You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.08.31 | আজ রক্ষীবাহিনীর প্যারেড | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আজ রক্ষীবাহিনীর প্যারেড

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ রবিবার সকাল ৯টায় সাভারে জাতীয় রক্ষীবাহিনীর প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪র্থ পাসিং আউট প্যারেডে অভিবাদন গ্রহণ করবেন। জাতীয় রক্ষীবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানাে হয়।
রক্ষীবাহিনীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য যে, ১৯৭২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে বীর মুক্তিযােদ্ধাদের সমন্বয়ে বাহিনী গঠিত হয়। রক্ষীবাহিনী গঠন করার পর পর এই বাহিনী একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং নিজেদের কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে দেশবাসীর ভূয়সী প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে রক্ষীবাহিনীর প্রথম দুটি কন্টিনজেন্ট অংশগ্রহণ করে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এতে সালাম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ২১ জুন তারিখে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষীবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কুচকায়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে রক্ষীবাহিনীর বিদায়ী অভিবাদন অনুষ্ঠিত হয় এতে রক্ষীবাহিনীর পাঁচটি ব্যাটেলিয়ান অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এতে সালাম গ্রহণ করেন। রক্ষীবাহিনীর ৩য় পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ২৩ জুলাই। শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এতে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর থেকে জাতীয় রক্ষীবাহিনী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেয়। তারা বিশেষ করে যে সব কাজে অংশ নিয়ে সব মহলে প্রশংসা কুড়ায় সেগুলাে হচ্ছে সমাজবিরােধী, বেআইনী অস্ত্রধারী ও চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে অভিযান। শিল্প অঞ্চলসমূহে শান্তি স্থাপনের কাজেও রক্ষীবাহিনী ভূমিকা নেয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং দেশব্যাপী পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকি বন্ধ করার ব্যাপারে জাতীয় রক্ষীবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া অবৈধভাবে দখলকৃত সম্পত্তির পুনরুদ্ধার এবং ট্রেনে ও স্টীমারে টিকিটবিহীন ভ্রমণ প্রতিরােধের ব্যাপারে রক্ষীবাহিনীর ভূমিকা সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়ায়।১০৫

রেফারেন্স: ৩১ আগস্ট ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ 
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত