ এমঃ কন্ট্রোল রুম
প্রতিঃ এইচ কিউ সেক্টর আই-ও-ডিটিজি

০-২০০৪। গোপনীয়। জি ০৯৩৭ ২০ সেপ্টেম্বর। জি আর এখনো জানানো হয়নি।

আর/১১০৫
এম এম ভুঁইয়া
২৩৯৭১

কপি
গোপনীয়
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

No 101/1/119/GS(Ops)
৩০ আগস্ট ৭১

প্রতি:-সকল সাব সেক্টর
বিষয়-সাইট্রেপের প্রোফর্মা জমা বিষয়ে
১। ১৫ কপি ফ্রেস প্রোফর্মা এখানে দেয়া হল। ভবিষ্যতে সাইট্রেপ নমুনা দেখে জমা দেবেন। যত দ্রুত সম্ভব হেড কোয়ার্টারে জমা দেবেন।
২। HQ Ltr No 101/1/GS (0) of ২৫ জুলাই ৭১ আপনার কাছে পাঠানো হয়েছিল তা বাতিল হবে।

সংযুক্তি-১৫ কপি-মজিদ

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন মুসলিম উদ্দিন

গোপনীয়
সাব সেক্টর ১
৬ সেপ্টেম্বর ৭১

প্রতি:-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

বিষয়:-সাইট্রেপ

১। সিগনাল নম্বর দিন-জি টি ০৮০৫
২। নিচের মত করে তথ্য থাকবে।
(হুবহু ইংরেজিতে রাখা হল-যেহেতু নমুনা)
৩। A) 1 En Bn HQ in GR-623637 M/S 79 M/8 সাধারণ এলাকা পরশুরাম বেলোনিয়া
(GK-625677 M/S 97 M/8)
3En coy HQ at GR 697425 MS 79M/12 (ছাগল নাইয়া)
B) En Any loc presumably at Satkuchia Square 6258
C)I, Main L o»c Fen আনন্দ পুর ফুল্গাজি পরশুরাম রাস্তা রেল লিংক
2 Alternate L of C ছাগল নাইয়া চাঁদগাজি মোহাম্মদপুর পরশুরাম রাস্তা ক) শত্রুরা পরশু রাম বেলোনিয়া রোডে অবস্থান নিয়েছে
খ) চাদ্গাজি দেবপুরে অবস্থান নিয়েছে
গ) পরশুরাম বেলোনিয়া বেল্টে অবস্থান নিয়েছে

এস এম শামসুল হুদা
কমান্ডার সাব সেক্টর ১

গোপনীয়

মেসেজ ফর্ম

ডিটিজি
২০১৮৩০
গোপনীয়
জি-০৯৩৭

হইতে :
সেক্টর ১
প্রতি : সাব সেক্টর ২
র্যালি ব্রাঞ্চ আর আর ৫২৪৩ ১৩/১৪ সেপ্টেম্বর আপনি ধ্বংস করেছিলেন। দেলিয়া সেক্টর আরজেন্ট দরকার।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) তারিখ ২০ সেপ্তেম্বর ৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২০/৯/৭১

**********
খুব জরুরী
জেড এনআর ১২৯ জিআর২০
৫৪৭৬
২০/৯/৭১

প্রতি :
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতে-সাব সেক্টর এস এল সি

১৮-৯-৭১ ১৭৩০ থেকে ১৯০০ টা পর্যন্ত গৌরংগ পারা পাক আর্মিদের সাথে যুদ্ধে ১৩ জন নিহত হয় ও ২৫ জন ফেরত যায়। আমাদের বাহিনীর কোন ক্ষতি হয়নি।

স্বাক্ষর

মেসেজ ফর্ম
ডিটিজি
২০১৮৩০
গোপনীয়
জি-০৯৩৭

হইতে

হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা। ১৮ সেপ্টেম্বর আমাদের বাহিনী গৌরাঙ্গা পারা আক্রমণ করে ১৩ পাকসেনা হত্যা করে ও ২৫ জন আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) তারিখ-২০ সেপ্টেম্বর ৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
২০/৯/৭১
**************

মেজেস ফর্ম
গোপনীয়
ডিটিজি
২১ ১৩২৫
গোপনীয়
জি-০৯৩৯
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ ডেলটা সেক্টর

02082 ১৯ সেপ্টেম্বর। আমরা ধ্বংস করিনি।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন, ২১/০৯/৭১

মেসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডিটিজি
২১১৭০০
গোপনীয়
জি-০৯৪২

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম

ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার
কারেরহাট আরও সৈন্য মোতায়েন হয়েছে। কারেরহাট স্কুলে এস কিউ ৭৪২৯ এম/এস ৭৯ এন/৯। BDE হেডকোয়ার্টার সরানো হয়েছে এস কিউ ৭৬২৮ এম/এস ৭৯ এব/৯। এগুলো ১৯ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। সব মিল ফ্যাক্টরি বন্ধ। মেঘনা ঘাটা পাওয়ার স্টেশন মুক্তিবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে। মিরশরাইতে অপারেশন চলছে। ৫ সেপ্টেম্বর গেরিলারা ১২ রাজাকার হত্যা করে সীতাকুণ্ডে। তাদের হেড কোয়ার্টারে আক্রমণ করা হয়েছিল। অন্যতম চর চেয়ারম্যান মফিয নিহত।

ফাইল নং 101/1/GS (Ops) dl ২১-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২১-৯-৭১

*****************

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব সেক্টর ৫

গোউরংগপারা ম্যাপ পাঠান জরুরী ভিত্তিতে।

ফাইল নং 101/1/GS (Ops) তারিখ ২১ ৯ ৭১

স্বাক্ষরিত
মেজর
২১-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডিটিজি
২২০৮২৫
গোপনীয়
জি-০৯৪৯

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর ২

কন্ট্রোল রুম sig 0-2096 এ ২১ সেপ্টেম্বর জমা দেয়া হল সেক্টরের জন্য। হারুনের জন্য পাঠান।

নং 101/1/GS (Ops) ২২ সেপ্টেম্বর ৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২২-৯-৭১
*******************

মেসেজ ফর্ম
ডিটিজি
২২১৮০৫
গোপনীয়
জি-০৯৫০

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম

২২ সেপ্টেম্বর ম্যাপ ৭৯ এন/১৫ এই সেক্টরের কাছে আছে। এই জায়গার জি আর শেষ হয়নি। মদিনাঘাট পাওয়ার স্টেশনের এস কিউ হল ০১০৭ (zone Rx) ৭৯ এন।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) ২২ সেপ্টেম্বর ৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন, ২২ সেপ্টেম্বর ৭১
হইতেঃ কন্ট্রোল রুম
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
No: O-2099, গোপনীয়, Ref G-0942 ২১ সেপ্টেম্বর। ম্যাপ রেফারেন্স ঠিক করতে হবে শত্রুদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারের অবস্থান ও মদিনাঘাট পাওয়ার স্টেশনের তথ্য জরুরী ভিত্তিতে দরকার।
স্বাক্ষরিত
২২-৯-৭১

অপিএস এনআর ২/২৩ ২৩১০৪০
এস আর আই ৫০

হইতেঃ কন্ট্রোল রুম
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

No:-0-2006। গোপনীয়। Ref G-0942 সেপ্টেম্বর ২১ ও G-0940 সেপ্টেম্বর ২২, শত্রুদের হেড কোয়ার্টারের আনুমানিক অবস্থান জানান। মদিনা ঘাঁটের এস আর সঠিকভাবে লিখুন। এটা কি চট্টগ্রাম সবুর ব্যান্ডের মদিনা ঘাঁট নাকি অন্য কোন জায়গায়-নিশ্চিত করুন।

স্বাক্ষরিত
২২-৯-৭১
***************
পিআরআই এনআর ২/২২ ডিটিজি
২২০৭২৫
জি আর৩৫

হইতেঃ সাব সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
ইনফো-সাব সেক্টর ২

No: S-0003 গোপনীয়। আর জি আর এ প্রচুর শত্রুসৈন্য সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ভারী মাইন পোঁতা আছে। শক্তিশালি বাঙ্কার আছে বর্ডার এলাকা দিয়ে। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে।

আর-২/০৯০২
বিসমিল্লাহ
২২-০৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২২-৯-৭১
***************

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়

ডিটিজি
২৩১৮০০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১ সেক্টর জি-০৯৬৯
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-২০ সেপ্টেম্বের গ্রেট দালাল মুসলিম লীগ প্রধান ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌ আহত হয়েছে গুরুতরভাবে। স্থান চন্দ্রপারা চট্টগ্রাম। সে ডা সামিউদ্দিনের বাসা থেকে রাতের খাবার খেয়ে ফিরছিল।

ব্রাভো-আমাদের বাহিনী তাদের গাড়ীতে গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে ভিতরের ৫ জন আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে গুরুতর অবস্থায়।

চার্লি-সে রাউজান, রাঙ্গোনিয়া ও হাট হাজারির কুকর্মের জন্য বিখ্যাত। সামদুদ্দিনের বাসায় বিদায়ি নৈশ ভোজ ছিল। আমেরিকা যাবার প্রাক্বালে। কারণ বাংলাদেশে অবস্থান তার জন্য (সামিউদ্দিন) নিরাপদ ছিলোনা।

১০১/১/জিএস/(ওপিএস) ২৩-৯-৭১

স্বাক্ষরিত
২৩-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডিটিজি গোপনীয়
২৩১৮০০ জি০৯৬৬

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্র্যাপ, ১৩ সেপ্টেম্বর – কুখ্যাত দালাল তফাজ্জল আহমেদ চৌধুরী চেয়ারম্যান হালুদিয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল রাউজানকে খুন করা হয়। সে ফজলুল হকের ঘনিস্ট শিষ্য।

১০১/১/জিএস/(ওপিএস) ২৩-৯
স্বাক্ষরিত
২৩-৯-৭১
******************
ম্যাসেজ ফর্ম
ডিটিজি
২৩১১৩০
গোপনীয়
জি-০৯৬৪
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব সেক্টর ৩

S-0003 ২২ সেপ্টেম্বর নিচের তথ্য হালনাগাদ করুন। বাহিনীর এ এস পি আলফা চিনহিত করণ।
ব্রাভো – কবে নতুন অস্ত্র এসেছে। চার্লি-কোথা থেকে।

ফাইল নং ১০১/১/জিএস/(ওপিএস) ২৩ সেপ্টেম্বর ৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৩/৯/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডিটিজি
২৩১১৩০
গোপনীয়
জি-০৯৬৩
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার

রামগড় জিআর-৯৪১২৯৭ এম/এস/৭৯ এন/৯ ও চিকন চিয়ারা জিআর-৮৯১৩১৩ এম/এস ৭৯ এন/৯ এলাকায় প্রচুর গুলি চলছে। অনেক মাইন পোঁতা আছে। শক্ত বাঙ্কার আছে।

ফাইল নং ১০১/১/জিএস/(ওপিএস) ২৩-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৩/৯/৭১
***************************

পি এনআর ১/২৩ ২২১৯৫০
এসআর৩১

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

জি- ২০৩৫। গোপনীয়। জি- ০০০৩ ২২ সেপ্টেম্বর। হেডকোয়ার্টার কন্ট্রোলের ব্যাপারে হামিদকে জিজ্ঞাসা করুন। বাহিনী চিনহিত করণ-নতুন বাহিনী কবে যোগ দিয়েছে-কোথা থেকে – জানান।

আর/০৫৫৫
সাক্ষর/ এন এন চৌধুরী
২৩-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২৪১০০০
গোপনীয়
জি-০৯৭৮

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম

০-২০০৪ সেপ্টেম্বর ৭১, সাব সেক্টর ৫ এর সে সকল তথ্য পাওয়া যায়নি সেগুলো পাঠানো হবে।
ফাইল নং ১০১/১/জিএস/(ওপিএস) ২৪ সেপ্টেম্বর ৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৪/৯/৭১

********

পি এন আর ১/২৪
ডি টি জি
২৪১১২০
জি আর ২৪
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

আইট্রেপনং ৪৩ (৪) গোপনীয়() এ () জি আর 651609 M/S79 M/12 গুথুমা 211600 () C () সাত () ডি() এম্বশ() E () ৩ পাকসেনা আহত () এফ () নাই () জি() নাই
টি ও আর
১১৪৫
২৪/৯

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৪/৯/৭১
*******

এন আর ৩/২৪ পি ২৪১১০০ জি আর -২৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

No:-সাইত্রেপ ৪৫-গোপনীয়-এ-জি আর ৬৭২৫০৩ এমএস/৭৯/২/১২ দেবপুর-বি – ২৩১৬৩০ টা() সি ৬ ডি এম্বুশ-ই ৩ পাকসেনা নিহত এফ নাই জি নাই ।
১৪৪৭
টি ও আর
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৪/৯/৭১

*********

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
গোপনীয়
জি-০৯৭৯

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

২১/২২ সেপ্টেম্বর রাতে শত্রুদের অবস্থানে আক্রমণ করা হয় ০২৩০ টায় বল্লভপুর (SQ-7434 ম্যাপ 79 N/9)
এক প্লাটুন নিয়মিত সেনা দিয়ে আক্রমণ হয়। ৩ বারের চেষ্টায় সেনাদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অতাহত জানা যায়নি।

২-চম্পক নগর বি ও পি এস ঐ ৭৫৩৪ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ তে এক বাহিনী আক্রমণ করে ০৩৩০ টায়। ৩ দিক থেকে আক্রমণ হয় ২২১৬০০ টায়। আমাদের বাহিনী ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে বাঙ্কার ধ্বংস করার চেষ্টা করে। শত্রুদের অনেক হতাহত হয়। সুভাপুর থেকে জি আর ৭৪৬৩৩৩ ম্যাপ ৭৯ এম ৯ আরও সৈন্য আসছে। আমদের কেউ আহত হয় নাই।

৩-২২ সেপ্টেম্বর ০৮০০০ টায় এস কিউ – ৭৪৩৩ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ এম্বুশ করা হয়। ২ ইঞ্চি মর্টার ও এল এম জি দিয়ে আমাদের বাহিনী আক্রমণ করে। শত্রুরা জয় চাঁদ পুর এস কিউ – ৭৫৩৩ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ ও শুভপুর আক্রমণ করে। মুজাহিদ রুহুল আমিন আহত। তার হাত ও পায়ে বুলেট ইনজুরি। ফার্স্ট এইড দেয়া হয়। আমাদের ২ টি রাইফেল ২ ইঞ্চি মর্টার একটিস্পেয়ার ব্যারেল এল এম জি র লস হয়। নিচের স্থানে শত্রুদের শক্তি আরো বাড়ে।

-একজন নিয়মিত সৈন্য (এস কিউ – ৭৭৩৩ ম্যাপ ৭৯ এন/৯)
-চম্পকনগরে দুইটি বাহিনী (জি আর ৭৫১৩৪৪ ম্যাপ ৭৯ এন/৯) এ কিছু মিলিশিয়া আছে
-বল্লভপুরে এক কয় সেনা আছে (জি আর ৭৪৪৩৪৭ ম্যাপ ৭৯ এন/৯)। ৮২ মিঃ মিঃ মর্টার আছে (জি আর – ৭৩৭৩৫ ম্যাপ ৭৯ এন/৯)
-ছায়াঘরিয়াতে একটি কয় আছে (জি আর – ৭৪১৩৬৭ ম্যাপ ৭৯ এন/৯)

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৪/৯/৭১

এন আর ৭/২৩
ডি টি জি
২৩২০২০
জি আর – ৩৩০
হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ২০৩৬ গোপনীয়। রফিক মারফত। এই সাইট্রেপ ডেল্টা সেক্টর এ-তে পাঠান।

মুক্তিবাহিনী ২১/২২ তারিখ রাতে ০৩৩০ টায় বল্লভপূরে আক্রমণ করে এস কিউ ৭৪৩৪ এম/এস ৭৯ এন/৯ কয়েকবারের চেষ্টায় শত্রুরা পিছু হটে। হতাহত জানা যায়নি। চম্পকনগর বি ও পিতে ৭৪৩৪ এম/এস ৭৯ এন/৯ একটি বাহিনী আক্রমণ করে ০৩৩০ টায়। ২২৬০০ টা পর্যন্ত ৩ দিন থেকে আক্রমণ চলে। আমাদের বাহিনী ২ ইঞ্চি মর্টার আর অটো গান দিয়ে তাদের বাঙ্কার থেকে বের করার চেষ্টা করে। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি। সুভাপুরে নতুন সৈন্য আসে। ২২ সেপ্টেম্বর ০৮০০ টায় 7433 M/S 79 N/9 এলাকায় এম্বুশ করে। আমাদের বাহিনী ২ ইঞ্চি মর্টার আর এল এম জি দিয়ে আক্রমণ করে। মুজাহিদ রুহুল আমিন হাত পায়ে আঘাত পান। তাকে মনুতে পাঠানো হয়। ২ টি রাইফেল ২ ইঞ্চি মর্টার একটি স্পেয়ার ব্যারেল এল এম জি লস হয়। নিচের স্থানে শত্রুরা সমবেত হয়। আলিনগর বি ও পি এক প্লাটুন এস কিউ ৭৭৩৩ এম/ এস ৭৯ এন/৯ চম্পক নগর ২ প্লাটুন টি পি এস মিলিশিয়া। বল্লভপুরে একটি কয়। ৮২ মি মি মর্টারসহ তারা দারগাহাটায় আসে এস কিউ ৭৭৩৪ ও এস কিউ ৭৭৩৫ এম/ এস ৭৯ এন/৯ এল প্লাটুন ছাগালছিয়াতে এস কিউ ৭৪৩৬ এম্বুশ করে।

এন আর / ০৮৪৫
সোম
২৯-৯-৭১

স্বাক্ষরিত
২৪/৯/৭১

******

জরুরী
ডি টি জি
২৪০৮২০
গোপনীয়
জি-০৯৭৪

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর ২

জি ২০৩২ ২১ সেপ্টেম্বর কন্ট্রোল রুমে অতি সত্বর এই তথ্য দরকার। শত্রুদের হেড কোয়ার্টারে আনুমানিক ব্রিগেড সংখ্যা। মাদানি ঘাটের গি এম সংশোধন-এটা কি চট্টগ্রামের মাদানিঘাট নাকি কাপ্তিয়া রোডের কাছে।
স্বাক্ষরিত
২৪/৯/৭১
এফ ও

এন আর ২/২৪
পি
২৪১১০০
জি আর ২৬
হইতে
সাব-সেক্টর ১
প্রতি
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
নং সাইট্রেপ ৪৪। গোপনীয়। এ। জি আর 672558 ms 79 m/8 কাজুরিয়া B 21/500 Hrs সি-৭ ডি-এম্বুশ ই-১ পাকসেনা অ রাজাকার নিহত। এফ-নাই-জি-নাই

টি ও আর
১৪৪০
মান্নান
২৪/৯
স্বাক্ষরিত
২৪/৯/৭১
*****

আর এন আর ২/২৪
ডি টি জি
২৪০৯৩৫
জি আর ১০

হইতেঃ সাব সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ২০০২ ইউ সি ১০১/১/১১৯ / জি এস (ওপিএস) ৩০ আগস্ট কোন রিপোর্ট আসেনি। এক কপি অগ্রায়ন করা হল।
আর/১১৩৫
২৪-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৪/৯/৭১
*****
ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২৫১১২৫
গোপনীয়
জি – ০৯৮৮
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
সাইট্রেপ আলফা-২১ সেপ্টেম্বর আমাদের বাহিনী খাজুরিয়াতে জি আর – ৬৭২৫৫৮ এম/এস ৭৯ এম/৮ আক্রমণ করে। এতে ১ পাকসেনা নিহত ও ১ রাজাকার নিহত হয় ।
ব্রাভো-২১ সেপ্টেম্বর গুথুমায় জি আর – ৬৫১৬০৯ এম/এস ৭৯ এম/১২ ৩জন পাকসেনা আহত হয়।
চার্লি-২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব দেব পুরে জি আর – ৬৭২৫০৩ এম/এস ৭৯ এম/১২ ৩জন পাকসেনা হত্যা করে।

ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) তারিখ-২৫-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৫/৯/৭১

ও পি এস
এন আর ৩/২৬
২৬১৫০০
এস আর – ১১৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১০১৪, গোপনীয়, সাইট্রেপ নং ২ চম্পকনগরে শত্রুরা এলোমেলো গুলি করে জি আর – ৭৫৩৪ এম/এস ৭৯ এম/৯ বল্লভপুরে এস কিউ – ৭৪৩৪ ম্যাপ ৭৯ এন/ ৯ ছয় ঘরিয়াতে জি আর – ৭৪১৩৬৭ এম/এস ৭৯ এন/২ টি হেভি মেশিনগান ও ২ টি লাইট মেশিনগান ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে ০১৩০ টায় ২৪/২৫ সেপ্টেম্বর আক্রমণ করে। শত্রুরা ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে গুলি চালায় ও শেলিং করে। আমাদের হতাহত নাই। শত্রুরা এ টিকে মাইন সেট করে। স্থান ও তারিখ- কারিমতলা জি আর – ৭৫৩৩৫১ এম/এস ৭৯ এম/৯ ২৪/২৫ সেপ্টেম্বর রাতে। আমরা ফিরে আসি। করিমতলায় ২ টি কয় আছে। নতুন খবর হল বেলনিয়া থেকে জি আর – ৬২৮৬৭০ এম/এস ৭৯ এম/৮ শত্রুরা শ্রীনগর জি আর – ৭৩৭৩৭৩ এম/এস ৭৯ এন/৯ চলে গেছে। সেখানে তারা শক্তি বাড়াচ্ছে। বাকিটা পরে জানাবো।

আর/১৬১০
বিসমিল্লা

স্বাক্ষরিত
২৬/৯/৭১

এন আর ২/২৬
ডি টি জি
২৬০৯১৫
জি আর – ১৪৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ২০০৮-গোপনীয়- জি – ০৯৬৪ – ২৩ সেপ্টেম্বর এস-ও (এক্স) ৩ ২২ সেপ্টেম্বর ৩ কয় সৈন্য আছে। ২৪ সেপ্টেম্বর ২ টি ট্রাক ব্যাস্ত দেখা যায় এদের আনা নেয়ায়। আর গি আর এর কাছে তাদের শক্ত বাঙ্কার আছে। বাগান বাজারে ৫ জন অস্ত্র ধারী পাকসেনাকে দেখা যায় সাধারণ লোক দিয়ে বাঙ্কার বানাতে। সেখানে ১ কয় সেনা ১ কয় রাজাকার ছিল। চিকন ছড়িতে ১ কয় রাজাকার ছিল-সাথে স্কাঊট আর আর্মি। হেয়াকুতে ২ কয় ছিল সাথে রাজাকার ও স্কাউট। আমাদের অবস্থান খারাপ জায়গায়। শত্রুদের অস্ত্র চাইনিজ। আর কোন পজিশন জানা যায়নি।

আর/১০৫০
১০১/১/জি এস (ও)
স্বাক্ষরিত
২৬/৯/৭১
*****
ও এন আর ২/২৬
ডি টি জি
২৬১২২৫
জি আর – ১৪৩

হইতে-হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্স
প্রতি-সকল সেক্টর
নং এ ২০১৭-গোপনীয়-ফোর্স জি ২৫ ২০ সেপ্টেম্বর অতি সত্বর একশনের জন্য পাঠান। নিচের তথ্য জানান-১। পাক আর্মি / জে সি ও / ও আর এরেস্ট এর সংখ্যা ২। তথ্য রেডিওর মাধ্যমে জনসাধারণকে জানান।

আর / ১৪৪৫
এন এন চৌধুরী
২৬/৯/৭১

স্বাক্ষরিত
২৬/৯/৭১
*****
ম্যাসেজ ফর্ম

প্রাইমারি
ডি টি জি
২৬
গোপনীয়
জি-১০০১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

জি – ০৯৭৯ ২৪ সেপ্টেম্বর (.) ২ টি রাইফেল ১ টি ২ ইঞ্চি মর্টার উদ্ধার করা হয়।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ও পি এস ) তারিখ ২৬-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
এফ ও
২৬-৯-৭১
****
পপ্রাইমারি এন আর ৭/২৫ ২৫২২০০
জি আর – ৪২

হইতে
ক্যাপ্টেন মাহবুব
প্রতি
সেক্টর ১

জি-১০১০ (.) গোপনীয়(.) নং :- জি – ২০৩৬ ২৩ সেপ্টেম্বর ৭১ সংশোধনী দরকার। সর্ব শেষ এস এল আর ৩০৩ রাইফেল একটি ২ ইঞ্চি মর্টার ৬ টি ম্যাগাজিন সাথে এমও আজ গ্রাম থেকে আমাদের লোকেরা উদ্ধার করেছে।

আর/০০৪০
এন এন চৌধুরী
২৬-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৬-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
২৫.০৮.০০
হইতে
সাব সেক্টর ৫
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

২৫।৮।০০
জি ০৯৬৮ ২১ সেপ্টেম্বর() জি আর ০২৫৬৫৯ এম / এস ৭৯ এম/১৬ গয়ারাঙ্গাপারা বোম্বারি ও কান্তামনির মাঝে অবস্থিত। এটি নতুন নাম।
নং – ৩৮ ২৫-৯-৭১

স্বাক্ষরিত
কমান্ডার সাব সেক্টর ৫
২৬-৯-৭১

গোপনীয়
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং ১০১/১/৩৮ জি এস (কিউপিএস)
২৬ সেপ্টেম্বর ৭১

প্রতি-সাব-সেক্টর ৩
বিষয়:-সাইট্রেপ দৈনিক জমা দেবার নিয়ম
নং জি ২০০২ ২৪ সেপ্টেম্বর ৭১

১। ১৫ কপি প্রোফর্মা দেয়া হল। সব সাবসেক্টরকে। HQ ltr No 101/1/119/GS (Ops) ৩০ আগস্ট ৭১ আপনাদের দলনেতা রিসিভ করবে ব্যাক্তিগতভাবে। তারপরে হেডকোয়ার্টারে যত দ্রুত সম্ভব জমা দেবেন।
২। পরবর্তি কাজের জন্য কপি দেয়া হল
সংযুক্তি-১৬ কপি-মজিদ

স্বাক্ষরিত
২৬-৯-৭১
শওকত হোসেন খান
২৬-৯-৭১
গোপনীয়
ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
২৬১৩০৫
গোপনীয়
জি ০৯৯৯
হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

হইতে-কন্ট্রোল রুম ১
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার
জি ০৯৩৭ তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর, গোউরংগ পারা জি আর ০২৫৬৫৯ এম/এস ৭৯ এম/১৬ বোম্বারি ও কান্তামনির মাঝে অবস্থিত। নতুন নামে।
ফাইল নং 10/l/GS/(ops) ২৬-৯-৭১

স্বাক্ষরিত
এফ ও
২৬-৯-৭১

পি এন আর ২/২৭ ডি টি জি ২৭০৬৩০ জি আর ২৯

হইতে-সাব-সেক্টর ৩
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০০০৮ () রেস্টেড() সাইট্রেপ () আমাদের এ টিকে মাইন চিকন ছড়াতে ও আন্ধারমানিকে ২৬০৫০০ টায় বিস্ফোরিত হয়। ৫ জন সেনা নিহত হয়।

টি ও আর
০৭৪৫
স্বাক্ষরিত
২৭-৯-৭১

মেসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
২৭১২৩৫
জি ১০১৩
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার
জি ০৯৬৩ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর

আলফা-রামগড়ে শত্রুরা ৩ কয় আছে রাজাকারসহ। শক্ত বাঙ্কার আছে চারপাশে।
ব্রাভো-বাগান বাজারে ১ কয় সেনা ও রাজাকার আছে। চার্লি-আন্ধারমানিক ও চিকন ছড়িতে ১ কয় আর্মি আছে। সাথে স্কাঊট ও রাজাকার আছে।
ডেল্টা-হেয়াখতে ২ কয় আছে স্কাউট ও রাজাকারসহ।
ইকো-অস্ত্র চাইনিজ। মর্টারের পজিশন জানা যায়নি। রেকি চলছে।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস ২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৭-৯-৭১

এন আর ১/২৭ পি ২৭০৯৫০ জি আর ৪৭

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-জি ১০২০ () গোপনীয় () জি-0074 ২৪ সেপ্টেম্বর রেফারেন্স। বি ডি ই হেড কোয়ার্টারের সঠিক পজিশন জানা যায়নি। ১ মাস আগে জোরাগনি ছিল। এখন সীতাকুণ্ডের দিকে কোথাও আছে। আরেকটা সম্ভবত ফেনী মদিনাঘাট-হালদা নদীর পাঁশে চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তায়।

আর / ১০৪০
মান্নান
স্বাক্ষরিত
২৭-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
২৭১২৪০
গোপনীয়
জি ১০১২
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
সাইট্রেপ। চিকন ছাড়া GR-89 1313 M/S 79 N/9 ও আন্ধার মানিকের মাঝে GR-856350 M/S 79 N/9 ২৬ সেপ্টেম্বর এ টিকে মাইন বিস্ফোরণ হয়। ৫ পাকসেনা নিহত।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) তারিখ ২৭-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
এফ ও
২৭-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
২৮১৪০০
জি ১০২১
হইতে-সেক্টর ১
প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার

চম্পক নগরে শত্রুরা এলোমেলো গুলি করে জি আর ৭৫৩৪ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ বল্লভ পুরে ৭৪৩৪ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ ছয় ঘরিয়াতে ৭৪১৩৬৭ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ ২ টি হেভি মেশিনগান ও ২ টি লাইট মেশিনগান ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে২৪/২৫ সেপ্টেম্বর ০১৩০ টায় আক্রমণ করে। শত্রুরা ৩ ইঞ্চি মর্টার ও শেলিং করে। আমাদের হতাহত নাই। শত্রুরা ২৪/২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এ টিকে মাইন সেট করে কারিমতলা ৭৫৩৩৫১ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ । আমরা ফিরে আসি। করিমতলায় ২ টি কয় আছে। নতুন খবর হল বেলনিয়া থেকে জি আর 628670 ম্যাপ ৭৯ এম/ ৮ শত্রুরা শ্রীনগর জি আর ৭৩৭৩৭৩ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ চলে গেছে। সেখানে তারা শক্তি বাড়াচ্ছে। বাকিটা পরে জানাবো।
File No, ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস)তারিখ ২৮-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৮-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
২৮১৪০০
জি ১০২২

হইতেঃ সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। আমাদের বাহিনী ২ টি পাইলন ২৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব আলিনগরে জি আর ৭৬৭৩২৩ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ উড়িয়ে দেয়।

ফাইল নং – ১০১/১/জি এস (ওপিএস) তারিখ – ২৮-৯-৭১

স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
২৮-৯-৭১

ও পি এস এন আর ১/২৮ ২৮০৭২০ জি আর ২৯

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ সেক্টর ১

নং :- জি – ১০২৩ () গোপনীয়() সাইট্রেপ নং :-৩()আমাদের বাহিনী ২ টি পাইলন ২৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব আলিনগরে জি আর ৭৬৭৩২৩ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৯ উড়িয়ে দেয়। সেখানে কোন বিদ্যুৎ নেই।

স্বাক্ষরিত
২৮-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
২৯১০৪০
জি ০৫০১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-গুথুমায় এস কিউ ৬৫৬১ ম্যাপ ৭৯ এম/ ৮ ২৫০৭৩০ টায় আমাদের ৯ জনের দল এল এম জি ও রাইফেল দিয়ে অ্যামবুশ করে। এতে ৭ পাকসেনা আহত হয়। ৪ জন পরে মারা যায়। ২৬০৮০০ টায় অন্য অ্যামবুশে ৩ পাকসেনা আহত হয়। জনগণ জানিয়েছে তাদের ২ জন পরে মারা যায়।
ব্রাভো-দেবপুরে এস কিউ ৬৯৫০ ম্যাপ ৭৯ এম/ ১২ ২৬১০৩০ টায় আক্রমণে ৫ পাকসেনা আহত হয়-তাদের সবাই পরে মারা যায়।
চার্লি-খাজুরিয়াতে এস কিউ ৬৭৫৫ ম্যাপ ৭৯ এম/৮ ২৫১৬১৫ টায় অ্যামবুশে ১ পাকসেনা ২ রাজাকার নিহত হয়। ১ রাজাকার আহত হয়।
ডেলটা-আন্ধারমানিক বি ও পি এলাকায় এস কিউ ৮৫৩৫ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ সন্ধ্যায় নিয়মিত রোল কলের সময় অ্যামবুশ করে। সন্ধ্যায় ২৭১৭০০ টায় ৬০ জন আর্মি ও মিলিশিয়া যাবার সময় এল এম জি ও রাইফেল দিয়ে আক্রমণ হয়। আমাদের দলে ছিল ১৭ জন। ১৫ পাকসেনা নিহত হয়। ১ জনের ব্যাজ ছিল। তিনি জে সি ও। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে। ২ টি ম্যাগাজিন এস এল আর নদী পাড় হবার সময় হারিয়েযায়। শত্রুরা বাগাববাজার ও আন্ধারমানিকের চারিদিকে এলোমেলো গুলি চালাতে থাকে। তারিখ ছিল ২৭ /২৮ সেপ্টেম্বর।

ফাইল নং l()l/I/GS(Ops) তাং ২৯-৯-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৯-৯-৭১

এন আর ১/২৯ ডি টি জি জি আর ২৪ ২৯০৫৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-সাইট্রেপ ৫০ () গোপনীয় () এ () জি আর 650610 M/S 79 M/8 () বি () ২৬০৮০০ টা () সি () ৪ () ডি () অ্যামবুশ () ই ২ পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত। এফ নাই-জি নাই

টি ও আর / ০৭১০
মান্নান
২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১

গোপনীয়
সাব সেক্টর ৫
২৯-৯-৭১
প্রতি-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
সিগনাল নং-নাই-২৮-৯-৭১
নিচের রাজাকারদের ২৮ সেপ্টেম্বর শান্তিপুর থেকে জি আর ০৪৬৫১৪ এম/এস ৭৯ এম / ১৬ আটক করা হয়। আমি এদের পাঠাচ্ছি। রুহিনি রঞ্জন চাকমা এদের গ্রুপ লিডার। সে মারা গেছে।
১। রাজাকার অনিল কুমার চাকমা
২। রাজাকার কাণ্ডার চাকমা
৩। রাজাকার বিরা কুমার চাকমা
৪। রাজাকার বিজয় কুমার চাকমা
৫। রাজাকার তামহুল চন্রন চাকমা
৬। রাজাকার শুকরা কুমার চাকমা
৭। রাজাকার চন্দ্র কুমার চাকমা
৮। রাজাকার দারনিয়া রঞ্জন চাকমা
৯। রাজাকার আংলা মোঘ
হারনিয়া যুব ক্যাম্পের অফিস কপি সাথে দেয়া হল।
স্বাক্ষরিত
জামান
নায়েক সুবেদার, ২৯-৯-৭১

গোপনীয়

এন আর ৩/২৯ ডি টি জি জি আর ২২ ২৯০৫৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-সাইট্রেপ ৪৮ () গোপনীয় এ জি আর ৬৯২৫৫২ এম/এস ৭৯ এম/১২ দেবপুর B ২৬১০৩০ টায় C ৭ D এম্বুশ E ৫ পাকসেনা নিহত F নাই G নাই।
আর/০৬৫৫
মান্নান
২৯/৬
স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
২৯১৩৫০
ডি টি জি
গোপনীয়
জি ০৫০২

হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

প্রতি-সকল সাব সেক্টর

জি ০০২৫ ২০ সেপ্টেম্বর একশনের জন্য জমা হল। নিচের বিষয়ে দ্রুত তথ্য দিন। আমাদের বাহিনী কতজন পাক আর্মি/ জে সি ও/ ও আর আটক করেছে রেডিওতে জনসাধারণের জন্য প্রচার করুন এটা।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) ২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৯-৯-৭১

এন আর ৪/২৯ ডি টি জি জি আর ১৬ ২৯১৮৪০

গোপনীয়

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
নং :-জি-১০৩০ গোপনীয়। সিগন্যাল নং G-0502 ২৯ সেপ্টেম্বর ম্যাসেজ পরিষ্কার বোঝা যায়নি। আরও ব্যাখ্যা দরকার।

স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং সাইট্রেপ ৪৯ গোপনীয়। A ৬৫০৬১০ এম/এস ৭৯ এম/৮ B ২৫০৭৩০ টা C ইন্সেকশন D অ্যামবুশ E ৪ পাকসেনা নিহত, ৩ জন আহত F নাই G নাই
মান্নান-২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১

গোপনীয়
এন আর ৩/২৯ ডি টি জি জি আর ২৫ ২৯০৫৩০

হইতে-সাব-সেক্টর ১
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-সাইট্রেপ ৪৯ গোপনীয় A ৬৫০৬১০ এম/এস ৭৯ এম/৮ খাজুরিয়া B ২৫১৬১৫ টা C ৭ D অ্যামবুশ E ১ পাকসেনা নিহত ২ রজাকার নিহত এবং ১ রাজাকার ও সাধারণ লোক আহত F নাই G নাই

টি ও আর
মান্নান
২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১

ও পি এস আর ২/২৯ ডি টি জি এস আর ২৯ ২৮১৮০০

গোপনীয়

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং সাইট্রেপ ৪৭, গোপনীয়। ও আর ৬৭২৫৫৮ এম/এস ৭৯ এম/৮ খাজুরিয়া বি-২৫১৬১৫টা সি ৭ , ডি এম্বুশ, ই – ১ পাকসেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত এবং ১ জন রাজাকার ও ১ জন সিভিলিয়ান আহত। এফ- নাই – জি – নাই

আর / ০৬৫৫
মান্নান
২৯-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
২৯-৯-৭১

এন আর ১/২৯ ডি টি জি ২৮১০০ জি আর ৬৭

গোপনীয়
হইতেঃ- সাব সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং এ ২০১০ গোপনীয়। ২৭১৭১০ টায় একটি এম এফ ১৯ টাইপের অ্যামবুশ করা হয়। আন্ধারমানিক বি ও পি এর দক্ষিণপূর্বে একটি রেকি করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ১৫ জন পাকসেনা ও একজন নায়েক সুবেদার নিহত হয় ও অনেকে আহত হয়। তারা বিকেলে রিপোর্ট কালেক্ট করতে আসে। আমাদের হতাহত নাই। নদী পাড় হবার সময় ২ টি এস এল আর ম্যাগাজিন হারিয়ে যায়। কারণ তখন শত্রুরা চারিদিকে গুকি করা করছিল। তারা ভারতের দিকেও গুলি করছিল। শত্রুদের এলোমেলো গুলি সারারাত চলে। তারা আন্ধারমানিক ও বাগানবাজার থেকে এই গুলি চালাচ্ছিল।

আর/০৬৪৫
মান্নান
২৯/৯
স্বাক্ষর
২৯-৯-৭১

প্রতিঃ সেক্টর কমান্ডার
সেক্টর ১
হরিনা
স্যার
অশেষ সন্মানের সহিত আপনার গোচরীভূত করিতেছি যে ১৩১৮২০৬ ল্যান্স নায়েক মি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে গত ২৭/৯/৭১ রোজ সোমবার দিবাগত রাত ৪ তা ৪৫ মিনিটের সময় মীর সরাই থানার অন্তর্গত ৮ নং ইউনিয়নের এলাকাধিন দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থানরত রাজাকার ও মুজাহিদবাহিনীর শিবিরে অতর্কিত হামলা চালাইলে ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন গুরুতররূপে আহত হয়। উক্ত হামলার পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন মোঃ নিজাম।

নিম্নলিখিত মুক্তিফৌজ অত্র আক্রমণে অংশ গ্রহণ করেন।

১ রেজাকুল হায়দার
২। মুছা মিয়া
৩। জয়নাল আবেদিন
৪। অবায়দুল হল
৫। কবির হোসেন
৬। সামছুল হক
৭। নুরুল মস্তফা
৮। ছাদেকুর রহমান
৯। মোঃ সাদেক
১০। আলি আকবর
১১। কনির আহ্যাং
১২। আবুল কালাম আজাদ
১৩। নুরুল আলম
১৪। সাহাব মিয়া
১৫। সালেহ আহমেদ
১৬। জামসেদ আলম
১৭। সাখুল ইসলাম
১৮। জয়নাল আবেদিন
১৯। মোঃ ইউসুফ
২০। ফরিদ আহমেদ চৌধুরী
২১। এহবুব উল হক
২২। মুছা মিয়া
২৩। কামা উদ্দিন
২৪। মইন উদ্দিন
২৫। দিলিপ কুমার
২৬। জহিরুল ইসলাম
২৭। সাহাব উদ্দিন
২৮। কানু মিয়া
২৯। আবুল খাঁয়ের
৩০। মোঃ সফিউজ্জামান
৩১। নূর মোহাম্মাদ
৩২। সফিউল্লাহ
৩৩। বদিউল আলম
৩৪। আমিনুল ইসলাম
৩৫। জামসেদ আলম
৩৬। আব্দুল হাই
৩৭। মফিজুল ইসলাম
৩৮। মহিউদ্দিন
৩৯। আবুল কাসেম
৪০। আবুল বাসার
৪১। সায়দুল হক
৪২। শাহ এম্রান চৌধুরী
৪৩। রওশান আক্তার
৪৪। নুরুল আবসার
৪৫। এস এম মহিউদ্দিন
৪৬। আব্দুল হাসিম সিপাহি
৪৭। মোঃ আবু তাহের
পি এন বি

উক্ত আক্রমণে আমরা শত্রু পক্ষের বাঙ্কার ভাঙ্গিয়া ১৫০ টি বুলেট উদ্ধার করি।

ইতি আবুল কালাম আজাদ
ইনচার্জ কমান্ডার
নিজাম
ফিল্ড কমান্ডার
নং – ১৩১৮২০৬
ল্যান্স নায়েক একে আজাদ
৩০-৯-৭১
প্রতিঃ সেক্টর কমান্ডার
সেক্টর ১ হরিনা

স্যার,
অশেষ সম্মানের সহিত আপনার গোচরীভূত করিতেছি যে, আপনি মিরশ্বরাই থানার পরিস্থিতি সম্বন্ধে পূর্বে যে রিপোর্ট পাইয়াছিলেন তাহা যদিও সত্য কিন্তু সুফিয়া ও দূর্গাপুর স্কুলে পর পর হামলা চালাইলে তাহারা পূর্ববৎ রাস্তার শরণাপন্ন হইতে বাধ্য হয়। বর্তমানে ৪ নং ধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত পাকিস্তান বাজারে ২০ হইতে ৩০ রাজাকারের একটা ক্যাম্প আছে। তাহাছাড়া গ্রামাঞ্চলে তাহাদের অন্য কোন ক্যাম্প নাই। ৫ নং ইউনিয়ন কমইনিটি সেন্টারের ক্যাম্পও তাহারা সরাইয়া লইয়া গিয়াছে।

তাহারা প্রতিদিন গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং অনবরতভাবে বাড়ীঘর জ্বালাইতেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আমরা আমাদের গোয়েন্দা মারফত জানিতে পারিলাম যে, তাহারা ভবিষ্যতে আরো সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করিয়া বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করিবার জন্য প্রস্তুতি লইতেছে।

ইতি
ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম আজাদ
৩০/৯/৭১

তাং-মীর সরাই
৩০/৯/৭১

ডি টি জি ৩০২০০০ জি ০৫০৪
ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
কো সেক্টর ১
সাইট্রেপ আলফা-২৯ সেপ্টেম্বর ০৫০০ টায় আমাদের বাহিনী ৩ টি শত্রু যানে আক্রমণ করে পূর্ব মধুগ্রামে এস কিউ ৭৩৩৭ এম/এস ৭৯ এন/৯ । টি এফ সি তার পর থেকে বন্ধ আছে। এলাকা উত্তপ্ত। সাধারণ জনগণ এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
ব্রাভো-২৯ সেপ্টেম্বর ২৩৩০ টায় বল্লভ পুর ও ছাগাল নাইয়ার মাঝে এস কিউ ৭৩৩৫ এম/এস ৭৯ এন/০ শত্রু হটায়। হতাহত পরে জানা যাবে।
চার্লি-৩০ সেপ্টেম্বর ০৪০০ টায় পশ্চিম চম্পকনগরে এস কিউ ৭৪৩৪ এম/এস ৭৯ এন/৯ কাল্ভাট উড়িয়ে দেয়।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস)তারিখ ৩০-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৩০-৯-৭১
গোপনীয়
এন আর ১/৩০ ডি টি জি জি আর ২৫ ২৯১৯৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৫১। গোপনীয়। শত্রুদেরসহযোগী দেবপুরের আব্দুল হাই ও পূর্ব বাসিক পুরের মিজানুর রহমান (রাঙ্গু) থানা ছাগল নাইয়া-মুক্তিবাহিনীর হাতে ২২৭৯৭১ এ খুন হয়।
টি ও আর
০৮৫৫

স্বাক্ষরিত
৩০-৯-৭১

গোপনীয়

এন আর ১/৩০ ডি টি জি জি আর ৬১ ৩০০৮১

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ১০৩২ গোপনীয়। সাইট্রেপ ৪। ছাগলনাইয়াতে জি আর ৭৩৪১ এম/এস ৭৯ এম/১২ ২৯ সেপ্টেম্বর ০৪৩০ টায় আক্রমণ করা হয়। ৫ পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। ৩ টি বাঙ্কার ধ্বংস হয়। শত্রুরা গাছ থেকে পাথরের মত মরে মরে পরছিল। আমাদের কোন হতাহত নাই।

টি ও আর
০৮৩৫
এন এন চৌধুরী
৩০-৯

স্বাক্ষরিত
৩০-৯-৭১

ও পি এস এন আর ৩/৩০ ৩০১২৪০ জি আর ৫৯

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
নং জি ১০৩৩, গোপনীয়, সাইট্রেপ ৫। ২৯ সেপ্টেম্বর ০৫০০ টায় পূর্ব মধু গ্রামে এস কিউ ৭৩৩৭ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ ৩ টি শত্রুযানে আক্রমণ করা হয়। টি এফ সি মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যায় তার পর থেকে। প্রচুর গুলিতে এলাকা উত্তপ্ত। সাধারণ জনগণ পালিয়ে গেছে।

আর/১২৫০
স্বাক্ষরিত
৩০-৯-৭১

ও পি এস এন আর ৪/৩০ ৩০১২৪৫ জি আর ৬৭

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১০৩৪, গোপনীয়, সাইট্রেপ ৬। বল্লভপুর ও ছাগল নাইয়ার মাঝখানে এস কিউ ৭৩৩৫ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ ২৩৩০ টায় আমাদের বাহিনী নির্যাতনকারীদের পাকড়াও করে ২৯ সেপ্টেম্বর। অনেক খন গোলাগুলি চলে। হতাহত জানা যায়নি। আমাদের নাই। আর তথ্য পরে জানানো হবে।

আর/১৩০০
স্বাক্ষরিত
৩০-৯-৭১

ও পি এস এন আর / ৩-০ ৩০১২৫০ জি আর ৩৬

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ১০৩৫-গোপনীয়-সাইট্রেপ ৭ পশ্চিম চম্পক নগরে এস কিউ ৭৪৩৪ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ ৩০ সেপ্টেম্বর ০৪০০ টায় আমাদের বাহিনী একটি কাল্ভার্ট উড়িয়ে দেয়। শত্রুরা গুলি করলেও দুই পাশে কোন হতাহত হয়নি।

আর/১৩০৫

স্বাক্ষরিত
৩০-৯-৭১

ডি টি জি ৩০১৩৩০ গোপনীয় জি ০৫০৩

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
কো সেক্টর ১

সাইট্রেপ আলফা-২৯ সেপ্টেম্বর ০৪৩০ টায় আমাদের বাহিনী ছাগলনাইয়াতে এস কিউ ৭৩৪১ এম/এস ৭৯ এম/১২ আক্রমণে ৫ পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। ৩ টি বাঙ্কার ধ্বংস হয়। তারা গাছ থেকে মরে পাখির মত পরতে থাকে।

ব্রাভো-২২ সেপ্টেম্বর দরবারপুরের শত্রুসহযোগী আব্দুল হাই ও পূর্ন বকশিপুরের মিজানুর রহমান-উভয়ের থানা ছাগল নাইয়া-এদের মুক্তিবাহিনী হত্যা করে।

ফাইল নং ১০১/১/জিএস (ওপিএস)তাং-৩০-৯-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৩০-৯-৭১

মিরশরাই
৩০-৯-৭১
জনাব সেক্টর কমান্ডার সাহেব,

আমার সালাম নেবেন। বিশেষ দুঃখ ও পরিতাপ নিয়ে জানাতে হচ্ছে যে, গত ২৭শে সেপ্টেম্বর দূর্গাপুর স্কুলে অতর্কিত হামলা চালাইলে আমার পক্ষের একজন গ্রুপ কমান্ডারকে আমাদের কাছ থেকে চিরতরে হারিয়ে ফেললাম ও অন্য একজন বাম হাতে গুলির আঘাত পান।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী, পিঃ বজলুছ সোবাহান চৌধুরী, গ্রামঃ হাজীশ্বরাই, ডাকঘরঃ জোড়ারগঞ্জ, থানাঃ মিরশ্বরাই, চট্টগ্রাম শাহাদাত বরণ করেন ও আমিনুল হক, পিতাঃ ছালামত উল্লাহ বাম হাতে সামান্য জখম হন।

ইতি
আপনারই
ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম আজাদ
নং – ১৩১৮২০৬
৩০-৯-৭১

পি এন আর ২/৩১ ডি টি জি ৩১০৯৩০ জি আর ৮৪

হইতেঃ সাব সেক্টর এ
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং সাইট্রেপ ৭৭। গোপনীয়। ২৮/৯/৭১ ০৫০০ টায় আমাদের একটি সেকশন এল এম জি নিয়ে দেবপুর বি ও পিতে জি আর ০৮৯০৫২ এম এস / ৭৯ এম/১২ এম্বুশ করে। ১৯৩০ টায়। শত্রুরা তখন গরুর গাড়ী থেকে রেশন নামাচ্ছিল। তখন আমাদের বাহিনী এল এম জি দিয়ে গুলি করে। এতে ২ পাকসেনা ও ৩ রাজাকার নিহত হয়। আমরা নিরাপদে ফিরে আসি। এর পরে শত্রুরা আবার এল এম জি ও অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়। কিন্তু আমাদের কেউ হতাহত হয় নাই। শুধু একটি গরু মারাত্মক আহত হয়। ৩/৪ মিনিট তাদের গুলি চলে।

আর / ১১৪৮
স্বাক্ষরিত
১-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
জরুরী
ডি টি জি
০১১২১৫
গোপনীয়
জি ০৫০৬
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার
কো সেক্টর ১

গত ৩ দিনে ১৫ টির বেশী বাহন ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে ধ্বংস করা হয়। আমরা অন্য ভাবে আনলোড করতে পারি। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

ফাইল নং 101/1/GS (ops) ১-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১-১০-৭১

ডি টি জি জি আর ৬৫ এন আর ৩/০১ ০১১৫২৫

গোপনীয়
হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি – ১০৩৯। গোপনীয়। গত ৩ দিনে ১৫ টির বেশী বাহন ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে ধ্বংস করা হয়। মাঝে মাঝে তারা সাধারণ জনগণকে দিয়ে আনলোড করেছে। আমরা কি কোনোভাবে আমাদের পণ্য সরাতে পারি? দ্রুত জানান।
আর/১৬১০
এন এন চৌধুরী
১-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
১-১০-৭১

এন আর ১/০১ ০১০৭০০ জী আর -১

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং G-2010 গোপনীয় ১০১/১/৩৮(ওপিএস) ২৬ সেপ্টেম্বর এর সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হল।

টি ও আর
০৯৩৮
স্বাক্ষরিত
করিম
১-১০-৭১

মেসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জী
০১
জি ০৫০৫

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর ২

জি ১০৩০ ২৯ সেপ্টেম্বর। পাক আর্মি অফিসার/ জে সি ও/ ও আরদের আটক তথ্য জানান।
ফাইল নং-101/1/GS (ops) ০১ অক্টোবর ৭১

স্বাক্ষরিত
১-১০-৭১

এন আর ১/০২ পি ডি টি জী আর ১২ ০১১৯২০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-নাই। গোপনীয়। সিগনাল নং জি-০৫০২ ২৯ সেপ্টেম্বর ৭১। রেফারেন্স – নাই

১০১/১/জি ৮ (ওপিএস)
আর/০৮৩৫
এন এন চৌধুরী
২/১০/৭১
স্বাক্ষরিত
২-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
০৩১১০০
জি ০৫০৭
(হাতে হাতে দেয়া হবে)
হইতেঃ সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
কো সাবসেক্টর ১

সাইট্রেপ আলফা-০২ অক্টোবর চম্পকনগর বি ও পি জি আর – ৭৫৪৩৪৮ এম/এস ৭৯ এন/৯ ও সাহেবপুর এর দেয়াল একসাথে ভেঙ্গে পরে। আক্রমণে ফলে ২ পাকসেনা নিহত। ১ মেজর আহত। দুই এলাকা একদম নীরব।

ব্রাভো-০২ অক্টোবর আমাদের রেকি বাহিনী টেলিফোন লাইন দেখে আসে বাগান বাজারের এবং বাঙ্কার পুঁতে আসে।
ফাইল নং 101/1/GS (ops) ৩-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২-১০-৭১

এন আর ৪/০২ ডি টি ও জি আর ৬৫ ০২১৯০০

গোপনীয়
হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-জি ২০১৫। গোপনীয়। সাইট্রেপ। ০২১২১৫ টায় আর্মিদের জিপ আনলোড করার সময় বাগান বাজারে দেখে। ১০ মিনিট পরে একই রাস্তায় গরুর গাড়ী যায়। চলে যাবার পরে টেলিফোন লাইন আক্রমণ করা হয়। ০২১৬০০ টায় তারা ট্রেঞ্চ ও বাঙ্কার ধ্বংস করতে থাকে। বাকি তথ্য দেয়া হবে।

আর/২১০০
এন এন চৌধুরী
২-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
২-১০-৭১

ও পি এস এন আর ১/০২ জি আর – ১২১ ০২১৩০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ১০৪০। গোপনীয়। সাইট্রেপ। মুক্তিবাহিনী চম্পক নগরে GR-754348 map 79 N/9 বারবার হ্যারাস করা পাকসেনাদের আক্রমণ করে। একই সাথে সাহেবপুরে ০২১৫ টায় আক্রমণ চলে। বি ও পির দেয়াল আংশিক ভেঙ্গে যায়। ২ ইঞ্চি মর্টার ও ৩ ইঞ্চি মর্টার বোমা ব্যাবহ্রিত হয়। শত্রুদের হতাহত ২/৩ জন। এখনো নিশ্চিত নয়। আমাদের একজন গুলি খায় মাথায়। সে এখন চিকিৎসা নিচ্ছে। এলাকা এখন শান্ত আছে।

নায়েক নাশীর ৬১৩।

এন আর ১/০৩ ০৩২০০০ জি আর – ৯২

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি ১০৪৫। গোপনীয়। সাইট্রেপ ৯। এনামের কাছে রফিক। নিচের সাইট্রেপ ডেলটা সেক্টরে এখন দিন। ১ অক্টোবর জোরাগংজ এ নতুন আর্মস আসে। শত্রুরা আলিনগরে ধারাবাহিক বোমা বানাচ্ছে। এটি হচ্ছে Sq 783 দক্ষিণ সুভাপুরে। মুহুরিগঞ্জ ৬৯৩১ থেকে গঙ্গাধর বাজার ৭০৪২ পর্যন্ত রেল লাইন ট্রাঙ্ক রোডের সাথে সংযুক্ত থাকে। শুভাপুর ও মুহুরিগঞ্জে নতুন রেল জংশন করা হয়েছে। পরে আর জানো হবে।

আড়/১০৪৫
এণ এণ চৌধুরী
স্বাক্ষরিত
৩-১০-৭১

এন আর ১/০৪ ০৪০৯১৫ জি আর ২৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ নং ৫২, গোপনীয়। এ। ৬৫০৬১৪০ এম/এস ৭৯ এম/৮ গুথুমা B ০১১০৩০ টা C I ইন্সেকশন F F রাখালGP D এম্বুশ E ১ জন নিহত F নাই

আর / ১০৪৫
৪/১০/৭১
স্বাক্ষরিত
৪-১০-৭১

এন আর ২/০৪ ০৪০৯১৫ জি আর ২৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং সাইট্রেপ ৫৩, গোপনীয়, A ৬৫০৬১০ এম/এস ৭৯ এম/৮ গুথুমা B ০২১৪৩০ টা C 1 সেকশন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল G P D অ্যামবুশ E ১ জন নিহত F নাই

আর/১০৪৭
৪-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
৪-১০-৭১

এন আর ১/০৪ ডি টি জি ০৩১৭৪৫ জি আর ১৬৬

হইতে-ডেলটা সেক্টর
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং ২০৭০, গোপনীয়। ১০ জন চাকমা রাজাকার হেড কোয়ার্টারে ধরে আনা হয়। তাদের একটি গাড়ীতে করে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আনা হয়।
টি ও আর
০৭১০
৪-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
৪-১০-৭১

ও পি এস এন আর ১/০৪ ডি টি জি ০৪০৫০০
জি ৮০
হইতে-সাব সেক্টর ৩
প্রতি-সাব সেক্টর ১

নং :-G-2017 গোপনীয় সাইট্রেপ বৈষ্ণব পুড় থেকে জানা যায় পাতাছারা ডাক বাংলোতে ৬০ জন পাকসেনা আছে। ১০ জন পাকসেনা নকবা ব্রিজ পাহাড় দিয়ে রেখেছে। গুড়িমারাতে ১৫০ জন পাকসেনা/ রাজাকার আছে। বাংলাদেশ থেকে বৈষ্ণবপুরের রাস্তা পাকসেনারা আটকে রেখেছে। বাগান বাজার ও আন্ধারমানিকে তাদের ১ ব্যাটালিয়ন সৈন্য আছে। আমাদের আরও সৈন্য দরকার ও নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। ভারী অস্ত্র লাগবে।
আর/০৭২৫

স্বাক্ষরিত
এন এন চৌধুরী
৪-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ও পি এস গোপনীয় ডি টি জি ০৩২৩০০ জি ০০০১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। ১ অক্টোবর জোয়ারগঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে অস্ত্র আসে। আলিনগর sq7832 থেকে শুভপুর পর্যন্ত শত্রুরা বাঙ্কার বানাচ্ছে সাধারণ লোক দিয়ে। ট্রাক দেখা যাচ্ছে এই কাজে। মুহুরিগংজ ৬৯৩১ থেকে গঙ্গাধর বাজার ৭০৪২ পর্যন্ত রেল লাইন ট্রাঙ্ক রোডের সাথে যুক্ত আছে। আরও পরে জানানো হবে।

নং 10I/1/GS (Ops) তারিখ ৪-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৪-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
০৪
জি ০৫০৮

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-০১১০৩০ টায় এক সেকশন রাখাল মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ গুথুমা অ্যামবুশ করে GR-6506140 M/S 79 M/8 ১ জন পাকসেনা হত্যা করে।
ব্রাভো-০১১৪৩৪ এক সেকশন রাখাল মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ গুথুমা অ্যামবুশ করে GR-650610 M/S 79 M/8 ১ জন পাকসেনা হত্যা করে।

ফাইল নং 101/1/GS (Ops) তাং-৪-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
৪-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
০৫১৬০০
জি ০৫/০

হাতে হাতে দিতে হবে
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-০৩ অক্টোবর ২৩৫৯ টায় কারেরহাট রামগড়ের করালিয়াতিলাতে SQ-2988 M/S 79 N/9 অ্যামবুশে ২ পাকসেনা নিহত ও ৩ রাজাকার নিহত হয়। তারা বাঙ্কার বানাচ্ছে আরও বেশী।

ব্রাভো-বৈষ্ণবপুর থেকে জানা যায় পাতাছারা GR-37334 M/S 79 N/13 ডাক বাংলোতে ৬০ জন পাকসেনা আছে। ১০ জন পাকসেনা নকবা ব্রিজGR-957383 M/S 79 M/12 পাহারা দিয়ে রেখেছে। গুড়িমারাতে GR-120362 M/S 79 N/13 ১৫০ জন পাকসেনা/ রাজাকার আছে। বাংলাদেশ থেকে বৈষ্ণবপুরের রাস্তা পাকসেনারা আটকে রেখেছে। বাগান বাজার ও আন্ধারমানিকে তাদের ১ ব্যাটালিয়ন সৈন্য আছে। আমাদের আরও সৈন্য দরকার ও নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। ভারী অস্ত্র লাগবে।
ফাইল নং 101/l/GS (Ops) ৫-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
৫-১০-৭১

গোপনীয়
এন আর ১/০৫
ডি টি জি
০৫০৯০০
হইতে-সাব সেক্টর ৩
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-2019 গোপনীয় সাইট্রেপ। কারেরহাট কারালিয়াতে RGR GR 2988 M/S No 79 N/9B দিন তারিখ ০৩২৩৫৯ টায়। ১৬০০ টায় অ্যামবুশ করা হয়। ২৩৫৯ টায় ২০ জন শত্রুসেনাদের উপর আক্রমণে ২ জন নিহত ও ৩ রাজাকার নিহত হয়। আমাদের আহত নাই। শত্রুরা বাঙ্কার বানাচ্ছে আরও।

এন আর ১০৫০
৫-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
৫-১০-৭১

সাব সেক্টর ৫
এস এল সি
নং – ৬৮ তারিখ – ৫ এক্স ৭১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বিষয়ঃ পাকসেনাদের ক্ষয় ক্ষতি

রেফারেন্সঃ অফিস সিগনাল তারিখ – ১-১০-৭১
জানা যায় যে বারাবিলে ৭ পাকি নিহত হয়েছে।
পাকসেনা-১
মিজো-২
চাকমা-৪
মোট-৭
রেডিওতে প্রচারের ব্যাবস্থা করুন।
স্বাক্ষরিত
খায়রুজ্জামান
সেক্টর কমান্ডার, ৫-১০-৭১
*************

এন আর ৫/০৬ ০৬১৫২০ জি আর ৫৩

গোপনীয়
হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-জি ১০৫০ গোপনীয় সাইট্রেপ ১১। ছাগলনাইয়া মহুরিগঞ্জে আমাদের ১ সেকশনের আক্রমণ করে কয়ড়া বাজার হাই স্কুলে এস কিউ ৭০৩৪ ম্যাপ ৭৯ এন/ ৯ ০২৪৫ টায় ০৫/৬ অক্টোবর। ৫ রাজাকার নিহত হয়। কিছু আহত হয়। আমাদের নাই।

টি ও সি
আব্দুল মান্নান
১৬০৫
৬-১০-৭১

এন আর ৪/০৬ ডি টি ও জি আর ৪৫ ০৬১৫১৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1049 গোপনীয়। সাইট্রেপ ১০। আন্ধারমানিক ছাড়া দ্বিতীয় মেইন রোডে ছাগল নাইয়া মহুরিগঞ্জে Sq 7039 Map 79 M/A2 ০২১৫ টায় আমাদের বাহিনী ০৫/০৬ অক্টোবর আক্রমণ করে। এতে হালকা অস্ত্র ব্যাবহার হয়। দুই পক্ষের কোন হতাহত নাই।
টি ও আর
১৬০০
মান্নান
৬/১০/৭১

এন আর ১/০৬ ডি টি ও ০৬২০৪৫ এন আর – ১৪৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং কিউ – ১০৫২। সিক্রেট। সাইট্রেপ ১২। ঢাকা চট্টগ্রাম মেইন রোডে এস কিউ ৭৩৩৭ ৭৯ এন/৯ ১৭৪৫ টায় ০৬ অক্টোবর অ্যামবুশ করা হয় ২০ গজ দুর থেকে। আমাদের বাহিনী গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ৪ জন সেনা ঘটনাস্থলে মারা যায়। ৩ জন সামনে আগাবার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যার্থ হয়। কারণ চাঁদের আলো হঠাত ঢেকে যায়। তখন একজন আরেকটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ৩ জনের ১ জন আহত হয় ও মাটিতে পরে যায়। পরে চাঁদের আলো আসলে আমাদের বাহিনী নিরাপদে শত্রুদের মাইন এড়িয়ে ফিরে আসে। গুলি তখনো চলছিল।

টি আও আর
২১৫০
এন এন চৌধুরী
৬/১০/৭১

মেজেস ফর্ম
ডি টি জি
০৭
গোপনীয়
জি ০০০৩

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-৫ অক্টোবর ২০০০ টায় জি আর – ৭৫৩৩৫১ এম এস ৭৯ এন/৯ করিমতলায় শেলিং করে ও ৩ ইঞ্চি মর্টার ব্যাবহার করে। চম্পক নগরে জি আর – ৭৫৪৩৪৮ এম/এস ৭৯ এন/৯ ও বল্লভ নগরে জি আর – ৭৪৪৩৪৭ এম/এস ৭৯ এন/৯ ০৫২০৩০ টায় আমাদের বাহিনী আক্রমন করে।
ব্রাভো-জনগণ জানায় ২ জন পাকসেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়।
ফাইল নং 101/1/Gs (ops) তারিখ-৭-১০-৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
৭/১০/৭১

এন আর ১/০৭ ডি টি জি ৭-১০-৭১ জি আর ৬৩ ০৭১১০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং জি – ১০৫৪। গোপনীয়। সাইট্রেপ ১৩। করিম তলায় ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে ২০০০ টায় ০৫ তারিখ রাতে আক্রমণ করে।একই রাতে ২০৩০ টায় ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে চম্পক নগর বি ও পি ও বল্লভ পুরে অ্যামবুশ করে। জনগণ জানায় শত্রুরা লাশ সরিয়ে ফেলেছে। ৪ সেনা ও ২ রাজাকার নিহত হয়। ২ জন আহত হয়। আমাদের হতাহত নাই।

টি ও আর
১৭০০
এন এন চৌধুরী
৭-১০-৭১

এন আর ৪/০৭ ডি টি জি জি আর ১১২ ০৭১১১৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং:-G-1057 সাইট্রেপ ১৬ রাধানগরে এস কিউ ৭১৪০ ম্যাপ ৭৯ এম/১২ ০২১৫ টায় মুক্তিবাহিনী তহশিল অফিসে আগুন দেয়। তারিখ – ৬/৭ অক্টোবর। এলাকার জনগণকে ২ দিনের ভিতরে তহশিল অফিসে ট্যাক্স জমা দিতে বাধ্য করা হয়। মকামিয়াতে এস কিউ ৭২৩৯ ম্যাপ ৭৯ এম/১২ ০২৩০ টায় শত্রু অবস্থানে আক্রমণ করা হয়। ২০ মিনিট ধরে চলে। এম জি দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। শত্রুদের ২ জন সেন্ট্রি বাঙ্কারে নিহত হয়। আমাদের হতাহত নাই।

টি ও আর
১৯০৫
বিসমিল্লাহ
৭-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ০৭

জরুরী
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম এম সি ০০০২
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা ০৬০৮০০ অক্টোবর চম্পক নগর বি ও পিতে জি আর ৭৫৪৩৪৮ এম/এস ৭৯ এন/৯ মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৩ পাকসেনা নিহত হয়। ব্রাভো-ছাগলনাইয়া বিলোনিয়া মেইন রোডে এস কিউ ৬৯৪৪ এম এস ৭৯ এম/১২ ব্রিজ ধ্বংস করা হয় তারিখ ও সময় – ০৭০১৩০ অক্টোবর। দুই পক্ষের কোন হতাহত নাই। চার্লি-০৭০২১৫ অক্টোবর রাধানগরে এস কিউ ৭১৪০ এম এস ৭৯ এম/১২ তহশিল অফিস ধ্বংস করে। ২ দিনে সব ট্যাক্স দিতে স্থানীয় লোকদের বাধ্য করা হয়। এস কিউ ৭২৩৯ এম এস ৭৯ এম/১২ তে আরেকটি দিল আক্রমণ করে। তাতে ২ পাকসেনা নিহত হয়।
১০১/১/জি এস
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৭-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ০৭১০১৫
জি ০৫১২
জরুরী
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা। ৫/৬ অক্টোবর ০২১৫ টায় আন্ধারমানিক ছড়া সেকেন্ড মেইন রোডে ছাগলনাইয়া মহুরিগঞ্জে Sq 7039 M/S 79 M/A2 আক্রমণ চলে।
ব্রাভো-৫/৬ অক্টোবর রাতে ০২৪৫ টায় কয়ড়া বাজার হাই স্কুলে এস কিউ ৭০৩৪ এম/এস ৭৯ এন/৯ আক্রমণে ৫ রাজাকার নিহত ও কিছু আহত হয়।
চার্লি-৬ অক্টোবর ১৭৪৫ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মেইন রোডে এস কিউ ৭৩৩৭ এম/এস ৭৯ এন/৯ একটি শত্রু যান দেখা যায়। ৮ জন সেনা মাল আনলোড করছিল। ২ টি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হলে তারা সবাই শুয়ে পরে। ৩ জন কয়েক মিনিট পরে রাস্তা ক্লিয়ার করতে আসে। তখন আরেকটি গ্রেনেড ছুড়লে সৈন্যটি পরে যায়। গুলি এখনো চলছে।

১০১/১/জি এস
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৭-১০-৭১

এন আর ২/০৭ ডি টি ও জি আর ৪৪ ০৭১১০৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং : জি – ১০৫৫। গোপনীয়। সাইট্রেপ।
নং-১৪। চম্পকনগর বি ও পিতে ০৮০০ টায় এল এম জি দিয়ে ০৬ অক্টোবর আক্রমণে ৩ পাকসেনা নিহত হয়। আমাদের একজন গুলি খায়।
টি ও আর
১৮৩৫
বিসমিল্লাহ
৭-১০-৭১

এন আর ৩/০৭ ডি টি জি জি আর ২৫ ০৭১১১০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1056 গোপনীয়। সাইট্রেপ ১৫।। ৬/৭ অক্টোবর ০১৩০ টায় ছাগলনাইয়া বেলনিয়া মেইন রোড SQ 6944 Map 79 M/12 আক্রমণ হয়। উভয় পাশে কোন হতাহত জানা যায়নি।

টি ও আর
১৮৪২

বিসমিল্লাহ
৭-১০-৭১

এন আর ৬/০৭ ডি টি জি জি আর – ৫৪ ০৭১৩৩৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1059 গোপনীয় সাইট্রেপ ১৮। গত রাতে প্রচুর আক্রমণ হয় আমাদের উপর। মনে হয় তারা ঢাকা চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোডসহ ছাগল নাইয়া থেকে শোভাপুরের ডিফেন্স নষ্ট করতে চাইছে। ডিফেন্স আর বাড়ানো হবে।

টি ও আর
২০০০
বিসমিল্লাহ
৭-১০-৭১

এন আর ২/১০ ডি টি ও জি আর ৩১ ৮০৮০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ সেক্টর নং ৪

সাইট্রেপ ৫৫। গোপনীয়। পূর্ব দেবপুর বি ও পিতে জি আর ০৬৯০৫২ এম/এস ৭৯ এম/১২ ০৫১১০০ টায় ৬ জন অ্যামবুশ করে ১ জনকে হত্যা করে ও ১ জন আহত হয়।

টি ও আর
By hand ১২৩০
স্বাক্ষরিত
৮-১০-৭১

গোপনীয়

ডি টি জি
০৮২১০০
জি ০৫১৯

হইতে-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতি-সাব-সেক্টর ১

অতি সত্বর সকল সাইট্রেপ পাঠান।
তারিখ – ০৮-১০-৭১
হামিদ
৮-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
০৮১০২০
জি – ০৫১৮

হইতেঃ সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। গত রাতে প্রচুর আক্রমণ হয় আমাদের উপর। মনে হয় তারা ঢাকা চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোডসহ ছাগলনাইয়া থেকে শোভাপুরের ডিফেন্স নষ্ট করতে চাইছে।

ফাইল নং 101/1 /GS (Ops) তারিখ-৮-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ০৮১০২০
জি ০৫১৭
৮-১০-৭১
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। আলফা। ৭ অক্টোবর বেলনিয়া ছাগলনাইয়া মেইন রোডে Sq 6944 M/S 79 M/12 আক্রমণ করে ৫ জন পাকসেনা ও ৭ জন রাজাকার হত্যা করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
১০১/১/জি এস / ৮-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৮-১০-৭১

এন আর ৪/০৮ ডি টি জি ০৮৩০ জি আর ২৩

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৫৭। গোপনীয় A GR-650610 MS 79 M/8 গুথুমা B 050800 hrs C 1 Sec D অ্যামবুশ H ৩ পাকসেনা নিহত F নাই
টি ও সি
হাতে হাতে ডেলিভারি
১২৩০
স্বাক্ষরিত
৮-১০-৭১

এন আর ৩৮ জি আর ৩০ ০৬০৮০৫ ৫৫৪৩ ৮-১০-৭১

প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

হইতে-সাব-সেক্টর ৫

U/C, মাজারটিলা পাঞ্ছরি রোডে একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ৫ অক্টোবর। বুবি ট্র্যাপ ফিট করছিল। No 40 (CHAINA) 966722। GSF এ রাখা হয়।
ফাইল 101/1/GS (Ops)
টি ও আর / ০৬৩৮/ ০৮

স্বাক্ষরিত
৮-১০-৭১

এন আর ৫/০৭ ডি টি জি ০৭১৩৩০ জী আর ১০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং G-1058 গোপনীয়। সাইট্রেপ ১৭। বেলনিয়া ছাগলনাইয়া রাস্তায় Q 6944 map 79 M/12 সকালে এম্বুশ করা হয়। শত্রুরা আসলে ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আক্রমণ চলে। এতে ৫ পাকসেনা ও ৭ রাজাকার নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। আমাদের হতাহত নাই।

টি ও আর
১৯৫০
বিসমিল্লাহ
৭-১০-৭১

এণ আর ৩/০৮ ডি টি ও জী আর ২৪ ০৮০৮৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৫৬ গোপনীয় A জী আর ৬৫০৬১০ এম/এশ ৭৯ এম/৮ গুথুমা B 041000 hrs C 6 D অ্যামবুশ E ২ পাকসেনা নিহত F নীল G নীল

টি ও সঃই
BY HAND ১২৩০

স্বাক্ষরিত
৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
০৯০৯১৫
জি ০৫২৩

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-০৩ অক্টোবর আমজাদ হাটে এস কিউ ০৬০৫ এম/এস ৭৯ এম/৮ ০৫০০ টায় আমাদের বাহিনী এম্বুশ করে। ১০৩০ টায় শত্রুদের ৮ জন বাঙ্কার থেকে বের হয়ে হেড কোয়ার্টারের দিকে রওনা দেয়। আমাদের বাহিনী এল এম জ ও রাইফেল দিয়ে তাদের আক্রমণ করে। ২ জন মারাত্মক আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।

ব্রাভো-০৫ অক্টোবর পূর্ব দেবপুর বি ও পিতে জি আর ০৬৯০৫২ এম/এস ৭৯ এম/আর ১১০০ টায় আক্রমণ করা হয়। ১ জন নিহত ও ১ জন মারাত্মক আহত হয়।

চার্লি-০৪১০০০ টায় গেরিলারা গুথুমার কাছে এস কিউ ৬৫৬১ এম/এস ৭৯ এম/৮ এম্বুশ করে। ২ পাকসেনা নিহত হয়।

ডেল্টা-মুক্তিবাহিনী আবারো গুথুমায় ০৫০৮০০ টায় আক্রমণ করে। একটি সেকশন গুথুমা থেকে পরশুরামের দিকে যাচ্ছিল। এল এম জি, ২ ইঞ্চি মর্টার ও রাইফেল দিয়ে অ্যামবুশ করা হয়। ৩ পাকসেনা নিহত হয়।
ফাইল নং 101/1 (Ops) তারিখ ৯-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
মেজর
৯-১০-৭১

এন আর ১/০৮ ডি টি ও জি আর ৪৮ ০৮০৮০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৫৪ গোপনীয় A আমজাদ হাঁট জি আর ০৬৮০৫৩ এম/এস ৭৯ এম/৮ B 031030 C 8 ORS D অ্যামবুশ E ২ জন আহত F Nil G
শত্রুরা ২ ইঞ্চি মর্টার আর আটোমেটিক আর্মস দিয়ে আক্রমণ করে। হতাহত জানা যায়নি।

টি ও আর
by hand
১২৩০
৯-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
৯-১০-৭১

এন আর ১/০৯ ডি টি জি জি আর ৩১ ০৯০৮০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-সাইট্রেপ ৫৮, গোপনীয়। A খাজুরিয়া জি আর ৬৭৩৫৫৮ এম/এস ৭৯ এম/৮ B ৬-১০-৭১ at ০৭০০ টা C I sec D অ্যামবুশ E ৪ পাকসেনা নিহত F নাই G নাই H নাই

টি ও আর
০৮৫০
মিজান
৯-১০-৭১

এন আর ২/০৯ ডি টি জি ০৯০৮০০ জি আর ৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং: সাইট্রাপ ৫৯ গোপনীয় এ খাজুরিয়া জি আর ৬৭৩৫৫৮ এম/এস ৭৯ এম/৮ B ৭-১০-৭১ at ০৬৪৫টা C এক গ্রুপ D অ্যামবুশ ই ২ পাকসেনা নিহত এফ নাই জি নাই এইচ নাই।

টি ও আর
০৮৫৫
মিজান
৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ০৯১১০০

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রাপ আলফা অক্টোবর ০৬০৭০০ টায় খাজুরিয়াতে জি আর ৬৭৩৫৫৮ এম/এস ৭৯ এম/৮ মুক্তিবাহিনী অ্যামবুশ করে। এতে ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়।

ব্রাভো-অক্টোবর ০৭০৬৪৫ টায় একই স্থানে অ্যামবুশ করে ২ পাকসেনা হত্যা করা হয়।

১০১/১/৬৫
স্বাক্ষরিত
৯-১০-৭১

এন আর 3/১৬ ডি টি ও ১০১০২৫ জি ২৬

হইতেঃ অশোক
প্রতিঃ ক্যাপ্টেন মাহফুজ

No :-G-1068 Secret। সংগৃহীত ইনভেন্টরি ও অফিসারদের মেসবই থেকে তাদের নাম পাওয়া যায়। কিছু এ পি মাইন শত্রুদের বাঙ্কার থেকে পাওয়া যায়।

ফাইল নং 101/1/Gs (Ops) তারিখ ১০-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
১০-১০-৭১

গোপনীয়
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গত সন্ধ্যায় সুবেদার সাবেদ আলিকে আটক করে। সে এখন আমার জিম্মায়। তাকে হেড কোয়ার্টারে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। পরবর্তী খবর পরে জানানো হবে।

টি ও আর / ১৫৪০
এন এন চৌধুরী
স্বাক্ষরিত
০৩-১০-৭১

এন আর ১/১০ ডি টি ও জি আর ৩৫ ১০১০০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

Sitrep No ৬০ গোপনীয় এ পূর্ব দেবপুর বি ও পি জি আর – ০৬৯০৫২ এম/এস ৭৯ এম/১২ বি ঘন্টা সি ওয়ান গ্রুপ ডি এম্বুশ ই ৩ পাকসেনা নিহত ১ জন আহত। এফ নাই, জি নাই, এইচ নাই।

ফাইল- 101/l/GS(Ops)
টি ও আর
১৩৪০
এন এন চৌধুরী
১০-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
১০-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
১০১৬৩০
জি ০৫৩০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। অক্টোবর ৮ তারিখে পূর্ব দেবপুরে GR 06-9502 M/S 79 M/12 আমাদের বাহিনীর অ্যামবুশে ৩ পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত হয়।

১০১/১/জি এস

স্বাক্ষরিত
মেজর
১০-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
জি ০৫৩১
ডি টি জি ১০১৬৩০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব সেক্টর ব্রাভো
ইনফোঃ সকল সাব সেক্টর

রফিক মাহফুজের জন্য। শুভেচ্ছা তোমাদের আমার পক্ষ থেকে রেলওয়ে ব্রিজ সফল ভাবে উড়িয়ে দেবার জন্য। শত্রুদের বিরুদ্ধে তোমাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। মনে রাখবে-আমাদের অস্ত্রের ও অন্যান্য সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু সাহস, মনোবল ও অধ্যাবসায়ের সীমা নেই। মনে রাখবে আমাদের শত্রুদের মারতে হবে এবং তাদের সাপ্লাই আসার পথে বন্ধ করে দিতে হবে। আমাদের অপারেশন কখনো শ্লথ হয়ে যাবেনা। সৃষ্টিকর্তাসহ ৭৫ মিলিয়ন মানুষ আমাদের সাথে আছেন। আমরা শুধু পশ্চিম পাকিস্তানীদের নয়-সমস্ত বিশ্বকে শিক্ষা দিতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
স্বাক্ষরিত
মেজর
১০-১০-৭১

এন আর ২/১১ ডি টি ও জি আর ২৮ ১১১০৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-Sitrep 62 গোপনীয় গুথুমায় মুক্তিবাহিনী একটি বাঙ্কারে থাকা সেন্ট্রির উপড়ে ২ টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। BOP GR 647610 M/S 79 M/8 at 091930 hrs সেন্ট্রি নিহত হয়। ১ পাকসেনা আহত হয়।

টি ও সি
১১৪৫
স্বাক্ষরিত
১১-১০-৭১

এন আর ১/১১ ডি টি জি জি আর ৫০ ১১১০৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-Sitrep 61 গোপনীয় A জি আর ৬৫০৬১০ এম/এস ৭৯ এম/৮ গুথুমা বি ও পি B ০৮১৭১০ C 2 এল এম জি জি পি এস D 2 এল এম জি জি পি এস নিয়ে গুথুমা বি ও পির পাশে ও ডানে অ্যামবুশ করা হয় সন্ধ্যার দিকে। E ৫ পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত হয়।

টি ও আর
১১৪০
স্বাক্ষরিত
১১-১০-৭১

এন আর ৮/১১ ডি টি জি ১১২০৫ জিআর ৪১

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1076 Secret Sitrep 23। মাহফুজকে রফিকের জন্য। মিত্র বাহিনীর নেতার বদল হয়েছে। নতুন এসেছে। আজ স্থানীয় মিটিং হয়েছে। আমি নতুন ব্যাক্তিকে কিছুদিনের ভেতরে হেড কোয়ার্টারে আনব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

টি ও আর
২৩০০
স্বাক্ষরিত
১১-১০-৭১

এন আর ৬/১১ ডি টি ও জি আর ১০০ ১১২০৫৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :- জি ১০৭৪। গোপনীয়। সাইট্রেপ ২১। মাহফুজকে রফিকের জন্য। আমার এলাকায় রেকি করতে পাঠান। শত্রুদের পেট্রোল পার্টি তেমন নেই। কোন অতিরিক্ত চলাচল নেই। রেজুনিয়া ব্রিগেড পাহারায় আছে। নশত্রুদের তুন ডিফেন্স ৫০ % রেডি করা হয়েছে মুহুরি থেকে পশ্চিম পাশে এস কিউ ৬৬৪২ তো ৬৬৩৯ ম্যাপ ৭৯ এম/৮ তাদের সরানোর প্ল্যান করছি।

টি ও আর
২২৪০
স্বাক্ষরিত
১১-১০-৭১

এন আর ৭/১১ ডি টি জি ১১২১০০ জি আর ৪৫

হইতে-সাব-সেক্টর ২
প্রতি-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং G-1075 Secret Sitrep 22। মাহফুজকে রফিকের জন্য।১০/১১ অক্টোবর রাতে ১৯০০ টা থেকে ০৪০০ টা পর্যন্ত ২/৩ মিনিট পরপর শত্রুরা গুলি করছে। আমরাও জবাব দিচ্ছি। কোণ উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি।

টি ও আর
২২৫৫

স্বাক্ষর
১১-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

জরুরী
গোপনীয়
জি ০৫৩৭
ডি টি জি ১২০৮০০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-০৮১৭১০ অক্টোবর গুথুমা বি ও পি এর পাশে ও ডানে এম্বুশ করে জি আর ৫৫০৬১০ এম এস ৭৯ এম/৮ ৫ পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত হয়।

ব্রাভো-০৯১৯৩০ অক্টোবর গুথুমায় জি আর ৬৪৭৬১০ এম এস ৭৯ এম/৮ সেন্ট্রিদের বাঙ্কারে ২ টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আমাদের বাহিনী। এতে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়।
১০১/১/জি এস
স্বাক্ষরিত
মেজর
১১-১০-৭১

এন আর ৫/১১ ডি টি জি জি আর ৪৮ ১১২০৫০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :- জি – ১০৭৩ । গোপনীয়। সাইট্রেপ ২০। মাহফুজকে রফিকের জন্য। উত্তর শোভাপুর ও চাঁদগাঁজিতে প্যানিক সৃষ্টি করছে। তারা দিনের বেলায় চুপ থাকে। কিন্তু রাতে বাঙ্কার থেকে গুলি চালায়।

টি ও আর
২২০০
এম হক
১১-১০-৭১

এন আর ৪/১১ ডি টি জি জি আর ৮৭ ১১২০৪৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :- জি ১০৭২ । গোপনীয়। সাইট্রেপ- ১৯। মাহফুজকে রফিকের জন্য। রাধানগরের কাছে এস কিউ ৭১৪০ এম এস ৭৯ এম/১২ ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডে মুক্তিবাহিনী ১৯০০ টায় ১০ অক্টোবর অ্যামবুশ করে কিন্তুকেউ আসে নাই। মকামিয়াতে এস কিউ ৭২৩৯ এম এস ৭৯ এম/১২ ১০/১১ অক্টোবর রাতে ০৩৩০ টায় আক্রমণ করা হয়। শত্রুরা এম এম জি ও হাল্কা অস্ত্র দিয়ে জবাব দেয়। ২০ মিনিট যুদ্ধ চলে। হতাহত জানা যায়নি।

টি ও আর
২২১৫
মিজান
১১-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১২১১০০
গোপনীয়
জি ০৫৩৮
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-রাধানগরের কাছে এস কিউ ৭১৪০ এম এস ৭৯ এম/১২ ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডে মুক্তিবাহিনী ১০ অক্টোবর ১৯০০ টায় অ্যামবুশ করে কিন্তুকেউ আসে নাই। মকামিয়াতে এস কিউ ৭২৩৯ এম এস ৭৯ এম/১২ ১১০৩৩০ টায় অ্যামবুশ করে।
ব্রাভো-সুভাপুরে জি আর ৭৪৪৩২৭ এম এস ৭৯ এম/৯ ও রেজুমিয়াতে জি আর ৬৬৯৪২১ এম এস ৭৯ এম/৮ শত্রুরা জমায়েত হয়েছে খবর পাওয়া যায়।
চার্লি-মহুরির পশ্চিম পারে এস কিউ ৬৬৪২ থেকে ৬৬৩৯ এম/এস ৭৯ এম/৮ শত্রুরা বাঙ্কার বানাচ্ছে।

ডেল্টা-শ্রীনগরে ১০১৯০০ থেকে ১১০৪০০ টা পর্যন্ত খনে খনে গুলি বিনিময় হয়েছে।

ফাইল নং-Ol/l/GS(Ops) ১২-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
মেজর
১২-১০-৭১
*************

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি ১২২০০
গোপনীয়
জি ০৫৩৯

হইতে
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার মুজিবনগর

স্পেশাল সাইট্রেপ-১১ অক্টোবর লে সুলতান ও তাঁর দল ফিরে আসে। তারা বাংলাদেশের ভেতরে তাদের প্রথম অপারেশন করে।
আলফা-চট্টগ্রামের উত্তরে মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ সাব স্টেশন RX 1268) কাপটাই হ্রদ ও পশ্চিম হালদা নদী-সব ট্রান্সফরমার ধ্বংস করা হয় আর চি এস গান দিয়ে। লে সুলতান পাওয়ার সাব স্টেশন আক্রমণ করেন। ৫০ ফুট দূর থেকে গুলি চালান। শত্রুরা জবাব দেয় বাঙ্কার থেকে। আমাদের বাহিনী স্টেশনের ভেতর প্রবেশ করে ও সবচেয়ে বড় ট্রান্সফর্মার আগে বিকল করে। আগুন লাগিয়ে দেয়। ০৬ অক্টোবর ০৪০০ টায় এই ঘটনা ঘটে। মোট ৩ রাউন্ড আর চি এল গুলি করা হয়। সিপাহি আব্দুল মান্নান নিহত হন। বাংলাদেশ বীরত্ব পুরষ্কারে তাকে ভূষিত করে সন্মানের সাথে দাফন করা হয়। এটা রেডিও ও পত্রিকায় ফলা করে প্রকাশ করা হয়।
ব্রাভো-মোট ১০ টি পাইলন উড়িয়ে দেয়। ৮ টি কাপ্তাইয়ে চট্টগ্রাম রাস্তায় ২ টি চন্দ্রঘোনা চট্টগ্রাম রাস্তায়। সব কারখানা বন্ধ আছে।

স্বাক্ষরিত
মেজর
১২-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি ১২০৮ (এইচ)
গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার ১ নং সেক্টর
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
ইনফোঃ ফোর্সেস মুজিবনগর

সাইট্রেপ। বাগান বাজারে SQ 9036 MS 79 N/9 ১১০০৩০ টায় এল এম জি দিয়ে অ্যামবুশ করে শত্রুদের ২ টি তাঁবুর উপড়ে। সাধারণ জনগণের কাছ থেকে জানা যায় ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অফিসার ছিল। পরের দিন ১২০০ টায় হেলিকপ্টার নামে চিকরছড়ায় SQ 8831 M/S 79 N/9 এবং লাশগুলো নিয়ে যায়। এতে বোঝা যায় একজন অফিসার মারা গেছিল।

১০১/১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষরিত
মেজর
১২-১০-৭১

এন আর ১/১২ ডি টি ও ১২২১৩০ জি আর ৬৮

হইতেঃ সাব সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1077 Secret Sitrep 24 রফিকের জন্য মাহফুজ। মুক্তিবাহিনীর একটি সম্পুর্ন দল ১১/১২ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম-ফেনী সড়কে একটি কাল্ভার্ট ধ্বংস করতে যায়। যুদ্ধ হয় কিন্তু আমাদের বাহিনী পরাস্ত হয়ে ফিরে আসে। আমাদের কোণ হতাহত হয়নি।
টি ও আর
২১৫৩
স্বাক্ষরিত
এন এন চৌধুরী
১২-১০-৭১

হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্স
নং – ১০১/১/জি এস (ওপিএস)
১২ অক্টোবর ৭১

প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
বিষয়ঃ পরিস্থিতি রীপোর্ট
রেফারাল নং – ২ এক্স ১/এ/ ডি / জি এস (ওপিএস) তারিখ – ১১ অক্টোবর ৭১

১। প্যারা ২ রেফার্ড। সব তথ্য দেবার চেষ্টা করবেন।
২। প্যারা ৩ রেফার্ড। সাইট্রেপ সময় মত পাঠাতে হবে। সাব সেক্টরের সাথে যোগাযোগ রাখুন। সাব সেক্টর থেকে তথ্য দেরি হলে হেডকোয়ার্টার থেকে হেড কোয়ার্টারে দেরি হয়ে যায় ওয়ারলেস কানেকশন না থাকার জন্য। এগুলো তেমন ভালনা এবং মাঝে মাঝে লাইন বিচ্যুত হয়ে যায়।

স্বাক্ষরিত
মেজর
কমান্ডার রফিকুল ইসলাম

এন আর ২/১৩ ডি টি জি আর জি ২৬ ১৩০৭৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ২

সাইট্রেপ ৬৩। ৩ জন বন্দী আটক। চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে মুক্তিবাহিনী আটক করেছে। ১ রাজাকার ১ জন শান্তি কমিটির মেম্বার আটক হয়।

টি ও আর
১১০০

এন এন চৌধুরী
১৩-১০-৭১

এন আর ২/১৩ ডি টি ও জি আর ৭৩ ১৩০৮৫০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

G 1080 গোপনীয়। সাইট্রেপ ২৬। মাহফুজ থেকে রফিক। ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের কাছে রাধানগরে এস কিউ ৭১৪০ ম্যাপ ৭৯ এম/১২ ২১৩০ টায় ১২/১৩ অক্টোবর ৭১ আক্রমণে শত্রুদের ৫ জন ০৩৪৫ টায় আক্রান্ত হয়। এল এম জি ও হাল্কা আর্মস দিয়ে আমরা গুলি চালাই। তাদের ৩/৪ জন আহত হয়। নিশ্চিত খবর পরে জানানো যাবে।

টি ও আর
০৯৫
আমানুল্লাহ
১৩-১০-৭১

মেসেজ ফর্ম

ডি টি জি
১৩
গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

ঢাকা চট্টগ্রাম রাস্তার রাধানগর এর কাছে এস কিউ ৭১৪০ এম/এস ৭৯ এম/১২ অক্টোবর ১২২১৩০ টায় অ্যামবুশে শত্রুদের ৫ জনের উপর ০৩৪৫ টায় আক্রমণ করা হয়। এল এম জি দিয়ে আমরা গুলি চালাই। ৩ পাকসেনা নিহত হয়।

ফাইল নং 101/l/GS(Ops) ১৩-১০-৭১

স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১৩/১০/৭১

মেসেজ ফর্ম
জরুরী
ডি টি জি
১৩১০০০
গোপনীয়
জি ০৫৪৫
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। পরশুরামে জি আর ৬২৭৬৪৩ এম/এস ৭৯ এম/৮ অক্টোবর ১২১৪১০ টায় আমাদের বাহিনী এম্বুশ করে। আমাদের বাহিনী ২ টি এল এম জি দিয়ে গুলি করে ২০০ গজ থেকে। ৩ জন নিহত ১ জন আহত। আমাদের ১ জন স্নাইপার নিহত হয়। লাশ বাঙ্কার আর রেল লাইনে পরে থাকে।

ফাইল নং lOl/l/GS(Ops) ১৩-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
মেজর
১২/১০/৭১

এন আর ডি টি জি ১২১৯০০ জি আর ৮২
অগ্রাধিকার
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৬২। গোপনীয়। আমাদের বাহিনী পরশুরামে এম্বুশ করে জি আর ৬২৭৬৪৩ এম/এস ৭৯। ২ টি এল এম জি জি পি এস ২ গজ থেকে ১৪১০ টায় গুলি শুরু করে । তখন শত্রুদের ৪ জন বাঙ্কারে ছিল। তখন পাশে একটা গাছের আড়াল থেকে একজন স্নাইপার গুলি শুরু করে। ৩ পাকসেনা নিহত হয়। ১ জন আহত হয়। লাশ বাঙ্কারে ও রেল লাইনের উপড়ে পরে থাকে। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।

টি ও আর
০৬৫৫
সাক্ষরিত
১৩-১১-৭১

এন আর ৪/১৩ ডি টি জি জি আর ৫৪ ১৩১৪০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

জি১০৮২। গোপনীয়। জি ০৫৪৪ তারিখের রেফারেন্স। এটা আগের অর্ধেক ভাঙ্গা জি আর ৭০০৩০৮ ম্যাপ ৭৯ এন/৯। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন আসছে। ধুমঘাট সি এম এম এ যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। মুহুরি পর্যন্ত পায়ে হেঁটে ফেনী থেকে আসে আরেকটি ট্রেনে উঠা হয়। আরও একটার জন্য চেষ্টা করছি।

টি ও আর
১৪৫৫
স্বাক্ষরিত
১৩/১০/৭১

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১৩১০২০
জি ০৫৪৪
রেস্টেড

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতে-সাব-সেক্টর ২

জি ১০৭৭ অক্টোবর ১২। ম্যাপ রেফারেন্স জানান।
১০১/১/জিএস
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন

মেসেজ ফর্ম

ডি টি জি ১৪১০১৫ গোপনীয় জি ০৫৪৬

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৬৩ ১৩ অক্টোবর। জেলে আটকদের হেড কোয়ার্টারে পাঠান।

স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১৪/১০/৭১

এন আর ৩/১৫ ডি টি ও ১৫২০৩০ জি আর ৫৮

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ বাহিনী
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-২০৪০। গোপনীয়। রেফারেন্স-জি ০৫৪৮ প্যারা ফক্সট্রট অক্টোবর ১৫। পার্টি যেন এখানে ১৬১২০০ টার আগে অবশ্যই আসে সেটা নিশ্চিত করুন।
১০১/১/জি এস (ওপিএস)
টি ও আর
২১২৫
এন এন চৌধুরী
১৫-১০-৭১

মেসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ১৫১১৪৫
জি ০৫৪৮
জরুরী
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম (এক কপি হাতে হাতে দিতে হবে)
ইনফোঃ মুজিবনগর ফোর্স
কো সেক্টর ১

সাইট্রেপ আলফা-সেপ্টেম্বের ২৩ সেপ্টেম্বর ১০ জন ন্যাভাল কমান্ডোর এক দল ৩০ মাইল গভীর সমুদ্রে যান। কিন্তু জাহাজের কাছে পৌঁছাতে পারেন নি। কোনমতে ফিরে এসেছেন কিন্তু মোহাম্মাদ হোসেন ডুবে গেছেন। অন্যরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে ভাগ হয়ে ভিন্ন ভিন্ন বেইসে এসেছেন। ৩ জন কমান্ডোর এক দল পুরনো একটি বেইজে আসে যেখানে শত্রুদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। আমাদের এস এন মউলা নুরুল হক আমির হোসেন আবুল হোসেন আটক হন।

ব্রাভো-১ অক্টোবর কমান্ডো বাহিনী AVLOS ও একটি গ্রিক জাহাজ ধ্বংস করেন। বি ও সি জেটিতে ছিল। এজেন্ট-হ্যাগি এন্ড কোং। জাহাজতেল ভর্তি ছিল। এটা চট্টগ্রাম পোর্টে আটক ছিল। পাক সরকারের ছাড়ের অপেক্ষায় ছিল।

চার্লি-০২ অক্টোবর ইউ এন ও প্রতিনিধি জেটি পরিদর্শনে যান। ছবি তুলেন।

ডেল্টা-৮ অক্টোবর একই কমান্ডো গ্রুপ এম ভি নাসিম নামে পাকিস্তানের অন্যতম বড় একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। এটি জেটি ১৩তে ছিল। এতে গোলাবারুদ, ২ টি ট্যাঙ্ক সি এম এম ১ ছিল। ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়েছে জানা যায়। বিস্ফোরণের ফলে জেটি ১২ ও ১৩ অকেজো হয়ে পড়ে।

ইকো-১৩ অক্টোবর ৯ জন কমান্ডো নিরাপদে ফিরে আসে। ৪ জনের অন্য দল এখনো চট্টগ্রামে আছে। ৫ জন খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।

ফক্সট্রট-১৬ অক্টোবর দলে আগরতলায় পৌঁছে।

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৫/১০/৭১

এন আর ১/১৫ জি আর ৯ ১৫১১০

অগ্রাধিকার

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৬৭। গোপনীয়। শত্রুরা আরও সৈন্য নিয়ে পরশুরাম বেলনিয়াতে আসে। বি এস এফ সজাগ আছে।

আর/১১৪২
এন এন চৌধুরী
১৫-১০-৭১

মেসেজ ফর্ম
জরুরী
গোপনীয়
জি ০৫৪৯
ডি টি জি ১৫১৮৩০
জি ০৫৪৯
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা—১৪০৫৩০ টায় অক্টোবর একটি সেকশন অ্যামবুশ করে গুথুমা-পরশুরাম এস কিউ ৬৩৬২ এম/এস ৭৯ এম/৮। কোণ কন্ট্যাক্ট হয়নি। আমাদের বাহিনী ফিরে আসে।

ব্রাভো-আমাদের বাহিনী কলাপারায় এস কিউ ৬২৬২ এম/এস ৭৯ এম/৮ অক্টোবর ১৪২৩০০ টায় আক্রমণ করে। আধা ঘণ্টা যুদ্ধ চলে। হতাহত জানা যায়নি। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।

চার্লি-অক্টোবর ১৪২০০০ টায় আমাদের ৩ টি বাহিনী এম-১৬ মাইন পুতে রাখে গুথুমা বি ও পির পিছনে এস কিউ ৬৪৬০ এম/এস ৭৯ এম/৮ ও নিরাপদে ফিরে আসে।

ডেল্টা-শত্রুরা পরশুরাম ও বেলোনিয়াতে শত্রুরা আরও সৈন্য জড়ো করে। বি এস এফ সজাগ আছে।
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৫/১০/৭১

এন আর ৩/১৫ জি আর ৩৭

অগ্রাধিকার

জি আর ৩৭
হইতে-সাব-সেক্টর ১
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৬৫। গোপনীয়। আমাদের বাহিনী কলা পারায় এস কিউ ৬২৬২ এম/এস ৭৯ এম/৮ আক্রমণ করে। ভারী গুলি বিনিময় হয়। এটা আধা ঘণ্টা চলে। ১৪২৩০০ টা থেকে শুরু হয়, শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।
আর/১১৫৫
এন এন চৌধুরী
১৫-১০-৭১

এন আর ৪/১৫ ১৫১০০ আর জি ৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৬৬। গোপনীয়। আমাদের ৩ টি বাহিনী ১৪২০০০ টায় হুথুমা বি ও পি এস কিউ ৬৪৬০ এম/এস ৭৯ এম/৮ এম-১৬ মাইন পুতে রাখে। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।

আর / ১১৪৭

এন এন চৌধুরী
১৫-১০-৭১

গোপনীয়

হেডকোয়ার্টার ডেলটা সেক্টর Itr No 200I/A/D/GS(C)ps) ১১ অক্টোবর ৭১ এর কপি-সকল সেক্টরের প্রতি।

বিষয়-অবস্থাণ রিপোর্ট

১। লক্ষ করা যাচ্ছে যে প্রায়শই সাইট্রেপ আপডেট সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না এবং বিস্তারিত জমা দেয়া হচ্ছেনা। অসম্পূর্ণ কাজে অযথা অতিরিক্ত কাগজ ও সময় নষ্ট হয়। ফলে হেড কোয়ার্টারে বাররাত পৌঁছাতে দেরি হয়।
২। নিম্নোক্ত বিষয় গুলো সাইট্রেপে উল্লেখ করতে হবে।
ক) কত রাউন্ড গুলি হয়েছে- আমাদের ও শত্রুদের
খ) কতক্ষণ গুলি চলেছে
গ) কি অস্ত্র ব্যাবহার হয়েছে
ঘ) হতাহত কত
ঙ) শত্রুদের হতাহতের সংবাদদাতাকে
চ) যদি কোণ যানবাহন চলাচল করে তাহলে তার নম্বর, বাহনের ধরন, তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
ছ) গ্রিড রেফারেন্স
জ) প্রথমিক তথ্য।

৩। প্রায় সব সময় সাইট্রেপ দেরিতে আসছে। সেগুলো যাতে সময় মত হেড কোয়ার্টারে আসে সেটা নিশ্চিত করুন।

স্বাক্ষর
বি এস রাথে
ক্যাপ্টেন
জি এস ও-৩

কমান্ডারদের জন্য

হেডকোয়ার্টার
বাংলাদেশ ফোর্স
নং 101/1/171/GS (Ops)
১৬ অক্টোবর ৭১
প্রতি-সকল সাব সেক্টর
বিষয়-পূর্বে উল্লেখিত

পরবর্তি ব্যাবস্থার জন্য পাঠানো হল।
ক্যাপ্টেন
আজিত
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেনমোঃ এনামুল হক চৌধুরী
১৬/১০/৭১
মজিদ

মেসেজ ফর্ম
জরুরী
গোপনীয়
ডি টি জি ১৭১৭৪৫
জি ০৫৫৪
হতে-হেডকোয়ার্টার
প্রতি-হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর

১। ধুম ও মুহুরিগঞ্জের মাঝে একটি শত্রু র্যা লি ধ্বংস করা হয়। খুব আস্তে একটি ট্রেন যাচ্ছিল।
২। সীতাকুণ্ডে ৭ জন রাজাকার আত্তসমর্পন করে। সাব-সেক্টর ২।
৩। ৫০০ প্যাকেট রেশন চাওয়া হয়েছে। সাথে ৬ টি এল এম জি।
১০১/১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১৭-১০-৭১

এন আর ৪/১৭
১৭১৬০০
জি আর ৫৫

হতে-রফিক
প্রতি-এনাম

নং-জি ১০৯০-গোপনীয়। এই ম্যাসেজটি ডেলটা সেক্টরে পাঠান।

১। ধুম ও মুহুরিগঞ্জের মাঝে একটি শত্রু র্যািলি ধ্বংস করা হয়। খুব আস্তে একটি ট্রেন যাচ্ছিল।
২। সীতাকুণ্ডে ৭ জন রাজাকার আত্তসমর্পন করে। সাব-সেক্টর ২।
৩। ৫০০ প্যাকেট রেশন চাওয়া হয়েছে। সাথে ৬ টি এল এম জি।

টি ও আর
১৬৪০
স্বাক্ষর
১৭-১০-৭১
*****************
বার্তা ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
১১৭১১১৫
জি ০৫৫
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-২৬ সেপ্টেম্বর ৬ টায় মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটে (বিপণি বিতান) একটি EPRTC বাস থামায়। যাত্রীদের নেমে যেতে অনুরধ করা হয়। পরে বাসটি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ব্রাভো-৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে PIA অফিসের সামনে একটি PIA বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ফাইল নং 101/I/GS (Ops) ১৭-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৭/১০/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি
১৭১১১৫
জি ০৫৫২
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ-ছয়ঘরিয়াতে (জি আর ৭৪০৩৬৭ এম এস ৭৯ এন/৯) শত্রুদের অবস্থানে আক্রমণ করে নিম্ন লিখিত জিনিস বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয়। স্টিলের হেলমেট-১ টি, রেঞ্জার ব্যাজ-১ টি, ফটোসহ একটি ফটো এলবাম, ে টি মাইন-৪ টি, এন্টি পার্স মাইন ৮ টি, অফিসারদের মেসের রেজিস্ট্রার একাউন্ট ১ টি, কিট ইনভেন্টরি ১ টি, ইস্যু ভাউচার, উর্দুতে লেখা অনেক ব্যাক্তিগত চিঠি, ৫৩ ব্রিগেড অফিসারদের নামের তালিকা যা চূড়ান্ত করা হয়েছে মেস রেজিস্ট্রার থেকে। এসব কিছু যাচাই করে পাঠানো হল।

ফাইলনং l()l/l/GS(Ops) ১৭-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৭/১০/৭১

এন আর ১/১৭ ১৭১৮০০ জি আর ৬৩

হতেঃ সাব সেক্টর এ
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর নং-১

নং-সাইট্রেপ ৬৮, গোপনীয়। গুথুমাএ উত্তরে আমাদের একটি সেকশন এম্বুশ করে ছিল জি আর ৬৪৯৬০৭ এম/এস ৭১ এম/৮ ১৫/১০/৭১ ০৪৪৫ ঘণ্টায়। ০৫৩০ টায় ৪ জন পাকসেনা বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসে। তখন আমাদের এল এম জি ম্যান গুলি শুরু করে-সাথে দুই জন রাইফেল ম্যান ছিল। বাঙ্কার থেকে ২৫০ গজ দুরে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। পাকসেনারা সব বাঙ্কার থেকে গুলি করে। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।

টি ও আর
১৯০০
বিসমিল্লাহ
১৭/১০/৭১

এন আর ১/১৭ ডি টি ও জি আর ২৭ ১৭১০৩০

হতেঃ ডি সেক্টর
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর নং-১

নং-নাই। গোপনীয়। সেক্টর কমান্ডারের প্রতি। সুলতানের রিপোর্ট আসেনি। এখন জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।
ইনফো-সাব সেক্টর ২

আর/১১২০
এন এন চৌধুরী
১৭-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
১৭/১০/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১৭১৭৪৫
গোপনীয়
জি ০৫৫৩
হতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর নং-১
প্রতিঃ সাব সেক্টর ব্রাভ

সি ও এর জন্য। ডি সেক্টর। কোন তারিখ দেয়া নাই। উধ্রিতি। সেক্টর কমান্ডারের প্রতি। সুলতানের রিপোর্ট আসেনি। এখন জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।

ফাইল নং – ১০১/১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৭/১০/৭১

এস/১৭ ১৭২০২৫ জি আর ১৬

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নংঃ জি – ১০৯১ গোপনীয়। হেডকোয়ার্টার থেকে আপনার স্বাক্ষরিত নম্বর G0553 খুঁজে বের করুন। রিপোর্ট করা হয়েছে ইতোমধ্যে।

টি ও আর
২১৪০
এ মান্নান
১৭-১০-৭১

এন আর ৫/১৮ ডি টি ও জি আর ৭৫ ১৮১৫১০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1096, গোপনীয়, সাইট্রেপ২৮। ১৫ অক্টোবর ৭১ ১৬০০ টায় আমাদের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন তিনটি স্থানে আক্রমণ করে। বল্লভপুর এস কিউ ৭৪৩৫ সি এম এম দারগা হাট এস কিউ ৭৩৩৫ ছয় ঘরিয়া ৭৪৩৬ ম্যাপ ৭৯ এন/৯। জনগণ শত্রুদের হতাহত করে। বল্লভ পুরে পাকসেনা নিহত হয়। ১ জন পাকসেনা সি এম এম ও ৩ জন পাকসেনা দারগাহাটে আহত হয়। ছয়ঘরিয়াতে ১ পাকসেনা ও ২ রাজাকার নিহত হয়।

টি ও আর
১৫৪৫
এ মান্নান
১৭-১০-৭১

এন আর ৬/১৮ ডি টি ও জি আর ৬৫ ১৮১৫১৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং G-1097 গোপনীয়। সাইট্রেপ ২৯। ছাগলনাইয়াতে এস কিউ ৭০৪২ ম্যাপ ৭৯ এম/১২ প্রায় ২০০ পাকসেনা সমবেত হয়। ১৫ অক্টোবর তারা ছাগল নাইয়া বি ও পিতে আক্রমণ করে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভাষ্য মতে সেখানে প্রায় ১২০০ নিয়মিত সেনা বর্ডারের কাছে ছিল কিন্তু তারা সাথে এনেছিল মাত্র ২০০ জন। অর্থাৎ অন্য কিছু এলাকাও খুঁজে বের করতে হবে।

টি ও আর
১৫৫৫
এ মান্নান
১৭-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
জরুরী
গোপনীয় জি
ডি টি জি ১৮
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ, আলফা। ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আমাদের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন তিনটি স্থানে আক্রমণ করে। বল্লভপুর এস কিউ ৭৪৩৫ সি এম এম দারগা হাট এস কিউ ৭৩৩৫ ছয় ঘরিয়া ৭৪৩৬ ম্যাপ ৭৯ এন/৯। জনগণ দ্বারা শত্রুদের হতাহত হয়। বল্লভ পুরে পাকসেনা নিহত হয়। ১ পাকসেনা সি এম এম ৩ জন পাকসেনা দারগাহাটে আহত হয়। ছয়ঘরিয়াতে ১ পাকসেনা ও ২ রাজাকার নিহত হয়।
ব্রাভো-ছাগল নাইয়া বি ও পিতে এস কিউ ৭৩৪১ এম / এস ৭৯ এন/৯ ১৫ অক্টোবর ১৭৩০ টায় পাঁচটি এস পি প্ল্যান্ট দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আমাদের ৭ জন আহত হয় যখন আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করা হয়। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি।
চার্লি-১৬ অক্টোবর শত্রুবাহিনী ফেনী থেকে ছাগলনাইয়াতে শক্তি বৃদ্ধি করে।
lQl/l/GS(Ops)
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৮-১০-৭১

এন আর ২/১৮ ডি টি ও ১৮১৪৩০ সি আর ৪৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং Sitrep 69 গোপনীয়। ১৭০৫৩০ টায় আমাদের বাহিনী দেবপুরে জি আর ৬৯২৫০১ এম/এস ৭৯ আ/১২ অ্যামবুশ করে। ০৫৩০ টায় যোগাযোগ হয়। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি। ১৯৩৫১ সেপ্টেম্বর এল এম জি ব্রাশে আমজাদ আলি মারাত্মক আহত হয়। তাকে আগরতলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

টি ও আর
১৯২০
বিসমিল্লাহ
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৮-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
জরুরী
গোপনীয়
ডি টি জি ১৮১০৩০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার
কো সেক্টর ১

সাইট্রেপ। অক্টোবর ১৫০৪৪৫ টায় সি এম এম এ আমাদের একটি বাহিনী উত্তর গুথুমায় জি আর ৬৪৯৬০৭ এম/এস ৭৯ এম/৮ এম্বশ করে। ০৫৩০ টায় ৪ পাকসেনা বাঙ্কার থেকে বের হয়। এল এম জি ও রাইফেল দিয়ে আমাদের বাহিনী আক্রমণ করে। ৪ পাকসেনা নিহত হয়। তারা বাঙ্কার থেকে গুলি করে। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।

১০১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৮-১০-৭১

এন আর ৩/১৮

১৮১৬১৫ জি আর ৬৪
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৭০। গোপনীয়। আমাদের ২ প্লাটুন সৈন্য গুথুমা বি ও পিতে জি আর ৬৫০৬১০ এম এস ৭৯ এম/৮ অবস্থান নেয়। শত্রুদের তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়। ৫০ রাউন্ড শেলিং হয়। আধা ঘণ্টা গুলিবিনিময় চলে। প্রচুর হতাহত হয়। আমাদের ২ জন আহত হয়। একজন আব্দুল লতিফ ৩৯৪১৫২৭ নিহত হন বেলনিয়া হাসপাতালে। তাকে কালিকাপুর গ্রামে সমাহিত করা হয়। একজন সাহসী সেনাকে শ্রদ্ধা।

টি ও আর
১৯১০
বিসমিল্লাহ
১৮-১০-৭১

এন আর ৪/১৮ ১৮১৩৩৫ জি আর ১৩৮

হইতে-সাব সেক্টর
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-I095 গোপনীয়। সাইট্রেপ ২৭। ছাগল নাইয়া বি ও পিতে ৭৩৪১ মুক্তিফৌজের একটি বাহিনী একটি বড় ফায়ার প্লান্টে ১৫ অক্টোবর ১৭৩০ টায় আক্রমণ করে। শত্রুরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আমাদের বাহিনী বি ও পি র এক কোনায় চলে আসে। শত্রুরা শেলিং শুরু করে প্রচন্ডভাবে। শেলিং এর তীব্রতায় শত্রু ও আমাদের বাহিনী বি ও পি ত্যাগ করে। পরে শত্রুরা রাতের আধারে সেটি আবার দখল করে। আমরা বি ও পি দখলে ব্যার্থ হই। এটা ছিল সেখানে আমাদের প্রথম আক্রমণ। আমাদের ৭ জন আহত। শেলিং এর জন্য এটা ঘটে। তাদের ৪জন মারাত্মক আহত হয়েছে। এদের সবাইকে উদয় পুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা ভালো আছে।

উদয়পুর এড। বাকিরা ও কে আছে।
টি ও আর
১৪০০

এ মান্নান
১৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১৯১১৩৯
গোপনীয়
জি ০৫৫৭

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৭০। ১৮ অক্টোবর অতিসত্বর দিন তারিখ হালনাগাদ করুন।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops) ১৯-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২০১৩১০
গোপনীয়
জি ০৫৫৯
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-১৬ অক্টোবর ২৩ টায় জগন্নাথ সোনাপুর গ্রামে এস কিউ ৭৬৩৩ এম/এস ৭৬ এন/৯ আমাদের বহিনী অ্যামবুশ করে। শত্রুদের একটি প্লাটুন তাদের কাছে আসে। আমাদের বাহিনী সে এম এম আটমেটিক্স আর ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আক্রমণ করে। শত্রুরা এম এম জি আর এইচ এম জি দিয়ে শুরু করে পশ্চিম আলনগর অবস্থান থেকে এস কিউ ৭৬৩২ এম/ এস ৭৯ এন/৯। জনসাধারণের কাছ থেকে পরের দিন শত্রুদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। ২ জন নিয়মিত সৈন্য ও ২ রাজাকার নিহত ও ৩ রাজাকার আহত হয়।
ব্রাভো-১৮ অক্টোবর ০৪৩০ টায় মুক্তিবাহিনী মাতুয়া গ্রামে এস কিউ ৭১৪২ এম/এস ৭৯ এম/১২ আক্রমণ করে ২ পাকসেনা ও ৫ রাজাকার নহত করে। ৩ রাজাকার আহত হয়। শত্রুরা তাদের লাশ নিয়ে যায়। তারা বাঙ্কার ও ঘরবাড়ি ফেলে যায়।

ফাইল নং 101/1/GS (Ops) ১৯-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৯-১০-৭১

এন আর ২/১৯ ১৯১৩২০ জি আর ৯৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং :-G-1099 গোপনীয়। সাইট্রেপ ৩০। মুক্তিবাহিনী জগন্নাথ সোনাপুর গ্রামে এস কিউ ৭৬৩৩ এম/৭৬ এন/৯ অক্টোবরে ২৩০০ টায় আক্রমণ করে। ১৭ অক্টোবর শত্রুদের একটি প্লাটুন আমাদের বাহিনীর কাছে আসে। আমাদের বাহিনী স্মল অটোমেটিক আর্মস আর ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আক্রমন শুরু করে। শত্রুরা এম এম জি এইচ এম জি দিয়ে জবাব দেয় পাশ্চিম আলনগর অবস্থান থেকে এস কিউ ৭৬৩২। জনসাধারণের কাছ থেকে পরের দিন শত্রুদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। ২ জন নিয়মিত সৈন্য ও ৩ রাজাকার নিহত হয় এবং ৩ রাজাকার আহত হয়।

আর / ১৩৪০
এ মান্নান
১৯-১০-৭১

ও পি এস এন আর ৬/১৯ ১৯১৫২৫ জি আর ৬৩

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি-১ ১০৩, সাইট্রেপ ৩২। মাতুয়া গ্রামে এস কিউ ৭১৪২ এম ৭৯ এম / ১২ শত্রুদের অবস্থানে আমাদের দুটি সেক্টর ১৮ অক্টোবর ০৪৩০ টায় আক্রমণ করে। ২ জন পাকসেনা ও ৫ রাজাকার নিহত হয়। ৩ জন আহত হয়। তারা লাশ নিয়ে যায়। আমাদের ক্ষতি হয়নি।

আর/১৫৫৫
এ মান্নান
১৯-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১৯১১৩০
গোপনীয়
জি ০৫৫৯

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-১৫ অক্টোবর ৭১ ১৬০০ টায় আমাদের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন তিনটি স্থানে আক্রমণ করে। বল্লভপুর এস কিউ ৭৪৩৫ সি এম এম দারগা হাট এস কিউ ৭৩৩৫ ছয় ঘরিয়া ৭৪৩৬ ম্যাপ ৭৯ এন/৯। জনগণ দ্বারা শত্রুদের হতাহত হয়। বল্লভ পুরে পাকসেনা নিহত হয়। ১ পাকসেনা সি এম এম ৩ জন পাকসেনা দারগাহাটে আহত হয়। ছয়ঘরিয়াতে ১ পাকসেনা ও ৩ রাজাকার নিহত হয়।

ব্রাভো-ছাগল নাইয়া বি ও পিতে এস কিউ ৭৩৪১ এম / এস ৭৯ এন/৯ ১৫ অক্টোবর ১৭৩০ টায় পাঁচটি এস পি প্ল্যান্ট দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আমাদের ৭ জন আহত হয় যখন আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করা হয়। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি।
চার্লি-১৬ অক্টোবর শত্রুরা ফেনী থেকে ছাগলনাইয়াতে তাদের ফোর্স বাড়ায়।

ডেল্টা-১৭ অক্টোবর ০৫৩০ টায় সে এম এম আমাদের ১ টি সেকশন পূর্ব দেবপুরে জি আর ৬৯২৫০১ এম/এস এম/১২ অ্যামবুশ করে। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি। আমাদের ১ জন গুরুতর আহত হয়।
ফাইল নং 101/1/GS (Ops)১৯-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৯-১০-৭১

এন আর ১/২০ ২০০৬০০ জি আর ১৭

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

No-সাইট্রেপ ৭১। গোপনীয়। সেফারেন্স সাইট্রেপ ৭০। ১০ পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ৭ জন আহত হয়। সংবাদ নিশ্চিত।
আর/০৭৩৫
মান্নান
২০-১০-৭১

অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এন আর ২/২০ ডি টি জি ২০০৬২৫ জি আর ৫০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৭২। জি আর ৬৩৬৬২৩ এম/এস ৭৯ এম/৮ স্থানে ১৯১০০০ টায় আমাদের বাহিনীর মাইনে রাজাকার আক্রান্ত হয়। তারা ৪ টি এ পি মাইন ২ টি গ্রেনেড রেখে পালিয়ে যায়। আমরা তা উদ্ধার করি। ৩ টি ভারতীয় মাইন ছিল।
আর/০৭৪৫
এন এন চৌধুরী
২০-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২০১৩০০
গোপনীয়
জি ০৫৫৮

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। জি ০৫৫৬ স্থানে ১৯ অক্টোবর আক্রমণে ১০ পাকসেনা ও রাজাকার নিহত ও ৭ জন আহত হয়। জনসাধারণের থেকে খবর পেয়েছি।

ফাইল নং-101/I/GS (Ops) ২০-১০-৭১ 1
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২০-১০-৭১

ও পি এস এন আর ২/২০ ডি টি জি ২০১৬৩০ জি আর ৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫১৬-গোপনীয়। নায়েক সুবেদার হাফিয লে ফারুকের জন্য। ১৬০০ টায় এখানে ক্যাপ্টেন মাক্সিং আসেন। আমাদের বলেন এখানে অপারেশন না চালাতে। তিনি হুমকি দেন যদি পাকসেনারা গুলি চালায় বি এস এফ এর উপরে তাহলে বি এস এফ আমাদের উপর গুলি চালাবে। তারা শুধু রেকি রিপোর্ট চায়। বাকি তথ্য গোপন আছে।

১০১/১/জি এস (ওপিএস)
টি ও আর
১৮৪৫
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২০-১০-৭১

এন আর ৫/২০ ২০১৭০০ জি আর ১৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-বি ১১৮-গোপনীয়। রেফারেন্স জি ০৫৫৭ এর তারিখ। সময় ১৮০৬৩০টা।
টি ও আর
১৯৪০
১০১/১/জি এস (ও)

এন এন চৌধুরী
২০-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২১১৩০০
গোপনীয়
জি ০৫৬০

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ-১৮০৬৩০ টায় ২ প্লাটুন মুক্তিসেনা গুথুমা বি ও পিতে জি আর ৬৫০৬১০ এম/এস ৭৯ এম/৮ ৩ দিন থেকে আক্রমণ করে। ৫০ রাউন্ড মর্টার শেল নিক্ষেপ হয়। আধা ঘণ্টা গুলি চলে। রাজাকারসহ ১০ পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। আমাদের ২ জন গুরুতর আহত হয় যাদের ১ জন বেলনিয়া হাসপাতালে নিহত হয়। জি ০৫৫৮ ২০ অক্টোবর বাতিল।
ফাইল নং-101/1/GS (Ops) ২১-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২১/১০/৭১

ও পি এস এন আর ৪/২১ ২১১৯০০ জি আর ৭৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৭৩। গোপনীয়। আমাদের বাহিনী ১০৩০ টায় আমজাদ নগরে জি আর ৬৩৩৬৫৫ এম/এস ৭৯ এম/৮ আক্রমণ করে। রাজাকারসহ ৫ জন মরে রেল রাস্তায় পরে থাকে। ১ জন আহত হয়ে পালিয়ে যায়। তারা এম এম জি ও ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আক্রমণ করে। আমরা নিরাপদে চলে আসি। হাবিলদার ইমাম অপারেশন চালান।কেত্রাঙ্গাতে দ্বিতীয় অ্যামবুশ হয় জি আর ৬৬৬৫৯৫ এম/এস ৭৯ এম/৮। আমাদের একটি সেকশন আক্রমণ চালায়। শত্রুদের সাথে কোন ইন্টারেকশন হয়নি। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
আর/২৩০০
এন এন চৌধুরী
২১-১০-৭১

এন আর ৫/২১
জি আর ৪৩

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ-৭৪। গোপনীয়। শত্রুরা জি আর ৬৬৪৬৫২ এম/এস ৭৯ এম/৮ স্থানে কাল্ভার্ট উড়িয়ে দেয় ও মাইন পুঁতে রাখে আমজাদনগরে। আমাদের বাহিনী ৫ টি মাইন উদ্ধার করে। সব ভারতীয়। তথ্য আসে পরশুরামে শত্রুদের ট্রেনিং প্রাপ্ত ৭০ জন চর আছে।
আর/২৩২৫
এন এন চৌধুরী
২১-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২২১১৩৫
গোপনীয়
জি ০৫৬৪
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা-মাইন দিয়ে আমাদের একটি সেকশন ১০ জন রাজাকার হত্যা করে জি আর ৬৩৬৬২৩ এম/এস ৭৯ এম/৮ – সময় ১৯১০০০ টা। তারা ৪ টি এ পি মাইন ও ২ টি গ্রেনেড ফেলে যায়। মাইনগুলো ভারতীয়।
ব্রাভো-শত্রুরা আমজাদনগরে জি আর ৬৬৪৬৫২ এম/এস ৭৯ এম/৮ স্থানে কাল্ভার্ট উড়িয়ে দেয় ও মাইন পুঁতে রাখে। আমাদের বাহিনী ৫ টি মাইন উদ্ধার করে। এগুলো সব ভারতীয়। তথ্য আসে পরশুরামে শত্রুদের ট্রেনিং প্রাপ্ত ৭০ জন চর আছে।
ফাইল নং- ১০১/১/জি এস (ওপিএস)২২-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২২/১০/৭১

এন আর ৯৩ জি আর ২৮ ৫৫৯০ ২০-১০-৭১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ সাব সেক্টর ৫
জি / ০০০১

মিজো ও চাকমাদের সাথে রাম সারাবারিতে ১৬ অক্টোবর জি ০৭৫৫৮৪ এম/এস ৭৯ এম/১৬ আক্রমণে ৯ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়।

টি ও আর / ডব্লিউ টি / ০৮৩৬/ ২০
০৯০০/১৯

স্বাক্ষরিত
২২/১০/৭১

এন আর ১/২২ ২২১৭০০ জি আর ২০০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১১০৮। গোপনীয়। সাইট্রেপ ৩৩। মৃধার বাজারে এস কিউ ৬৯৪৫ ম্যাপ ৭৯ এম/১২ ১০০০ টায় ২১ অক্টোবর এম্বুশ করে। রিকশায় করে সাধারণ পোশাকে একজন অফিসার আসছিলেন তার বাহিনীর সাথে দেখা করার জন্য। সেখানে অ্যামবুশ করা হয়। স্মল সি এম এম অটো ও ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। দক্ষিণ জশপুরে এস কিউ ৭০৪৫ অন্য একটি অ্যামবুশ দল এদের সাথে যোগ দেয়। ছাগলনাইয়া থেকে আসা শত্রুদের অ্যামবুশ করা হয়। একজন অফিসার ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর ৫ জন সেনা নিহত হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ জশপুরে ৭ জন নিহত হয়। জনসাধারণ অনেক সাহায্য করেন। তারা গরুর গাড়ীতে শত্রুদের লাশ নিয়ে আসে। অপারেশনে স্থানীয় জনগণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

আর/১৯১৫
এন এন চৌধুরী
২২-১০-৭১

এন আর ৯০ জি আর ২০ ৫৫৯১ ২০-১০-৭১

প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ সাব-সেক্টর ৫

১৯ অক্টোবর জি ০০০১ ১ জন সিভিলিয়ান নিহত ও ৩ জন আহত হয়। আহতরা হাসপাতালে আছে।

টি ও আর /০৮৪২/২০
১০০০/১৯

স্বাক্ষরিত
২২/১০/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
জরুরী
দি টি জি ২২১৪৩০
জি ০৫৬৭
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। ২১ অক্টোবর ১১০০ টায় ৮ জনের দল বর্ব ফানুয়া জি আর ৮৫২৩২৩ এম//এস ৭৯ এন/৯ অ্যামবুশ করে। শত্রুরা আসলে আক্রমণ হয়। ১ পাক আর্মি অফিসার ও ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১০০ রাউন্ড পি ও এফসহ ৪ টি এল এম জি উদ্ধার হয়। আমাদের হতাহত নাই।

স্বাক্ষরিত
২২/১০/৭১

এন আর ১/২২ ২২১০০ জি আর ৮২

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫০ সেক্টর। তারিখ জি ০৫৬২ জি আর নং ৮৫২৩২৩ এম/এস ৭৯ এন/৯-স্থান-বড় পানুয়া। আমাদের বাহিনীর তথ্য মতে শত্রুদের ৮ জন হতাহয় যার মধ্যে ১ জন ক্যাপ্টেন আছে। সিপিএল ভাই নিশ্চিত করেন যে রাজাকারসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। এল এম জি এম এম জি ৮ টি সি এম এম রাইফেলসহ ২০০ রাউন্ড গুলি ও সিভিল জুতা আটক করা হয়।

টি ও আর
১১৫৫
আব্দুল মানান
২২-১০-৭১
******************

এন আর ৩/২২ ২২২০০০ জি আর ৩৩

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫০৬। গোপনীয়। সাইট্রেপ। ১৫ জনের একটি সেকশন আন্ধারমানিক ও নালুয়ার মাঝের রাস্তায় অ্যামবুশ করে জি আর ৮৬৩৫ সি এম এম এম এস ৭৯-সময় ২২০৪০০ থেকে ২২১২০০ টা। তারা ২২১৩৩০ টায় ফিরে আসে।
টি ও আর / ২০৪৫
২২-১০-৭১
এন এন চৌধুরী

এন আর ২/২২ ও পি এস ২২১১৩০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

সাইট্রেপ ৭৫। গোপনীয়। আমজাদহাট থেকে চাঁদ গাজির মাঝে ২ রিকশায় পাকসেনারা যাবার সময় ২১১২৩০ টায় জি আর ৬৮৫ ৪৮৫ এম এস ৭৯ এম/১২ আমাদের বাহিনী অ্যামবুশ করে। ৩ পাকসেনা নিহত হয়। আমরা নিরাপদে ফিরে আসি। আমজাদহাটে আলাউদ্দিন নামে এক রাজাকার নিহত হয়।

টি ও আর /২২১০
আব্দুল মান্নান
২২-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
জরুরী
ডি টি জি ২৩১৮০০
জি ০৫৬৯
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ। আমজাদহাট থেকে চাঁদ গাজির মাঝে ২ রিকশায় পাকসেনারা যাবার সময় ২১১২৩০ টায় জি আর ৬৮৫ ৪৮৫ এম এস ৭৯ এম/১২ আমাদের বাহিনী অ্যামবুশ করে। ৩ পাকসেনা নিহত হয়।
১০১/১/জি এস
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৩/১০/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২৬১৩৩০
গোপনীয়
জি ০৫৭৪
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার

সাইট্রেপ আলফা—নং-১৭। ২১ অক্টোবর ২৩৩০ টায় রাজাকার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভারতে প্রবেশ করে সমরগঞ্জ নালুয়া কাল্ভার্ট সামান্য উড়িয়ে দেয় এস কিউ ৭৩৪৪ এম/এস ৭৯ এম/১২। পরের দিন সে ঘটনাস্থল দেখতে আসে এবং ধরা পরে যায়।

বতাভো-২৩ অক্টোবর ১ রাজাকার আত্মসমর্পন করে।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস)২৬-১০-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৬/১০/৭১

এন আর ৩/২৬ ডি টি জি ২৬৩৮০৫ জি আর ৩৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১১১২। সাইট্রেপ ৩৫। নং ৪১৬৯৭৮। ২৩ অক্টোবর রাজাকার মজিবুল হোক ফেনীতে আত্মসমর্পন করে। সে এখন আমার কাস্টডিতে আছে।রাজাকারদের জন্য একটি পি এলগঠনের চেষ্টা করছি যেহেতু আপনি ট্রেইন্ড বাহিনী তেমন তৈরি করতে পারছেন না।

টি ও আর
৯৪৫

এন এন চৌধুরী
২৬-১০-৭১

এন আর ২/২৭ ডি টি ও ২৭২০০০ জী আর ৭২

হইতেঃ সাব-সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-সাইট্রেপ। গোপনীয়। গুথুমা বি ও পিতে জি আর ৬৫৫৬০৭ এম/এস ৭৯ এম/৮ এস কিউ ২৭৪৪৩১ আমাদের বাহিনী অ্যামবুশ করে। ২ প্লাটুন সেন্ট্রি বাঙ্কারে আক্রমণ করা হয় এল এম জি দিয়ে প্রায় ২৫৪ গজ দূর থেকে। ১ জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে। একটি রেকি পেট্রোল হরিপুরে জি আর ৬৯৫৫৭৫ এম/এস ৭৯ এম/১২ ২৭০৯০০ টায় ৫ রাজাকারের একটি গ্রুপে আক্রমণ করে ১ জন হত্যা করে। তারা বর্ডারে সাধারণ জনগণকে হেনস্থা করতে এসেছিল।
টি ও আর /২১৫০

বিসমিল্লাহ
২৭-১০-৭১

জি আর পি হাবিবুর রাহমান
নং :-৮১৩
রাইফেল ১ টি-নং 7808
বুলেট-৫৫ টি
ড্রেস-১ টি
শার্ট বেল্ট-১
বেল প্ল্যাট-১ টি
ক্যাপ-১ টি
ই পি আর পি ১ টি
ক্যাপ বেইজ ১ টি

জাফর আহমেদের কাছ থেকে জি আর পি নং ৮১৩ উপরোক্ত সামগ্রীগুলো মো আবুল হুসেইন (প্লাটুন কমান্ডার জি-২) এবং জাফর আহমেদ নিয়ে যান।

জাফর আহমেদ
জি ইউ ২
২৮/১০/৭১

*********************

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২৮০৯১০
গোপনীয়
জি-০৫৭৬
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
সাইট্রেপ। ২৭০৯০০ টায় আমাদের বাহিনী গুথুমায় অ্যামবুশ করে জি আর ৬৫৫৬০৭ এম/এস ৭৯ এম/৮। বাঙ্কার থেকে ২ জন শত্রু সেন্ট্রি বেড় হয়ে আসে। ২৫৮ গজ থেকে আমাদের এল এম জি থেকে আক্রমণ করা হয়। ১ জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে। একটি রেকি পেট্রোল হরিপুরে জি আর ৬৯৫৫৭৫ এম/এস ৭৯ এম/১২ ২৭০৯০০ টায় ৫ রাজাকারের একটি গ্রুপে আক্রমণ করে ১ জন হত্যা করে। তারা বর্ডারে সাধারণ জনগণকে হেনস্থা করতে এসেছিল।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) ২৮-১০-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২৮/১০/৭১
*********

জেড এন আর ১৬২
জি আর ৪০
৫৬২৪
৩০-১০-৭১

প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
ইনফো-মির্জা মন্সুর এস বি এম পি এ (হরিনা)
এফ এম রামগড় গ্রুপ

গেরিলা অপারেশনে ২৯/১০/৭১-একজন পাক স্পাই আটক করে জালায়া বি এস এফ ক্যাম্পে দেয়া হয়। ২৩-১০-৭১ তারিখ। গুঁটিতে পাকসেনাদের একটি ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পে আক্রমণ করা হয়। ২ জন রাজাকার নিহত ও ২০ টি গরু আটক হয়। একটি সাইকেল, ঈ ৩০৩ এল জি ক্যাট্রেজ আটক হয়।

টি ও আর / ডব্লিউ আই
০৮৩৫/৩০
১৭০০/২৯
স্বাক্ষরিত
৩০-১০-৭১

এন আর ২/০৫ ০৫১৪৩০/ এন ও এন
জি আর – ৭৬

গোপনীয়
হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
নং G-0509 গোপনীয়। সাইট্রেপ

১। আন্ধারমানিক বি ও পি জি আর ৮৫১৩৫৯ এম/এস ৭৮ এন/৯
২। ০৫০৩০০
৩। ১১
৪। আমাদের দল বি ও পিতে আক্রমণ করে ৩০ মিনিট প্রায়
৫। জানা নাই
৬। শূন্য
৭। শত্রুদের নাকানি চুবানি খাওয়ানো হয় সারা রাত। পরে তারা চলে যায়।
৮। আর লাঞ্চার আর ২ ইঞ্চি মর্টার মিস ফায়ার করা হয়
৯। 762 এমও ২৩৩ উদ্ধার
১০। ৩০৩ বল ৮৪ টি
১১। ঈ ইঞ্চি মর্টার এইচ ঈ ৩
১২। রকেট ৭৩ এম এম ২

টি ও আর ১৫৫৫/০৫

স্বাক্ষরিত
০৯-১১-৭১
*****
ম্যাসেজ ফর্ম
জরুরী
ডি টি জি
গোপনীয়
০৬১২২০
জি – ০৫৯২
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইট্রেপ আলফা-৫ নভেম্বর ০৩০০ টায় একটি সেকশন আন্ধারমানিক বি ও পিতে জি আর ৮৫১৩৫৯ এম/এস ৭৮ এন/৯ আক্রমণ করে। ৩০ মিনিট গুলি চলে। শত্রুদের হতাহয় জানা যায়নি। আমাদের বাহিনী নিরাপরে ফিরে আসে।
ব্রাভো-আমাদের রাইফেল ও ২ ইঞ্চি মর্টার মিস ফায়ার করা হয়।
চার্লি-অস্ত্র খরচ-762 ১ টি ২৩৩, ৩০৩-৮৪ টি, ২ ইঞ্চি মর্টার ৩ টি, রকেট ৭৩ মি মি ২ টি।

স্বাক্ষরিত
০৭-১০-৭১
******
এন আর ১/ ০৭ ০৭১০০০ জি আর – ৮৪

গোপনীয়
হইতেঃ ডি সেক্টর
প্রতিঃ সাব সেক্টর ২-৩-৪
নং-০-২০৬৭-গোপনীয়-সাইট্রেপ। মুক্তিবাহিনী ও সেক্টর ট্রুপ্স অস্ত্র উদ্ধার করার পরে বাংলাদেশের ভেতরে রিপোর্ট করতে হবে। সেক্টরের অস্ত্র প্রয়োজনে হেড কোয়ার্টারে দিতে হবে।
এন এন চৌধুরী
২২-১০-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
০৭১১৪০
গোপনীয়
জি ০৭৫১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

ছাগলনাইয়া সে এম এম রেজুমিয়ার পুরো এলাকা আমাদের বাহিনীর দখলে। ছাগলনাইয়াতে একটি পি আর সি ১০ ওয়ারলেস সেট জব্দ হয়।
ফাইল নং- ১০১/১/জি এস (ও পি এস) ৭-১২-৭১

স্বাক্ষরিত
এফ অফিসার
৭-১২-৭১

সাব সেক্টর ১
বি ডি এফ / ১০০১/ এস এস ১
৪ নভেম্বর ৭১

প্রতিঃহেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
বিষয়-রাজাকার

১। মধু মিয়া পিতা-মৃত সালিমুদ্দিন গ্রাম-বাওর পাঠার পোস্ট থানা-পরশুরাম জেলা নোয়াখালী-কে আটক করে পাঠানো হল। তাকে ২৭ অক্টোবর ০৬০০ টায় আটক করা হয়। সে একজন গুপ্তচর। তার বসা রাজাকারের ঘাঁটি। সে অত্যান্ত দুর্ধর্ষ রাজাকার।

১০১/১/জি এস (ওপিএস) (ইন)
৪-১১-৭১
স্বাক্ষর
৪/১১/৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
০৯১২১০
গোপনীয়
জি – ০৫৯৯

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ ডেলটা সেক্টর
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

মধু মিয়া পিতা-মৃত সালিমুদ্দিন গ্রাম-বাওর পাঠার পোস্ট থানা-পরশুরাম জেলা নোয়াখালী-কে আটক করে পাঠানো হল। পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য পাঠানো হল-
ফাইল নং ১০১/১/জিএস(ওপিএস)(আউট)তারিখ ৯-১১-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৯/১১/৭১

ও পি এস ২/১১ ১১১৭১৫ জি আর ০৪৭

হইতে-ডি সেক্টর
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-১-১০৩২। গোপনীয়। জি-০৫৯৯ নভেম্বর ০৯। রাজাকারের অবস্থান নির্নিত। আপনার এলাকায় যদি থাকে জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করুন।
আর – ২১৪৫
এন এন চৌধুরী
১১-১১-৭১

প্রতিঃ কমান্ডিং অফিসার
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

জনাব
সবিনয় নিবেদন এই যে, নিম্ন লিখিত দুই জন পাকিস্তানী রাজাকার চলটি মাসের ৩ তারিখ আমাদের এলাকা গ্রাম-ভোমখালি ডাকঘর-কদম আলি থানা-মীর সরাই স্বেচ্ছায় আমদের (গ্রুপ ৫৯) কাছে আত্মসমর্পন করেছেন। আত্মসমর্পন কালে তাদের কাছে ছিল ২ টা রাইফেল নং-১৫৭৩৮ এবং নং-৪১৯৪ ও ৮০ টি বুলেট। রাইফেল গুলি এখন আমাদের (গ্রুপ ৫৯) এর কমান্ডের কাছে আছে। রাইফেল সঙ্গে আনা নিরাপদ নয় তাই আনি নাই। উক্ত রাজাকাররা ৩ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে মীর সরাই থানায় নিয়মিতভাবে কাজ করে আসছে। তাদের কাজ সন্তোষ জনক ছিল। তাদের কার্য কলাপে মনে হয় তারা সর্বান্তকরনে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাবে। সুতরাং আশা করি মহাশয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করিয়া বাধিত করিবেন।

১। আবুল কালাম-পিং-জান মিয়া গ্রাম-মহাদেব পুর ডাকঘর-সীতাকুন্ডু, জিলা-চট্টগ্রাম
২। নুর আহাম্মদ, পিং-আলি আহাম্মদ, ঠিকানা-ঐ

শাহ আলম
গ্রুপ নং-৫৯

এন আর ২/১১
১১১২৩০
জি আর – ৯৯
হইতেঃ সাব-সেক্টর সি
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০৫১৫। গোপনীয়। সাইট্রেপ। এ জি আর ৮৬২৪ আর জি আর কারার হাট রোড এম/ এস ৭৯ এন/৯ বি ০৮১৭০০ টায় ৩ টি দল অ্যামবুশ করে। তারা শত্রুদের ওপর ২০ গজ থেকে আক্রমণ করে। ৪ জন নিহত হয়। আহত-নাই। তারাও আমাদের উপর গুলি করে কিন্তু গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় পিছু হটে। আমাদের ৪ টির মধ্যে ৩ টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়নি বলে আমাদের অ্যামবুশ পুরো সফল হয়নি। খরচ অস্র হল-৯ মিমি ৪৬ টি, 762 ৬৫ টি, গ্রেনেড ৪ টি।
টি ও আর
১৪০০

বিসমিল্লাহ
১১-১১-৭১

এন আর ৪/১১
জি আর ১২০
১১১৩০০

হইতে-সাব-সেক্টর সি
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০৫১৩, গোপনীয়। আন্ধার মানিক বি ও পি থেকে ১৫০ গজ দুরে জি আর ৮৫১৩৫৯ এম/৭৯ এন/৯, ১১০৫৪০ টায় ২৭ বি ও পিতে ৩ দিন থেকে আক্রমণ করা হয়। তাড়া তখন সকালে বিশ্রাম নিচ্ছিল। ১০ জন নিহত হয়। আহত জানা যায়নি। শীতের সকালে কিছু শত্রু বাঙ্কারের বাইরে রোদ পোহাচ্ছিল। বাকিরা বিশ্রাম নিচ্ছিল। আমরা গুলি করি। ২ টি বাঙ্কারে মেশিনগান ফিট করা ছিল। আমরা সরাসরি সেগুলোতে আঘাত করি। ফলে ওইসব বাঙ্কার থেকে গুলি করতে পারেনি। দিনের আলোতেই হতাহত দেখা যাচ্ছিল। আমাদের ২ ইঞ্চি মর্টার আর রাইফেল কাজ না করায় আমরা ফিরে আসি। গোলাবারুদ খরচের হিসাব-৩০৩ এর ৫৮ টি, ৭৬২ এর ২৫১ টি।
আর/১৭১৫
মান্নান চৌধুরী
১১-১১-৭১

এন আর ৩/১১
১১১৩০০
জি আর ৭৯

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫১২, গোপনীয়। সাইট্রেপ। বাগান বাজার বি ও পি এস কিউ ৮৯৩৫ এম/এস ৭৯/৯ এ ১৫৪ গজ দূর থেকে আক্রমণ করা হয়। ১০২৩০০ টায়। আমাদের বাহিনী সরাসরি বাঙ্কারে আক্রমণ করে। কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়। শত্রুদের হতাহত জানা যায়নি। শত্রুরা ভয় পেয়ে যায়। তারা সারা রাত এলোমেলো গুলি চালাতে থাকে। যেহেতু শত্রুরা এম জি ও এল এম জি দিয়ে দুই দিক থেকেই গুলি করছিল তাই আমাদের বাহিনীর বর্ডার পার হতে হয়। এল ৩০৩-১৪৬ টি, ৭.৬২ ২২৯ টি খরচ হয়।
টি ও আর / ১৫০০

এন এন চৌধুরী
১১-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১১১৬৪০
গোপনীয়
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ ডেল্টা সেক্টর
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
কো ১ সেক্টর (সাব সেক্টর (এ)

সাইট্রেপ আলফা–০৮১৭০০ টায় আমাদের দল ৩ টি অ্যামবুশ করে রামগড় কারেরহাট রোডে-এস কিউ ৮৬২৪ এম/এস ৭৯ এন/৯। ২০ গজ থেকে গুলি চলে। ৪ শত্রু নিহত হয়। আমাদের সবাই নিরাপদ আছে। অস্ত্র খরচ-762 ৬৫ টি, ৬ মি মি ৪৬ টি, গ্রেনেড ৪ টি (৩ টি বিস্ফোরিত হয়নি)
ব্রাভো-১০ নভেম্বর ২৩০০ টায় ৯ জনের সি এম এম পার্টি বাগান বাজার বি ও পিতে এস কিউ ৮৯৩৫ এম/এস ৭৯ এন/৯ আক্রমণ করে। ১৫৪ গজ দূর থেকে বাঙ্কারে আক্রমণ চালায়। কিছুক্ষণ পরে আমাদের বাহিনী ফিরে আসে। অস্ত্র খরচ-৩০৩-১৪৬ টি, 762 ২২৯ টি।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) (আউট)তারিখ ১১-১১-৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১১-১১-৭১
****

ম্যাসেজ ফর্ম
গোপনীয়
ডি টি জি ১১০৭৪৫
জি ০৬০৪
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
কো ১ সেক্টর

সাইট্রেপ। ১১০৫৪০ টায় আমাদের ২৭ জনের দল আন্ধারমানিক বি ও পি গ্রুপ ৮৫১ ৩৫৯ এম/এস এম/৭৯ তিন দিক থেকে আক্রমণ করে। শত্রুরা সকালে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তাদের ১২ জন নিহত হয়। ২ জন মেশিনগান ম্যান ছিল তার মধ্যে। আমাদের কেউ আহত হয়নি। আমাদের ২ ইঞ্চি মর্টার আর রাইফেল কাজ করেনি। অস্ত্র খরচ-৩০৩-৫৮ টি, 762-২৫১ টি।

১০১/১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১১-১১-৭১
ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১১০৯২০
গোপনীয়
জি ০৬০১
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ ডেলটা সেক্টর
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইট্রেপ। ৩ নভেম্বর ২ রাজাকার আবুল কালাম ও নুর আহমেদ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে। তারা বাংলাদেশের ভেতরে আটক আছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তি পদক্ষেপ নিন।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) (আউট)তারিখ ১১-১১-৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১১-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১১২১৯৪৫
গোপনীয়
জি – ০৬০৫
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ ডেলটা সেক্টর
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
কো ১ সেক্টর (সাব সেক্টর ১ )

সাইট্রেপ। ০৭ নভেম্বর ৪ রাজাকার-নুরুজ্জামান সি এম এম আবুল খাঁয়ের সি এম এম মাফিজুর রহমান ও ইয়ার আহমেদ আটক। তারা হেড কোয়ার্টারে বন্দি আছে।

ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) (আউট)তারিখ ১২-১১-৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন
১২-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১২১১৯৪৫
গোপনীয়
জি ০৬০৬
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ ডেলটা সেক্টর
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
কো ১ সেক্টর (সাব সেক্টর ১)

সাইট্রেপ আলফা-১২০৭০০ টায় আমাদের ১৬ জন চাম্লাশিয়া এলাকায় এস কিউ ৭৯৩২ এম/এস ৭৯ এন/৯ অ্যামবুশ করে। ১২১০০০ টায় শত্রুদের পেট্রোলে আক্রমণ করে। তাদের ১৬ জন ছিল। ৭ জন নিহত ও ১ জন আহত হয়। আমাদের বাহিনী নিরাপদে ফিরে আসে।
ব্রাভো-আমাদের বাহিনী যাকে আটক করে সে পথে মারা যায়। লাশ এই হেড কোয়ার্টারে আনা হয়। ডিস্পোজ করা হয়। ১ টি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার হয়। ২ টি ৩০৩ এল এম জি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়।
চার্লি-অস্ত্র খরচ-৩০৩ বল ৩০০ সি এম এম, 762 ১০০০ সি এম এম ২ ইঞ্চি মর্টার ৬ টি গ্রেনেড ৪ টি।
ফাইল নং ১০১/১/জি এস (ওপিএস) (আউট)তারিখ ১২-১১-৭১
স্বাক্ষর
ক্যাপ্টেন, ১২ নভেম্বর ৭১

গোপনীয়
সাব সেক্টর
বিডিএফ/১০০১/এসএস ১
তারিখঃ ৮ নভেম্বর ৭১

প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
বিষয়-রাজাকার
১। ৭/১১/৭১ তারিখে নিম্ন লিখিত রাজাকারদের আটক করা হয়।
ক। নুরুজ্জামান, পিতা-মন্তাজ মিয়া, গ্রাম-চড় সাবিত্রী, পোস্ট-কাজীর হাট, সোনাগাযি, নোয়াখালী।
খ। আবুল খাইয়ের, পিতা-নুর মিয়া, গ্রাম-চড় সাবিত্রী, পোস্ট কাজীর লালা, সোনাগাজি, নোয়াখালী
গ। মফিজুর রহমান, পিতা-সেখ আহমেদ, গ্রাম-চড় সাবিত্রী, পোস্ট কাজীর লালা, সোনাগাজি, নোয়াখালী

তাদের পরবর্তি ব্যাবস্থার জন্য পাঠানো হল।
স্বাক্ষর
কমান্ডার সাব সেক্টর-১
৮ নভেম্বর ৭১

সাব সেক্টর ১
নং – বি ডি এফ / ১০০১/এস এস ১
১২ নভেম্বর ৭১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বিষয়ঃ রাজাকার

১। ৭/১১/৭১ তারিখে নিম্ন লিখিত রাজাকারদের আটক করা হয়।
ইয়ার আহমেদ, পিতা মরহুম জেনু মিয়া মজুমদার, গ্রাম-অনন্তপুর, পোস্ট-পরশুরাম, নোয়াখালী।

স্বাক্ষর
কমান্ডার সাব সেক্টর-১, ১২ নভেম্বর ৭১

জরুরী
এন আর ১/১২
ডি টি জি
১২১৪০০
জি আর – ২০
স্বাক্ষর
১২ নভেম্বর ৭১

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫১৫। অত্যন্ত গোপনীয়। শত্রুদের একটি লাশ আনা হয়েছে। আধাঘণ্টার মধ্যে টি পি টি পাঠান। বিস্তারিত জানানো হবে।
টি ও আর
১৫৪০
সাব সেক্টর সি
বাংলাদেশ ফোর্স
১০১/১/জি এস / ও পি এস /৪/সি এস এস
১২-১১-৭১

প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
বিষয়ঃ অবস্থা প্রতিবেদন
আমাদের সিগনাল নং – জি ০৫১৫ তারিখ ১২-১১-৭১

আমাদের হারবাতালি প্লাটুন চাম্লাশিয়াতে এম্বুশ করে (বিশ্বতাল্লা) এলাকায়। জি আর ৭৯৩২ এস কিউ ৭৯৩২ এম/এস এন/৯ ১২০৭০০ টায়। ১২১০০ টায় শত্রুদের পেট্রোল পার্টি আসে। ১৬ জন শত্রুসেনা ছিল। তারা গুলো করে তাদের সবাইকে হত্যা করে। আমাদের অ্যামবুশ দলের সংখ্যা ছিল ১৬ জন।

তারা ১ টি লাশ উদ্ধার করে। একজন অফিসার (মুজাহিদ), ১ টি ৩০৩ রাইফেল, ২ টি ৩০৩ এল এম জি ম্যাগাজিন, ১ টি হ্যাভারস্টিক, ৭৭ টি পি ও এফ ৩০৩ রাউন্ড ও ওয়েস্ট বেল্ট।

লাশসহ অন্যন্য জিনিস এর সাথে পাঠানো হল।

এই ঘটনার কৃতিত্ব পাবেন ২২৮৫ const রফিকুল ইসলাম ও ৩৯৪১৬৪০ সিপাহি সাহেব ৩৯৩৪৮১৯ সেপাই সায়েদুল হোক-বিশেষ করে ৭০৩৮৭৭৯ ctn হাবিবুর রহমান, ৩৯৩২০৭৯ ল্যান্স নায়েক মজিবুল হোক ও ২২৪২ const শামসুল হোক। তাই তাদের পুরষ্কার ও প্রোমোশনের সুপারিশ করা হল।

আমাদের দলের অস্ত্র খরচ-৩০৩ বল ৩০০ টি 7.৬২, ১০০০ টি গ্রেনেড ৩৬ টি। গ্রেনেড ৩৬ টি , ৪.২ ইঞ্চি মর্টার এইচ ই – ৬ টি।

স্বাক্ষর
১২ নভেম্বর ৭১
(ফজলুর রহমান )

ও পি এস এন আর ১/২১ ২১০০০ গি আর ২৪৬

হইতেঃ সাব-সেক্টর ৩
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫১৭। গোপনীয়। নায়েক সুবেদার হাফিজ লে ফারুক। আত্মসমর্পনকারী শত্রু মুজাহিদ ২ জন বাঙ্গালী মুজাহিদ যারা আগে বাগান বাজার বি ও পিতে আত্মসমর্পন করেছিল বি এস এফ এর কাছে-এদের সবাইকে এখানে নিয়ে আসা হল পাহারায়। তাদের সাথে কোন ডকুমেন্ট বা অস্ত্র নেই। তাদের পরবর্তি ব্যাবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হল।

আর-১১৪০
মিজান
স্বাক্ষর
২১ নভেম্বর ৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ও পি এস ডি টি জি ২০২০০০
গোপনীয়
জি ০৭১১
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর সি

রেফারেন্স-জি ০৫৮১৬, ২০ নভেম্বর। এখন কোন অপারেশনে যাবেন না। টাইগারের সাথে আলাপ করে পরবর্তি পদক্ষেপ জানানো হবে।

ফাইল নং ১০০/১/জি এস (০)

স্বাক্ষর
২০ নভেম্বর ৭১

গোপনীয়
ও পি এস
জি –
হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
হইতে-সাব-সেক্টর সি

জি ০৫১৭-২১ নভেম্বর। পাহারায় আত্মসমর্পনকারী মুজাহিদদের এই হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হল।
স্বাক্ষর
২২ নভেম্বর ৭১

ও পি এস
এন আর ১/২২
২২০৮৪৫
জি আর – ৮৫

হইতেঃ সাব-সেক্টর বি
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১১৪৫, গোপনীয়, সাইট্রেপ ৩৬। ১৮ ও ২০ নভেম্বর ক/তিল্লা শত্রুরা আমাদের অবস্থানে শেলিং করে। আমাদের হতাহত নাই। আমাদের বাহিনী ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে জবাব দেয়। ১৮ নভেম্বর ২ জন পাকসেনা নিহত হয়েছে নিশ্চিত করা হয়। জয়চাদ পুর ও জয়পুরের মাঝখানে সুভাপুরে শত্রুরা সমবেত হচ্ছে। সেখানে প্রায় ২০০ পাকসেনা / রাজাকার আছে। এক প্লাটুন সেনা নিয়ে একজন ক্যাপ্টেন সুভাপুর আছেন। অস্ত্র খরচ-৩ ইঞ্চি মর্টার এইচ ী ৫৩ টি, ৩ ইঞ্চি স্মোক ১২ টি, ৩০৩ বল ৮ টি, 762 এম এম ৫০০ টি, ৯ মি মি ৩০ টি।
আর/৯০১০
মান্নান
স্বাক্ষর
২২ নভেম্বর ৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
প্রাইমারী
ডি টি জি
২৩১৭৩০
গোপনীয়
জি-০৭১০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ সাব-সেক্টর এ

সাইট্রেপ ৭৮। ম্যাপ, তারিখ, স্থান ও মাইন বিস্ফোরণের বিবরণ নেই। বিস্তারির দ্রুত জানান। অসমাপ্ত প্রতিবেদনে অযাচিত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আটক কৃৎ সম্পদ অতি সত্বর হেড কোয়ার্টারে পাঠানোর অনুরধ করা হল।
ফাইল নং ১০১/১/জিএস(ওপিএস)তারিখ – ২৩-১১-৭১
স্বাক্ষর
এফ অফিসার
২৩ নভেম্বর ৭১

ও পি এস
এন আর ২/২৩
ডি টি জি
২৩১৫৪০
জি – ৬০
হইতে-সাব-সেক্টর এ
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইত্রেপ ৭৮। গোপনীয়। ৬ ও ১৪ নম্বর কুমু দুইটি কোম্পানি বাংলাদেশের ভেতরে কাজ করছে। ১০ জন পাকসেনা আটক করা হয়েছে। ২২/২৩ জন আহত। কিছু রাজাকার আটক হয়েছে। শত্রুরা ফুল্গাজি ও মুন্সিরহাটে পিছু হটেছে। শত্রুরা রিয়াশামুখ বি এস এফ ক্যাম্পে শেলিং করেছে কিন্তু কোন হতাহত হয়নি। আমাদের ২ জন মুক্তিসেনা মাইনে আহত হয়েছে। তাদের একজন নায়েক সুবেদার এরশাদুল্লাহ যার একটি পা উড়ে গেছে।
টি ও আর
১৬০০
এন এন চৌধুরী
২৩-১১-৭১

গোপনীয়

সাব সেক্টর ই
বি ডি এফ
১১০/১/জি এস (ও পি এস)
২১ নভেম্বর ৭১

প্রতিঃ (অস্পষ্ট)
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বিষয়-আটককৃত রাজাকার ও গোলাবারুদ

১। ১৩ জন রাজাকার স্বেচ্ছায় সেক্টর কমান্ডার ৩৯৩০৪৬৮ হাবিলদার বদিউল আলমের কাছে এবং পি আই কমান্ড নায়েক সুবেদার খাইরুযযমানাএর কাছে ২১-১১-৭১ ১৫০০ টায় তবলছরিতে আত্মসমর্পন করে।
নং – র্যাং ক – নাম – যোগদান
১। ৩৯৩৪৬৮ – হাবিলদার বদিউল আলম – সেকেন্ড কমান্ড
২। ৪৫- Mjd আব্দুল করিম
৩। ৬৮ – Mjd অনিল কান্তি
৪। ৪৮ – Mjd মোহাম্মদ মুস্তাফা
৫। ৫২ – Mjd কবির আহমেদ
৬। ৭৩ – Mjd তাজুল ইসলাম

২। আটক করা রাজাকার ও অস্ত্র পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য আপনার কাছে জমা দেয়া হল। তাদের বিস্তারিত নিচে দেয়া হল।

সিরিয়াল – নাম ও পিতার নাম-অস্ত্রের ধরণ-নং

1 আলি আকবর, পিতা-নানা মিয়া-Rifle No 4 MK-II 197 C45692
2 মমতাজ মিয়া, পিতা-জহির আহমেদ-93 C22221
3 আবুল কাসেম, পিতা-আব্দুল জ্বলিল-ঐ-105 C21695
4 আব্দুল রশিদ, পিতা-আশরাফ আলি-ঐ-273 5C1426
5 আব্দুল লতিফ-পিতা-নাজু মিয়া-ঐ-88 C27793
6 আমীর হোসেন, পিতা-ইউনুস সুকান্ত-168 C58370
7 আহমেদ সাফা, পিতা-নাসিম আলি Rifle No 4 Mk I 63 320738
8 মোক্তার আহমেদ, পিতা-এম ডি হোসেন ঐ-82 B30402
9 এম ডি হোসেন, পিতা-আলি হোসেন, Rifle No 4 MK II 92 C23045
10 আব্দুল কাদির, পিতা-আব্দুল জব্বার Rifle No 4 MK I 493 92-1124
11 খলিলুর রহমান, পিতা-নওয়াব আলি, ঐ-do 79 B20032
12 সাইদ আহমেদ, পিতা-হায়দার আলি, Rifle No 4 MK 11 38 CI 5664
13 এম ডি হোসেন, পিতা-ফজর আলি, ঐ-72 C27090

স্বাক্ষরিত
২১/১১/৭১
এস/এস কমান্ডার
সুবেদার সিরাজুল হক

গোপনীয়
হেড কোয়ার্তার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্স
No 101/1/10/GS (Ops)
২৩ নভেম্বর ৭১

প্রতিঃসার্জেন্ট যহুরুল হক
যুব ক্যাম্প শ্রীনগর

বিষয়-রাজাকার আটক
৯ নভেম্বর ১৭ রেফারেন্স

যিনি রাজাকার হাবিবুর রহমানকে পাহারা দিয়ে এনেছেন তাকে অতি শীঘ্রই অফিসে যোগাযোগ করতে বলা যাচ্ছে। দরকারি পাস নিয়ে তিনি অতি দ্রুত হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করুন।

মজিদ
স্বাক্ষরিত
এফ ও

২৩-১১-৭১
(শাখাওয়াত হক)

৪/২২
২২২২৩৩
জি আর- ৬০
হইতেঃ সাব-সেক্টর এ
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-বি ২১১, গোপনীয়। জি ০৭১৫। এন এস এ ও এন এস কিউ ১৪৩০ টায় ত্যাগ করে। ২ টি কয় ৪ ভাগ করা হয়। কুমু রেজিমেন্টে ও ২ ঝাট ব্যাটালিয়ন কয় নামে ভাগ হয়। শত্রু অবস্থান আগের মতই আছে।

টি ও আর
০১৫০
মান্নান
মান্নান
স্বাক্ষর
২৩ নভেম্বর ৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২৩১৩৪০
গোপনীয়
জি ০৭১৯

হইতে-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতে-সাব-সেক্টর এ

বি-২১১ ২৩ নভেম্বর ঘোর আপত্তিকর। এটা নিরাপত্তার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে সাবধান হন।
ফাইল নং- ১০১/১/জি এস (ও পি এস ) ২৩-১১-৭১

স্বাক্ষর
অফিসার
২৩/১১/৭১

এন আর ২/২৪
ডি টি ও
২৪১৮০০
জি আর ৪৪

হইতে-সাব-সেক্টর ২
হইতে প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-এ-১১৫০। সাইট্রেপ ৩৭। ২৩১০৩০ টায় চম্পক নগর বি ও পিতে আমাদের বাহিনী এম্বুশ করে। ২ পাকসেনা নিহত হবার খবর নিশ্চিত করা গেছে। ৩ জন আহত। আমাদের কোন হতাহত নাই। অস্ত্র খরচ-৩০৩ বল ১০০ টি, 762 এস এল আর ২০ টি।
টি ও আর
২০৪০

এফ করিম
২৪-১১-৭১

পি এন আর ৩/২৪ ডি টি ও জি আর ৩৩
২৪২১৩০

হইতে-সাব-সেক্টর এ
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-বি ২১৫ গোপনীয়। শত্রুরা ফুলহাজি সি এম এম মুন্সিরহাট সি এম এম চাঁদ গাজি সি এম এম থেকে সরে গিয়ে ফেনী চলে গেছে। অনেক গোলাবারুদ উদ্ধার। ১৮১ ব্রিগেড কমান্ডার অতি সত্ত্বর দেখা করতে বলেছেন।

টি ও আর
২২৩৮
স্বাক্ষর
২৪-১১-৭১

ও পি এস এন আর ২/২৫ ২৫১৬৩০ জি আর ৯৯

হইতে-সাব-সেক্টর এ
হইতে প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-বি ২১৭। নিম্নের তথ্য ডি সেক্টরে পাঠান। যৌথ বাহিনী চাঁদ গাজি এস কিউ ৬৭৪৭ মুন্সির হাট এস কিউ ৬০৫০ বেলনিয়া পকেটে দখল করে। কোন হতাহত নাই আমাদের। ফেনী থেকে কিছু ফোর্স সরাতে হবে। তারা কোথায় যাবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। ২৬ তারিখ সকালের আগে হেডকোয়ার্টারকে ফোর্সের সাথে একটি ট্রাক পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে হবে শান্তি বাজারে। আমাদের লোক ম্যাপ রেডি করতে অলরেডি সেখানে গেছে। চট্টগ্রামের সকলকে ডি সেক্টরে অতি সত্বর জমায়েত হতে বলা যাচ্ছে। সময় মত তথ্য জানানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।

টি ও আর
জাহাঙ্গীর
২৫-১১-৭১
জাহাঙ্গীর
স্বাক্ষরিত
২৫-১১-৭১

ফ্ল্যাশ ডি টি জি ২৫০৭৪০ গোপনীয় জি-০৭২১

হইতে-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইট্রেপ। শত্রুরা ফুল্গাজি জি আর ৬০৬৫৬৫ এম/এস ৭৯ এম/৮ সি এম এম মুনশিরহাট জি আর ৫৯৯৫০৯ এম/এস ৭৯ এম/৮ সি এম এম চাঁদ গাজি জি আর ৬৭১৪৭৬ এম/এস ৭৯ এম/১২ খালি করে দিয়েছে এবং ফেনীর দিকে চলে গেছে। অনেক অস্ত্র আটক হয়েছে। সি ও সেক্টরকে বলা যাচ্ছে যে ১৮১ ব্রিগেডের কমান্ডার অতি সত্বর দেখা করতে বলেছেন।

ফাইল নং l()l/l/GS(Ops) ২৫-১১-৭১
স্বাক্ষরিত
২৫-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
২৫১১২৫
গোপনীয়
জি-০৭২১

হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
কো সেক্টর ১ সি/ ও ইকো এইচ কিউ বি ডি এফ

সাইট্রেপ। দারঘাট জি আর ৭৩১৩৫৯ এম/এস ৭৯ এন/৯ থেকে শত্রুরা আমাদের অবস্থান টি/ কিল্লা জি আর ৭৫৩৩৫২ এম/এস ৭৯ এন/৯ ও শ্রী নগরে জি আর ৭৩৬৩৭৫ এম/এস ৭৯ এন/৯ আক্রমণ করে। আবাদের বাহিনী শত্রু অবস্থান বল্লভ পুর দীঘি জি আর ৭৪৫৩৪৮ ১৭১৭০০ টায় আক্রমণ করে জবাব হিসেবে। তাছাড়া তারা চম্পক নগর সি এম এম জি আর ৭৫৪৩৪৮ ১৮২২০০ টায় ও চাশারিয়া সি এম এম জি আর ৭৪৬৩৬৪ ২০১০০০ টায় দারঘাট জি আর ৭৩১৩৫৯ ২০১৬০০ টায় আক্রমণ করে। ম্যাপ সিট ৭৯ এন/৯ ২ পাকসেনা নিহত। আমাদের কেউ হতাহত হয় নাই। অস্ত্র খরচ-৩ ইঞ্চি মর্টার এইচ ই ৫৩ টি, ৩ ইঞ্চি মর্টার স্মোক ১২ টি, ৩০৩ বল ৮০০ টি, 762 মি মি ৫০০ টি ৯ মি মি ৩০ টি।

ফাইল নং l()l/l/(Ops) ২৫-১১-৭১

স্বাক্ষরিত
অফিসার
২৫-১১-৭১

এন আর ১/২৫ ২৫০৭২৫ জি আর৬২

হইতে-সাব-সেক্টর ২
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
নং-এ ১১৫৩। গোপনীয়। জি ০৭১৬ ২২ নভেম্বর। আমাদের অবস্থান টি/ টিলা থেকে শত্রু অবস্থান বল্লভ পুর দীঘি জি আর ৭৪৫৩৪৮ আক্রমণ করা হয় ১৭১৭০০ টায় চম্পকনগর জি আর ৭৫৪৩৪৮ ১৮২২০০ টায় ছাগারিয়া জি আর ৭৪৬৩৬৪ ২০১০০০ টায় ও দারোগার হাট জি আর ৭০১৩৫৯ ২০১৬০০ টায়। ম্যাপ শিট ৭৯ এন /৯। শত্রু অবস্থান দারগারহাট জি আর ৭৩১৩৫৯ এম/এস ৭৯ এন/৯ থেকে শত্রুরা আমাদের অবস্থানে আক্রমণ করে।
আর / ০৭৪০
মান্নান
২৫-১০-৭১
স্বাক্ষর
২৫-১০-৭১

ও পি এস এন আর ২/২৮ ডি টি জি ২৮১০২৫
জি আর – ৬৬
হইতেঃ সাব-সেক্টর বি
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ১১৫৭। ২৭ নভেম্বর ছাগলনাইয়াতে ২১ জন রাজকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করে। আত্মসমর্পনের পরে তাদের শ্রী নগর আমাদের না জানিয়ে ক্যাম্পে রাখা হয়। ২১ জন রাজাকারের মধ্যে ১২ জনকে গত রাতে গ্রুপ কমান্ডার কামালের কথায় গুলি করা হয়েছে। বাকিদের এখনো হস্তান্তর করা হয়নি-এমনকি আমাদের জানানো হয়নি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

টি ও আর
১১০০
মিজান
২৮-১১-৭১

সাক্ষরিত
২৮–১১-৭১
ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
২৮১৩২৫
গোপনীয়
জি ০৭৩০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর এ

সাইট্রেপ।
সি ও সাব সেক্টরের জন্য। বি সেক্টর। জি ১১৫৭ ২৮ নভেম্বর । ২১ রাজাকার ২৭ নভেম্বর ছাগল নাইয়াতে আত্মসমর্পন করে। গোলাবারুদসহ। পরে তাদের শ্রী নগর যুব ক্যাম্পে রাখা হয় আমাদের না জানিয়ে। ২১ জন রাজাকারের মধ্যে ১২ জনকে গত রাতে গ্রুপ কমান্ডার কামালের কথায় গুলি করা হয়েছে। বাকিদের এখনো হস্তান্তর করা হয়নি-এমনকি আমাদের জানানো হয়নি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

ফাইল নং l()l/l/GS(Ops)২৮-১১-৭১
স্বাক্ষর
অফিসার
২৮-১১-৭১

এন আর ৪/২৯ ২৯০৮১৫ জি আর – ১৪

হইতে-সাব-সেক্টর এ
প্রতি-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-বি ২৩০-গোপনীয়। যে রাজাকারদের হত্যা করেছে তাকে এরেস্ট করা হোক। সি ওদের তথ্য তদন্ত করুন।
আর/০৮৪৪

বিসমিল্লাহ
২৯-১১-৭১
স্বাক্ষর
২৯-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
২৯১০৩০
গোপনীয়
জি ০৭৩১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতেঃ সাব-সেক্টর বি

জি-১১৫৭, ২৮ নভেম্বর। যে রাজাকারকে হত্যা করেছে তাদের আটক করুন। সি ওদের তথ্য তদন্ত করুন।
ফাইল নং 101/l/GS(Ops)২৯-১১-৭১

স্বাক্ষর
অফিসার
২৯-১১-৭১

২৯-১১-৭১

হইতে-জহুরুল হক ইয়ুথ ক্যাম্প
প্রতিঃ শ্রী নগর
হেডকোয়ার্টার
সেক্টর ১

রেফারেন্স নং ১০১ /১/এক্স/জিএস/(ও পি এস) ২৩ নভেম্বর ৭১ তারিখের চিঠির রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে-
রাজাকার হাবিবুর রহমানকে যে এস্কর্ট করে এনেছিল সে এখানে নেই। সে বাংলাদেশে ফিল্ড অপারেশনে গেছে। সে আশা মাত্র তাকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

কাবির আহমেদ
পোল মোটিভেটর
এ এন্ড এফ চার্জ
২৯-১১-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
৩০১৫০০
গোপনীয়
জি-০৭৩২

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইট্রেপ। ২২ জনের আমাদের একটি দল নালিজা চা বাগানে জি আর ৯১০৩৬০ এম/এস ৭৯ এন/৯ ৩০০৫১০ টায় আক্রমণ করে। এমনভাবে আক্রমণ করা হয় যে শত্রুরা হতভম্ব হয়ে যায়। শত্রুদের ১৫ জনকে হত্যা করা হয়। আহত জানা যায়নি। একটি এল এম জি (চাইনিজ) ২ টি এমকে ৪ রাইফেল জব্দ। অস্ত্র খরচ-৩০৩ ২০০ টি, ৭.৬২ ৫০০ টি ৯ মি মি ৬০ টি গ্রেনেড ৪ টি ও ২ ইঞ্চি মর্টার এইচ ই ২ টি। আমাদের ২ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে গুলি করা যায়নি।
স্বাক্ষর
অফিসার
৩০-১১-৭১

।ও পি এস এনআর ১/৩০ ৩০০৯০০ জি আর – ১৪৪

হইতেঃ সাব-সেক্টর সি
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ০৫১৯। গোপনীয়। সি আর ৯১০৩৬০ এম/এস ৭৯ এন/৯ নালুয়া চা বাগান আক্রমণ করা হয় ৩০০৫১০ টায়। আমাদের দলে ২২ জন ছিল। ১২ জন মুক্তিফৌজ ও ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেয়। আক্রমণের পরে শত্রুদের জবাব হালকা ছিল। তাদের ১৫ জন নিহত হয়। আমাদের হতাহত নাই। শত্রুরা হতভম্ভ হয়ে যায়। এল এম জি এমও ৬০ রাউন্ড, ২ টি এমকে ৪ রাইফেল ১৯ রাউন্ড গুলি জব্দ। ২ ইঞ্চি মর্টার থেকে গুলি বের হয়নি। অস্ত্র খরচ-৩০৩ সি এম এম 752 সি এম এম ৯ মি মি গ্রেনেড ২০০ সি এম এম ৫০০ সি এম এম ৬০ টি ও ৪ টি যথাক্রমে। ২ ইঞ্চি মর্টার ২ টি।

আর/১৩৪৫
বিসমিল্লাহ
৩০/১১/৭১
স্বাক্ষর
৩০-১১-৭১

পি ৩/০১ ০১১০৪০ জি আর ২০

হইতেঃ সাব-সেক্টর ২
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১ ১৬৮ গোপনীয়। ১১ টি এ টিকে মাইন জব্দ। ৬৮ এ পি মাইন গ্রুপ লিডার ফরিদকে এম সাব সেক্টর বিতে মোতায়েন করা হয়েছে।

টি ও আর
১১৪০
মান্নান
১-১২-৭১
স্বাক্ষর
১-১২-৭১

গ্রুপ ৪৫ থেকে আবুল হোসেন কর্তৃক জব্দ করা রাজাকারদের জিজ্ঞসাবাদ করা হয়।
মোঃ আলি কবির
পিতা-মরহুম আলি মোল্লা
উত্তর আন্দারমানিক
থানা-ছাগলনাইয়া

রিপোর্ট-সে ১৪ নভেম্বর ৭ দিনের ট্রেনিং শেষ আত্মসমর্পন করে মুক্তির কাছে স্বেচ্ছায়। সে কোন খারাপ কাজে অংশ নেয়নি। তাকে ক্ষমার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

জাকির আহমেদ
পিতা-মরহুম সেখ আহমেদ
উত্তর আন্দারমানিক
থানা-ছাগলনাইয়া

সেও ১৪ নভেম্বর যোগ দেয়-৭ দিনের ট্রেনিং শেষে মুক্তিবাহিনীর ছাত্র কমান্ডার আবুল হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায় অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করে। সেও কোন কাজে অংশ নেয়নি। তাকে ক্ষমা করা যেতে পারে।
আবুল কাসেম
পিতা-মরহুম সিরাজুল হক
গ্রাম-পূর্ব ছাগলনাইয়া
থানা-ছাগলনাইয়া

সে স্বেচ্ছায় বি এস এফ ের কাছে আত্মসমর্পন করে। সে কোন কাজে অংশ নেয়নি। ১ মাস আগে সে রাজাকারে নাম লেখায়।

১০১/১/জি এস ৮ /১০/ ৭১
স্বাক্ষর
২-১২-৭১

গোপনীয়

সাব সেক্টর এ
No BDF/IOOl/SS-l
২ ডিসেম্বর ৭১
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
বিষয়-সন্দেহজনক
নিম্নোক্ত রাজাকারদের ব্যাপারে পরবর্তি পদক্ষেপ নেবার জন্য বলা হল-

বালু মিয়া
পিতা-আমিরুজ্জামান
গ্রাম-শালারা
পোস্ট-ছাগলনাইয়া
জেলা-নোয়াখালী

সিদ্দিক মিয়া
পিতা-মরহুম খলিল মিয়া
পোস্ট-আমজাদ বাজার
ছাগলনাইয়া
নোয়াখালী

১০১/১/জি এস /(ও পি এস)
স্বাক্ষর
২-১২-৭১

গোপনীয়

এন আর ১/০৩ ০৩০৯৪৫ জি আর ৬৭

হইতে-সাব-সেক্টর ২
প্রতি-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ১১৭৫। গোপনীয়। সাইট্রেপ ৩৮। ০৩ ডিসেম্বর ০৬০০ টায় করিম টিলার বামে শত্রুরা আমাদের উপরে শেলিং করে। আমরা ১০ টি বোমা ৩ ইঞ্চি মর্টার ৯২৩৬ সি এম এম ৭৩৩৬ ০ ৭৪৩৮ এম/এস নং ৭৯। আমাদের ৬ টি এল এম জি সি এম এম ৩০০ ও 762 এমও। pcrs ম্যালেরিয়ায় ভুগছে। দয়া করে তার জন্য ওষুধ পাঠাবেন।
স্বাক্ষর
৩-১২-৭১

গোপনীয়

সাব সেক্টর বি
বাংলাদেশ ফোর্স
নং – ৫৫৫/ জি
২ ডিসেম্বর

হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

বিষয়-রাজাকারদের ট্রান্সফার সম্পর্কে

গ্রুপ নেতা একে এম আবুল হোসেনের (নং ৪৫ গ্রুপ) দ্বারা ২৭ নভেম্বর জব্দ করা নিম্নোক্ত আটককৃত রাজাকারদের পরবর্তি ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরিত হল।
১। আলি আকবর-পিতা মৃত আলি মোল্লা
২। জাকির আহমেদ-পিতা-সেক আহমেদ
৩। আবুল কাসেম-পিতা-সিরাজুল হক
৪। নাজির আহমেদ, পিতা-সোনা মিয়া
৫। আবুল খালেক, পিতা-আতারুজ্জামান
৬। মোঃ ইদ্রিস-পিতা-সিদ্দিকুর রহমান
৭। রফিক মিয়া, পিতা-ইব্রাহিম মিয়া
৮। আবু তাহের, পিতা-মুসা মিয়া
৯। রবিউল হক, পিতা-আবুল ফয়েজ
১০। মোঃ মস্তাফা, পিতা-সেকান্দার মিয়া
স্বাক্ষর
২-১২-৭১
সাব-সেক্টর কমান্ড

গোপনীয়

এন আর – ৩/১৫ ডি টি ও ১৫১৫২০ জি আর ১৫

হইতে-সাব সেক্টর ই
প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার

নং-কিউ ০০১৫। গোপনীয়। দয়া করে ব্রেন গান মার্ক ৩ ের জন্য একটি ফায়ারিং পিন স্প্রিং পাঠান। জরুরী।
আর/১৫৩৫
স্বাক্ষর
৫-১২-৭১

জরুরী এন আর ৫/০৬ ০৬২১০০ জি আর ৪৭

হইতে-সাব-সেক্টর ১
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১৫০৯। গোপনীয়। সি ওদের জন্য। সমস্ত ফেনী দখলে এসেছে। আপনাদের উপস্থিতি চাচ্ছে ফেনীর ট্রুপ্স আর ব্যাটেলিয়ন কমান্ড। আপনাদের ছাড়া সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছেনা। কাল ফেনী যাচ্ছি ব্যাবস্থা করতে যদি -কে ফোরসের সাহায্যে সম্ভব হয়।

আর/ ২১৩৫
এন এন চৌধুরী
৬-১২-৭১

স্বাক্ষর
৬-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
০৬১১০৫
গোপনীয়
জি ০৭৪৬
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
হইতেঃ সাব-সেক্টর ১

বি ডি এফ / ১০০১/ এস এস ১ ডিসেম্বর ০২। সি এম এম দিন তারিখ উল্লেখ করুন।
ফাইল নং – ১০১/১/জি এস (ও পি এস) ৬-১২-৭১
স্বাক্ষর
৬-১২-৭১

ও পি এস এন আর ৩/০৬ ডি টি জি ০৬১৫১৫ জি আর ২০

হইতে-সাব-সেক্টর ১
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-এ ১৫০৭। গোপনীয়। রিস্যামুখে মুক্তিযোদ্ধারা সন্দেহজনক বাঁটু মিয়াকে ২৫ নভেম্বর আর সিদ্দিক মিয়াকে ২৬ নভেম্বর আটক করে।
টি ও আর
১৫৩৫

স্বাক্ষর
৬-১২-৭১

ও পি এস এন আর ৪/০৬ ০৬১৭৩০ জি আর – ৩২

হইতেঃ সাব-সেক্টর এ
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১৫০৮। সি ওদের জন্য। ফেনী দখল নিশ্চিত হয়েছি। জেলের বন্দিদের সরানো হয়েছে। রাজাকার ও অন্যান্য ক্রিমিনালদের সিভিল জেলে রাখা হয়েছে। আমাদের বন্দিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

আর/ ২১১০
এন এন চৌধুরী
৬-১২-৭১
স্বাক্ষর
৬-১২-৭১

এন আর ২৩/০৭ ০৭১১০০ জি আর – ২৮

হইতে-সাব-সেক্টর এ
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১ / সকল সাব সেক্টর
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-ও-১৫১১। গোপনীয়। ইন্ডিয়ান পাইলটরা বাংলাদেশে অপারেশনের সময় এইচ ডি ফ্ল্যাগ লাগিয়ে রাখবে। যদি এমন কিছু পাওয়া যায় তাহলে তাদের কাছে সেটা ফেরত দিতে হবে।

আর/১১৪৫
স্বাক্ষর
৭-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
০৭১১৪৫
গোপনীয়
জি-০৭৫২
জি-০৭৫২
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ কিলো ফোর্স
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

সাইট্রেপ-২৬ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা রিয়াস্মুখ এস কিউ ৭৬৪০ এম/এস ৭৯ এম/১২ এ ২ রাজাকার বাঁটু মিয়া ও সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে। তারা বন্দি আছে।

ফাইল নং- ১০১/১/জি এস (ও পি এস)৭-১২-৭১

স্বাক্ষর
অফিসার
০৭-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ও পি এস গোপনীয় জি আর – ০৭৭১

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতে-সাব-সেক্টর ১
কমান্ডারদের জন্য। রামগড় আর বাগান বাজার এলাকায় শুত্রুমুক্ত করা হয়েছে। মিত্রবাহিনী নদী পেরিয়ে চলে যায়।

ফাইল নং – ১০১/১/জি এস / (ও পি এস) ৮-১২-৭১
স্বাক্ষর
এফ/ও
৮-১২-৭১

ও পি এস এন আর ৬/০৮ ডি টি জি ০৮০৯৩০
জি আর ৩২

হইতে-সাব-সেক্টর ১

জি ১৫১৬। গোপনীয়। অশোকের জন্য রফিককে। আপনার কাছে সি এম এম আর্মস ও এমও যাচ্ছে। খাগড়াছড়ি আক্রমণ করুন। তারপর গুইমারামুখ আটক করুন। পাকিস্তানীরা পালাচ্ছেনা। তাই সর্বত্র তাদের মুখোমুখি হন এবং হত্যা করুন।

টি ও আর
১১১০
বিসমিল্লাহ
স্বাক্ষর
৮-১২-৭১

এন আর ৪/২৯ ২৯১৪৪৫ জি আর -২ ২

হইতে-সাব-সেক্টর ২
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১

নং-জি ১১৬৩। গোপনীয়। রেফারেন্স-জি ০৭৩১। ৯ রাজাকার আটক। আপনাকে বিস্তারিত জানাব। সম্ভব হলে কাল আসব।
টি ও আর
১৫৩৯
এন এন চৌধুরী

স্বাক্ষর
২৯-১২-৭১

এন আর ৩/১০ ১০১২১০ জি আর ২৩

হইতে-সাব-সেক্টর ই
প্রতি-হেডকোয়ার্টার

নং-জি ০০০৩। গোপনীয়। সাইট্রেপ। ০৮০০ টা পর্যন্ত পানছড়ি আর ভাইবান ছোঁরা মুক্তা থেকে খাগড়াছড়িতে রওনা। একটি রেগুলার প্লাটুন পাঠানো হয়। আমাদের অবস্থান পানছড়ি আর ভাইবান ছোঁরা ছিল।
আর/১২৪৫

স্বাক্ষর
১০-১২-৭১

এন আর ৬/১০ ১০১৮৩০ জী আর ৫০

হইতে-সাব-সেক্টর ই
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০০০৫। গোপনীয়। খাগড়াছড়িতে প্রচুর সৈন্য সমাবেশ। সেখান থেকে গুইমারা যাব। ৩ ইঞ্চি মর্টারের জন্য একটি রিকয়েলিং স্প্রিং এবং একটি নিয়মিত পাই পাঠান। আজ রাতের ভেতর রাদের শিলাছরিতে পাঠান অথবা কাল খুব ভোরে নিজেদের বাহন ভাইবানছাড়া যাবে। এক ব্যারেল পেট্রোল জরুরী লাগবে। নিশ্চিত করুন।
নং- ১০১/১/জি এস (ওপিএস)১০-১২-৭১

স্বাক্ষর
১০-১২-৭১

অত্যান্ত জরুরী

প্রতি
সেক্টর কমান্ডার ১

স্যার
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে খাগড়াছড়ি ও মহালছরি থেকে পাকসেনারা রাঙ্গামাটি যাচ্ছে। পথে তারা সন্দুক ছাড়ি এলাকায় ধ্বংস যজ্ঞ চালাতে পারে। চট্টগ্রাম দিয়ে গুইমারা ও মানিক ছাড়ি এলাকায় যাওয়া দরকার। এছাড়া জানা যায় পাকসেনারা সেখানে কিছু লোক দিয়ে অবস্থান জোগাড় করার চেষ্টা করছে। গুইমারা আর পাথছড়াতে কোন ডিফেন্স নাই।

আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবার জন্য জানানো হল।
আপনার বাধ্যগত,
স্বাক্ষরিত
আব্দুল ওহাব
এম পি এ
বাংলাদেশ
১২-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
গোপনীয়
জি ১০১১
জরুরী
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশের আব্দুল ওহাব এম পি এর র চিঠি ১২ ডিসেম্বর দেয়া হল। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে খাগড়াছড়ি ও মহালছরি থেকে পাকসেনারা রাঙ্গামাটি যাচ্ছে। পথে তারা সন্দুক ছাড়ি এলাকায় ধ্বংস যজ্ঞ চালাতে পারে। চট্টগ্রাম দিয়ে গুইমারা ও মানিক ছাড়ি এলাকায় যাওয়া দরকার। এছাড়া জানা যায় পাকসেনারা সেখানে কিছু লোক দিয়ে অবস্থান জোগাড় করার চেষ্টা করছে। গুইমারা আর পাথছড়াতে কোন ডিফেন্স নাই।
নং-101/1/GS (Ops) ১২ ডিসেম্বর ৭১
স্বাক্ষরিত
১২-১২-৭১

এন আর ৩-৪/১৪ ডি টি জি ১৪১৫২৪ জি আর ৬২

হইতেঃ সাব সেক্টর ই
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
হইতে-সাব-সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০০১২। গোপনীয়। শত্রুরা দীঘিনালা খাগড়াছড়ি সড়ক জংশন দখলে রেখেছে। তারা এম জি /এল এম জি / ৩ ইঞ্চি মর্টার ব্যাবহার করছে। ২ ঘণ্টা পরে জবাব দেয়া হয়। আমাদের দখলে খাগড়াছড়ি/ দীঘিনালা/ তিন জংশন। মিজু/ চাকমা/ পাঞ্জাবি/ রাজাকার-এরা সবাই বুলাবারি/ খাগড়াছড়ি থেকে মহালছরি পর্যন্ত। ৩ ইঞ্চি মর্টার ৫০ টি বোমা 762 মি মি ৪০০০ টি পাঠানো হল। কিছু পকেট মানি আর ১ ব্যারেল তেল দরকার। আমাকে আগাতে হবে।

আর/১৪১৬৩৭
স্বাক্ষরিত
১৪-১২-৭১

এন আর ২/১৪ ডি টি ও জি আর ২৩ ১৪১৪৪৩

হইতে-সাব-সেক্টর ই
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০০১১। গোপনীয়। শত্রুরা আমাদের পেটরও পার্টির উপর ১১৩০ টায় আক্রমণ করে। আমাদের অবস্থা থেকে ২ মাইল দুরে। আমাদের বাহিনী গুলি চালাচ্ছে।

টি ও সি
১৩৪০
স্বাক্ষরিত
১৪-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
১৪
গোপনীয়
জি-০৭৬০
জরুরী

জি – ০০১১ এর তারিখ। সমস্যা মনে করলে খাগড়াছড়ি আসা লাগবেনা।
File No – ১০১/১/জি এস / (ওপিএস)১৪-১২-৭১
আর/১৫১৫২০

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৪-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম
ডি টি জি
৫১৬৩০১৪
গোপনীয়
জি ০৭৫৮
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব সেক্টর ই

কিউ ০০১৫ এর তারিখ। মিত্র বাহিনীর সাহায্য সম্পর্কে ধারনা নিন।

ফাইল নং-101/1/GS (Ops) ১৫-১২-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৫-১২-৭১

এন আর ২/১৫ ডি টি ও জি আর ৭ ১৫১৪৩০

হইতে-সাব সেক্টর ই
প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার

গোপনীয়। আমরা খাগড়াছড়ির দিয়ে আগাচ্ছি।

ফাইল নং 101/1/GS (OPs) ১৫-১২-৭১
স্বাক্ষরিত

ম্যাসেজ ফর্ম

ডি টি জি
১৫১০৪০
গোপনীয়
জি ০৭৫৬

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
জি ০০১৩ এর তারিখ। চিন্তা করবেন না। শত্রুরা যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখেনা। সমস্যা সৃষ্টিকারীকে সিভিল অথোরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিতভাবে কাজ করতে পারবে। অন্যরা আবাসন সমস্যা সমাধান করবে। মিত্রবাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করুন।
ফাইল নং-101/1/GS (Ops) ১৫-১২-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
১৫-১২-৭১

আর/ ১৬১৮৫৫
জি ৩৮

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
জি ০০১৮। গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের প্রতি। অবস্থান খাগড়াছড়ি কোর্ট বিল্ডিং। শত্রুরা মহালছরিতে জড়ো হয়েছে। আলুতালিয়া বা গুইমারাতে মিত্র বাহিনীর যে কাউকে এটা অবহিত করুন। আগে থেকে নির্দেশনা নিন।

ফাইল নং- 101/1/GS (Ops) ১৬-১২-৭১
টি ও আর
২১১৬
চৌধুরী
১৬-১২-৭১

এন আর ১/১৬ ১৫২১৫০ জি আর ৮৬

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
জি ০০১৬। অশোক-সি ও এর জন্য। খাগড়াছড়ি দখল হয়েছে। আমার সেক্টর সেখানে স্থান পরিবর্তন করবে। মিজোরা সব জায়গায় আছে। আমাদের অবস্থান তালাছরি, পানছড়ি, ভুবন ছড়ি, কুগিছারা পারা, খাগড়াছড়ি। আমরা যদি সৈন্য ফেরত নিয়ে যাই তাহলে মিজোরা আমাদের টর্চার করবে। মিত্র বাহিনী তবলছড়িতে আসবে। আমাদের পানছড়িতে আগালে ভালো হয় এর পরে। শত্রুরা খাগড়াছড়ি মহালছরি রাঙ্গামাটি আছে। মিত্রবাহিনীকে এটা জানাতে হবে। তাদের জানান আমাদের উপর আবার যেন শেলিং না করে। পরবর্তি আদেশ দিয়ে দিন। অতি সত্বর যান পাঠান।

ফাইল নং – ১০১/১/জি এস (ও পি এস) ১৬-১২-৭১
টি ও আর
০৮১০

এ টি চৌধুরী
১৬-১২-৭১

এন আর – ১/১৭ ডি টি ও ১৭০৭৪৫ জি আর ৪২

প্রতিঃ বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতেঃ সাব-সেক্টর ই
G-0019 গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের প্রতি।। আলু তালিয়াতে চাকমা আর রাজাকাররা আত্মসমর্পন করছে। তবে এখান থেকে ডিফেন্স সরানো যাবেনা। সেক্ষেত্রে মিজোরা সাধারণ জনগণকে অনেক অত্যাচার করবে। আমাদের অবস্থান তবলছরি, পান ছড়ি ভুবন ছাড়া কাকই ছাড়া খাগরাছড়ি। শত্রুরা গুইমারা রওনা দিয়েছে।

ফাইল নং 101/1/GS (OPs) ১৭-১২-৭১
আর/ ১০১০
স্বাক্ষরিত
১৭-১২-৭১

ম্যাসেজ ফর্ম

প্রাইমারী
ডি টি জি
১৪১৯৫০
জি – ১০১১

গোপনীয়

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
জি ০০১২ এর তারিখ। ৩ ইঞ্চি মর্টার নিয়ে চিন্তা করবেন না। সঠিক সহায়তার আমরা অস্ত্রের আরও ভালো ব্যাবহার করতে পারব। অন্যথায় স্থান ত্যাগ ভালো সিধান্ত হবে। পি ও এল পাঠাচ্ছি।

ফাইল নং- 101/1/GS (OPs) ১৪-১২-৭১

স্বাক্ষরিত
১৪-১২-৭১

এন আর ২/১৭ পি ডি টি ও জি আর ১৫
১৭১৩৩০
প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G-0020 গোপনীয়। মহাল ছড়িতে মিজোরা অনেক বেড়েছে। একজন কুখ্যাত রাজাকারকে খুন করা হয়েছে ও তার অস্ত্র আটক করা হয়েছে।
ফাইল নং-101/1/GS (Ops) ১৭-১২-৭১
আর/ ১৫২০
স্বাক্ষরিত
১৭-১২-৭১

এন আর ৪/১৮ ডি টি জি ১৮৮৫২০

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G-0024 অতি গোপন। কমান্ডিং অফিসারদের প্রতি। মহালছরি থেকে প্রায় ১ হাজার মিজো দুই ভাগ হয়ে মাইজ ছড়ি দিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে আসছে।

টি ও আর
১৫৪০
স্বাক্ষরিত
১৮-১২-৭১

এন আর ৩/১৮ ডি টি জি ১৮১৩৪০ জি ১২০

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G-0023 গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের প্রতি। মহাল ছড়িতে প্রায় ৮০০ মিজো ছিল। ২ জন নিহত। কয়েকটি ৩০৩ রাইফেল আটক। অনেক আর্মস এমও পাহাড়ে পাওয়া গেছে। আপনাকে অনেক বার ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে-কিন্তু কোন উত্তর নেই। দয়া করে সিভিল অথরিটিকে জানান। এখানে কোন সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন না থাকায় আমি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আফসার উদ্দিন ও কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর মোঃ হাশেম আলিকে জিজ্ঞেস করেছি। অস্ত্র ছাড়া প্রায় ১০০ রাজাকারকে সিভিল অথরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের বেইল দেয়া হয় কারণ তাদের কাছে কোন অস্ত্র ছিলোনা বা তাদের দেখাশোনার জন্য কোন আর্মড পুলিশ ছিলোনা। সিভিল অথরিটিকে পুলিশ চেয়ে অনুরোধ করা হয়।
টি ও আর
১৫৪০

স্বাক্ষরিত
১৮-১২-৭১

এন আর ১/১৮ ডি টি ও জি আর ৫১ ১৮০৮০৫

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর এফ

নং-G0021 গোপনীয়। একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ও কোর্ট সি এস আই বাংলাদেশ সিভিল এডমিনিস্ট্রেশনের হয়ে কাজ করছেন। এখানে কোণ পুলিশ নেই। শত শত সিভিল গান সংগ্রহ করা হয়েছে। কি করতে হবে এখনো বলা হয়নি। গুইমারার দিকে যাচ্ছি। আমাদের বাহিনী এখন রাঙ্গামাটি। মিজোরা সর্বত্র আমাদের হ্যারাস করার চেষ্টা করছে। প্রায় ৩০ ব্যারেল তেল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কি করতে হবে?

ফাইল নং 101/1/GS (Ops)১৮-১২-৭১
আর/০৯৫০

স্বাক্ষরিত
১৮-১২-৭১

ও পি এস ডি টি জি ২০১৯০০ জি ১০১০

গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
হইতে-সাব-সেক্টর ই

জি ০০২৫ ২০ ডিসেম্বর। আপনাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ আগাতে থাকুন। হেড কোয়ার্টারে ডিজেল রাখুন। আটক করা লঞ্চ আপনার ইউনিটের প্রয়োজনে ব্যাবহার করুন। লঞ্চটি সিভিল দিয়ে ব্যাবহার করবেন কিনা তা আপনার সিদ্ধান্ত।

ফাইল নং-101/1/GS (Ops) ২০-১২-৭১
স্বাক্ষরিত
২০-১২-৭১

এন আর ৩/২০ ২০২২১০ জি আর ৩৩

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

নং-জি ০০২৭। গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের প্রতি। ৫০০ এর বেশী মিজোদের ধ্বংস করা হয়েছে। বোয়ালখালি বাজারে আরও হাজার খানেক আছে। দ্রুত মিত্রবাহিনী পাঠান। গুইমারা হয়ে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ভেইল রোড ভালো আছে।

টি ও আর
২০২২২৫

স্বাক্ষর
শহিদুল আলম
২০-১২-৭১

এন আর ৩/১২ ২১১৯০০ জি আর ৩২

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

নং-0030 গোপনীয়। বোল্ট/ ম্যাগাজিন ছাড়া ৪ টি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার। শত্রুদের মাইনে একজন গেরিলা আহত। ভালো চিকিৎসা দরকার। কি পাঠাতে হবে দয়া করে মিত্রবাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টারে জানান।

টি ও আর
২১২১১০
রহমান
২১/১২/৭১

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২১০৯৩০
গোপনীয়
জি ০৭৫৯
প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

জি-০০২৭ ২০ ডিসেম্বর। একশনের জন্য আপনার নিকটস্থ মিত্র বাহিনীকে জানান।

ফাইল নং- ১০১/১/জি এস (ও পি এস) ২১-১২-৭১

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
২১/১২/৭১

এন আর ১/২১ ২১১৩৩৫ dec জি আর ১৩০

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
নং-জি ০০২৮। গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের জন্য। বোয়ালখালি মায়ানিমুখে মিজোদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। শেষ শত্রুরা তাদের অবস্থান ত্যাগ করে। আমরা পাহাড়ে খুঁজেছি রক্তের দাগ। নিজদে নিরাপত্তার জন্য কিছু পাহাড়ি শত্রুসহযোগীদের হত্যা করা হয়। মিত্র বাহিনীর একটি দলের সাথে কথা হয়। তারা শত্রুদের সাথে ০১১ সি এম এম এ আক্রমণ করেছিল। তারা স্থান ত্যাগ করেছে। তাদের অফিসারের সাথে সাক্ষাত হয়নি। তিনি দূরে ছিলেন। সাধারণ জগণের নিরাপত্তার জন্য এখানে কমপক্ষে ১ কয় বাহিনী দরকার। তাড়াতাড়ি পাঠান। কারণ আমাদের সারাক্ষণ এখানে ২ কয় সৈন্যের সাথে মুখো মুখি লড়াই করতে হচ্ছে। খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নিরাপদ আছে। বোয়ালখালি আর দীঘিনালায় নিয়োগ দেবার মত কোণ বাহিনী আমাদের নেই।

টি ও আর
২১২০৩০

স্বাক্ষরিত
রহমান
২১-১২-৭১

এন আর ১/২২ ২২১২১৫ জি আর ৪৬

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G0032। গোপনীয়। কমান্ডিং অফিসারদের জন্য। ২৫০ ব্যাগ গম ও চাল আটক করে সিভিল গভমেন্টের কাছে দেয়া হয়েছে। দীঘিনালায় মিজোরা আবার এসেছে। আমি ১ দিনের জন্য চট্টগ্রাম আসব। দয়া করে নির্দেশনা দিন। ১ জন রোগী অতি সত্ত্বর চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নিতে হবে-আমি তাঁর সাথে RgR যাচ্ছি।

টি ও আর
১৯২০

স্বাক্ষরিত
২২-১২-৭১

এন আর ৪/২৯ ২৯১৫১৫ জি আর ৬৯

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G-0037। গোপনীয়। একটি বেরেটা বন্দুক ৩ টি ম্যাগাজিন যার একটি ডাবল ও ২ টি সিঙ্গেল সাথে ৮৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার। একটি ৩০৩ রাইফেল ৫৬ রাউন্ড গুলি ৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার। এগুলো চাকমা মাস্টার মুকুন্দুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আমি আপনাকে বলছি রাজাকার/ চাকমা/ পাহাড়ি নেতাদের কাছে হাজার হাজার অস্ত্র আছে। এই লোক অস্ত্রগুলোর বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদা করে রাখেন। আমি পরবর্তি কৌশল জানার জন্য আগামীকাল আসছি।

টি ও আর
১৬২৫

এস আলম
২৯-১২-৭১

এন আর ২৭২৯ পি ২৯১০০০ জি আর ৩১

হইতে-সাব-সেক্টর ই
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

G0035 U/C কমান্ডারদের জন্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মিজোরা জঙ্গলে আছে। বাহিনী সরিয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে রাজাকারের ভয় আছে। চট্টগ্রাম আসছি। সিভিল রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় রাঙ্গামাটিতে কিছু ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে।

টি ও আর
১০১৫
এস আলম
২৯-১২-৭১

এন আর ১/০৫ পি ০৪১৮৩০ জি আর ৩৪

হইতে :-নায়েক সুবেদারকে জামান-সাব সেক্টর ই
প্রতি-অশোক ক্যাম্প চট্টগ্রাম

G0021 U/C/ নায়েক সুবেদারকে জামান। রাজাকাররা গ্রামে গ্রামে চষে বেড়াচ্ছে-মানুষকে মারধর করছে। এখন আমাদের পক্ষে এখানে থাকা মুশকিল। আমাদের হেডকোয়ার্টার চট্টগ্রামে পাঠানোর ব্যাবস্থা করুন।

টি ও আর
০৮২৫
স্বাক্ষরিত
৫-১-৭২

ও পি এস এন আর ১-০৮ ডি টি জি জি আর ৫০০৫
১৭৪৫

হইতে-সাব-সেক্টর ই
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস

নং-জি ০০২২। U/C নায়েক সুবেদারকে জামান-কমান্ডারদের জন্য। গোপাল চাকমা ও অরবিন্দ চাকমা উভয়েই মহল্লায় মহল্লায় মিটিং ডেকেছেন চাকমাদের সাথে। এখন তারা চাকমা হিল ও মিজো হিল ট্র্যাক্টস করবেন। এখানে কারফিউ দেয়া হয়েছে। আমাদের চলাচল বন্ধের জন্য। ১৮০০ টা থেকে ০৬০০ টা পর্যন্ত থাকবে।

টি ও আর
০৮১৫

স্বাক্ষরিত
০৬-১-৭২

ও পি এস এন আর ১২/০৭ ০৬১৩০০

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই

G0042 গোপনীয়। মিত্রবাহিনীর একজন মেজর সকল অস্ত্র জমা দিতে বলেছেন। আমি কি করব? আদেশ জানাবেন।
আর/০৮১৫

স্বাক্ষরিত
৭-১-৭২

মেসেজ ফর্ম

জরুরী ও পি এস ডি টি জি ১৫১১৪৫ গোপনীয় জি ০৫৪৮

হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
সাইট্রেপ আলফা। ২৩ সেপ্টেম্বের ২৩ সেপ্টেম্বর ১০ জন ন্যাভাল কমান্ডোর এক দল ৩০ মাইল গভীর সমুদ্রে যান। কিন্তু জাহাজের কাছে পৌঁছাতে পারেন নি। কোনমতে ফিরে এসেছেন কিন্তু মোহাম্মাদ হোসেন ডুবে গেছেন। অন্যরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে ভাগ হয়ে ভিন্ন ভিন্ন বেইসে এসেছেন। ৩ জন কমান্ডোর এক দল পুরনো একটি বেইজে আসে যেখানে শত্রুদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। আমাদের এস এন মউলা নুরুল হক আমির হোসেন আবুল হোসেন আটক হন।

ব্রাভো-১ অক্টোবর কমান্ডো বাহিনী AVLOS ও একটি গ্রিক জাহাজ ধ্বংস করেন। বি ও সি জেটিতে ছিল। এজেন্ট-হ্যাগি এন্ড কোং। জাহাজে তেল ভর্তি ছিল। এটা চট্টগ্রাম পোর্টে আটক ছিল। পাক সরকারের ছাড়ের অপেক্ষায় ছিল।
চার্লি-০২ অক্টোবর ইউ এন ও প্রতিনিধি জেটি পরিদর্শনে যান। ছবি তুলেন।
ডেল্টা-৮ অক্টোবর একই কমান্ডো গ্রুপ এম ভি নাসিম নামে পাকিস্তানের অন্যতম বড় একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। এটি জেটি ১৩তে ছিল। এতে গোলাবারুদ, ২ টি ট্যাঙ্ক সি এম এম ১ ছিল। ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়েছে জানা যায়। বিস্ফোরণের ফলে জেটি ১২ ও ১৩ অকেজো হয়ে পড়ে।

ইকো-১৩ অক্টোবর ৯ জন কমান্ডো নিরাপদে ফিরে আসে। ৪ জনের অন্য দল এখনো চট্টগ্রামে আছে। ৫ জন খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।

ফক্সট্রট-১৬ অক্টোবর দলে আগরতলায় পৌঁছে।

স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
তারিখ নাই

১৭০৯০০ পি আর আই জি আর

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর
ছয়ঘরিয়াতে আ জি আর ৭৪০৩৬৭ এম এস ৭৯ এন/৯ আক্রমণের পরে শত্রুদের বাঙ্কার থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। একটি স্টিলের হেলমেট, রেঞ্জার ব্যাজ ১ টি, এ টিকে মাইন ৪ টি, এন্টি পাড় মাইন ৮ টি। অফিস মেস একাউন্ট রেজিস্ট্রার ১ টি। উলঙ্গ ছবির একটি ফটো এলবাম।কে টি ইনভেন্টরি একটি। ইস্যু ভাউচার। উর্দুতে লেখা অনেক ব্যাক্তিগত চিঠি। ৫৩ ব্যাজের নাম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিশ্চিত হই। মেস রেজ্জিস্ট্রারে পাওয়া যায়। এসব আপনার পরবর্তি ব্যাবস্থার জন্য পাঠানো হল।

স্বাক্ষরিত
মেজর
সেপ্টেম্বর ৭১

পি ৩০১৩১৫ ৪/৩০ গোপনীয় জি ০০২২

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-ডি সেক্টর
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
সাইট্রেপ। ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের বাহিনী ০৩০০ টায় দুর্গাপুরে জি আর ৭২৬১৫০ ম্যাপ ৭৯ এন/৯ আক্রমণ করে ৪ পাকসেনা ৩৬ রাজাকার হত্যা করে।তারা ৫ টি পোস্ট দখল করে। ৫ টি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার হয়। আমাদের গেরিলা লিডার ফরিদ আহমেদ চৌধুরী নিহত হন। একজন গেরিলা মারাত্মক আহত হন। এখানকার লোকেরা অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

টি ও আর
১৪৫৫
স্বাক্ষরিত
তারিখ নাই।

গোপনীয়

ও পি এস ডি টি জি ১৮১৯৩০ জি ০৭৬৩

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ সাব-সেক্টর ই
জি ০০২১, ০০২২, ০০২৩, ০০২৪ ১৮ ডিসেম্বর। সকল জব্দ মাল আপনার কাছে রাখুন। সকল আটক করা রাজাকার মিজদের সিভিল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করুন। মিত্রবাহিনীর কাছে সাহায্য চান।

১০১/১/জি এস (ওপিএস)
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন

এন আর ৫/১৮ ১৮২০১৯ জী আর ১১

প্রতিঃ বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতেঃ সাব-সেক্টর ই

জি-০০২৬ মিত্রবাহিনীর অবস্থান জানান। জরুরী।

টি ও আর
২০৪০/১৮
এস আলম
ক্যাপ্টেন

এন আর ১/২০ ২০১৩২১ DEC জি আর ১৬০

প্রতি-বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতে-সাব-সেক্টর ই
নং – জি ০০২৬। গোপনীয়। বোল্ট ছাড়া ১৩ টি রাইফেল জব্দ। ম্যাগাজিন ২ টি এল এম জি স্পেয়ার ব্যারেল কাট গ্যাস রেগুলেটর ২ টি টেলিফোন সেট ৩ টি বেয়নেট জব্দ। আমাদের অবস্থান তবলছরি, পান ছড়ি, ভুবঞ্ছরি, ককিছরি, মহালছরি, গুইমারা। সাব সেক্টর খাগড়াছড়ি হেড কোয়ার্টারে ৩ টি দল আছে। মানিকছড়িতে দল পাঠানো হচ্ছে। মিজদের জন্য চারিদিক থেকে দল পাঠানো যাচ্ছেনা। মিজরা জঙ্গলে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। আমরা মিজদের সন্ধানে জঙ্গল চষে বেড়াচ্ছি। লঙ্গুডুতে মিজরা ছড়িয়ে আছে।
স্বাক্ষরিত
তারিখ নাই

এণ আর ১/১৯ ১৯১৮০০ dec জি আর ৬৫

প্রতিঃ বেইজ হেডকোয়ার্টার
হইতেঃ সাব-সেক্টর ই

ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস G (X) 24 গোপনীয়। গেরিলা মকবুল হোসেন আগে পান ছড়ি থেকে কিছু জিনিস আটক করেন। সেগুলো যথাযথ জায়গায় পৌঁছান হয়েছে। গেরিলা কালা মিয়া ককিছরি ছড়ি থেকে কিছু গহনা লুট করে। অন্য এক গেরিলা আরও অনেক জিনিস আটক করে যেগুলো যথাযথ স্থানে জমা দেয়া হয়েছে। ২ জন গেরিলা আটক হয়েছে। আমাদের বাহিনী মহালছরি ও গুইমারার দিকে যাচ্ছে। মিজোরা সাজাক দিয়ে লঙ্গুডু যাচ্ছে।

টি ও আর
১৯১৫/১৯

এস আলম

এন আর ১/১১ ডি টি ও ১১১১৩৫ জি আর ২৯

হইতেঃ সাব-সেক্টর ই
প্রতিঃ সাব সেক্টর এ
No-G0006 গোপনীয়। শেলিং এর অনুরোধ করা যাচ্ছে। শত্রুদের অবস্থান ম্যাপ শিট ৭৯ ইন /১৬ এস কিউ ২১৫২ সি এম এম এস কিউ ২২৫০ এস কিউ ২৩৪৯ সি এফ এম পাঠান যদি থাকে। এছাড়া এক প্লাটুন রেগুলার বাহিনী পাঠান।

এ চৌধুরী
তারিখ নাই

মেসেজ ফর্ম
গোপনীয়
জি ০৭২৪
ডি টি জি
০১১৭০০
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর সি

জি ০৫১৯ ৩০ নভেম্বর। একটি চাইনিজ এল এম জি ও ২ টি এমকে ৪ রাইফেল যা আপনার বাহিনী আটক করেছে সেগুলো জরুরিভাবে হেড কোয়ার্টারে পরবর্তি ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য পাঠান।

১৫৪৫

স্বাক্ষর
কমান্ড
তারিখ নাই

মেসেজ ফর্ম

ডি টি জি ০১১৭০০ গোপনীয় জি ০৭৩৫

প্রায়োরিটি

জি ০৭৩৫
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ সাব-সেক্টর বি
হইতে প্রতি-কন্ট্রোল রুম
ইনফোঃ ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

জি ১১৬৮ ১ ডিসেম্বর। অতি দ্রুত এই হেড কোয়ার্টারে জব্দ করা মাইন পাঠান।

স্বাক্ষরিত
কমান্ড
তারিখ নাই

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি ০৪০৮৩০ গোপনীয় জি ০৫৮৮

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-সাব-সেক্টর ডি
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস
৩ নভেম্বর ২ জন রাজাকার আত্মসমর্পন করে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রগ্রেস জানানো হবে।
ফাইল নং-101//1/GS (Ops) (Out) ৪-১১-৭১
স্বাক্ষরিত
ক্যাপ্টেন
৪-১১-৭১

মেসেজ ফর্ম
জরুরী

ডি টি জি ২১১১০০ জি ০৭১৩

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
প্রতিঃ হেডকোয়ার্টার ডেল্টা সেক্টর

নিচের তথ্য সেক্টর ২ এর ক্যাপ্টেন গাফফারের কাছে পৌঁছান। পার্সোনাল ফর্ম মেজর রফিক-ক্যাপ্টেন গাফফার। সালদা নদীতে মারাত্মক প্রতিরোধের মুখে আপনার সফলতার জন্য শুভেচ্ছা। এই সেক্টরের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। আল্লাহ সকল যুদ্ধে আপনাকে বিজয়ী করুন।
১০১/১/জিএস(ওপিএস)
স্বাক্ষরিত
মেজর
তারিখ নেই

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২২১৮৩০
গোপনীয়
জি ০৭১৫
হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-সাব-সেক্টর এ

কমান্ডিং অফিসার থেকে এনামের জন্য। আপনার কাছে আমির হোসেন ও সোবহানকে পাঠানো হয়েছিল। তারা এখন আসেনি। সাইট্রেপ পাইনি আপনার থেকে। ব্যাবস্থা নিন।
স্বাক্ষরিত
মেজর
তারিখ নাই

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি ০১১৭০০
গোপনীয়
জি ০৭৩৩
জরুরী
হইতে-
হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতি-সাব-সেক্টর বি

G 0731 ২৯ নভেম্বর ও জি-১ ১৬৩ ২৯ নভেম্বর। যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা আটক হয়েছেন। বিষয়টি জরুরী।

স্বাক্ষরিত
কমান্ডার
তারিখ নাই

মেসেজ ফর্ম
ডি টি জি
২২১৪৫
গোপনীয়
জি ০৭১৬
প্রাধান্য
হইতে-সেক্টর ১
প্রতি-সাব সেক্টর বি
সাইট্রেপ। জি ১ ১৪৫ ২২ নভেম্বর। নিম্নোক্ত অব্জারভেশন করা হয়। ৫৩ টি বোমা, ৩ ইঞ্চি মর্টার খরচ হয়। কিন্তু মাত্র ২ জন শত্রুকে হত্যা করা হয়। খরচ খুব বেশী। কমান্ডিং অফসার রা এটাকে গুরুত্বের সাথে দেখুন। ভবিষ্যতে কোণ অস্ত্র ইস্যু করা হবেনা। অতি দ্রুত আপনাদের ও শত্রুদের অবস্থান সময়সহ জানাবেন।

ফাইল নং- l()l//l/GS(Ops) ২২-১১-৭১
স্বাক্ষরিত
অফিসার
২২-১১-৭১

২১১৪৩০ গোপনীয় জি ০৭১৪ ২১ নভেম্বর ৭১

১০০ টনকেরোসিন, ৩০ টন গ্যাসোলিন বাহি একটি পাক ট্যাংকার গেরিলারা ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম পোর্টে ডুবিয়ে দেয়। সেখানে ৩ টি বিস্ফোরণ হয় এবং ৩ টি ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগানো হয়। ফায়ার ব্রিগেড ১ ঘণ্টার বেশী সময় ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ৩ জন ফায়ার ম্যান ও ফায়ার ক্রুকে হত্যা হরা হয়। ৩০ জনের মত আহত হয়। জাহাজটি সম্পূর্ন ধ্বংস হয় এবং এখন পানির নিচে আছে।
ব্রাভো-মিরসরাইয়ে আমাদের গেরিলারা ১০ নভেম্বর এক অ্যামবুশে ৪ জন নিয়মিত পাকসেনা ও ৬ রাজাকার হত্যা করে।

১০১/১/জি এস (ওপিএস)
রফিক
মেজর
তারিখ নাই

৩০২০০০ ৬/৩০ জি ০৫০৪ গোপনীয়

গোপনীয়

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

২৯ সেপ্টেম্বর ০৫০০ টায় মুক্তিবাহিনী ৩ টি শত্রুদের বাহনে গুলি করে পূর্ব মাধবরামে এস কিউ ৭৩৩৭ এম/এস ১৯ এন/৯। টি এফ সি মুভমেন্ট তখন থেকে বন্ধ আছে। ভারী গুলিবর্ষন চলছে। শেলিং চলছে। পুরো এলাকা উত্তপ্ত। সাধারণ জনগণ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর ২৩৩০ টায় মুক্তিফৌজ বল্লভপুর ও ছাগল নাইয়াতে এস কিউ ৭৩৩৫ এম/এস ৭৯ এন/৯ প্রবেশ করে। ৩০ সেপ্টেম্বর ০৪০০ টায় মুক্তিফৌজ পশ্চিম চম্পক নগরে এস কিউ ৭৪৩৪ এম/এস ৭৯ একটি কাল্ভার্ট উড়িয়ে দেয়।
টি ও আর
২৩৫৫

স্বাক্ষরিত

৩০১৩৩০ ৪/৩০

হইতেঃ হেডকোয়ার্টার সেক্টর ১
বাংলাদেশ ফোর্সেস
প্রতিঃ কন্ট্রোল রুম
ইনফো-ইকো হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্সেস

জি ০৫০৩। গোপনীয়। সাইট্রেপ। ২৯ সেপ্টেম্বর ০৪৩০ টায় আমাদের মুক্তিফৌজ ছাগলনাইয়াতে আক্রমণ করে এস কিউ ৭৩৪১ এম/এস ৭৯ এম/১২ ৫ পাকসেনা হত্যা করে ও ৭ জন আহত হয়। তাদের ৩ টি বাঙ্কার আমাদের মর্টারে পুরো ধ্বংস হয়। শত্রুরা আমাদের গুলিতে গাছের উপর থেকে পাখির মত পরতে থাকে। ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তিফৌজ শত্রুদেরসহযোগী ধবল্পুরের আব্দুল হাই ও পূর্ব বাইউক থেকে মিজানুর রহমানকে আটক করে। এই দুই এলাকা ছাগলনাইয়া থানার ভেতরে।

টি ও আর
২২৪৫
স্বাক্ষরিত
তারিখ নাই