You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধু সমাজবিরােধীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন

ঢাকা: যাবতীয় সমাজবিরােধী কার্যকলাপ কঠোর হস্তে দমনের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অনতিবিলম্বে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনী অস্ত্র ও গােলাবারুদ উদ্ধার চোরাচালান বন্ধ সমাজবিরােধী ও রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তিদের আটক এবং খাদ্যশস্য ও অত্যবশ্যকীয় পণ্যের মজুতদারী ও মুনাফাখারী রােধ করার উদ্দেশ্যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন বলে আজ রাতে ঢাকায় প্রকাশিত এক সরকারি ঘােষণায় বলা হয়েছে।
সমাজবিরােধী কার্যকলাপ দমনে বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তার ব্যবস্থা: বাংলাদেশ রাইফেলস, রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হবে। এই যৌথ অভিযানের কথা ঘােষণাকালে প্রধানমন্ত্রী আইন লঙ্ঘনকারী এবং জনগণের দুঃখ দুর্দশাকে পুঁজি করে যারা মজা লুটছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলাের প্রতি নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কল্যাণ সাধন ও রাষ্ট্রীয় অগ্রগতিকে নিশ্চিত করতে এবং সমাজবিরােধী ও রাষ্ট্রবিরােধীদের চ্যালেঞ্জ মােকাবেলা করার উদ্দেশ্যে এই অভিযানকে সফল করে তােলার জন্য জনসাধারণের পূর্ণ সহযােগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে, এই অভিযান চলাকালে সাময়িকভাবে সমস্ত ধর্মঘট, লক আউট, বিক্ষোভ ও শােভাযাত্রা বন্ধ থাকবে। অস্ত্র ও গােলাবারুদ উদ্ধারকালে বাহিনীগুলাে যাদের কাছে এই ধরনের অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাবে তাদের সকলকে এবং যারা সংঘবদ্ধভাবে অপরাধ ও অন্তর্ঘাতী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করতে পারবেন। মজুদবিরােধী অভিযানে সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীকে মুনাফাখােরী উচ্ছেদকল্পে খাদ্যশস্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ব্যবসায় বাণিজ্যে বিধিবিধান কঠোরভাবে বলবৎ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চোরাচালান বন্ধ করার জন্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলাে সমুদ্র বন্দর ও দেশের সমগ্র সীমাসহ দেশের সীমান্ত এলাকাগুলােতে তাদের তৎপরতা জোরদার করবে।৮৩

রেফারেন্স: ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!