You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.05.24 | প্রথম দফায় দশ লাখ ডলার মিলছে: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষর | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

প্রথম দফায় দশ লাখ ডলার মিলছে: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা: শুক্রবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংক্ষিপ্ত ও অনাম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে ১০ লাখ ডলারের একটি কারিগরি সাহায্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব ড. আশরাফুজ্জামান এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মি. এম এ শােয়াজওয়াল্ডার উপরােক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। প্রকাশ, গত এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন কার্য পরি “নার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক যেসব প্রকল্প বিষয়ে আলােচনা চলছিল, পরিশােধযােগ্য এ সাহায্য অর্থ সে সব প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। মাত্র ৩ দিন পূর্বে অর্থনৈতিক কারিগরি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহায়তা দানের ক্ষেত্রে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়, সে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি হিসেবে গতকালকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের প্রথম পর্যায়ে যেসব ক্ষেত্রে আমেরিকান সহায়তার প্রয়ােজন তার মধ্যে কৃষি এবং গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি উল্লেখযােগ্য। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালু করার ব্যাপারে যে অর্থ ব্যয় করা হবে তা উপরােক্ত কারিগরি সাহায্য চুক্তি হতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় করা হবে। এই চুক্তির আওতায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মার্কিন উপদেষ্টাগণ বাংলাদেশে আগমন ও বাংলাদেশের কর্মচারীবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যে পরিচালিত অপরাপর দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষন লাভ করতে পারবেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে সাহায্যদানকারী দেশসমূহের যে আন্তর্জাতিক ফোরাম অনুষ্ঠিত হয় তাতে বাংলাদেশ সরকারের যে নীতি নির্ধারিত হয় তারই আলােকে গড়ে ওঠেছে এই সাহায্য চুক্তি। এই সময় ঘােষণা করা হয়। যে, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন বিদেশি সাহায্যদাতা দেশগুলাের দেয়া সকল কারিগরি সাহায্য নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করবে। এই কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এই ধরনের সাহায্য সিদ্ধান্ত করে যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনের সমন্বয়ের অধীনে সার, বৃক্ষ সংরক্ষণ, কৃষি গবেষণা এবং প্রকল্পের ডিজাইন ও মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্যব্যবহারের কার্যক্রম স্থির করতে সক্ষম হয়। সরকার ও ইউ এস এ আই ডি কর্মকর্তাগণ মনে করে যে, এই চুক্তিতে মার্কিন সাহায্য কার্যকরী কর এবং তার ফলাফলের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক নমনীয়তার ব্যবস্থা রয়েছে। এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্নের সহযােগিতামূলক বৈশিষ্ট্যই প্রতিফলিত হবে।৮৩

রেফারেন্স: ২৪ মে, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত