দুর্গত অঞ্চলে লঙ্গরখানা খােলার কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে
ঢাকা: বর্তমান খাদ্য সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের দুর্গত ও দুর্ভিক্ষ কবলিত অঞ্চলসমূহে নিরন্ন মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত সংখ্যক লঙ্গরখানা ও রুটি বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের কথা বিবেচনা করছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বি পি আই জানাচ্ছে নিউইয়র্ক থেকে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলসমূহের লঙ্গরখানা খােলার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু নিউইয়র্ক থেকে যতাে সংখ্যক লঙ্গরখানা হয়েছে তা জানার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এদিকে লঙ্গরখানা খােলার ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন সরকারের সাথে সহযােগিতার হাত সম্প্রসারিত করায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে কি করে দ্রুত খাদ্য সরবরাহ করা যায় সে সব বিষয় নিয়ে খাদ্য ও যােগাযােগ মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। তাছাড়া সরকার বর্তমান দুর্ভিক্ষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তঃজেলা খাদ্যশস্য পরিবহন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। সীমান্তের এলাকা বাদে দেশের সকল অঞ্চলের জন্য এই আদেশ প্রযােজ্য। দেশের দূরদূরান্ত থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে চালের মূল্য ধীরে ধীরে কমে আসছে। ঢাকার খােলাবাজারে বর্তমানে চাল ২৪০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব এম মনসুর আলী মজুতদার, চোরাচালানী ও মুনাফাখখার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার তাদের বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানতে দ্বিধাবােধ করবে না। এছাড়া চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।৭
রেফারেন্স: ২ অক্টোবর ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত