বাংলাদেশকে ভারত আরও কিছু এলাকা ছেড়ে দেবে
নয়াদিল্লি: ভারতের দুটি ছিটমহল আঙ্গরপাতা ও দহগ্রাম বাংলাদেশ পাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে গত মে মাসে যে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ফলে বাংলাদেশ ঐ দুটি ভারতীয় ছিটমহল পাচ্ছে। আজ সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. শরণ সিং একথা বলেন। সংসদে মি. শরণ সিং বলেছেন, এই দুটি ছিটমহলকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়ােজনীয় আরাে বেশ কিছু এলাকা ভারত বাংলাদেশকে ছেড়ে দেবে। তিনি সীমান্ত চুক্তির একটি অনুলিপি সংসদে পেশ করেন। এই চুক্তির ওপর এক বিবৃতিতে মি. শরণ সিং বলেন, চুক্তি মােতাবেক শান্তিপূর্ণ উপায়ে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিশ্চিত করা আমাদের উভয় দেশের স্বার্থ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক বিরাজমান তার আলােকেই এই সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির বিশেষ বিশেষ দিক আলােচনা করে তিনি বলেছেন, মুহুরীর ও ফেনী নদীর ব্যবহার করার অধিকার উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারত আসালং এলাকাটি বাংলাদেশের অধিকার স্বীকার করার সাথে বেলুনিয়া শহরে জল সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এখন থেকে বেরুবাড়ি ভারতে থাকবে। তিনি বলেন, যদিও প্রকৃত সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কার্যপ্রণালীতে বেশ সময় লাগবে তবু সারা বাংলাদেশের স্বার্থে সীমান্ত চিহ্নিতকরণের পথ এখন খােলা। তিনি আরাে প্রকাশ করেন মান্ত নিশ্চিতকরণের সময় যদি দেখা যায় যেকোন অংশ কোন দেশের অতিরিক্ত অধিকারে রয়েছে তবে সেই অঞ্চল বা অংশ উভয় দেশের মধ্যে বিনিময় করা হবে। তবে এসব অঞ্চল বিনিময়ের সময় এসব এলাকার নাগরিক কোন দেশের নাগরিক হয়ে থাকবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার তাদের দেয়া হবে।৭৮
রেফারেন্স: ২১ জুলাই ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত