You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লবণ উৎপাদন ও বিক্রয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

ঢাকা: লবণের উৎপাদনকারীরা যাতে অসাধু লবণ ব্যবসায়ী আড়তদারদের দ্বারা বঞ্চিত ও শােষিত না হয়, তজ্জন্য তাদের উৎপাদিত লবণ নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, উৎপাদনকারীদের ন্যায্য মূল্যদানের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য সুষ্ঠু কার্যসূচি গ্রহণ করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বিসিককে নির্দেশ দেবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল প্রকাশ করেন। খুব সম্ভব বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক বিসিকের মারফত লবণ উৎপাদনকারীদের স্বল্প সুদে ১ কোটি টাকা ঋণ দেবে। লবণ উৎপাদন এলাকায় কয়েকটি লবণের গুদাম নির্মাণ করে উৎপাদনকারীদের সহায়তা করার ব্যবস্থা করা হবে। কক্সবাজারে লবণ উৎপাদনকারীরা যাতে বনাঞ্চল থেকে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারে তজ্জন্য বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দেবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখযােগ্য যে, লবণ উৎপাদনকারীদের নিকট থেকে লবণ ব্যসায়ীরা সের প্রতি ১ আনা থেকে দুই আনা দামে লবণ ক্রয় করে। অথচ লবণ ব্যবসায়ীরা এর দুই গুণ বা চারগুণ দামে লবণ বিক্রি করে। লবণ উৎপাদনকারী স্বাধীনতা-পূর্ব আমলের পাট ও তামাক চাষীদের ন্যায় এখনাে বঞ্চিত শােষিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এদেরকে শােষণের হাত থেকে রক্ষা করে লবণ উৎপাদন ও বিক্রয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় চিন্তা করছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বর্তমানে দেশে বার্ষিক দেড় কোটি মণ লবণ উৎপাদিত হয়। লবণ উৎপাদন ৫ গুণ বৃদ্ধি করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা হিসেব করেছেন। লবণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ দান ও লবণ দিয়ে সােডা অ্যাশ ও কেমিক্যাল ফ্যাক্টরী স্থাপনে উৎসাহ দেয়ার প্রশ্নটি তিনি গভীরভাবে বিবেচনা করে দেখেছেন। জানা গেছে যে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে সােডা অ্যাশ ও ক্যামিকেল ফ্যাক্টরী স্থাপন করা যাবে। সােডা অ্যাশ দিয়ে সাবান তৈরি করা হয়। দেশে সােডা অ্যাশ তৈরির কারখানা স্থাপিত হলে সাবান শিল্পের বিরাট অগ্রগতি সাধন হবে।৯৬

রেফারেন্স: ২৮ জুলাই ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!