বেরুবাড়ি প্রশ্নে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য
ঢাকা: লেবার পার্টির চেয়ারম্যান জনাব ফজলুর রহমান ও প্রধান সংগঠক মওলানা মতিন গতকাল মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক চুক্তি এদেশের জনগণের গ্রহণযােগ্য হয়নি। অধিকন্তু দেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন যে, চুক্তিতে ভারতে নিয়ে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র ও সওদাগরী জাহাজ ফেরত দেয়ার। অঙ্গীকার না থাকায় দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে। তারা বলেন, ফারাক্কা প্রশ্নে অনেক টানাপােড়েনের পর এবার একটা গােজামিল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। গঙ্গার পানি বিকল্প অতীব ব্যয়সাপেক্ষ। বঙ্গবন্ধুর খাতিরে এর সমুদয় ব্যয়ভার ভারতের গ্রহণ করা উচিত।
ঢাকা জেলা ভাসানী-ন্যাপের বিবৃতি: ভাসানী-ন্যাপের বিভিন্ন জেলা শাখার ১৯ জন সভাপতি ও সম্পাদক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, দিল্লি চুক্তির বিবরণ দেশবাসীর মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেন, উক্ত চুক্তিতে অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বেরুবাড়ি ভারতের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন যে, চুক্তির বিবরণ অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে ভারতকে শেয়ার করা হয়েছে। অথচ ভারতের অভ্যন্তরে কোন প্রকল্পের সাথে বাংলাদেশকে শেয়ার করার কোন কথা উক্ত চুক্তিতে নেই। নেতৃবৃন্দ ভােটের মাধ্যমে জনমত যাচাই না করা পর্যন্ত চুক্তি কার্যকরী থেকে বিরত থাকার দাবী জানান।
শ্রমিক ফেডারেশন: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চুক্তি প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে। মঙ্গলবার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কমরেড আবুল বাশার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব এম এ বারী বলেন যে, উক্ত চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থকে কুঠারাঘাত করেছে।৭৪
রেফারেন্স: ২১ মে, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত