You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.05.22 | পারস্পরিক সহনশীলতা ও শ্রদ্ধার জরুরি: তাজউদ্দীন আহমদ | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

পারস্পরিক সহনশীলতা ও শ্রদ্ধার জরুরি: তাজউদ্দীন আহমদ

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আয়ােজিত ব্যাংকে চাকুরিতে শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে বক্তৃতা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ বলেন যে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পােষণ করলেই তারা সত্যিকারভাবে উপকৃত হতে পারেন। শিক্ষকরা তখনই তাদের মন প্রাণ ঢেলে শিক্ষা দিতে পারেন, যখন তারা দেখেন তাদের ছাত্ররা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই নীতির শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে প্রযােজ্য। ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয় যারা ট্রেনিং দেন তাদের কেউ তাদের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ সহযােগী অফিসার তথা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে ট্রেনিং গ্রহণকারীরা সত্যিকারের উপকৃত হবে। অর্থমন্ত্রী সাম্প্রতিকালে শিক্ষক ও ছাত্র সম্পর্ক এবং বিভিন্ন সরকারি অন্যান্য দফতরের সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মনােভাবের উল্লেখ করে বলেন, পরস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা সর্বক্ষেত্রে গভীর সম্পর্ক গড়ে তােলে। যারা ব্যাংকিং ট্রেনিং গ্রহণ করেছেন তাদের এই নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা অভিজ্ঞ সিনিয়রদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হওয়ার জন্য তিনি উপদেশ দেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়ােজিত ‘ইন সার্ভিস ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। উল্লেখ্য যে, ৬ মাস মেয়াদী এই কোর্সে মােট ৩৪ বেজন অফিসার অংশগ্রহণ করেছেন।
হামিদুল্লা: পূর্বাহ্নে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জনাব হামিদুল্লা ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দান করেন। তিনি বলেন, কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগকে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। জনাব হামিদুল্লা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসাদের ট্রেনিং-এর জন্য অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কতিপয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের অফিসারদের ইটালীয় বৃত্তির অধীনে ট্রেনিং-এর জন্য বিদেশে পাঠানাে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।৭৫

রেফারেন্স: ২২ মে, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত