You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.28 | সােনামুড়া শহরে পাকবাহিনীর অবিরাম গুলিগােলা ৩ জন নিহত: ৬ জন আহত | ত্রিপুরা - সংগ্রামের নোটবুক

সােনামুড়া শহরে পাকবাহিনীর অবিরাম গুলিগােলা
৩ জন নিহত: ৬ জন আহত: বহু ঘরবাড়ি অগ্নিদগ্ধ: জনমনে সন্ত্রাস

আগরতলা ২৭ জুলাই। গতকাল রাত্রি প্রভাতের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কুমিল্লা শহরের অদূরে সীমান্তবর্তী এলাকায় রাজাপুর অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সহিত পাক হানাদার দলের বড় রকমের সম্মুখ লড়াই শুরু হয়।
উভয়পক্ষেই ঐ সংগ্রামে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। সকালের দিকে পাক বাহিনীর নিক্ষিপ্ত একটি বড় ধরনের আর্টিলারি সেল সীমান্ত অতিক্রম করিয়া ত্রিপুরা রাজ্যের মহকুমা শহর সােনামুড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরের উপর পতিত হয়। পতনের সঙ্গে সঙ্গে শিবিরে আগুন লাগে এবং উহা পুড়িয়া যায়। মধ্যাহ্নে বেলা ১টা দেড়টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে ঢিমাতালে গুলি বিনিময় চলার পর হঠাৎ ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের গােলাবর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং অবিরাম গােলা নিক্ষেপের সময় বহু গােলা সােনামুড়া শহরের উপর পতিত হয়। অফিস টিলা, বালিকা বিদ্যালয় প্রভৃতির সন্নিকটেও গােলা পতিত হইয়াছে। গােলার আঘাতে তিনজন সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় এবং ছয়জন গুরুতর আহত হইয়াছে। শহরােপকণ্ঠে ও সীমান্তের গ্রামসমূহে অবিরাম গােলাগুলি বর্ষণের ফলে বহু ঘর-বাড়ি ভস্মীভূত হইয়াছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি হইয়াছে।
মুক্তিবাহিনী বিগত কয়েক দিন যাবত কুমিল্লা রণাঙ্গণে প্রাধান্য বিস্তার করিয়া পাক বাহিনীকে কোণঠাসা করিয়া ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় লইতে বাধ্য করিয়াছে। গেরিলারা কুমিল্লা শহরে মাঝে মাঝে অতর্কিত আক্রমণ চালানাে অব্যাহত রাখিয়াছে।

সূত্র: ত্রিপুরা
২৮ জুলাই, ১৯৭১