বন্যাদুর্গতদের জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে সাড়ে সাত লক্ষ টন খাদ্যশস্য চেয়েছে
ঢাকা: বাংলাদেশ সরকার বন্যাদুর্গতদের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে সাত লাখ টন খাদ্যশস্যের জন্য অনুরােধ জানিয়েছেন বলে নির্ভরযােগ্য মহল সূত্রে জানা গেছে। অবশ্য দেড় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। বন্যার পূর্বে সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পি এল-৪৮০ আইনের অধীনে ৫ লাখ টন গম ও ১ লাখ টন চাল চেয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার টন। সয়াবিন তেলও চাওয়া হয়েছে। মার্কিন সরকার সয়াবিন রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন তা প্রত্যাহার করার জন্যে অনুরােধ জানান হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই নিষেধাজ্ঞা জারী হবার পূর্বে সয়াবিন তেল আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। রাশিয়া বাংলাদেশকে কি পরিমাণ খাদ্যশস্য সরবরাহ করবে তা অক্টোবরে জানা যাবে। এ বছর রাশিয়ায় সাড়ে ২২ কোটি টন গম উৎপাদন হয়েছে। কাজেই রাশিয়া ইচ্ছে করলেই এ বছর কয়েক লক্ষ টন গম রপ্তানি করতে পারবে। ইতােমধ্যেই রাশিয়া ভারতে ৪০ লাখ টন গম পাঠানাের পদক্ষেপ নিয়েছেন। কাজেই রাশিয়া বাংলাদেশকে কয়েক লক্ষ টন গম নামমাত্র মূল্যে সরবরাহ করতে পারবে। শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরে তথা তার সরকারি নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য খাদ্যশস্যের প্রয়ােজনীয়তার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখযােগ্য যে, বন্যার পূর্বে ঘাটতি পূরণের জন্য যে ১৮ লাখ টন খাদ্যশস্য প্রয়ােজন হবে বলে ধরা হয়েছিল তা বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টন করে আমদানি করা হবে। বন্যার্তদের জন্য আরাে সাড়ে সাত লক্ষ টন বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। তাই এই সাড়ে সাত লক্ষ টনই জাতিসংঘের মাধ্যমে সংগ্রহ করার অনুরােধ জানানাে হয়েছে।২৯
রেফারেন্স: ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত