শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বিক্ষোভকালে ছাত্রদের উপর লাটিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ | দৈনিক পাকিস্থান | ১৮ই জানুয়ারী, ১৯৬৯ |
ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ
(বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গতকাল শুক্রবার কলা ভবনের বটতলায় সর্বদলীয় ছাত্র সভা শেষে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করলে পুলিশ ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং ঘনঘন কাঁদুনে গ্যাস ও লাল পানি নিক্ষেপ করে।
ছাত্রদের ১১-দফা দাবীর ভিত্তিতে গতকাল দাবী-দিবস পালন উপলক্ষে ‘ডাকসু’ সহ-সভাপতি জনাব তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ছাত্র সভা শেষে ছাত্ররা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলাভবনের পশ্চিম দিকে প্রক্টরের অফিসের সামনের দরজা দিয়ে বের হয়ে ভাইস-চ্যান্সেলরের বাস ভবনের সামনে দিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর দিকে এগুতে থাকলে এক দিকে রোকেয়া হলের সামনে মোতায়েন পুলিশ বাহিনী রায়ট কারের সাহায্যে লাল পানি ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়। তৃতীয়বর্ষ বাংলা অনার্সের ছাত্র মোশাররফ হোসেনের শরীরের অনেক স্থানে কেটে রক্ত বের হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে, কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পুলিশ ট্রাকে তুলে রাখলে তিনি ব্যাথায় কাতরাতে থাকেন এবং কিছুক্ষণ পরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।
সাড়ে বারটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত একঘন্টা কাল স্থায়ী ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কয়েক দফা কাঁদুনে গ্যাস ও দু’বার লাল পানি নিক্ষেপ করে। ছাত্ররা পুলিশের উপর ঢিল নিক্ষেপ করলে পুলিশরাও ছাত্রদের উপর পাল্টা ঢিল নিক্ষেপ করে। শেষ পর্যায়ে গ্রেফতারের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর ছাত্ররা পুনরায় বটতলায় সমবেত হন। ‘ডাকসু’ সহ-সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে পুলিশী নির্যাতনের নিন্দা করেনে বং এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সহরের সকল শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানান। এরপর কিছু সংখ্যক ছাত্র হকিষ্টিক নিয়ে ভাইস-চ্যান্সেলরের বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলশ আবার কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। পি পি আই জানিয়েছেন প্রায় দু’ডজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রমনা থানার ওসি জানান যে, তিনি সঠিক সংখ্যা না জানলেও প্রায় বিশুনের মত ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বটতলায় অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্রদের ১২-দফা দাবী মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভারয় গৃহীত প্রস্তাবে ১৪৪ ধারা বাতিলের এবং আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী প্রদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এন এস এফ নেতাদের বিবৃতি
এন এস এফের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহবুবুল হক দুলন, “ডাকসু” সাধারণ সম্পাদক ও জিন্নাহ হল এন এফ সভাপতি জনাব নাজিম কামরান চৌধুরী ও মহসীন হল ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকজনাব ইব্রাহীম খলিল গতকাল শুক্রবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে পুলিশ বাহিনীর বেপরোয়া লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও সাধারণ ছাত্রদের মারধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশী কার্যকলাপের নিন্দা করেছেন।
তাঁরা ছাত্রদের সংগ্রামে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা পুলিশী হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত আজকের কর্মসূচীর প্রতিও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
মেডিকেল কলেজে
দাবী দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেন। ছাত্ররা তাঁদের দাবী-দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও প্রিন্সিপালের নিকট অর্পন করেন। মেডিক্যাল ছাত্ররা পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় সভা্য যোগ দেন।
সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে প্রতীক ধর্মঘট
গতকাল শুক্রবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কএজের ইন্টার্র্নি ডাক্তাররা তাঁদের উন্নততর মর্যাদা ও দাবীর ভিত্তিতে প্রতীক ধর্মঘট পালন করেন। তারা ডাঃ সাব্বির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মিলিত হয়ে স্বায়ত্তশাসিত স্বাস্থ্য সার্ভিস ও ইন্টার্নীস ডাক্তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবী জানান।
পাকিস্থান জমিয়াতে তোলাবায়ের আরাবীয়ার সাধারণ সম্পাদক জনাব এস এম ইদ্রিস গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ ছাত্র জনতার উপর পুলিশী জুলুম ও বেআইনী গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন। তিনি গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিও দাবী করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশী নির্যাতনের নিন্দা করে পাকিস্থান ছাত্র শক্তির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব শফিকুর রহমান একটি বিবৃতি দিয়েছেন
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষঃ লাটিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ | দৈনিক পাকিস্থান | ১৯ই জানুয়ারী, ১৯৬৯ |
ছাত্র–পুলিশ সংঘর্ষঃ লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ
(ষ্টাফ প্রতিবেদক)
গতকাল শনিবার পুলিশ ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী ছাত্রদের উপর কয়েক দফা লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ধর্মঘটী ছাত্ররা মিছিল বের করার ছেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। ফলে ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এক পরযায়ে এমন আকার ধারণ করে যে, যখন ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে এক ঘন্টারও অধিক সময় ধরে কাঁদুনে গ্যাস ও ঢিল ছোঁড়া ছুড়ি করতে দেখা যায়। ছাত্ররা শুক্রবার পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস বর্ষণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই ধর্মঘটে যোগ দেয়। ছাত্ররা ই পি আর টিসির একটি ডাবল ডেকার বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
সন্ধ্যার পর ইকবাল হল ও জিন্নাহ হলে ইপি আর বাহিনী ঢুকে ছাত্রদের মারধর করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের ফলে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে। শতকরা ঢাকা শহরে ৩৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মঘটী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সভা অনুষ্ঠানের পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাঁধা দেয়। ফলে ছাত্ররা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ছাত্রদের শোভাযাত্রা বন্ধ করার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রথমে কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে। এর জবাবে ছাত্ররা ইটের ঢিল বর্ষণ শুরু করে। পুলিশের রায়টকার বারংবার রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াতে থাকে এবং ছাত্রদের উপর লাল পানি নিক্ষেপ করতে থাকে। ছাত্রদের ইটে রায়টকারের একদিকের কাঁচ ভেঙে যায়। ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়কের উপর বেঞ্চ, টেবিল ও চেয়ার ইত্যাদি জমা করে ব্যারিকেট তৈরী করে।
গতকাল এন এস এফ-সহ ছাত্র প্রতিষ্ঠান একযোগে ধর্মঘতে যোগ দেয়। গতকাল প্রথম থেকেই বহুসংখ্যক ছাত্রকে বাঁশ ও লাঠি দ্বারা সুসজ্জিত অবস্থায় দেখা যায়। বেলা ১২-১০ মিনিট থেকে প্রায় সোয়া দ’টো পর্যন্ত ছাত্র -পুলিশ খন্ডযুদ্ধ অব্যাহত থাকে। এই সময়ে কাঁদুনে গ্যাসের তীব্রতায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাঝখানে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ষ্টক শেষ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় তা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। প্রবল কাঁদুনে গ্যাসে অসুস্থ হলে প্রায় ২৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোকেয়া হলের সামনে যে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় তাঁদের উদ্দেশ্যে হলের ভিতর থেকে ছাত্রীরাও ইটের ঢিল ছুঁড়ে মারতে থাকলে পুলিশ সেখানেও কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপে করে। এখানে ছাত্রীদের প্রতি পুলিশ বাহিনীর অশোভন আচরণ করতে দেখা যায়। পুলিশের অশোভন গালি-গালাজ থেকে রোকেয়া হলের শিক্ষকেরাও রেহাই পাননি।
বেলা দু’টোর পর ছাত্রদের একটি মিছিল জিন্নাহ এভন্যুতে চলে যায় এবং গুলিস্থানের সম্মুখস্থ মীরজুমলার কামানের চারদিকে ছাত্র জমায়েত হয়ে জনসভা শুরু করে দেয়। ছাত্র নেতারা কামানের উপর দাঁড়িয়ে উপস্থিতি ছাত্র ও পথচারীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন।
এই সময় পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও লাঠিচার্জের ফলে বহুসংখ্যক নিরীহ পথচারী আহত হন। অতঃপর কয়েক ঘন্টাব্যাপী ছাত্র পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষের অবসান ঘতে।
বেলা সাড়ে তিনটা থেকে প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ইপিআর বাহিনী জিন্নাহ হল ও ইকবাল হলে প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় এবং মারপিট করে বলে হলের ছাত্ররা অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান জিন্নাহ হল থেকে ১১জন ও ইকবাল হল হেকে ৯ জন ছাত্রকে ইপিআর বাহিনী গ্রেফতার করে।
বেলা প্রায় সাড়ে ১২তার সময় পুলিশ নীলক্ষেতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোয়ার্টারে সাইত্রিশ নম্বর বিল্ডিঙয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং রাঙ্গু মিয়াঁ নামক একজন খবরের কাগজ হকারকে ধরে এনে বেদম প্রহার ও গ্রেফতার করে। এ ছাড়া নীলক্ষেতের রাস্তায় আব্দুল হান্নান নামে একজন রিক্সা চালককে পুলিশ প্রহার ও গ্রেফতার করে।
ছাত্রদের ইটের ঢিলের বর্ষনে একজন আইবি ফটোগ্রাফার দু পায়ে আঘাত পান। একজন পুলিশ সিপাইও গুরুতর জখম হয়।
সাংবাদিক বিভাগের অধ্যক্ষ ডক্টর আতিকুজ্জামান খানকেও পুলিশ অপমান এবং অশোভন আচরণ করে। দুপুরে ছাত্রদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ওকাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডঃ মফিজউদ্দিন আহমদ কলাভবনের প্রাঙ্গণে এসে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি পুলিশী হামলার নিন্দা করেন।
মহসীন হলের প্রভোষ্ট ডঃ ইন্নাস আলীও সংক্ষিপ্ত ভাষণে পুলিশী হামলার নিন্দা করেন।
সোমবার প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন হলে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রার উপর লাঠিচার্জ এবং বহু ছাত্রকে গ্রেফতার, ইকবাল হল ও জিন্নাহলের অভ্যন্তরে ইপি আর বাহিনীর মারপিট ও গ্রেফতার ইত্যাদি সরকারী নির্যাতনের নিন্দা করে ঢাকার বিভিন্ন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন কর্মকর্তা এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তাঁরা সরকারী নির্যাওতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তির দাবীতে এবং ছাত্রদের ১১-দফা দাবির সমর্থনে আগামীকাল সোমবার প্রদেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করেছেন।
এন এস এফ–এর বিবৃতি
এন এস এফ-এর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জনাব সাইফুল্লাহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মজীর আলী এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইপি আর বাহিনীর তৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা আবাসিক হলে ছাত্রদের উপর অত্যাচ্যারের নিন্দা করেন। তাঁরা গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তি দাবী করেন।
আওয়ামী লীগের বিবৃতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসগুলিতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ইপি আর বাহিনীর প্রবেশ ও ছাত্রদের উপর মারপিট করার তীব্র নিন্দা করে গতকাল শনিবার ৬-দফা পন্থী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি বিবৃতিতে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর লাঠিচার্জ ও কা৬দুনে গ্যাস নিক্ষেপেরও নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
তিনি পুলিশের এই বাড়াবাড়ির তীব্র নিন্দা করে শহর থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ও আটক ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তিদানের আহ্বান জানান।
<2.082.418>
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় নিন্দা
গতকল্য(রবিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডাঃ মফিজুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমিতির কার্য নির্বাহক কমিটির এক সভায় গত শুক্র ও শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যান্তরে পুলিশের প্রবেশ ও লাঠিচার্জ, কাদুনে গ্যাস নিক্ষেপ, ছাত্রদের নির্বিচারে মারধোর, পরিস্থিতি শান্ত থাকা সত্বেও অপরাহ্নে আবাসিক হলসমূহে ইপিআর বাহিনীর প্রবেশ, ছাত্রদের মারধোর ও গ্রেফতারের নিন্দা করা হয়।
এফ, এইচ, হল এবং মুসলিম হলের ছাত্রগন গতকল্য (রবিবার) এক সভায় মিলিত হইয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও উহার আশেপাশে ছাত্রদের উপর পুলিশ নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করেন।
হল-ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্র নির্যাতনের ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ করা হয়।
সভায় ছাত্রদের ১১-দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য নতুন শপথ গ্রহন করা হয়।