You dont have javascript enabled! Please enable it!

পঞ্চাশের দশকে আমরা | ফয়েজ আহমদ | সাপ্তাহিক বিচিত্রা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪

সদ্য রাজনৈতিক স্বাধীনতাপ্রাপ্ত পাকিস্তানের মতো ‘কীটগ্রস্ত’ দেশে চরম সাম্প্রদায়িক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা, শাসনতান্ত্রিক প্রবঞ্চনা, ভাষা-সংস্কৃতির অধীনতা ও অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িকতা, সামন্ততন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দায়িত্ব যেন ৫০ দশকের সচেতন জনমানুষের উপরেই অর্পিত হয়েছিল। সে সময় যাঁরা প্রচন্ড প্রতিকূলতার মুখে মাথা উঁচু করে অগ্রসর হয়েছিলেন শোষণ ও ষড়যন্ত্রের মুখে আঘাত হানতে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত, পদস্খলন, উত্থান-পতন, জাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকার মাধ্যমে আজ তারা অনেকেই এদেশের ইতিহাসের এক একটি উপাদান, এমনকি অধ্যায়। তাঁদের আমরা রাজনৈতিক চিন্তার ও বিশ্বাসের বিভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও উচ্ছলিত যাত্রার, দূরন্ত অগ্রগমনের আর বিদ্রোহের উপক্রন্তা বলে চিহ্নিত করতে পারি।
আমিও সেই কর্মচঞ্চল ৫০ দশকের একজন নগণ্য পথচারী, সহযোগী পথিক। সেক্ষেত্রে বহু তেজী সন্তান প্রাণ দিয়ে রক্তের পথ করে দিয়ে গেছেন, সেখানে আমাদের বা বন্ধুদের, সবল-স্বচ্ছল-উজ্জ্বল, আত্মজীবনী লেখার নিরর্থক অবকাশ বাতুলতা ও ধৃষ্টতা মাত্র। আমি ও আমার রাজনৈতিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীবন্ধুরা এই দ্বৈমাতৃক দেশে প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের অফুরন্ত সম্ভার আয়োজনে বর্ধিত। সেদিনের সেই তেজদীপ্ত ঊর্ধ্ববাহু যুবকদের অনেকে আজ বার্ধক্যের দ্বার-প্রান্তে। কেউ বা পরিশ্রান্ত জীবন যুদ্ধে, কেউবা জনস্রোতে হারিয়ে গেছে মহাকালের মোহনায়, প্রয়াত কেউবা। অনেকে ব্যর্থতার নৈরাশ্যে নিমজ্জিত, অথবা সাফল্যের গৌরবে উজ্জ্বল। কেউবা অব্যাহত সংগ্রামে বিরামহীন যোদ্ধা।
এমন উত্থানের যুগে ৫০ দশকের গোড়াতে ১৯৫০ সালেই দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রী ছাত্র-যুবকদের একটি সচেতন অংশ যুব লীগ প্রতিষ্ঠা করে এদেশে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল স্রোতপ্রবাহ সৃষ্টি করেছিল। এর এক বছর পূর্বে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী (মুসলিম) লীগের জন্মের ঘটনাও ঐতিহাসিক দিক থেকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের শেখ মুজিবের পরিচিত ও উত্থান প্রকৃতপক্ষে তখন থেকে চিহ্নিত করা যেতে পারে—যদিও ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে তার পূর্ব থেকেই তাঁর সীমিত পরিচয় ছিল। ইতিহাসের অদ্ভূত ফসল আওয়ামী লীগ। হত্যাযজ্ঞের রক্তধারায় বিভক্ত ভারতের মুসলিম লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী ও ‘রেডিক্যাল’ চিন্তার লীগ নেতা আবুল হাশেমের সমর্থক, ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ লীগ অফিসের ছাত্র-যুব শক্তির অংশ এবং যাঁরা পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত লীগ সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ নিতে পারেন, তাদের নতুন দেশে মুসলিম লীগের সদস্যপদ লাভের ‘ফর্ম’ দেয়া হলো না। এক নির্দেশে সবাইকে নতুনভাবে লীগের সদস্য হতে বলা হলো : যার প্রয়োজন ছিল না। এই ষড়যন্ত্রমূলক সুযোগে ‘অবাঞ্ছিত’দের লীগে প্রবেশের পথ রুদ্ধ হয়ে গেল। প্রাদেশিক লীগের প্রধান মওলানা আকরাম খাঁ ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট চৌধুরী খালেকুজ্জামান, প্রাক্তন মুসলিম লীগার ও পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এই নেতা ও কর্মীদের প্রাথমিক সদস্যপদও দিলেন না। লীগে সদস্য পদের ‘ফর্ম’ ও অনুমতি লাভের জন্যে জনাব আতাউর রহমান খান, খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন প্রমুখ সুদূর করাচী পর্যন্ত গিয়েও বিফল হয়েছিলেন। সেদিন এঁদের মুসলিম লীগে স্বাভাবিক সদস্যপদ লাভে বাধা না দিয়ে আশ্রয় দিলে ৫০-এর রাজনীতি হয়তো অন্যখাতে প্রবাহিত হতে পারতো—অন্ততঃ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য হয়ে তার নেতৃবর্গ যে পথে গেছেন, লীগ শাসন বিরোধী সে পথ হয়তো এভাবে হতো না। একথা অনেকেই ভুলেননি যে, মহাপ্রতাপশালী মুসলিম লীগ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকালে ‘বিদ্রোহী’ হবার আশংকায় জনাব মোহাম্মদ আলী (বগুড়া) ও টি, আলীকে রাষ্ট্রদূতের পদ দিয়ে আত্মস্থ করে নিয়েছিল।
অন্যদিকে প্রদেশে নুরুল আমীনের শক্তি সঞ্চার, কেন্দ্রে নাজিমউদ্দীনের ক্ষমতা প্রদর্শন ও সোহরাওয়ার্দী সম্পর্কে লিয়াকত আলীর ভীতি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে লীগ বিরোধী শক্তিকে জোটবদ্ধ করার ব্যাপারে সহায়ক হয়ে দাঁড়ায় এবং গণতন্ত্রী, আধাগণতন্ত্রী ও ইসলামপন্থী-গণতন্ত্রী [এমনকি অতিসম্প্রতি সাম্প্রদায়িক বলে (১৯৫০-এর দাঙ্গা) চিহ্নিত ও পরে সংশোধিত ব্যক্তিরাও] ছাত্র-যুবক-মধ্যবয়সী কর্মী-নেতৃবৃন্দ শাসনতান্ত্রিক ও ভাষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার বিরোধী হয়ে উঠতে থাকেন।
৫০-এর গোড়ার দিকে কমিউনিস্ট পার্টি এবং প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘ রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে দুর্বল ও ম্রিয়মান ছিল। হয় ভূতলবাসী হয়ে, নয়তো অন্যকোন পার্টির মাধ্যমে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে হতো।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে দেখা যাবে ২১শে’তে প্রকাশ্যভাবে রাজনৈতিক দলগুলো ১৪৪-ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে ছিল না। ছাত্ররাই এই ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেয় ও গুলির মুখোমুখি হয়ে প্রাণদান করে। পূর্ববতী বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মঘট ও নিম্নবেতনভুক কর্মচারীদের আন্দোলনও তাদেরই। এই পর্যায় থেকে ছাত্ররা নিজস্ব সত্তা নিয়ে প্রকাশ্যভাবে গণতান্ত্রিক শক্তি অর্জনের পথে বিকাশ লাভ করতে থাকে।
সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রবল আক্রমণের মুখে পূর্ব-পাক সাহিত্য সংসদ (অস্থায়ী) ও পরে ১৯৫২ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এর পূর্বে ৫০ সালে চট্টলে সাংস্কৃতিক সম্মেলন প্রথম। ৫১ সালে কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালায় গণতান্ত্রিক শক্তির যে সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়, তাতে প্রদেশের প্রায় প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকেই আমরা যোগদান করি। এভাবে বায়ান্নো সালে সাহিত্য সংসদ শক্তিশালী হয়ে উঠার পর্যায়ে ঢাকার একটি প্রভাবশালী মুসলিম লীগ পত্রিকা ধারাবাহিক সম্পাদকীয় লিখে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন—‘সাংস্কৃতিক উপনিবেশবাদ’ আমদানী করা হচ্ছে। সে-সময় যাঁরা এই সাম্প্রদায়িক উস্কানী ও প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে সাহিত্য সংসদের মাধ্যমে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ বাংলাদেশের প্রধান, কবি-সাহিত্যিকদের প্রথম সারিতে।
কিন্তু চুয়ান্ন সালের প্রাদেশিক নির্বাচন গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক অভূতপূর্ব ঐক্যবন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। সে সময় ‘ইত্তেফাক’ বিরোধী দলীয় পত্রিকা হিসেবে গণতান্ত্রিক শক্তির একক বাহু হিসেবে কাজ করে।
কমিউনিস্ট পার্টি এই নির্বাচনের সময় পাঁচজন তরুণ সদস্যকের প্রকাশ্যে কাজ করার সুযোগ দানের সিদ্ধান্ত নেয়। মূল পার্টি আন্ডারগ্রাউন্ডেই ছিল। প্রথম অফিস এই পাঁচজনকে নিয়ে উদ্বোধন করা হয় বংশাল রোডে। পরে অবশ্য নারিন্দার ভূতের গলির মুখে অফিসটা এক ‘নিরাপদ জোনে’ নিয়ে আসা হয়।
মীর্জা আবদুস সামাদ (এখন ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, সদস্য নন) প্রকাশ্য অংশের পার্টির অফিস সেক্রেটারী ও মুখপাত্ররূপে কাজ করতেন। এখানেই আমাদের মধ্যে অনেকের যোগাযোগের স্থান ছিল। সেটা ছিল সম্ভবতঃ পাকিস্তানে প্রথম প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অফিস উদ্বোধন। তাঁদের অনেকে এখন ‘বিভিন্ন’ চিন্তার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও কর্মী।
নির্বাচনে মুসলিম লীগের পরাজয়ে প্রকৃতপক্ষে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার তাৎক্ষণিকভাবে আসেনি। এসেছিল ৯২-ক ধারা, গভর্নর ইস্কান্দার মীর্জা, মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হকের গ্রেফতার ও সমস্ত রাজনৈতিক, ছাত্র, যুব প্রতিষ্ঠানের ওপর পুনরায় দুর্যোগ, পঞ্চান্ন’র প্রথম দিকে গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ প্রাদেশিক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পূর্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার লাট ভবনে যেদিন ভোরে সকল গ্রুপ নিয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করেছিল, ঠিক সে সময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের উস্কানীতে দেশের বৃহত্তম পাটকল আদমজীতে বাঙালী-অবাঙালী রায়ট শুরু করে দেয়া হয়-সে ছিল ক্ষমতা পুনরায় ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা।
এই পঞ্চাশেই প্রদেশের উত্তরে দিনাজপুর-রংপুর-রাজশাহী অঞ্চল ও দক্ষিণের যশোহর-খুলনা অঞ্চলে ‘কৃষক সমিতির’ তেভাগা আন্দোলন এবং সুসং এলাকার হাজং বিদ্রোহের কাহিনী এক বীরত্বপূর্ণ ঐতিহ্যের ইতিহাস। এদেশের ইতিহাস ইলা মিত্র আর সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ কি করে ভুলবে।
পঞ্চাশের দিকে ও পরবর্তীকালে পঞ্চান্ন সালের নভেম্বর মাসে পুলিশ বিদ্রোহ এবং উক্ত সালে প্রদেশের আইজি জনাব দোহার (পরে আইয়ুবের মন্ত্রী) সময় বিদ্রোহী পুলিশের ওপর অবিশ্বাস্য নির্যাতন ও হত্যা রক্তের অক্ষরে লেখা।
আবু হোসেন সরকারের পরে এই প্রদেশে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠা (মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান) এবং পঞ্চান্ন সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা লাভের আশ্বাসে সোহরাওয়ার্দীর প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ কর্তৃক ‘সংখ্যাসাম্য’ নীতি গ্রহণ এক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অপঘটনা।
কেন্দ্রে ও প্রদেশে একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মওলানা ভাসানী ও তাঁর একান্ত সমর্থক সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হন। কেন্দ্রের কোয়ালিশন সরকার ছিল বলে আওয়ামী লীগের মেনিফেস্টো মোতাবেক মওলানা ভাসানীর দাবী অনুযায়ী স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং সেন্টো ও সিটো থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়—এই যুক্তি দেখানো হতে থাকে। সেই নীতিগত প্রশ্নে কলহের সময় মওলানা ভাসানী সন্তোষের কাগমারী সম্মেলন আহ্বান করেন। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী গ্রুপ ও সমর্থক পত্রিকা ‘ইত্তেফাক’ সোহরাওয়ার্দীর পক্ষ সমর্থন করতে থাকে। এমনকি মওলানার বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ চলে। প্রকৃতপক্ষে সেই সম্মেলনের কাল থেকেই আওয়ামী লীগ বিভক্ত হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে মধ্য সাতান্ন সালে ঢাকায় এক কাউন্সিল সভায় দুই সমর্থক দলের মধ্যে মারামরির পর মওলানা পৃথক পার্টি গঠনের উদ্দেশ্যে পূর্ব পাকিস্তান সম্মেলন ঢাকায় আহ্বান করেন। ঢাকার ‘রূপমহল’ হলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আবদুল গাফফার খান, আচকজাই, মিয়া ইফতেখারউদ্দিন প্রমুখ এবং সে-সময় অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল ‘গণতান্ত্রিক দল’ যোগদান করে। ঢাকাতে দেশের প্রগতিশীল, গণতন্ত্রী, অসাম্প্রদায়িক ও বিপ্লবী চিন্তাধারায় সিক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠান—পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠিত হয়। যার প্রধান নির্বাচিবত হন মওলানা ভাসানী। এখান থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন পথের সন্ধান।
সামরিক শাসন, ১৯৫৮, ৭ আগস্ট রাজনৈতিক গোলযোগের অজুহাতে সমগ্র দেশের সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বসে। তার বিশ্বাস ভঙ্গের ইতিহাস বিচিত্র ও দীর্ঘ।
উত্তাল পঞ্চাশের দশকের রাজনৈতিক উত্থান পতনের কাহিনী কিভাবে সাপ্তাহিকীর পৃষ্ঠায় এতো সংক্ষেপে লেখা সম্ভব তা’ আমার জানা নেই; তাই কেবল ছায়া থেকে মানুষটিকে আঁচ করে নেয়ার চেষ্টা—যেখানে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা বাদ পড়তে পারে।
০০০

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!