যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে বন্যা পরিস্থিতি মােকাবিলার সিদ্ধান্ত
ঢাকা: প্রলয়ঙ্করী বন্যার ফলে দেশের ১৬টি জেলায় ২ কোটি মানুষ যে অবর্ণনীয় দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছে, তা দূর করার জন্য সরকার দেশের প্রাপ্ত সকল সম্পদ নিয়ােগ করবে। তাছাড়া যুদ্ধকালীন জরুরি ভিত্তিতে সকল সরকারি প্রশাসনযন্ত্রকে কাজে লাগানাে হবে। শনিবার মন্ত্রিসভার এক বিশেষ জরুরি বৈঠকে উপরােক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বাসস জানিয়েছে। গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৫০ মিনিটেরও বেশি সময় স্থায়ী এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বন্যাদুর্গত মানুষদের বাঁচানাের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতি মন্ত্রিসভা অবিলম্বে কতিপয় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশগুলাে হচ্ছে: মহামারী প্রতিরােধে ব্যবস্থা গ্রহণ, গবাদি সম্পদকে রােগমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ, পানীয়জলের ব্যবস্থা করা, বন্যাকবলিত এলাকায় নলকূপ বসানাে এবং খাদ্যশস্য ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী পরিবহণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে করে চাষ শুরু করতে পারেন সেজন্য বীজ ও সার সরবরাহ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রিসভা প্রলয়ঙ্করী বন্যার ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা এবং বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের কাজকর্ম সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করেন। তাছাড়া সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত রিপাের্টও পর্যালােচনা করা হয়। ভূমি সংস্কার ও ভূমি প্রশাসন মন্ত্রী শ্রী ফণীভূষণ মজুমদার এবং পূর্তমন্ত্রী জনাব সােহরাব হােসেন ছাড়া অন্য মন্ত্রীরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।১০
রেফারেন্স: ৩ আগস্ট ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত