অর্থনৈতিক বিকাশে নারী-পুরুষ মিলিতভাবে কাজ করতে হবে
সাভার: শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার সাভারে নারী পুনর্বাসন বাের্ডের শিশু শিক্ষা ও মুরগী পালন প্রকল্প উদ্বোধনকালে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরুষদের সাথে সহযােগিতা করার জন্য মহিলাদের স্বেচ্ছামূলক ও পেশামূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের প্রয়ােজনে নারী পুরুষ মিলিতভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে অংশগ্রহণের জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের দেশ গড়ার কাজে অংশগ্রহণের সুযােগ দেয়া প্রয়ােজন। নারী পুনর্বাসন বাের্ডের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরাে প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে দেশের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তােলা সম্ভব হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মহিলাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে এ ধরণের অন্যান্য প্রকল্পে সরকার যথাসম্ভব সাহায্য প্রদান করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে জাতীয় নারী পুনর্বাসন বাের্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি জনাব কে এম সােবহান সমাগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়ে বক্তৃতা করেন। তিনি জানান, ১২ জন মহিলা এই খামারে মুরগী পালনের দায়িত্বে নিয়ােজিত থাকবে। মহিলাদের প্রত্যেক ৩০০টি একদিনের মুরগীর বাচ্চা ১২ সপ্তাহে পালন করে প্রায় দেড় কিলাে ওজনের পূর্ণ প্রাপ্ত মুরগিতে উন্নীত করার জন্য ব্যাপৃত থাকবে। প্রতি তিন মাসে মুরগিগুলাে জবাই করে বিক্রির জন্য বাজারে নেয়া হবে। ব্যবস্থাপনা খরচ, মহিলাদের মজুরী ও বাের্ডের জন্য সামান্য লাভের হিসাব করে মুরগীর মূল্য নিরূপণ করা হবে। জানা গেছে যে, প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য প্রকল্পটি কার্যকর করা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যয়ভার ফুড ফর দি হাঙ্গেরি বহন করবে। এ সময়কাল দুটি পর্যায়ে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ছয় মাসের সাফল্যজনক উত্তরণের পর বাের্ড প্রকল্পটিকে একটি নিয়মিত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে নেবে। মুরগীর পালন প্রকল্পের সন্নিকটে বোের্ড যে শিশু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এতে প্রকল্পে কর্মরত মহিলাদের সন্তান-সন্ততি এবং পার্শ্ববর্তী ছেলেমেয়েরা শিক্ষার সুযােগ পাবে বলে জানান হয়েছে।১০৯
রেফারেন্স: ৩১ মে, ১৯৭৪, দৈনিক পূর্বদেশ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত