You dont have javascript enabled! Please enable it! প্রবাসী সরকারের দলিলপত্র ০৩ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক জোন প্রতিষ্ঠার বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় ২৭ জুলাই, ১৯৭১

সাধারণ প্রশাসন দপ্তর

মেমো . নং গ                                                                                                                        / তারিখ ……… ..১৯৭১

ক্রম

১। মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত অনুসারে, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রধান কার্যলয় ও প্রশাসনিক এখতিয়ারের সহিত নিম্নবর্নিত প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

)দক্ষিণপূর্ব জোন ()      এইচ কিউ  ঃ সাবরুম          ক। চট্টগ্রাম

                                                                                                খ। পার্বত্য চট্টগ্রাম

                                                                                           গ। ফেনী সাব ডিভিশন, নোয়াখালী জেলা

)দক্ষিণপূর্ব জোন ( এইচ কিউ  ঃ আগরতলা       ক।ঢাকা

                                                                                                খ। কুমিল্লা

                                                                                           গ। নোয়াখালী জেলা, ফেনী সাব ডিভিশন ব্যাতিত

)ইস্ট জোন                এইচ কিউ  ঃ ধর্মতলা                  ক। হবিগঞ্জ

                                                                                                 খ। মৌলভীবাজার সাব ডিভিশন সিলেট জেলা

)উত্তরপূর্ব জোন ()  এইচ কিউ  ঃ দাওকি             ক। সদর ও সুনামগঞ্জ সাব ডিভিশন সিলেট জেলা

)উত্তরপূর্ব জোন ( )   এইচ কিউ  ঃ টুরা                 ক। ময়মনসিংহ

                                                                                                 খ। টাঙ্গাইল

)নর্থ জোনের              এইচ কিউ  ঃ কোচবিহার                     ক। রংপুর

)ওয়েস্ট জোন         এইচ কিউ  ঃ বালুরঘাট                             ক। দিনাজপুর

                                                                                                          খ। বগুড়া

                                                                                                         গ। রাজশাহী

<003.034.085>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

)দক্ষিণপশ্চিম জোন     এইচ কিউ  ঃ কৃষ্ণনগর     ক। পাবনা

                                                                                                খ। কুষ্টিয়া

                                                                                                গ। ফরিদপুর

                                                                                                ঘ। যশোর

)সাউথ জোন             এইচ কিউ  ঃ বারাসাত                   ক। বরিশাল

                                                                                                খ। পটুয়াখালী

                                                                                                গ। খুলনা

বিঃদ্রঃ:

( 1) উপরল্লিখত জোনাল বিভাগ তৈরি করা হয়েছে মূলত জোনাল হেডকোয়াটারের নিকট অবস্থিত জোনের অন্তর্ভুক্ত জেলার বেশিরভাগ মানুষের উপস্থিতির উপরে ভিত্তি করে।

( 2 ) এটা মনে রাখা যেতে পারে যে, কোনো বিশেষ জেলার মানুষদের এমন কোনো জোনে পাওয়া যেতে পারে, যে জোনে সেই বিশেষ জেলা অন্তর্ভুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে তাঁরা যে বিশেষ জোনে সাময়িকভাবে অন্তর্গত হবেন।

  1. জোনাল প্রশাসনিক পরিষদ :

প্রতিটি জোনে একটি জোনাল প্রশাসনিক পরিষদ স্থাপন করা হবে ।

জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের গঠনতন্ত্র

( ক) জোনের সকল এম এন এ গণ ও এম পি এ গণ জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য হবেন

সাধারনত একজন এম এন এ অথবা এম পি এ তার নিজ জেলা যে জোনে অন্তর্ভুক্ত সেই জোনের অন্তর্ভুক্ত হবেন এই লক্ষে যে, তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে  নিজ নির্বাচনী এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করবেন।

তবে , একজন এম এন এ অথবা এম পি এ তার নিজ জেলা যে জোনে অন্তর্ভুক্ত নয় সেই জোনেও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন যদি তা  পূর্ববর্তি অনুচ্ছেদে বর্ণিত লক্ষ্য অর্জনে অধিক সহায়ক হয়। এটি একজন এম এন এ অথবা এম পি এ এর সুবিধা এবং বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধানের উপরে নির্ভরশিল।

কোনো এম এন এ এবং এম পি এ একাধিক জোনের জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না।

(খ ) প্রতিটি জোনাল কাউন্সিল নিজেদের সদস্যদের মধ্য থেকে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।

(গ) পরিষদের সদস্য – সচিব জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবেন ।

(ঘ) প্রশাসনিক কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনের জন্য একটি জোনাল সচিবালয় থাকতে হবে।

<003.034.086>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের কার্যাবলী :

১) মন্ত্রিসভা, প্রশাসন ও রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা মন্ডলি ও মন্ত্রি পরিষদের দ্বারা যে সব নিয়ম নীতি বিবৃত হবে তার চর্চা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

২) আঞ্চলিক পরিষদ জনগনের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং তাদরে উপলব্ধি  করতে সক্ষম হবে যে দেশের সরকার তাদের সাথে আছে।

৩) আঞ্চলিক পরিষদ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে আঞ্চলিক প্রশাসন ও অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠন এক সাথে সম্মন্বয় করবে এবং বাংলাদেশ সরকার কতৃক সকল ত্রাণ কার্যক্রম ব্যবস্থা পর্যাবেক্ষণ করা হবে।

৪) আঞ্চলিক পরিষদ ত্রাণ কার্যক্রমের উপর দৃষ্টি রাখবে এবং ভুল-ত্রুটি সংশোধন করবেন।

৫) আঞ্চলিক পরিষদ যুব উন্নয়নে আইনগত ও প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রদান করবে।

৬) আঞ্চলিক পরিষদ স্থানীয় সেক্টর কমান্ডারদের সাথে সহযোগিতা বজায় রাখবে।

৭) আঞ্চলিক পরিষদ তার সীমানার মধ্য প্রশাসনিক সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৮) সদস্যদরে সাথে পরিষদ মাসে অন্তত ১ বার সাক্ষাত করবে। সম্পাদক ও সদস্যগন চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে আলোচনার কার্যাবলী তুলে ধরবেন। আলোচনার অন্তত ৫ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করতে হবে। গুরুত্ব বিষয় অন্তভুক্ত করার জন্য  বিবিধ বিষয় সদস্যদ আলোচনা সভায় তাদরে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে।

৪) আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের উপ-কমিটি:

ক) আঞ্চলিক পরিষদের সাধারন ভাবে নিচের উপ-কমিটি সমূহ গঠন করবে তাদের কার্যক্রম অপসারণ সহযোগী করার জন্য।

১) অর্থনৈকিত উপ-কমিটি

২) ত্রাণ উপ-কমিটি

৩) সাস্থ্য উপ-কমিটি

৪) প্রচার উপ-কমিটি

৫) শিক্ষা উপ-কমিটি

মন্ত্রিসভা কতৃক প্রতিষ্ঠিত কোন প্রস্তাবরে ভিত্তিতে যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে যে কোন উপ-কমিটি গঠন করতে পারেন।

খ) প্রতিটি উপ-কমিটিতে সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ৭ জন আঞ্চলিক সদস্য দ্বারা গঠিত হবে।

গ) উপ-কমিটির মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।

<003.034.087>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

ঘ) আঞ্চলিক অফিসার উপ-কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিবদের নিকট বিভিন্ন বিভাকে উপস্থাপন করবে।

৫) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা:

ক) প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চল একজন আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা নাম করন করা হবে।

খ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা সরকারের দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত হবে।

গ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা যিনি পদাধিকার বলে আঞ্চলিক প্রশসনিক সংসদের সদস্য সচিব তিনি সবার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ করবেন।

ঘ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা সকলের কাজ সম্মন্বয় করবেন এবং তার আঞ্চলিক কর্মকর্তা নিকট দায়ি থাকবেন।

ঙ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কবলের সাথে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখবে এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন।

চ) তিনি সকল নীতি বাস্তবায়নে নির্বাহির কাছে আঞ্চলিক প্রশসনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।

৬) আঞ্চলিক কর্মকর্তা:

ক) প্রতিটি অঞ্চলে থাকতে হবে-

১) একজন সাস্থ্য কর্মকর্তা

২) একজন শিক্ষা কর্মকর্তা

৩) একজন ত্রাণ কর্মকর্তা

৪) একজন প্রকৌশলী

৫) একজন পুলিশ অফিসার

৬) একজন তথ্য কর্মকর্তা

৭) একজন হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা

খ) আঞ্চলিক কর্মকর্তা সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন এবং কাজে নিজেকে সংযুক্ত রাখবেন।

৭) অর্থসংক্রান্ত:

 ক) অর্থসংক্রান্ত বিষয় প্রতিটি অঞ্চলের উপ-কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে।

খ) অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি ৫ জন সদস্য বিশিষ্ট হবে। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা এবং অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি একজন পদাধিকার বলে বাকি ৩ জন অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে।

গ) অর্থসংক্রান্ত প্রতিটি উপ-কমিটি সদস্যদের ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে এবং তহবিল একটি ব্যাংক এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

<003.034.088>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

চেক আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা দ্বারা ইস্যু করা হবে এবং আঞ্চলিক প্রশসনিক সদস্যদের চেয়ারম্যান দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে অথাব তার অনুপস্থিতিতে অর্থসংক্রান্ত কমিটির যে কোন সদস্য দ্বারা প্রতি স্বাক্ষরিত হবে।

ঘ) প্রতিটি খরচ নির্বাহি বিভাগ কতৃক সরকার প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করবে। নিদিষ্টি বন্টনের ভিত্তিতে সরকারি অনুমোদন দ্বারা কোন ব্যয় নির্বাহ করা হবে না।

ঙ) আঞ্চলিক হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা কতৃক সরকারের অর্থ সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী যথাযত ভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন।

চ) অর্থসংক্রান্ত বিভগ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ১ জন হিসাব রক্ষক মাসে ১ বার হিসাব পত্র নিরীক্ষা করবেন ও পরীক্ষা হিসাব বিবরনী অর্থ বিভাগের নিকট প্রেরণ করবেন এবং তা মন্ত্রিসভায় স্থানান্তর করতে হবে।

এস/ডি তাজউদ্দীন আহমদ

প্রধানমন্ত্রী

মেমো নং.                                                                                                                                                     তারখি :- ২৭/০৭/১৯৭১

অনুলিপি প্রদান:

1) M.N.A & P.A (All)

2) Head of Bangladesh Mission, Calcutta.

3) Secretaries (All)

4) Inspector General of Police.

5) Relief Commissioner.

6) Director General, Health Services.

7) Officer-On-Special Duty, Law & Parliamentary Affairs.

8) Chief Engineer.

9) Zonal Administrative Officers (All)

10) Private Secretaries (AH)

11) A.D.C to Commander-in-Chief.

(K.Ahmed)

Dy. Secretary.

General Administration Department.

<003.035.089>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
যুব ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রধান কতৃক পশ্চিম জোনের ক্যাম্পপ্রধান নিয়োগ বাংলাদেশ সরকার, যুব ক্যাম্প নিয়ন্ত্রন বোর্ড ২৮ জুলাই, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

নিয়ন্ত্রণাধীন , যুব ক্যাম্পের

অনুক্রম সমূহ

 

পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ, জনাব এম. বখতিউল্লাহকে যুব-ক্যাম্প পশ্চিম সেক্টর জোন-১ এর পরিচালক নিযুক্ত করা হয়।

এই নির্দেশ ২৮ জুলাই, ১৯৭১ থেকে বলবৎ করা হবে। এই নিযুক্তি জনস্বার্থে তৈরী করা হয়।

তিনি তার অফিসের ঠিকানা সংক্রান্ত এবং অন্যান্য জরুরী নির্দেশনা যুব শিবির, সদর পরিচালক থেকে গ্রহণ করবেন।

                                                                                 – (মোঃ ইউসুফ আলী)

                                                                                    সভাপতি,

                                                                                    নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, যুব ক্যাম্প

                                                                                    ২৮/০৭/৭১

স্মারকলিপি, No. Est./BD/YC/5(22)

খণ্ড (copy) থেকেঃ-

(১) জনাব এম বখতিউল্লাহকে তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে যুবশিবির, পশ্চিম সেক্টর (জোন-১) এর পরিচালক নিযুক্ত করা হয়

(২) কমান্ডার ইন চিফ, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(৩) বাংলাদেশ মিশনের প্রধান।

(৪) সম্পাদক/ অর্থ-বিভাগ / জাতীয় (home) বিভাগ / বৈদেশিক বিষয় / নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, যুব ক্যাম্প / জি.এ. বিভাগ  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(৫) প্রশাসক, পূর্ব জোন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আগরতলা সরকার

(৬) বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত কার্যালয়, প্রকৌশলী দপ্তর / গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ শাসন।

(৭) ত্রাণ কমিশনার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(৮) সাধারণ পরিচালক, স্বাস্থ্য সেবা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(৯)  সাধারণ সম্পাদক হতে রাষ্ট্রপতি / প্রধানমন্ত্রী / পররাষ্ট্রমন্ত্রী / স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী / অর্থমন্ত্রী।

                                                                                        – (মোঃ ইউসুফ আলী)

                                                                                   সভাপতি,

                                                                                     নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, যুব ক্যাম্প।

<003.036.090>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সভার

কার্যবিবরনী ও সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ সরকার,

কেবিনেট ডিভিশন

২৯ জুলাই, ১৯৭১

মন্ত্রীসভা সাক্ষাৎকার এ মিনিট(minutes) এবং সিদ্ধান্তসমূহঃ ২৯.০৭.৭১ তারিখে

মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিল যে, কোন ভাতা চালু রাখা যাবে না অথবা, সরকার এবং স্বশাসিত সংস্থা , শিক্ষক, এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মচারীদের পেনশন প্রদান করা হবে।

স্বাধীন জোনগুলোতে প্রশাসনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হল। এ ধরনের একটি প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হবে, সেগুলো পরীক্ষা করা হবে এবং বিশিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। সদস্য সম্পাদক জনাব বড়ুয়ার সাথে জনাব এ. হান্নান , জনাব জে. জি. ভৌমিক এবং জনাব এস. বড়ুয়ার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়; বাংলাদেশ অর্থ এবং অন্যান্য খাত হতে হিসাব জমা রাখার প্রসঙ্গে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

মন্ত্রীসভা আরও  সিদ্ধান্ত নিল যে, বর্তমান সীমানা এবং বাইরের কেরানিবর্গের জন্য অফিসের বন্দোবস্ত করা হবে।

বর্তমান ভবনের সীমানার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, এগুলো অন্য কোথাও স্থাপন করা হবে।

সম্প্রচারে জড়িত মানুষদের বিশেষ কাজের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গার বন্দোবস্ত করা হবে।

– মন্ত্রীসভার সচিব

সকল ব্যক্তিগত সম্পাদক হতে সভাপতি এবং মন্ত্রীবর্গের কাছে অনুলিপি।

                                                                               – মন্ত্রীসভার সচিব

গোপনীয়ঃ

২৯.০৭.৭১- এ মন্ত্রীসভা বৈঠকে মিনিট (minutes)  সিদ্ধান্তসমূহঃ

মন্ত্রীসভার সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রফেসর ইউসুফ আলীকে এ বৈঠকে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত করা হয়।

প্রফেঃ ইউসুফ আলী কর্তৃক উত্থাপিত ত্রাণ এবং পুনর্বাসন এবং যুবশিবির রিপোর্টটি মন্ত্রীসভা কর্তৃক বিবেচিত হয়।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, যুবশিবিরের তরুণদের প্রশিক্ষিত করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা চালু করা হবে। মেধার ভিত্তিতে কিছু শিবির বন্ধ করে দেওয়া হবে, বাকী শিবিরগুলো সঠিকভাবে চালিত হবে।

ত্রাণ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, সামরিক সংযোগ অফিস থেকে কোন ত্রাণ প্রদান করা হবে না এবং ত্রাণ বন্টন কর্তৃপক্ষকে আঞ্চলিক কাউন্সিলের কাছে  অর্পণ করতে হবে যারা মেধার ভিত্তিতে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করবেন।

আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, স্বেচ্ছাপ্রকল্পে একটি যুদ্ধের শব সেবার প্রস্তাবনাটি মন্ত্রীসভার অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হবে।

                                                                               – মন্ত্রীসভার সম্পাদক

সকল ব্যক্তিগত সম্পাদক হতে সভাপতি, মন্ত্রীবর্গ এবং প্রফেঃ ইউসুফ আলীর কাছে অনুলিপি।

                                                                               – মন্ত্রীসভার সম্পাদক

<003.037.091>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সভার

কার্যবিবরনী ও সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ সরকার কেবিনেট ডিভিশন ৯ আগষ্ট, ১৯৭১

(১) যুবক্যাম্প – অভ্যর্থনা শিবির – বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিপালিত হবে।

(২) আঞ্চলিক প্রশাসন এবং আঞ্চলিক পরিষদ (council) ।

(৩)  প্রশিক্ষণক্যাম্প এবং  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা সমস্যাবলী।

(৪) মনস্তাত্ত্বিক (psy) যুদ্ধবিগ্রহ কক্ষ। (warfare cell)

(৫)

(৬) প্রতিরক্ষা বিষয়ক সচিব/ সেক্রেটারি (secy)

(৭) স্থানসংকুলান- এখানে প্রতিরক্ষার কেন্দ্রীয় দপ্তর(H.Q.)  স্থাপিত হবে। মন্ত্রীসভা এখানে কাজ করবে। কোন সাক্ষাৎকার করা যাবে না। সচিবালয় অন্য একটি জায়গায় স্থাপিত হবে।

৯.০৮.৭১- এ মন্ত্রীসভা বৈঠকে মিনিট (minutes)  সিদ্ধান্তসমূহঃ

মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিল যে, যুবকদের জন্যে অভ্যর্থনা শিবিরগুলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিপালিত হবে।

আর কোন কালক্ষেপণ না করে আঞ্চলিক প্রশাসন এবং আঞ্চলিক পরিষদ স্থাপিত হবে।

প্রশিক্ষণক্যাম্প গুলো এবং  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের সমস্যাবলী মন্ত্রীসভা কর্তৃক বিশেষভাবে বিবেচিত হবে। একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধবিগ্রহ কক্ষ। (warfare cell) স্থাপনার বিষয়টি অতিসত্বর প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে। তথ্য এবং সম্প্রচার ক্ষেত্রের সমস্যাবলীও টুকে রাখা হবে।

জনাব এ সামাদ, সিলেটের প্রাক্তন ডি. সি. -কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পাদক নিযুক্ত করা হবে বলে সিধান্ত নেওয়া হল।

বর্তমান কেন্দ্রীয় দপ্তরে সম্মুখীন সমস্যাবলী বিশেষভাবে নোট করা হবে এবং সিধান্ত নেওয়া হল যে, বর্তমান সীমানাটুকু শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্থাপনে ব্যবহৃত হবে। বর্তমান স্থানেও (site) মন্ত্রীসভা কাজ করবে তবে সেখানে কোন সাক্ষাৎকার অনুমোদিত হবে না। সচিবালয় প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল যে, সচিবের কার্যালয় নিবাসিত করতে একটি আলাদা ভবনের ব্যাবস্থা করা হবে।

                                                                                – মন্ত্রীসভার সম্পাদক

সকল ব্যক্তিগত সম্পাদক হতে সভাপতি এবং মন্ত্রীবর্গের কাছে অনুলিপি।

                                                                               – মন্ত্রীসভার সম্পাদক

<003.038.092>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের সচিবদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সভা সংক্রান্ত সার্কুলার বাংলাদেশ সরকার কেবিনেট ডিভিশন ১৩ আগষ্ট, ১৯৭১

গোপনীয়

১৩ আগষ্ট,১৯৭১

এটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল সচিব গণ আন্তঃবিভাগীয় আলাপ আলোচনার জন্য সপ্তাহে একদিন মিলিত হবে।প্রধাণমন্ত্রী নিজে এই সভার সভাপতিত্ব করবেন।প্রতি সোমবার সকাল ৯ টায় এই সভা সম্পাদনের জন্য পরামর্শ জানাচ্ছি।

(এইচ.টি ইমাম)

মন্ত্রিপরিষদ সচিব

নং. ১৯(৭)-কেবি.তারিখ-১৩.৮.৭১

প্রাপকঃ

১)পররাষ্ট্র সচিব

২)প্রতিরক্ষা সচিব

৩)অর্থ সচিব

৪)জি এ সচিব

৫)স্বরাষ্ট্র সচিব

৬)স্বাস্থ্য সচিব

৭)প্রধাণমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী

<003.039.093>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
কেবিনেট সচিব কর্তৃক বাংলাদেশে দখলীকৃত এলাকা হতে আনীত অর্থ ও সম্পদের সদ্ব্যবহার সম্পর্কে কমিশন নিয়োগের নির্দেশ বাংলাদেশ সরকার, কেবিনেট ডিভিশন ১৬ আগষ্ট, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ

তারিখঃ ১৬ আগষ্ট,১৯৭১

দখলীকৃত এলাকা হতে মুদ্রা ও অন্যান্য সম্পদ আনয়ন এবং আনীত সম্পদের সদ্ব্যবহারের পরামর্শ চেয়ে সরকার কর্তৃক কয়েকজন লোকের সমষ্টিতে একটি দল নিয়োগ করা হয়েছে

কমিশন যাদের নিয়ে গঠিত হবেঃ

                                                ১) জনাব এ হান্নান চৌধুরী                        সভাপতি

২)জনাব জে জি ভৌমিক                          সদস্য

                                                ৩)জনাব এস বড়ুয়া                             সদস্য সচিব

কমিশনের শর্তাবলী সমূহ নিম্নরূপঃ

ক)নিরাপদ এলাকায় সকল সম্পদ হস্তাহন্তের যাবতীয় সমস্যা সম্পর্কে তদন্ত করতে হবে।

খ)দখলীকৃত এলাকা হতে আনীত মোট মুদ্রা ও সকল সম্পদের বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করতে হবে।

গ)বিররণকৃত সকল সম্পদ ও যাবতীয় অর্থ সরকারের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।

এবং

ঘ)দখলীকৃত এলাকা হতে স্থানান্তরিত সকল সম্পদ ,নগদ অর্থ সম্পর্কে জনগনকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিশন তাদের প্রতিবেদনটি কেবিনেটের কাছে জমা দিবে।

এসডি/- এইচ.টি. ইমাম

মন্ত্রীপরিষদ সচিব

রশিদ নং-১৩৫(২৫)/কেবিঃতারিখঃ১৬-৯-৭১

মালদার জেলাপ্রশাসক বিচারক সচিব জনাব হান্নান চৌধুরী কে প্রতিলিপি প্রে্রণ করা হোক।

(এইচ.টি. ইমাম)

মন্ত্রীপরিষদ সচিব

<003.040.094>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের একটি নিয়োগপত্র

বাংলাদেশ সরকার

সাধারণ প্রশাসন বিভাগ

২১ আগষ্ট, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের

সাধারণ প্রশাসন দপ্তর

নং-জিএ/১১০৫                                        তারিখ- ২১ আগষ্ট,১৯৭১

নির্দেশ

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জনাব সনৎ কুমার সাহা কে অধ্যাপনার পাশাপাশি পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিযুক্ত করা হলো।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাঙ্গালাদেশ সরকারের পক্ষ হতে

এসডি/-(এম.নুরুল কাদের)

সচিব, জি.এ অধিদপ্তর

রশিদ নং- জিএ/১১০৫ (১০) তারিখঃ ২১-৮-৭১

প্রতিলিপি প্রদান

১)প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনাব সনৎ কুমার সাহা কে যাবতীয় তথ্য প্রেরণ করা হোক।কেবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ৫০০.০০ টাকা তার মাসিক বেয়ন ধার্য করা হয়েছে।

২)সচিব

৩)সচিব, পরিকল্পনা অধিদপ্তর

৪)সহকারী সচিব,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(এম.নুরুল কাদের)

সচিব

সাধারণ প্রশাসন বিভাগ

<003.041.095>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রাশসনিক নির্দেশ

বাংলাদেশ সরকার,

কেবিনেট ডিভিশন

২১ শে অগাষ্ট, ১৯৭১

মেমো নং ৩১(৬) কেবিঃ                            অগাষ্ট ২১,১৯৭১

,মন্ত্রি পরিষদ সচিবের ১৬ ও ১৭ তারিখের নোট দ্বয়ের (মেমো নং ২১ (৬) কেবিঃ, ১৬ ও ১৭ ই অগাষ্ট) পরিপেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য পূনরায় ব্যাক্ত করা হল।

সকল সচিবঃ

                                                                                                                                                                (এইচ টি ইমাম

                                                                                                                                                    মন্ত্রী পরিষদ সচিব)

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনামা

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দায়িত্ব থাকবে যেসব সমস্যা মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের সিদ্ধান্তের প্রয়োযন সেগুলি চিহ্নিত করা।  কোন সমস্যা মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ে আলোচিত হবে কেবলমাত্র তখনই যখন সংশিষ্ট মন্ত্রী তার বিবেচনা অনুযায়ী চেষ্টা করা সত্ত্বেও নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্তের প্রয়োযন অনুভূত হবে।  তাই কোন বিষয় মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের উত্থাপনের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে।  যে কোন ফাইল মন্ত্রী পরিষদে সমস্যা চিহ্নিত করনের জন্য পাঠানোর প্রবনতা পরিহার করতে হবে।

                                                                                                                                                                স্বাঃ তাঃ আহমেদ

                                                                                                                                                                ১৬/৮/৭১

গোপনীয়ঃ                                                                                                                                                              অতি জরুরী

                                                                                                                                                                ১৩/৮/১৯৭১

মন্ত্রী পরিষদের পরবর্তি বৈঠকের তারিখ ১৬/৮/৭১ এ নির্ধারন করা হল।  সকলকে বৈঠকের কার্যবিবরনী ১৪ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে অনুগ্রহ পূর্বক জমা দেবার জন্য আহবান জানানো হল।

                                                                                                                                                                (এইচ টি ইমাম

                                                                                                                                                    মন্ত্রী পরিষদ সচিব)

নং ১৮(৬)-কেবিঃ তাঃ ১৩/৮/৭১

প্রতি,       ১। সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

                ২। সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়।

                ৩। সচিব, অর্থ মন্ত্রনালয়।

                ৪। সচিব, জি, এ।

                ৫। সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

                ৬। সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।

<003.042.096>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
আন্তঃবিভাগীয় সচিবদের কার্যবিবরনী

বাংলাদেশ সরকার

কেবিনেট ডিভিশন

২৩শে অগাষ্ট, ১৯৭১

প্রধানমন্ত্রীর আদেশক্রমে, সচিব মহোদয়গনের আন্তঃবিভাগীয় আলোচনা ও সমন্বয় সভা প্রতি সোমবার সকাল ৯-০০টায় (বাতিলের নোটিস না জারী হলে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

                প্রধানমন্ত্রী নিজে এসব সভায় সভাপতিত্ব করবেন, সকল সচিব মহোদয়কে অনুগ্রহ পূর্বক এই সভার যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনা সহকারে তাদের এপয়নমেন্ট নির্ধারন করার আহবান জানানো হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী আরো আশা প্রকাশ করেন যে প্রতিটি বিভাগ এই সভায় তাদের ওপর ন্যাস্ত দায়িত্বের অগ্রগতি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবেন।

                                                (এইচ টি ইমাম

                                                                                                                                                    মন্ত্রী পরিষদ সচিব)

নং…কেবিঃ  তাং অগাষ্ট ১৯, ১৯৭১

প্রতি,

সকল সচিব

ব্যাক্তিগত সচিব, প্রধানমন্ত্রী

ব্যাক্তিগত সচিব, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি

২৩শে অগাষ্ট অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরনী সিদ্ধান্ত সমূহ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্বে নিম্ন বর্নিত সচিবগন অংশগ্রহন করেন।

    ১। সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

    ২। সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়।

    ৩। সচিব, অর্থ মন্ত্রনালয়।

    ৪। সচিব, জি, এ।

    ৫। সচিব, মন্ত্রী পরিষদ।

মাননীয় পরাষ্ট্র সচিব তার মন্ত্রনালয়ের গত কয়েক সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ন কার্যবিবরনী ব্যাখ্যা করেন।  তিনি নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ পেশ করেনঃ

১। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে কার্যরত পাকিস্তান মিশন সমূহের ২২ জন অফিসার ও ৮০ জন সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে।

২। পাকিস্তান পররাষ্ট্র বিভাগের নুতন প্রজন্ম(বাংগালী) আমাদের বাংলাদেশী চেতনায় আগের তূলনায় বেশী আকর্ষিত হচ্ছে।

৩। বিভিন্ন দেশের পাকিস্তান মিশন থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মচারী পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের আনুগত্য প্রকাশ করায় পাকিস্তানী উচ্চ পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কূটনৈতিক মিশন সমূহে নানান পরিবর্তন আনছে।

<003.042.097>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

৪। ইরান সরকার গভীরভাবে পাকিস্তান সরকারের পক্ষালম্বন করছে।

৫। শ্রীলংকায় পাঠানো আমাদের প্রতিনিধি দলের অগ্রগতি বেশ সন্তোষহজনক।  আফগানিস্তান ও নেপালেও ২/১ দিনের ভেতর প্রতিনিধি দল প্রেরন করা হবে।

পরাষ্ট্র সচিব জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, থাইল্যান্ড, সিংগাপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান জনমত বর্ননা করেন।

প্রধানমন্ত্রী সভার কার্যববিরনীতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  তিনি পূনরায় সচিবগনের আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভার গুরুত্ব আরোপ করেন।  তিনি আরো আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে লিখিত বিবরনী সভার পূর্বেই সব বিভাগ নিজেদের ভেতর আদান প্রদান করবে এবং জমা দেবে।

প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ব্যাখ্যা করেন এবং পরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এ বিষয়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে তাদের পূর্নাংগ রিপোর্ট পেশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেনঃ

১। পাকিস্তানে কার্যরত বিভিধ শক্তি।

২। পাকিস্তানের (পশ্চীম) বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং তাতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র দলের ভূমিকা।

৩। খান ওয়ালী খানের সাম্প্রতিক বক্তব্য।

৪। মাহমুদুল হক উসমানী, কবি আয়াজ, জিএম সৈয়দদের গ্রেফতার।

৫। বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকাশ্যে বিচার দাবী করে এয়ার মার্শাল আজগর খানের আহবান।

৬। ভূট্টোর ওপর বর্তমান সংকটের সম্পূর্ন দায় চাপিয়ে আইউব খুরোর বক্তব্য।

৭। সাধারন নির্বাচনে ভূট্টোকে জয়যুক্ত করার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর আশ্বাস প্রদান (সেনানিবাস এলাকায় তার ভাষন)।

৮। দক্ষিনপন্থী রাজনৈতিক দল সমূহের উত্থানের সম্ভাবনা।

৯। ইয়াহিয়ার বর্তমান সংকট সমূহ।

সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়ঃ

১। সকল বিভাগের সচিবগন নিজ নিজ বিভাগের কার্যকলাপের রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন এবং মন্ত্রী পরিষদ সচিবের কাছে পাঠাবেন (রবিরারে ভেতর, যাতে করে সোমবার সকালের সভায় সেগুলি উত্থাপন করা যায়)।

২। সচিবগন মন্ত্রী পরিষদ সচিবের কাছে আন্তঃবিভাগীয় সিদ্ধান্ত এবং সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুত রিপোর্টও রবিবারের মধ্যে পাঠাবেন।

৩। সভা প্রতি সোমবার সকাল ৯-০০ টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

                                               (এইচ টি ইমাম

 মন্ত্রী পরিষদ সচিব)

<003.043.098>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ

প্রচার বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিষদ

সদস্যের প্রচার সংক্রান্ত আন্তঃ বিভাগীয় একটি চিঠি

বাংলাদেশ সরকার

তথ্য ও বিচার বিভাগ

২৩ আগষ্ট, ১৯৭১

তথ্য, প্রচার ও বেতার দফতর

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মুজিবনগর

জয় বাংলা

গোপনীয়

জনাব,

     ইহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য বিভাগের সাথে সঠিক সহযোগীতার অভাবে তথ্য ও প্রচার বিভাগ সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় হবে যদি অনুগ্রহ করে নিয়োজিত বিভাগীয় প্রধানদের তথ্য ও প্রচার বিভাগের প্রধানের সহিত বিবৃতি,বিলিপত্র,প্রেস রিলিজ সহ অন্যান্য সকল সহযোগীতা ও সংযোগ স্থাপনের নির্দেশ দানে আপনার আজ্ঞা হয়।

আপনার বিশ্বস্ত

(আব্দুল মান্নান)

এম.এন.এ ইনচার্জ

<003.044.099>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রদত্ত বিদেশে রাষ্ট্রীয় কাজে প্রেরিত পরিষদ সদস্যের একটি পরিচয়পত্র বাংলাদেশ সরকার,ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ ২৩ আগষ্ট, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলি, ত্রাণ পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়

মুজিবনগর,

আগষ্ট ২৩,

১৯৭১

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সদস্য এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় ত্রান ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী এমপিএ কে বাংলাদেশ সরকারের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপ এবং দূরপ্রাচ্যের দেশ সমূহে প্রেরণ করা হচ্ছে ।

দয়া করে তাকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হোক যেন সে তার  দায়িত্ব পালন,সেখানে তার অবস্থান এবং ভারত হয়ে মুজিবনগরে ফিরে আসতে পারেন।

(এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান)

স্বরাষ্ট্র,ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী

<003.045.100>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
জোনাল কাউন্সিল এবং যুব ক্যাম্পের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কেবিনেট সচিবের একটি চিঠি বাংলাদেশ সরকার, কেবিনেট ডিভিশন ২৩ আগস্ট, ১৯৭১

অনুগ্রহপূর্বক ২০/৭/৭১ তারিখের আমার অফিস থেকে পেটেন্ট অনুমোদন এবং হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে প্রচারিত আদেশের একটি মুখবন্ধ অনুলিপি সংগ্রহ করুন। আমি আশা করি এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত (আদেশের অনুলিপি ২৮/৭/৭১ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। )

(এইচ. টি. ইমাম)

মন্ত্রিপরিষদ সচিব

২৩/৮/৭১

No.37(3)/Cab                                                                                                                                                       তারিখ: ২৩/৮/৭১

বরাবর,

১/ অর্থমন্ত্রী

২/ অর্থসচিব

৩/ প্রতিরক্ষা সচিব

আমি জানতে পেরেছি যে, আঞ্চলিক প্রশাসন ও যুব ক্যাম্পের অধিদপ্তরের হিসাব একসঙ্গে চালু হয়েছে। আমি আগেই খুব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছিলাম যে এই দুই সংস্থার বাজেট আলাদা। অর্থমন্ত্রী আঞ্চলিক প্রশাসনের বাজেট হিসেবে ২,৪২,১২১.০০ রুপি বরাদ্দ রেখেছেন। যুব ক্যাম্পের ব্যয় হিসেবে তিনি ১০,০০,০০০.০০ রুপি বরাদ্দ রেখেছেন। এই দুই খাতের হিসাব স্বতন্ত্রভাবে আলাদা রাখা হয়েছে। জনাব এ. কে. চৌধুরী আঞ্চলিক প্রশাসনের সকল হিসাব জনাব পি. সি. ভৌমিকের কাছে হস্তান্তর করবেন যিনি আঞ্চলিক প্রশাসনের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। আঞ্চলিক প্রশাসনের সম্পর্কযুক্ত সকল হিসাবের ব্যাপারে জনাব ভৌমিক দায়িত্বশীল থাকবেন। তিনি সরাসরি ডেপুটি সেক্রেটারি (প্রশাসন) এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। হিসাবগুলো সঠিক ও সংরক্ষিতভাবে আছে, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করবেন। ডি. এস. নিয়ন্ত্রিত ভাবে ক্যাশবুক পরীক্ষা করবেন। জনাব এ. কে. চৌধুরী যুবক্যাম্প সম্পর্কিত ব্যয়ের হিসাব বজায় রাখবেন। আমি ইতোমধ্যে সরকারের কাছে C.A. পদের অনুমোদন ও তার নিয়োগের জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছি। এটি না হওয়া পর্যন্ত তিনি অস্থায়ীভিত্তিতে কাজ করবেন।

১. আনুমানিক বার্ষিক ব্যয় আঞ্চলিক অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট – ২,০৮,৪৭৫.০০

    (ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী দ্বারা অনুমোদনকৃত)                                               রুপি

<003.045.101>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

২. আঞ্চলিক প্রশাসনের জন্য সম্পূরক বাজেট (আইন অনুমোদিত/উৎসে অনুমোদিত)                                            -৩৩,৬৪৬.০০ টাকা

৩. আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পদসমূহের জন্য সম্পূরক বাজেট                                                            -৫১,০০০.০০ টাকা

৪. উপ-আঞ্চলিক অফিসের বাজেট                                                                                                    -২,৪০,০০০.০০ টাকা

৫. ভ্রমন ভাতা এবং মহার্ঘভাতার জন্য বাজেট                                                                                                -১৭,০০০.০০ টাকা

৬. MNA এবং MPA দের ভাতার জন্য বাজেট                                                                                               -৩,০০,০০০.০০ টাকা

*MNA= Member of National Assembly (জাতীয় পরিষদের সদস্য) *MPA= Member of Provincial Assembly (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য)

৭. আঞ্চলিক পরিষদের জন্য বাজেট                                                                                                  -৪০,২০০.০০ টাকা

৮. যুব শিবিরের পরিচালকের দপ্তরের জন্য বাজেট (প্রধান কার্যালয়)                                                         -৬৫,২০০.০০ টাকা

৯. অগ্রীম ভাতার জন্য বাজেট -মূল টাকা

১০. পরিবহন পরিচালকের দপ্তরের জন্য বাজেট                                                                                             -১,৪৪,৪০০.০০ টাকা

১১. আন্তঃ নিরাপত্তা পরিকল্পনার জন্য বাজেট                                                                                                 -১,৪৪,৪০০.০০০ টাকা

উপরোল্লিখিত বাজেটগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ১ এবং ২ নাম্বারটি আঞ্চলিক অফিসের সম্মানে/সার্থে অনুমোদিত হয়। অন্যান্য আয়ব্যায় সংক্রান্ত হিসাবের সাথে হওয়া জরূরী ব্যায়সমূহ অর্থমন্ত্রীর দ্বারা অনুমোদনে বাধ্য থাকে। যখন ব্যয় হয় তখন আমরা তিনটি বিশদ নীতি অনুসরন করি-

১. আঞ্চলিক প্রশাসনের অনুমোদিত বাজেট কঠোরভাবে নেতৃত্ব অনুযায়ী অনুসরন করা হবে।

২. যুব শিবিরের বাজেট এর স্ব-কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অনুসরন করা হবে।

৩. মুক্তিবাহিনীর সাথে জড়িত অবশ্যম্ভাবী ও জরূরী ব্যায়সমূহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের খরচ বৃদ্ধির মাধ্যমে হতে পারে। এই ব্যায়সমূহের মধ্যে কিছু বিষয় যেমন মুক্তিবাহিনীর যাতায়ত খরচ, হাসপাতাল খরচ যেমন রক্তবৃদ্ধি, ডায়েট ইত্যাদি, মৃতদেহ কবর দেয়া, শহীদদের বিধবা স্ত্রীদের সহায়তা ইত্যাদি, এইসব খরচ, হয় চীফ অব স্টাফ অথবা উনার অনুমোদিত কোন অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে। যখন এই খরচগুলো হয় তখন আমরা এই নীতি দ্বারা পরিচালিত হই যে, আমাদের সব প্রচেষ্টা প্রতিরক্ষা কেন্দ্রীক হবে এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত সব খরচকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। এর আগে এক মিটিংয়ে আঞ্চলিক পরিষদ ২০০০০০ রুপি মুক্তিবাহিনীর অংশ হিসেবে রাখার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সেই সাথে আমি পূর্বাঞ্চলীয় মুক্তিবাহিনীর জন্য ২০০০০০ রুপি ৩ মাসের জন্য রাখার বিধান করতে সরকারিভাবে চেষ্টা করি।

এস.ডি/- এইচ.টি. ইমাম

সচিব

পুর্বাঞ্চল

২৮.০৭.৭১

———————–

<003.046.102>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
জোনাল এডমিনিষ্ট্রেটিভ কাউন্সিল গঠনের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্তী আহৃত সভার বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ২৫ আগস্ট, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকার

স্বরাষ্ট্র ও আন্তঃমন্ত্রনালয়

নোটিশ

১. আঞ্চলিক প্রশাসন পরিষদের সংবিধানের জন্য MNA ও MPA দের একটি মিটিং ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্ব স্ব আঞ্চলিক পরিষদের সদর দপ্তরে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

২. উপস্থিত MPA/MNA দের মধ্য হতে একজন সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য বাছাইকৃত হবেন।

৩. আঞ্চলিক প্রশাসন অফিসের প্রাক্তন সদস্য সচিব সভার সারসংক্ষেপ লিখবেন এবং সভার শেষে যত দ্রুত সম্ভব (২৪ ঘন্টার মধ্যে) মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ করবেন।

৪. সভার ভেন্যু জানতে সকল MNA এবং MPA দের স্ব স্ব আঞ্চলিক প্রশাসন অফিসার ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

(এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান )

মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র ও আন্তঃমন্ত্রণালয়

২৫ আগস্ট ১৯৭১

স্মারকলিপি নং- HM/43 (400)

কপি ফরোয়ার্ড করা হয়েছে :-

১) জনাব আব্দুল হামিদ এম. এন. এ

২) আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা তথ্য এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য                                                                                    অঞ্চল

 (এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান )

মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র ও আন্তঃমন্ত্রণালয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সাধারন প্রশাসন বিভাগ

আদেশ

১. মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের গতি বৃদ্ধি করার মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার জন্য এইই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রত্যেকের জন্য আলাদা সদর দপ্তর ও আইনগত সীমা ঠিক করে প্রশাসনিক অঞ্চল ভাগ করা হবে।

<003.046.103>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

১) দক্ষিণ-পুর্ব অঞ্চল (১)      এইচ.কিউ. সাবরুম                              i) চট্টগ্রাম

  1. ii) পার্বত্য চটগ্রাম

iii) ফেনী মহকুমা,

২) দক্ষিন-পূর্ব অঞ্চল (২) এইচ.কিউ. আগরতলা               নোয়াখালী জেলা

  1. i) ঢাকা

Ii) কুমিল্লা

iii) নোয়াখালী জেলা (ফেণি মহকুমা বাদে)

৩) পূর্ব অঞ্চল             এইচ.কিউ. ধর্মনগর        i)হবিগঞ্জ,  মৌলভীবাজার মহকুমা

ও সিলেট জেলা

৪) উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (১)        এইচ.কিউ. ডকি   i) সদর ও সুনামগঞ্জ মহকুমা, সিলেট জেলা

৫) উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (২)        এইচ.কিউ. তুরা                    i) ময়মনসিংহ

  1. ii) টাঙ্গাইল

৬) উত্তর অঞ্চল                                    এইচ.কিউ. চকবিহার                          i) রংপুর

৭) পশ্চিম অঞ্চল                                   এইচ.কিউ. বালুরঘাট                           i) দিনাজপুর

  1. ii) বগুড়া

iii) রাজশাহী

৮) দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চল                     এইচ.কিউ. কৃষ্ণনগর             i) পাবনা

  1. ii) কুষ্টিয়া

iii) ফরিদপুর

  1. iv) যশোর

৯) দক্ষিন অঞ্চল                                    এইচ.কিউ. বারাসাত                           i) বরিশাল

  1. ii) পটুয়াখালী

iii) খুলনা

বি.দ্রঃ      ১) জোনাল ডিভিশন তৈরির ক্ষেত্রে জোনাল ডিভিশনের সাথে উল্লেখিত অঞ্চল থেকে অনেক মানুষ নিকটস্থ জোনাল

                    হেডকোয়ার্টারস এ আসার ভিত্তিতে উপরোক্ত অঞ্চলগুলো ভাগ করা হয়েছে।

২) আরও মাথায় রাখতে হবে যে এক জেলার মানুষ নিজেদের এলাকা যে অঞ্চলে আছে, সে অঞ্চল বাদে অন্য অঞ্চলেও পরতে

      পারেন। এ সকল ক্ষেত্রে তারা যেখানে আছেন, সে অঞ্চলের বলে গণ্য হবেন

২. আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ

প্রতি অঞ্চলে একটি করে আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ গঠন করা হবে।

আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের সংবিধানঃ

ক) সকল অঞ্চলের এম.এন. এস এবং এম. পি. আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য হবেন।

  1. i) এম.এন. এস এবং এম.পি সকল তাদের অঞ্চল যে জেলায় পরেছে তাতে অবস্থান করবেন যাতে যথাসংখ্যক জনগণের

<003.046.104>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় যারা তাদের নির্বাচকমন্ডলীতে অবস্থা করছেন এবং নির্বাচকমন্ডলীর মাঝে যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

  1. ii) নির্বাচকমন্ডলী নিজের অঞ্চলের না হওয়া সত্ত্বেও যদি মনে হয়ে যে কোন অঞ্চলে থাকলে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হবো, এই সিদ্ধান্ত এম.এন.এস অথবা এম. পি দের সুবিধা এবং সুবিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হলো।

iii)কোন এম.এন.এস বা এম.পি. এস এক আঞ্চলিক পরিষদের বেশি পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না।

(খ) প্রতিটি আঞ্চলিক পরিষদের প্রধান পদে থাকবেন একজন করে চেয়ারম্যান যিনি আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের সদস্যদের মথ্যে থেকে নির্বাচিত হবেন।

(গ)আঞ্চলিক প্রশাসনিক অফিসার পরিষদের সদস্য সচিব হবেন।

(ঘ) প্রশাসনিক পরিষদের কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক সচিব থাকবেন

৩. আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের কাজঃ

(ক) মন্ত্রিসভার নির্দেশিত নীতি বাস্তবায়ন এবং উপদেশ ও রাজনৈতিক ক্ষমতা আঞ্চলিক পরিষদকে নিশ্চিত করতে হবে।

(খ) আঞ্চলিক অফিসকে সাধারণ জনগণের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশ সরকারের উপস্থিতি

       অনুভব করাতে হবে।

(গ) আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদকে স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য স্থানীয় সংস্থার সহায়তায় উদ্বাস্তুদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে

       অংশগ্রহণ করতে হবে। তারা বাংলাদেশ সরকারের ত্রান বিতরন কর্মসূচি আয়োজন, পর্যবেক্ষন এবং বিতরণে সহায়তা করবে।

(ঘ) আঞ্চলিক পরিষদ উদ্বাস্তু শিবিরে নজর রাখবে এবং বহিরাগতদের সরিয়ে দেবে।

(ঙ) পরিষদ ইয়ুথ ক্যাম্পে লজিস্টিক এবং প্রসাশনিক সহায়তা দেবে।

(চ) আঞ্চলিক পরিষদ সেক্টর কমান্ডারদের সাথে যোগাযোগ রাখবে এবং সহায়তা নিশ্চিত করবে।

(ছ) আঞ্চলিক পরিষদ স্বাধীন এলাকাসমূহে প্রশাসনিক যন্ত্রপাতি বসাতে সহায়তা করবে।

(জ) পরিষদের সদস্যরা প্রতি মাসে অন্তত একবার একে অপরের সাথে দেখা করবে। সদস্য সচিব চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ

করে কর্মসূচি ঠিক করবেন। পরবর্তীতে সভার অন্তত ৫ দিন আগে সদস্য সচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। সদস্যদের প্রস্তাবিত

প্রস্তাবসমূহের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবসমূহ বিবিধ বিষয়ের অধীনে সভায় প্রথমে আলোচনা করা হবে।

<003.046.105>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

৪। আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাউন্সিলের উপকমিটিসমূহঃ

                (ক) আঞ্চলিক কাউন্সিল তার কাজকর্ম সহজতরভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত উপ-কমিটিগুলো সাধারণভাবে গঠন করবে।

                                (ক) অর্থ উপ-কমিটি

                                (খ) ত্রাণ উপ-কমিটি

                                (গ) স্বাস্থ্য উপ-কমিটি

                                (ঘ) প্রচারণা উপ-কমিটি

                                (ঙ) শিক্ষা উপ-কমিটি

                                                কাউন্সিল চাইলে, তৎসত্ত্বেও, যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে কোন উপ-কমিটি গঠন করতে পারে যেটি মন্ত্রিসভার সংস্থাপন শাখার অনুমোদনের উপর নির্ভর করে।

                (খ) প্রত্যেক উপ-কমিটি আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাউন্সিলের সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ৭  সদস্যের মাধ্যমে গঠিত হবে।

                (গ) উপ-কমিটির সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি (চেয়ারম্যান) নির্বাচন করবেন।

                (ঘ) বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী আঞ্চলিক কর্মকর্তা অনুরূপ উপ-কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।

৫। আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ

                (ক) প্রত্যেক অঞ্চলের প্রশাসনিক বিন্যাসে একজন আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রধানরূপে থাকবেন।

                (খ) আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরকারের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন

                (গ) আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যিনি পদাধিকার বলে আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব, তিনি কাউন্সিল সভার মিনিটস লিপিবদ্ধ রাখবেন।

                (ঘ) আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সকল আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের মধ্যে, যারা জবাবদিহিতার আওতায় পড়েন, তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন।

                (ঙ) আঞ্চলিক কর্মকর্তারা তাদের স্থানীয় প্রতিরূপদের সাথে ঘনিষ্ঠ মৈত্রী স্থাপন করবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা এবং সহায়তা করবেন।

                (চ) আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাউন্সিলের সকল নীতি গ্রহণ করে তা কার্যকর করার জন্য তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবেন।

৬। আঞ্চলিক কর্মকর্তারাঃ

                (ক) প্রত্যেক অঞ্চলে থাকবেঃ

                                ১) একজন আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

                                ২) একজন আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা

                                ৩) একজন আঞ্চলিক ত্রাণ কর্মকর্তা

<003.046.106>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

৪। একজন আঞ্চলিক ইঞ্জিনিয়ার

৫। একজন আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা

৬। একজন আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা

৭। একজন আঞ্চলিক হিসাব কর্মকর্তা

খ) আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নিয়োগকৃত হবে, এবং বিভিন্ন অঞ্চলে কাজে নিয়োজিত হবে।

অর্থঃ

ক) অর্থ বিষয়ক সবকিছু প্রত্যেক অঞ্চলের আঞ্চলিক অর্থ উপ কমিটি কতৃক পরিচালিত হবে।

খ) অর্থ উপ কমিটি ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। আঞ্চলিক প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্যদের উপ- কমিটির পদাধিকারবলে সদস্য এবং বাকি তিন সদস্য তার সদস্যদের মধ্যে থেকে কাউন্সিল দ্বারা নির্বাচিত হতে থাকবে।

গ) ফান্ড একটি ব্যাংক একাউন্ট কতৃক পরিচালিত হবে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট অর্থ উপ-কমিটির সব সদস্যদের নামে খোলা হবে এবং একই নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে:

চেক আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা জারি করা হবে এবং অর্থ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বা তাহার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সদস্যদের কোন একজন দ্বারা প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে ।

ঘ) মাসিক ভিত্তিতে মূল ব্যয় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তহবিল সরকার দ্বারা প্রকাশ করা হবে। সরকারের অনুমোদন ছাড়া কখনই ব্যয় মূল ব্যয়কে ছাড়িয়ে যাবে না।

ঙ) আঞ্চলিক হিসাব কর্মকর্তা সরকারের সাধারণ আর্থিক বিধি অনুযায়ী যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

চ) হিসাব অন্তত একবার অর্থ বিভাগ কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক কতৃক নিরীক্ষিত হবে। হিসাবের একটি পাক্ষিক বিবৃতি অর্থ বিভাগের নিকট প্রেরণ করতে হবে মন্ত্রিসভায় স্থাপন করার জন্য

এস.ডি/- তাজুদ্দিন আহমেদ

প্রধানমন্ত্রী

<003.047.107>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

        শিরোনাম                 সূত্র            তারিখ
      বীরত্ব খেতাবপ্রাপ্ত স্কীম অনুমোদন সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ সরকার ক্যাবিনেট     ডিভিশন ২৮ আগস্ট। ১৯৭১

মে’তে ১৬.৯.১৯৭১ অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মন্ত্রিপরিষদ বীরত্বের পুরস্কার স্কীম সি -ইন-সি দ্বারা জমা অনুমোদন করা হয়েছে। এখন যে প্রাসঙ্গিক মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত প্রচারিত হচ্ছে , প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা বীরত্বের পুরস্কার প্রকল্প নিজেই মন্ত্রিপরিষদ মিনিট এবং সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

             আমি সি -ইন-সি এর জন্য কল্যাণকামী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীরত্বসূচক পুরস্কার স্কীম পাঠাতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

                                                                      এইচ.টি ইমাম

                                                 মন্ত্রিপরিষদ সচিব

                                                                     ২৮.৮.১৯৭১

গোপনীয়                                                                                                                                                    তারিখ ২৮.৮.১৯৭১

মেমো নং ৫৪৪/ ক্যাব

প্রতিরক্ষা সচিবকে অনুলিপি প্রেরণ করুন

                                                                      এইচ.টি ইমাম

                                                 মন্ত্রিপরিষদ সচিব

                                                                     ২৮.৮.১৯৭১

<003.048.108>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

          শিরোনাম               সূত্র     তারিখ
যুব ক্যাম্পে ত্রৈমাসিক ব্যয়      বরাদ্দের হিসাব বাংলাদেশ সরকার যুব ক্যাম্প প্রধান কার্যালয় ১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

তিন মাসের জন্য যুব ক্যাম্পের পরিচালকের দপ্তর এর জন্য বাজেট এর হিসাব

০১.০৯.১৯৭১ হতে অগ্রসার

(ক) আবর্তক :

১) ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন:                                                   রূপি ৯০০০.০০

৬ জন পরিচালক @ রূপি ৫০০ x ৬ x ৩                                     রূপি ১৯৫০০.০০

১৩ জন ডেপুটি পরিচালক @ রূপি ৫০০ x ১৩ x ৩

                ২) ২য়  শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন:                                                  রূপি ১৬৮০০.০০

১৪ জন স্টাফ কর্মকর্তা @ রূপি ৪০০ x ১৪ x ৩

                ৩) ৩য় শ্রেণীর স্টাফদের বেতন:                                                                   রূপি ২৭০০০.০০

৩০ জন ৩য় শ্রেণীর স্টাফ @ রূপি ৩০০ x ৩০ x ৩

                ৪) ৪র্থ শ্রেণীর স্টাফদের বেতন:                                                         রূপি ৯০০০.০০

২০ জন ৪র্থ শ্রেণীর স্টাফ @ রূপি ১৫০ x ২০ x ৩

রূপি ৮১৩০০.০০

খ) টি.এ ও ডি.এ (এল.এস)                                                                                রূপি  ৮২০০০.০০

গ) স্টেশনারি @ রূপি ৫০০০ পিএম x ৩                                                       রূপি  ১৫০০০.০০

ঘ)  দৈবঘটনা @রূপি ২০০০ পিএম x ৩                                                                   রূপি ৬০০০.০০

মোট                                                                               রূপি ১৮৪৩০০.০০

ঙ) অনাবর্তক                                                                                        রূপি ২০০০০.০০

                ১) ফার্নিচার                                                                          রূপি ৫২০০০.০০

                 ২) ২০ পদের লেখক                                                             রূপি ৩০০০.০০

                ৩) অফিস ফিটিং                                                                  রূপি ৩০০০.০০

                ৪) সাইক্লোস্টাইল মেশিন                                                     রূপি ৭৮০০০.০০

চ) অফিসের আবাসনের জন্য

              হে/কো @ ২০০০ পিএম x ৩                                                                 রূপি ৬০০০.০০

আবাসিক আবাসন                                                                                          রূপি ১৬৫০০.০০

রূপি ২২৫০০.০০

<003.048.109>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

ছ) পরিবহণ খরচঃ

                ১) ৮ নম্বর জিপের খরচ @ প্রতিটা ২৫০০০ x ৮                           রূপি ২০০০০.০০

                ২) রক্ষণাবেক্ষণ খরচ রূপি ২০ পিএম x ১০ x ৩             রূপি ৬০০.০০

                ৩) পি.ও.এলখরচ ১০ নম্বরের জন্য

                   রূপি ৫০০ x ১০ x ৩                                                                   রূপি ১৫০০০.০০

                ৪) মি. ব্যয়                                                                                         রূপি ১২৫১০.০০

সর্বমোট আবর্তক এবং অ আবর্তক ব্যয়                      রূপি ৫১২৯১০.০০

স্বাক্ষরিত/-

                   এস.আর. মির্জা

                                                                                           পরিচালক. হেডকোয়ার্টার, ইয়ুথ ক্যাম্প

সচিবের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ৩ মাসের প্রাক্কলিত বাজেট

(কার্যকরণের তারিখ- ১.৯.৭১)

১.৯.৭১ থেকে ৩১.১১.৭১ পর্যন্ত  ৩ মাস সময়কালের জন্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইয়ুথ ক্যাম্পের খরচ সহ সর্বমোট ৫,৮৬,৩৭০ রুপি প্রাক্কলিত ব্যয় বিবেচনা করা হয়েছে।

এই বাজেটের একটি অংশ (অংশ-১) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্য অংশটি(অংশ-২) ইয়ুথ ক্যাম্পের খরচ হিসেবে বিবেচ্য।

উল্লেখিত সময়কালের জন্য অংশের ভিত্তিতে সর্বমোট আবর্তক এবং অনাবর্তক খরচের পরিমাণ নিম্নরুপঃ

মন্ত্রণালয় বাবদ (অংশ) আবর্তক ৩৩,৩০০ রুপি
  অনাবর্তক ৪০,১৬০ রুপি
  মোট ৭৩,৪৬০ রুপি
ইয়ুথ ক্যাম্প (অংশ) আবর্তক ১,৮৪,৩০০ রুপি
  অনাবর্তক ৩,২৮,৬১০ রুপি
  মোট ৫,১২,৯১০ রুপি
মুখ্য খরচ (অংশ)    
১) প্রশাসনিক খরচ   ২৮,৫০০ রুপি
২) অফিস সরঞ্জাম এবং ষ্টেশনারী   ১৮,৮৬০ রুপি
৩) অন্যান্য সম্ভাব্য খরচাদি   ২৬,১০০ রুপি

<003.048.110>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

  1. আইটেম: খরচা মাসের জন্য। তিন মাসের খরচা পরিশিষ্ট ৩ ———————————————————————- 1. দৈনিক সংবাদপত্র (বাংলা ও ইংরেজি) Rs 200. Rs. 600 সাপ্তাহিক কাগজপত্র & জার্নাল (ভারতীয় ও বিদেশী). ত্রৈমাসিক ও মাসিক জার্নাল ইত্যাদির সাবস্ক্রিপশন চার্জ 2. প্রচারপত্র মুদ্রণ, প্রোপাগান্ডা জন্য. Rs 200. . Rs 6000 উদ্দেশ্য 3. অন্যান্য সাপেক্ষ ব্যয় Rs 6500. Rs 19500 ________________________________________________ Rs. 26100 পরিশিষ্ট- (সিরিয়াল নম্বর-পোস্টের নাম-নাম্বার-পে-এক মাসের জন্য পে-তিন মাসের জন্য পে-মন্তব্য) ১-সম্পাদক-১ ২-Dy. সম্পাদক-২ ৩-অধীনস্থ সম্পাদক-৩ ৪-প্রচার অধ্যাপক-১ ৫-স্টাফ অফিসার-৪ ৬-শ্রুতিলেখক-৩ ৭-হিসাবরক্ষক-১ ৮-অফিস সহকারী.-৩ ৯-পিয়ন-৪ ১০-অফিসার দের ভ্রমন ভাতা টাকা.2000/ পে Rs .500.00 রুপি Rs 500/00 Rs 500/00 Rs 400/00। ( পে) Rs 350/00 Rs 300/00 Rs 250/00 Rs 300/00 Rs 150/00) – এক মাসের জন্য পে Rs 500/00 Rs 1,000 / 00 Rs 1500/00 RS 400/00 Rs 1,400 / 00। (এক মাসের জন্য) Rs 900/00 Rs 250/00 Rs 900/00 Rs 600/00 Rs 2,000 / 00) তিন মাসের জন্য পে Rs 1,500 / 00 Rs3000/00 . Rs4,500 / 00 Rs1,200 / 00 (পে, তিন পাসের জন্য) Rs4,2 00/00 Rs2,700 / 00 Rs750/00 Rs2,700 / 00 Rs 1.8 00/00) 6,000 / – 28,350 / 00 28.500 / 00

<003.048.111>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

১) নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, যুব শিবির

২) চেয়ারম্যান/সচিব

৩) পরিচালক, প্রধান কার্যালয়, যুব শিবির                  স্টাফ অফিসার ১জন প্রশাসন, ১জন অর্থ, ৬জন মাঠকর্মী

৪) পরিচালক, পশ্চিম/দক্ষিণ জোন-১                          (মালদা, পশ্চিম দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কুচবিহার)

                                                                           (২৪ পরগনা, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ)

৫) পরিচালক, পশ্চিম/দক্ষিণ জোন-২                          (আসাম-মেঘালয়)

৬) পরিচালক, উওর/দক্ষিণ                                      (ত্রিপুরা)

৭) পরিচালক, পূর্ব/ দক্ষিণ-১                                      (ত্রিপুরা)

৮) পরিচালক, ই/এস-২                                        (প্রধান কার্যালয়,, যুব শিবির পরিচালকের অধীন)

৯) পরিচালক (প্রধান কার্যালয়,) প্রশিক্ষন                        ঐ

১০) পরিচালক (প্রধান কার্যালয়,) সরবরাহ                      ঐ

১১) পরিচালক, ২৪ পরগনা                                          ঐ

১২) পরিচালক, নদীয়া                                            পশ্চিম/দক্ষিণ জোন-২ পরিচালকের অধীন

১৩) পরিচালক, মুর্শিদাবাদ                                          ঐ

১৪) পরিচালক, মালদা                                               ঐ

১৫) পরিচালক, পশ্চিম দিনাজপুর                           পশ্চিম/দক্ষিণ পরিচালকের অধীন

১৬) পরিচালক, কুচবিহার                                           ঐ

১৭) পরিচালক,কেএইচ ও জে হিলস                             ঐ

১৮) পরিচালক, গারো পাহাড়                                উত্তরাঞ্চল পরিচালকের অধীন

১৯) পরিচালক, করিমগঞ্জ                                             ঐ

২০) পরিচালক, আগরতলা                                     পূর্বাঞ্চল-১ ও ২ পরিচালকের অধীন

২১) পরিচালক, সাব্রুম                                           ঐ

এসডি/- এস.আর. মির্জা, পরিচালক।

প্রধান কার্যালয়,, যুব শিবির

<003.048.112>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

একত্রীকৃত বাজেট, যুব ক্যাম্প অধিদপ্তর,সময়কাল ৩ মাস। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ থেকে রিকারিং (Recurring) A Rs 81300/00 B Rs 8200/00 C Rs 15000/00 D Rs 6000/00 মোট- Rs 184300/00 নট রিকারিং (Not Recurring) E Rs 78000/00 F Rs 22000/00 G Rs 215600/00 H Rs 12510/00 ————————- Rs 3,28,610 / 00 মোট রিকারিং এবং নন রিকারিং খরচ Rs 5.12.910 রুপিতে পাঁচ লাখ বারো হাজার ন’শো দশ ুমাত্র. স্বাঃ / – এস আর মির্জা পরিচালক, H/ Q- s. ইয়ুথ ক্যাম্প

<003.049.113>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের নিয়োগ পত্র বাংলাদেশ সরকার , কেবিনেট বিভাগ ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মুজিবনগর

মেমো নং   তারিখঃ. ৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

ক্রম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে , জনাব আব্দুল খালেককে সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করা হল। আদেশটি তাত্ক্ষণিক ভাবে কার্যকর হবে.

উক্ত নিয়োগ জনসেবার স্বার্থে করা হয়েছে.

সৈয়দ তাজউদ্দীন আহমদ,

প্রধানমন্ত্রী.

৪.৯.১৯৭১.

মেমো নং                                                                                                                                  তারিখঃ. ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

প্রতিলিপি (১) জনাব আবদুল খালেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, পুলিশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবর, তথ্য ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সংগঠিত করার দায়িত্ব অব্যাহত রাখবেন.

মেমো নং গ /

প্রতিলিপি: –

সৈয়দ তাজউদ্দীন আহমদ,

প্রধানমন্ত্রী.

৪.৯.১৯৭১.

তারিখঃ. ৬ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

প্রতিলিপি বরাবর: –

১. জনাব আবদুল খালেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, পুলিশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, তথ্য ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

জ্ঞাতার্থে প্রতিলিপি বরাবর : –

২. মাহবুবুল আলম, সচিব, পররাষ্ট্র.

৩. জনাব উ সামাদ, সচিব, প্রতিরক্ষা.

  1. জনাব কে.এ. জামান, সচিব, অর্থ বিভাগ.
  2. জনাব এইচ.টি. ইমাম, সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ.

<003.049.114>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

  1. ডঃ টি। হোসেন, সচিব, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ.
  2. জনাব এমদাদ আলী, প্রধান প্রকৌশলী.
  3. জনাব জে.জি. ভৌমিক, ত্রাণ কমিশনার.
  4. জনাব এস.আর. মির্জা, পরিচালক, এইচ.কিউ., ইয়ুথ ক্যাম্প.
  5. জনাব শিলাব্রত বড়ুয়া ও.এস.ডি., আইন ও সংসদ বিষয়ক.
  6. জনাব এস.এ. সামাদ, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাউথ ইস্ট জোন.
  7. জনাব কে.আর. আহমেদ, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাউথ ইস্ট জোন.
  8. ডঃ কে.এ. হাসান, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইস্ট জোন.
  9. জনাব এস. এইচ. চৌধুরী, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নর্থ ইস্ট জোন.
  10. জনাব লুৎফর রহমান, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইস্ট জোন -১.
  11. জনাব ফয়েজ ঊদ্দিন আহমেদ, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নর্থ জোনের.
  12. জনাব এ. কাশেম, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ওয়েস্ট জোন.
  13. জনাব শামসুল হক, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, দক্ষিণ পশ্চিম জোন.
  14. জনাব এ. মোমিন, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাউথ জোন.
  15. জনাব কাজী লুৎফুল হক, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সচিব.
  16. ডঃ ফারুক আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব.
  17. জনাব সাদাত হোসেন, অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব.
  18. জনাব কামাল সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব.
  19. জনাব বি.বি. বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব.
  20. সংস্থাপন শাখা, জি.এ. বিভাগ

(এইচ.টি. ইমাম)

সচিব,

সাধারণ প্রশাসন বিভাগ।

<003.050.115>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
রেভিনিউ স্ট্যাম্প ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশাবলী বাংলাদেশ সরকার , অর্থ মন্ত্রনালয় ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তারিখঃ ৪/০৯/১৯৭১

আদেশ

অতঃপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, সর্বনিম্ন ২০ রুপির সকল সর্বশেষ প্রাপ্ত ভাউচারের উপর রাজস্ব স্ট্যাম্প সংযুক্ত করতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের তালিকা নিম্নে লিখিত হইল

রাজস্ব স্ট্যাম্প

১ লেনদেন রুপি ২০/- থেকে ৪৯.৯৯                                                                                     রুপি ০.৫০

২ লেনদেন রুপি ৫০/- থেকে ৯৯.৯৯                                                                                     রুপি ১.০০

৩ লেনদেন রুপি ১০০/- এবং এর উপর                                                                                              রুপি ১.০০

প্রত্যেক ১০০ রুপির জন্য এবং উহার ভগ্নাংশ।

সংযুক্ত রাজস্ব স্ট্যাম্পের দায়িত্ব থাকবে গ্রহণকারীর উপর, এবং সেইই সকল খরচের দায়ভার বহন করবে।।

যখন রাজস্ব স্ট্যাম্প সরকার দ্বারা সরবরাহ করা হবে তখন এই রাজস্ব পরিশোধ কর্মকর্তা দ্বারা নগদ টাকায় নিতে হবে যে কিনা এই লেনদেনের বিষয়গুলো অনুমোদন করবে তার সাক্ষরের মাধ্যমে।

 সেই সাথে পরিশোধ কর্মকর্তার দায়িত্ব হবে সংযুক্ত স্ট্যাম্প থেকে সংগ্রহীত আয়ের হিসাব রক্ষণ করা। প্রত্যেক মাসের শেষে সে অর্থ সম্পাদককে অবহিত করে এই সকল প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে জমা দিবে। এই আদেশ বাস্তবায়িত হবে আজ ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ দিনের শুরু থেকে। সম্পাদক, অর্থ মন্ত্রণালয় দয়া করে বৈদেশিক কর্মকর্তাসহ সকল দায়িত্ববান কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে অবহিত করবে, এবং সকল অনিয়ম এড়ানো নিশ্চিত করবে।

এসডি/-এম. মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী।

<003.051.116>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
দেশবাশির প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষন বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কাযার্‍লয় ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষণ

প্রিয় দেশবাসী এবং আমার সহকর্মীগন, শেষবার যখন আমি আপনাদের সামনে এসেছিলাম তারপর থেকে অনেক কিছুই ঘটে গেছে এই পৃথিবীতে। বাংলাদেশের জনগন যারা একটা প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে আছে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে তাদের জন্য একটা অসামান্য অর্জন হল এই যে সামরিক জান্তার পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত ক্ষমতার ঘাটি টালামাটাল করে দেওয়া এবং বাংলাদেশে তাদের কিছু নিরাপত্তা ক্ষেত্রের উপর থেকে নিয়ন্ত্রন হারানো। আমাদের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের অস্বীকৃতি, ভূমি ও সমুদ্রে আমাদের গেরিলাদের চমকপ্রদ দক্ষতা প্রদর্শন, দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়া শক্তি এবং প্রতিরোধ করার ক্ষমতার প্রবলতা হানাদারদের পরাজয়ের দিন খুব নিকটে নিয়ে আসছে। আমি গুরুত্ব আরোপ করতে চাই ধৈর্য ও সংযমের শক্তির উপর – দুইটা জিনিজ আমাদের এমুহূর্তে বর্তমান অবস্থায় খুব বেশি প্রয়োজনীয়, আর তা হল পুরোপুরি ভাবে শত্রু নির্মূল করা এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের পুনঃগঠন করা। পৃথিবীতে ক্ষমতার ভারসাম্য উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে যাচ্ছে। তার প্রমান পাওয়া যায় ইন্দো- সোভিয়েত চুক্তির মাধ্যমে শত্রুদের যে চেষ্টা ছিল তা সফল না হওয়ার মাধ্যমে। বাঙালিরা নিঃসন্দেহে তাদের শক্তির উপর নির্ভর করে যা তারা তাদের অবিস্মরণীয় সংগ্রামের দিনগুলোতে আবিষ্কার করেছে, আর সেখানে আত্মতৃপ্তি আছে কারন এটা এসেছে জনগনের সমর্থন থেকে যেখানে একসময় শুধুই সাবধানতা ছিল। কিছু সরকার তাদের অনৈতিক কাজগুলো অব্যাহত রেখেছে, যদিও জনগণ আমাদের সাথে তাদের দ্ব্যর্থহীন একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা শুধু আশা করতে পারি তাদের কাজকর্মের ফাঁকফোকর গুলো শীঘ্রই পরিসমাপ্ত হবে। নিঃসন্দেহে যে পাকিস্তানী আর্মির নীতিমালাই হল পুর্ব পাকিস্তানীদের ধ্বংস ডেকে আনা তারা এদের ত্রান সরবরাহ করবে তা বিশ্বাস করার মত মানুষ কেউ ই নাই পৃথিবীতে। একইসাথে জাতিসংঘও পর্যন্ত বাঙ্গালীদের জন্য অন্য জাতির পাঠানো ত্রানকে খোদ পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমেই দখলকৃত এলাকাসমূহে পানিপথে বিতরনকে সঠিক বলে মনে করছে, যেটা আসলে তাদেরই হেলিকপ্টার, জাহাজ আর যানবাহনে করে নেওয়া হবে যা আসলে আরো বেশি দমন পীড়নের পথ সুগম করে দেবে। জাতিসংঘের পীড়িতদের সাহায্যের জন্য গঠিত ত্রাণ বিতরন দলের কাছে ত্রানসামগ্রীর সাথে যোগাযোগের জন্য উন্নততর যন্ত্র থাকবে যা আদতে সন্দেহাতীতভাবেই পাকিস্তানী সৈন্যদলকেই সাহায্য করবে বেশি। এইসমস্ত কার্যক্রম আসলে এই মানবিক মিশনকেই গভীরভাবে বিপদগ্রস্ত করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব যদি এই অঞ্চলে জাতিসংঘের সম্মান রক্ষা করতে সত্যিই আগ্রহী হয় তাহলে অবিলম্বে বাংলাদেশে এই প্রহসনের ত্রান কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিক। আমাদের শত্রু স্পষ্টতই বর্বর তা ই নয় বরং তারা ছলনাপূর্ন এবং ছদ্মবেশী। আমাদের জনগনের যে মূল দাবী পূর্ন স্বাধীনতা তা থেকে দিকভ্রান্ত করতে তারা সময়ে সময়ে আপোষের ফর্মূলা উপস্থাপন করেছে যা আসলে কপটতাপূর্ণ। যদি আমাদের শত্রুরা আপোষ চায় তারমানে তারা দূর্বল হয়ে পড়েছে অথবা তারা আমাদের জন্য পরাজয় বরণের ফাঁদ পাতছে। জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনের শেষ দিকে এসে সামরিক জান্তা তাদের আশ্রয় হিসাবে বাংলাদেশে প্রশাসনিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে যা আসলে এড়ানোরই কৌশল। জেনারেল ইয়াহিয়ার বদলে তার ঘৃনিত দালাল জনবিচ্ছিন্ন টিক্কা খানকে অসামরিকভাবে জাতিসংঘে উপস্থাপন মূলত ছিল বাঙ্গালীদের নিন্দিত করার পাশাপাশি সেই এড়ানোর কৌশলমাত্রই যার উদ্দেশ্য আসলে বাংলাদেশে চলা সামরিক শাসন, গনহত্যা আর দমন পীড়নকে লুকনো।

<003.051.117>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শত্রুরা একটি আপোষ করতে চায় কারণ হয় তারা দুর্বল অথবা তারা আমাদের জন্য একটি ফাঁদ পেতেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকা উচিৎ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সামরিক জান্তা বাংলাদেশের বেসামরিক লোকদের ভাল করতে চায় এই দেখিয়ে একটি প্রতারণা পূর্ণ কৌশল করে। জেনারেল ইয়াহিয়ার স্থলে ঘৃণিত টিক্কা খানকে আনা, বাঙ্গালীদের দুর্নাম করা, জাতিসংঘে পাকিস্তান কে তুলে ধরা এসব কিছুই ছিল সেই একই প্রতারণাপূর্ণ কৌশলের অংশ যার দ্বারা সামরিক আইনের নির্মম সত্য, গণহত্যা এবং বাংলাদেশী জনগণের ইচ্ছাকে লুকানো হচ্ছিল। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের কিছু সদস্যকে পদচ্যুত করে ইয়াহিয়া কাকে খুশি করতে চাচ্ছিল? অথচ অন্য সদস্যরা যথাস্থানে বহাল ছিল। অথচ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতার উৎস জনগন এবং তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখলকারী দের অধীন নয় এবং নিজস্ব সমর্থক তৈরীর কৌশলের অধীনও নয়। এম এন এ  এবং এম পি এ  রা তাদের গত জুলাই এর আলোচনায় তাদের শপথ পূণরাবৃত্তি করে যে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত কষ্ট সহ্য করবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত করবে না। তাদের সহায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলেও তারা শপথ থেকে বিচ্যুত হবেনা। বিশ্বের একটি অংশ বাঙ্গালীদের উপর চালানো গণহত্যা, সামরিক আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর উপর চালানো গোপন বিচার ও কারারোধ, এটর্নি দের মনোভাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ট্রায়াল নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্বকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি ৭ কোটি মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে মানুষরা তাকে ভালোবাসে এবং ক্ষমতায় দেখতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে এতদিন সব সরকারই অন্তরায় ছিল। এই পর্যন্ত একটি নিষ্ঠুর চক্রের দৃষ্টিহীন দাম্ভিকতা এর উপর সামান্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু আমি জনগণকে আস্বস্ত করতে চাই যে লোক দেখানো বিচারের মাধ্যমে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করছে তারাও শাস্তির সম্মুখীন হবে। এর মাঝে আমি ইসলামাবাদের সকল প্রভাবশালী জায়গায় শেখ মুজিবের নিরাপদ মুক্তির ব্যাপারে আবেদন করেছি। সম্প্রতি বাংলাদেশি কূটনৈতিক দ্বারা পাকিস্তান হতে বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তের একটি বিরাট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেখা গেছে যে স্বীকৃতি পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের একটি দ্রুততম এবং বিজয়ী উপসংহার। বাংলাদেশের জনগণ যারা দখলদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল যারা অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছে তারা অন্ততপক্ষে যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এর কথা যারা বলে তাদের কাছে এরচে ভাল কিছু প্রাপ্য। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের সাথে বন্যা নতুন করে আরেকটি দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

<003.051.118>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

দুঃখের জল, যা আমাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গ্রাস করেছে, শোষণের বিদ্রূপকারী নীতি যা বাংলাদেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ জন্য প্রদান অবহেলিত একটি অভিযোগ আছে. এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের সমস্যা কেবল বাঙালিদের নিজেদের ভাগ্য ভার গ্রহণ করে সমাধান করা যেতে পারে. পরিমাপের হিউম্যান মান স্কেল এবং আজ বাঙালির অন্তর্বেদনা গভীরতা আগে ভাঙ্গিয়া, কিন্তু আমি বাংলা আত্মার স্থিতিস্থাপকতা বিশ্বাস করে, এবং নিশ্চিত যে এটা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও যুদ্ধের উপর বিজয় লাভ হবে মনে. পরিশেষে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যার সাহস, আত্নত্যাগ, এবং কৃতিত্বের অস্ত্র সকল ক্ষমতার গর্ব এবং একটি মহান ভবিষ্যতের জন্য আশা নিয়ে জাতি পূরণ করুন. বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের সংহতি সুসংহত করেছে. এই সংহতি শক্তি তাদের স্থায়ী উৎস হউক

জয় বাংলা।

<003.052.119>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশের পত্রিকা প্রকাশনা সম্পর্কে একটি সরকারি চিঠি বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মেমো নংঃ এইচডি/৪৪/৩                                                                                                                            সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৭১

প্রেরকঃ                                এম.কে চৌধুরী

সহকারী সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রাপকঃ                                 জনাব খাজা আহমেদ, এমপিএ

প্রযত্নে উপ-আঞ্চলিক প্রশাসক, বেলোনিয়া জোন

‘আমার দেশ’ নামের একটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করার অনুমতি চেয়ে আপনার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনাকে জানানো যাচ্ছে, সরকার এখনো এটির অনুমতি দেয়া বা এর কার্যপ্রণালী কি হবে, সেটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, আপাতত উক্ত পত্রিকাটি আপনাকে প্রদত্ত ঠিকানা থেকে প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হলো।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রকাশনার একটি করে কপি আপনি মন্ত্রণালয়ে (প্রেস ও প্রকাশনা বিভাগ) এবং সার্কাস এভিনিউ, কলকাতাতে অবস্থিত অতিরিক্ত প্রকাশনা বিভাগে নিয়মিত পাঠাবেন। এটির আরো একটি কপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠাতে হবে।

(এম.কে চৌধুরী)

চিঠির অনুলিপি’র প্রাপকঃ

১) অতিরিক্ত প্রকাশনা বিভাগ, ৯ সার্কাস এভিনিউ, কলকাতা।

২) সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

(এম.কে চৌধুরী)

<003.053.120>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
প্রধানমন্ত্রী কতৃক সচিব নিয়োগ বাংলাদেশ সরকার, সাধারন প্রশাসন বিভাগ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গনপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার-

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

মেমো নং                                                                                                                                                           ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

আদেশ

পরবর্তি নির্দেশনার আগ পর্যন্ত জনাব নুরুদ্দিনকে গন প্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হলো। নিয়োগটি জনস্বার্থ বিবেচনায় রেখে করা হলো। নির্দেশনাটি অবিলম্বে বলবৎ হইবে।

স্বাক্ষর- তাজুদ্দিন আহমেদ

প্রধানমন্ত্রী

মেমো নং ——                                                                                                                                  ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

প্রদত্ত কপি: জনাব নুরুদ্দিন আহমেদের কার্য প্রয়োজনে ও জ্ঞাতার্থে- তিনি মাসিক Rs 500 (পাঁচশত রুপি) বেতন প্রাপ্ত হবেন।

স্বাক্ষর – তাজুদ্দিন আহমেদ

<003.054.121>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সূত্র তারিখ
প্রচার ও প্রপাগান্ডা সমন্বয় সম্পর্কে প্রতিরক্ষা সচিবের একটি নির্দেশনা বাংলাদেশ সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

হতে-                                                 প্রতিরক্ষা সচিব,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রতি-

১। জনাব এ.মান্নান এমএনএ

২। জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর এমএনএ (বহিঃ প্রকাশনা বিভাগের ইনচার্জ)

৩। জনাব এম আর আখতার -পরিচালক তথ্য ও প্রকাশনা

৪। জনাব কামরুল হাসান- পরিচালক শিল্প ও চিত্রকলা বিভাগ

৫। জনাব আঃ জব্বার- পরিচালক চলচ্চিত্র বিভাগ

বিষয়ঃ প্রচার এবং প্রোপাগান্ডা সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার

১। প্রচার এবং প্রোপাগান্ডার ব্যাপারে সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া উচিত।

যাতে করে যুদ্ধের সামগ্রিক কর্মকান্ডকে সহযোগিতা করা যায়।

২। নিম্নলিখিত নির্দেশিকা গুলো মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হলঃ

(ক) মুক্তিবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধি করা।

(খ) জনগনের মনোবল বৃদ্ধি করা।

(গ) শত্রু শিবিরের মনোবল হ্রাস করা।

(ঘ) পশ্চিম পাকিস্তানের জনগনের মনোবল হ্রাস করা সেই সাথে তাদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করা।

(ঙ) বেতার এবং সংবাদে শত্রু শিবিরের প্রোপাগান্ডার ব্যাপারে পালটা প্রতিবাদ করা।

(চ) শত্রু শিবিরের প্রোপাগান্ডার ব্যাপারে পালটা ব্যবস্থা নেয়া।

(ছ) বাংলাদেশের সত্যিকারের অবস্থা বহির্বিশ্বে জানানো।

৩। পরবর্তি নির্দেশনা পরবর্তিতে জানানো হবে।

                                         প্রতিরক্ষা সচিব,সেপ্টেম্বর ৭১

<003.055.122>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সুত্র তারিখ
অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকের কর্মসুচি বাংলাদেশ সরকার, মন্ত্রীসভা পরিষদ ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

মন্ত্রিপরিষদের পরবর্তি সভা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ বিকেল ৫:৩০ (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড সময়)। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির অফিসে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

সভার সময়সূচী                                                     মাধ্যম                                                         বাস্তবায়নে

বিষয়

১। পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রানালয়ের সচিব।        পররাষ্ট্র /প্রতিরক্ষা মন্ত্রানালয়                          সচিব

২। সদ্য বিদেশ ফেরত প্রতিনিধিদলের প্রধানদের প্রতিবেদন          স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়।                       সচিব

৩। মুক্তিবাহিনীর কল্যানের মহাপরিচালকের অধিদপ্তর

৪। বিবিধ

                                                     এইচ.টি ঈমাম

                                                      মন্ত্রিপরিষদ সচিব

                                                      ৭/০৯/১৯৭১

<003.056.123>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সুত্র তারিখ
বাংলাদেশের পাঁচটি রাজনৈতিক দল সমন্বয়ে ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন সংক্রান্ত তথ্য-৯ সেপ্টেম্বর . . এশিয়ান রেকর্ডার অক্টোবর ১-৭, ১৯৭১ . . ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ . .

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পর্ষদ গঠিত হয়েছে: স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর পাঁচটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছিলো একটি গণতান্ত্রিক পর্ষদ। মুক্তিবাহিনীকে দিকনির্দেশনা প্রদান করতে এবং বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দান করতে পরামর্শক হিসেবে আট সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়েছে। দল সমূহের নেতৃবর্গের দুই-দিনের সভা শেষে ঘোষণা করা হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধ-পর্ষদ, সে সভাটি পরিচালিত হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ কর্তৃক। যে সকল দল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ-পর্ষদ গঠিত হয়েছিলো, সে দল সমূহ ছিলো:- আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী গ্রুপ), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফফর গ্রুপ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস। বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র জানান, যে কমিটির গঠনটি অবশ্যই নিশ্চিত করবে “বাংলাদেশের ঔপনিবেশিক এবং সাম্রাজ্যবাদী শোষকদের” বিনাশে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করে সকল সম্প্রদায়ের জনগনের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের। এতে আরো যোগকরা হয় যে:- “কমিটির গঠনের দ্বারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, আওয়ামীলীগ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আস্থাবান মুক্তিকামী জনসাধারণের মধ্যে একতার প্রতিফলন ঘটানো। সভায় বাংলাদেশ সরকারকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ভারত সহ বিশ্বের সকল দেশের প্রতি আহবান জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও সভায় যুদ্ধোপকরণাদি আকারে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করে মুক্তিবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি “সক্রিয় সহযোগিতা” প্রদান করতে তাদের প্রতি আকুল-আবেদনও জানানো হয়।

<003.057.124>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সুত্র তারিখ
মুক্তাঙ্গনে সরকারী কর্মচারিদের কাজে লাগানো সম্পর্কিত নির্দেশ বাংলাদেশ সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অর্থমন্ত্রণালয় . .

স্মারক নং..                                                                                                                         …………..সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৭১ . .

প্রেরক:- এম. কে. চৌধুরী

উপ-সম্পাদক

প্রাপক:- জনাব আবুল কাশেম খান

আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা

পশ্চিম অঞ্চল।

বিষয়:- তেঁতুলিয়ার বর্তমান চাকুরীরত কর্মচারীগণ এবং উদ্ধারকৃত অঞ্চল সমূহ কাজে লাগানো।

মহকুমা কর্মকর্তা (উন্নয়ন) তেঁতুলিয়া এর অধীনে চাকুরীরত কর্মচারীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া অঞ্চলে তার কর্মচারীগণের সাথে কাজ করে আসছেন। তিনি দাবী করেছেন যে আলোচ্য এলাকাটি একটি মুক্তাঞ্চল। আরো জানা যায় যে, তিনি আওতাভুক্ত আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তার পরিকল্পনা বা নির্দেশনা ব্যতীতই কাজ করে আসছেন। . গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জি.এ. বিভাগ মুক্তাঞ্চল গুলোর প্রশাসনিক নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, যা হবে সকল মুক্তাঞ্চল সমূহের জন্য একটি মান সম্পন্ন প্রশাসনিক নীতিমালা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যবসা-বানিজ্য, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত রৌমারীর প্রশাসনিক নীতিমালাটি। জি.এ. বিভাগ কর্তৃক এইসব প্রতিষ্ঠান একত্রীকরণ করা হচ্ছে। যাতে করে সকল মুক্তাঞ্চলের জন্য একটি মানসম্পন্ন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করা যায়। . অত্ররূপ প্রস্তাবনা এবং অনুমোদন সমূহের চুড়ান্তকরণ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে বিধায় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে, যাতে করে তেঁতুলিয়ার মহকুমা কর্মকর্তা (উন্নয়ন), তেঁতুলিয়ার আওতাভুক্ত আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তার নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় তাদের দাবীকৃত মুক্তাঞ্চলগুলোতে মহকুমা কর্মকর্তা(উন্নয়ন) তার কার্যাবলী সম্পন্ন করতে পারেন। খাজনা, স্থলশুল্ক ইত্যাদি সংগ্রহের জন্য তিনি তাহার কর্মচারীদেরকেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই বিষয়ে আমরা উল্লেখ করতে পারি যে, ভারতে রপ্তানি হিসেবে বাংলাদেশে উৎপাদিত অন্যান্য পণ্যসমূহ এবং পাটের উপর অবশ্যই কর-সমূহ ধার্য করতে হবে। পাট এবং তামাকে মণ প্রতি ২/= রূপী রপ্তানি কর আরোপ করতে হবে। অন্যান্য সকল পণ্যের উপর কর সমূহ আরোপণ তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের অনুসৃত বিধিবিধান অনুযায়ী হবে। অন্যান্য সকল প্রকারের কর সমূহের বেলায়ও একইরূপ মূল্যাদি এবং কর ধার্যকরন নীতিসমূহ অনুসরন করতে হবে। . বিষয়টি অতীব জরুরী বিষয় হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে এবং তদ্বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহন করা হয়েছে মর্মে অত্র দপ্তরকে জানানো যেতে পারে। .

(এম.কে.চৌধুরী)

<003.058.125>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সুত্র তারিখ
ভারতে জহির রায়হান পরিচালিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক জনাব ফজলুল হক–এর চিঠি

বাংলাদেশ সরকার

রাষ্ট্রপতির দফতর

১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

জয় বাংলা                                                                                                                                         বাংলাদেশ সরকার

                                                                                                                                                রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ।

নথি নং পিএস/এসইসি/III/১১০, তারিখ ১০ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

বরাবর,

প্রধানমন্ত্রী,

বাংলাদেশ সরকার.

বিষয়: জনাব ফজলুল হক এর পত্র, জনাব জহির রায়হান প্রযোজিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী সংক্রান্ত.

অনুগ্রহ করে জনাব ফজলুল হক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক এর পত্র গ্রহণ করবেন। ব্যাখ্যামূলক পত্রটি। জনাব ফজলুল হক কর্তৃক আরোপিত অভিযোগ সমূহে আপনি দৃষ্টিপাত করবেন এবং বিষয় যাচাই করে আমাদের স্বদেশের জন্য কল্যাণকামী সিদ্ধান্ত নিতে আমি আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই প্রেক্ষিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক যথাসময়ে আমার সমীপে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।

(সৈয়দ নজরুল ইসলাম)

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি.

সংযুক্তি: পত্রের অনুলিপি (১টি)

………………………………………………………..

জনাব,

একটি গুরুতর ব্যাপারের অবতারণা করছি, আমার বিশ্বাস এটি জাতীয় ক্ষেত্রেও অতীব গুরুত্বপূর্ণ, জনাব জহির রায়হান পরিচালিত একটি প্রামাণ্যচিত্র যা আজ একটি বেসরকারি প্রেক্ষাগৃহের প্রদর্শনীতে দেখেছি সে প্রসঙ্গ আপনার সম্মানে পেশ করছি। . এই প্রামাণ্যচিত্রটির অর্থায়ন করেছে পূর্বভারতীয় চলচিত্র সংস্থা এবং প্রযোজিত করেছে স্বাধীনবাংলা বিপ্লবী বুদ্ধিজীবী পরিষদের সাহায্য সমন্বয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি। এই প্রামাণ্যচিত্রটি ভারত সরকারের কাছে বিক্রি করা হবে ভারতের আভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য বহিঃদেশ সমূহে প্রদর্শনীর জন্য। . তথ্যচিত্রটির প্রারাম্ভে ভ. ই. লেনিনের ছবি ও বাণীর সাথে ভারতে শরণার্থী আর আমাদের মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পের সামান্য অংশ দেখানো ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু আমার মতে গুরুতর বিপত্তির বিষয় হচ্ছে যে, এতে একটিও বাণী বা ছবির উল্লেখ নেই আমাদের .

<003.058.126>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বা আওয়ামী লীগ এর কিংবা, ছয় দফার। . আমার বিশ্বাস যে যদি এই ছবিটি ভারতে বা বিদেশে দেখানো হয়, দর্শকদের বিশ্বাস জন্মাবে যে আমাদের স্বাধীনতা অন্য কিছুর নির্দেশ দ্বারা পরিচালিত এবং ৬দফায় নয় যা আমরা বিশ্বাস করি। . এই চলচ্চিত্রটি যদি কোনো ভারতীয় পরিচালক দ্বারা প্রযোজিত হতো আমরা আমাদের মতামত দিতাম না, কিন্তু যখন এটা বাংলাদেশের পরিচালক দ্বারা তৈরি তখন আর আমাদের চুপকরে বসে থাকার সুযোগ নেই। . আমি ব্যক্তিগতভাবে , এই চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি এবং আমি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে আপনার মাধ্যমে অনুরোধ করছি ভারত সরকারের দ্বারা সাধারণ জনগণের কাছে যাতে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনী থামানো হয়। . যদি তা না করা হয় , আমি একাই, একটি আন্দোলন শুরু করার জন্য প্রস্তুত আছি। . গভীরতম শুভেচ্ছা জানিয়ে,

স্বাঃ / ফজলুল হক

বাংলাদেশ এর চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক .

C/o, মি. বিনয় রয় , ১১৪/এ , পার্ক স্ট্রীট,

কলকাতা ১৭ . .

রাষ্ট্রপতি ,

বাংলাদেশ সরকার

মুজিবনগর

<003.059.127>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

শিরোনাম সুত্র তারিখ
মৎস্য চাষের প্রয়োজনে ইজারা সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ সরকার অর্থ মন্ত্রণালয় ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়

নথি নং. এইচ. ডি./৫১(১), ১১সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ .

প্রেরক:   এম কে চৌধুরী,

উপ-সচিব.

বরাবর:                 সচিব,

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকার . .

এতদ্বারা প্রেরিত একটি চুক্তিপত্র দয়া করে গ্রহণ করবেন, যা বাংলাদেশ সরকার এবং জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, পিতা: হাজী মোবারক হোসেন এবং জনাব আফসার আলী বিশ্বাস, পিতা: হাজী গুলজার হোসেন, গ্রাম: গোদাগাড়ী, পি এস: গোদাগাড়ী, জেলা: রাজশাহী, বর্তমানে অস্থায়ী বসবাস গ্রাম: লালগোলা, পিএস: লালগোলা, জেলা: মুরশিদাবাদ, প.বঙ্গ। চুক্তিটি একটি নির্ঝঞ্ঝাট সাক্ষ্য। ২। সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডার কে চুক্তিপত্রের বিষয়ে অবগত করার অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে চুক্তিতে উল্লেখিত ইজারাদার চুক্তির উল্লেখিত সময় নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারেন। . ৩। এই সেক্টর কমান্ডার/কমান্ডার্সদের প্রতি পাঠানো প্রস্তুতকৃত চিঠির একটি প্রতিলিপি স্বারক এবং সংরক্ষণের জন্য আমাদের কাছে রাখা যেতে পারে। . সংযুক্তি: (১) একটি চুক্তিপত্র. . (২) চুক্তিতে উল্লেখিত মৎস্য খামারের স্কেচ মানচিত্র .

(এম কে চৌধুরী) .

******************************

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মুজিবনগর

ইহা একটি চুক্তিপত্র যাহা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

এবং

এম নিজামউদ্দিন আহমেদ, পিতা: হাজী মোবারক হোসেন, জনাব আফসার আলী বিশ্বাস, পিতা: হাজী গুলজার হোসেন, গ্রাম: গোদাগাড়ী, পি.এস: গোদাগাড়ী, জেলা: রাজশাহী, বর্তমান সাময়িক নিবাস গ্রাম: লালগোলা, পিএস: লালগোলা, জেলা: মুরশিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, এই চুক্তির মধ্যে যথাক্রমে প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

<003.059.128>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

যেহেতু ২য় পক্ষ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার কর্তৃক সত্যায়িত সংযুক্ত মানচিত্রভুক্ত মৎস খামারটি যথাযথভাবে উল্লিখিত নামে যথাযথভাবে ইজারা নিতে সম্মত, এবং যেহেতু ২য় পক্ষ আপসের মাধ্যমে উল্লেখিত একই মৎস্য খামার ইজারা দিতে ইচ্ছুক, দুই পক্ষের মতৈক্যের দ্বারা এই দলিল নিম্নলিখিত শর্তে স্বাক্ষরিত হয়। .

(১) ২য় পক্ষ যথাযথভাবে সত্যায়িত সংযোজনী উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় মৎস্য অধিকার থাকবে না। .

(২) ২য় পক্ষ নগদ ১,০০০/০০ (রুপীতে এক হাজার) রুপী শুধুমাত্র ১ম পক্ষকে পরিশোধ করবে এই দলিল স্বাক্ষরের সময়। অবশিষ্ট ১,০০০/০০(রুপীতে এক হাজার) এই দলিল স্বাক্ষরের এক মাসের মধ্যে ১ম পক্ষকে ২য় পক্ষ দ্বারা প্রদান করতে হবে। .

(৩) যদি কোন কারণে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে অবশিষ্ট বকেয়া ১,০০০/০০ (রুপীতে এক হাজার) রুপী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, ১ম পক্ষ অন্য যে কোন পক্ষের সাথে একটা উপযুক্ত চুক্তি করে মৎস্য খামার ইজারা দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। .

(৪) উভয় পক্ষের দ্বারা স্বাক্ষরিত চুক্তির এই দলিল স্বাক্ষরের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য বহাল থাকবে।

(৫) ২য় পক্ষের মৎস্য খামার ইজারা নেবার কারণে কোনো ক্ষতি বা অন্যকোন কারণ সৃষ্ট ক্ষতির জন্য ১ম পক্ষ দায়ী নয়। . এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আজ ১০সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সন, মুজিবনগর। . .

স্বাঃ/                                                                                                                                                        স্বাঃ/-

কে. এ. জামান অর্থসচিব,                                                                                                  নিজামউদ্দিন আহমেদ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার . .

সাক্ষীগণঃ- ১ম সাক্ষীর স্বাক্ষরঃ এম.কে. চৌধুরী, ডি.এস. (স্বরাষ্ট্র) .                                                      ২য় সাক্ষীর স্বাক্ষরঃ

২. বি. গুপ্ত. গোপনীয় সহকারী, মৎস্য সচিব।