You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.21 | ৪ আশ্বিন ১৩৭৮ মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

৪ আশ্বিন ১৩৭৮ মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর

বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকার বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি ডল জাতিসংঘে পাঠিয়েছেন। দলের সদস্যগণ হলেনঃ আব্দুস সামাদ আজাদ এম এন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ(ন্যাপ নেতা), শ্রীফণী মজুমদার এমপিএ, সিরাজুল হক, এমপিয়া, সৈয়দ আব্দুস সুলতান এম এন এ, ফকির শাহাবুদ্দিন, ডঃ মফিজ চৌধুরী এম এন এ, ডাঃ আহশাবুল হক এমপিএ, এ এস এম আব্দুল ফাতহ, কে কে পন্নী, ডঃ আজিজুর রহমান মল্লিক। উল্লেখ্য সর্বজনাব এম আর সিদ্দিকী, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, এস এস করিম এবং এ এম এ মূহীত  নিউইয়র্কে প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগদান করেন। ষোল সদস্য বিশিষ্ট এই প্রতিনিধি দল বিশ্বের দরবারে জননী বাংলার দুঃখ ও বেদনার কাহিনী, সংগ্রাম ও বিক্রমের কাহিনী পেশ করেন। তাদের প্রচেষ্টা ও সাফল্য সম্পর্কে সকলেই অবহিত আছেন।

চার সদস্য বিশিষ্ট জাপানী সংসদ প্রতিনিধি দল ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ও শরণার্থী বিষয় তারা জাতিসংঘে উথাপনের প্রচেষ্টা চালাবেন।

 জাতিসংঘে ২৬ তম সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ দফতরের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।

  পাকিস্তানের সুপ্রীম জুরিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর (লন্ডনস্থ ১১ গোরিং ষ্ট্রীট লণ্ডন বিসি ৩ ইউ কে) ঠিকানায় বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে এক দীর্ঘ নোটিশ জারী করেন। (৭ খণ্ড পৃঃ ১৩৫)

-Refugees number 9 million. India Govt. declares that the list of refugees it open to inspection by anybody. Chittagong Airport be comes anti-guerrilla air base.(সংবাদপত্র)

নিউইয়র্ক টাইমস এর সংবাদদাতা মিঃ সিডনী এইচ শোয়ানবার্গ (সেপ্তেম্বর ২১) লেখেছেন, আমি বেশ কয়েকজন ভারতে অবস্থানরত শরণার্থীকে জিজ্ঞাসা করে তাদের কাছে গত সপ্তাহ পর্যন্ত পাকসেনাদের হত্যা ধর্ষনের নারকীয় বর্ণনা পেলাম। সাংবাদিক শোয়ানবার্গ লিখেছেন, “Nearly all the latest arrivals are Hindu, who said that the military refine was still making the Hindi minority its particular target. They army carried out massive reprisals against civilians after every guerrilla raid. Acceding to refugees, the Army leaves much of the “dirty work’’ to its civilian collaborators-the Razakars or Homes Guards-it has armed and to the supporters of right-wing religious political parties such as the Moslem league and Jamaat-i-islam (KCA, pp. 24989)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী