পাট চাষীদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ
ঢাকা: বাংলাদেশ সরকার উৎপাদক পর্যায়ে পাটের দাম বৃদ্ধি করেছেন। এ বৃদ্ধিটা হবে পরােক্ষভাবে। মণপ্রতি বর্তমানের ৬০ টাকার স্থলে ৮০ টাকা। এ ব্যাপারে পাট প্রতিমন্ত্রীর সাথে যােগাযােগ করা হলে তিনি কিছুটা সম্মতি জানান। তবে টাকার অঙ্ক সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। অন্য কথায়, মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
পাট বিভাগের সাথে যােগাযােগ করা হলে তারা সম্মতি জানান। টাকার অঙ্কের কথাও বলেন। জনৈক কর্মকর্তা বলেন, রপ্তানি মূল্য যখন টনপ্রতি ২৫ পাউন্ড স্টার্লিং বাড়ানাে হলাে, তখন উৎপাদক পর্যায়েও অবশ্যই বাড়ানাে হবে এবং বাড়ানাে উচিত। এতে করে পাট চাষীদের অধিক পাট উৎপাদনের উৎসাহ দেয়া হবে। অনেক আগেই এ মূল্য বাড়ানাে উচিত ছিল। প্রতিমন্ত্রীকে যখন প্রশ্ন করা হলাে, পরােক্ষভাবে কি ধরনের মূল্য বৃদ্ধি হবে? তিনি জানালেন, তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে কয়টি সংস্থা পাট কিনেছেন, তাদের বলে দেয়া হবে যেন উৎপাদকের কাছ থেকে তথা চাষীদের কাছ থেকে ৮০ টাকা মণ দরেই পাট কেনেন। এতে করে পাট চাষীরা ফড়িয়াদের খপ্পরে পড়ে কম দামে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হাবার হাত থেকে রেহাই পাবেন। অন্যদিকে পাটের চোরাচালান রােধে এটা সহায়ক হবে।
উল্লেখযােগ্য যে, বর্তমানে জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন, জুট ট্রেডিং কর্পোরেশন ও জুট প্রাইস স্টারজাইশেন কর্পোরেশন চাষীদের কাছ থেকে পাট কিনছেন তাদের কেন্দ্রগুলাের মাধ্যমে। অন্যদিকে চাষীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বর্তমানে সারাদেশে এই তিনটি সংস্থার যে পাটক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলাে খুব কম। কেন্দ্রের সংখ্যা আরাে বাড়ানাে উচিত। প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে ঐকমত্য পােষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশে পাটক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানাের প্রশ্নটি সরকার যথার্থ গুরুত্ব সহকারেই ভাবছেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।৪৫
রেফারেন্স: ১৩ জুলাই ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত