রাষ্ট্রপতির সমবায় সমিতির অর্ডিন্যান্স ঘােষণা
ঢাকা: ১৯৭৪ সালের সমবায় সমিতির অডিন্যান্স অনুযায়ী এখন থেকে সমবায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ সকল সমবায় ব্যাংক কাজ করা বন্ধ করে দিবে এবং কাগজপত্র গুটিয়ে এসব ব্যাংক বাতিল বলে গণ্য হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি গত ২০ এপ্রিল এই অর্ডিন্যান্স ঘােষণা করেন।
তবে যেসব সমবায় ব্যাংক অল্প আয়সম্পন্ন গ্রুপের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে তারা এই কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। সমবায় সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যদি তার পদে অযােগ্য বলে প্রমাণিত হয় বা সমিতির স্বার্থবিরােধী কোন কাজ করে থাকে তাহলে তাকে তার পদ থেকে অপসারণের ব্যবস্থা এই অর্ডিন্যান্সে রয়েছে। সরকার প্রয়ােজনবােধে ম্যানেজিং কমিটিকে বাতিল করে দিতে পারে। অথবা কোন সদস্য বা অফিসারকে অযােগ্য বলে ঘােষণা করতে পারে। গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ গেজেটের বিশেষ সংখ্যায় এই অর্ডিন্যান্স প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, সমবায় সমিতি অ্যাক্ট ১৯৪০ কে আরও সংশােধনের উদ্দেশ্যে এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। একজন সরকারি মুখপাত্র কারবারের অসংখ্য অভিযােগের এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর্যাপ্ত বিধি না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে।৮৭
রেফারেন্স: ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত