You dont have javascript enabled! Please enable it!

গবেষণা ক্ষেত্রে চিড়িয়াখানার গুরুত্ব সমধিক: তাজউদ্দীন

রুদ্র ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীসমূহের সর্বনাশা বন্যা আসামের ১০টি জেলার মধ্যে ৮টি জেলাতেই ভয়াল মূতিতে আত্মপ্রকাশ করেছে। বন্যা নদীর কূল ডুবিয়ে জনপদে প্রবেশ করেছে। শত শত লােককে ইতােমধ্যেই গৃহহীন করেছে। মাঠের ফসল ভাসিয়ে নিয়েছে এবং সড়ক যােগাযােগ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীসমূহের সবগুলাে বিপদসীমার উর্ধে গিয়েছে বলে মন্ত্রী জনাব রিয়াজুদ্দিন আহমদও বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী, বিজ্ঞান ও কারিগরি মন্ত্রী ড. মফিজ চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী মি. ফণী মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব জনাব তােফায়েল আহমদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান মি. মণি সিং, ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট গাজী গােলাম মােস্তফা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ। অর্থমন্ত্রী বলেন, চিড়িয়াখানা এবং বােটানিক্যাল গার্ডেন শুধু আনন্দই দান করে না-শিক্ষাও দেয়। বিশেষ করে গবেষণা ক্ষেত্রে তা অতীব সহায়ক। প্রতিমন্ত্রী জনাব রিয়াজুদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ৪ বছরের মধ্যে তা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিড়িয়াখানা ও বােটানিক্যাল গার্ডেনে পরিণত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জন্য ৮৭ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছেন। চিড়িয়াখানাটি মােট ২১১৬৭ একর জমিনের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তাতে বর্তমানে বিভিন্ন জাতের ৯০৭ টি প্রাণী রয়েছে। বােটানিক্যাল গার্ডেনটি ১৯৯৪৬ একর জমিনের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তাতে দেশি ছাড়াও ভারত, জাপান, সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রভৃতি দেশ থেকে মূল্যবান বন-বৃক্ষরাজি আনা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় সংরক্ষিত রাণী, ময়নামতি, জয়তারা, কুসুম ও প্রবণতারা এই চারটি হাতি ড় তুলে নিজস্ব কায়দায় অর্থমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার জানায়। অর্থমন্ত্রী বােটানিকাল গার্ডেনের আন্তর্জাতিক উদ্যানে চম্পা, সাব, বকুল, নাগেশ্বের ও মহুয়া মােট ৫টি চারাগাছ রােপণ করেন।৮১

রেফারেন্স: ২৩ জুন, ১৯৭৪, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!