দৈনিক পাকিস্তান
২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
মুজিবের মুক্তি : তথাকথিত আগরতলা মামলা প্রত্যাহার
(ষ্টাফ রিপোর্টার)
তথাকথিত “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” প্রত্যাহার করার ফলে শেখ মুজিবর রহমানসহ অভিযুক্ত সকল ব্যক্তি মুক্তিলাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব “আগরতলা মামলা” সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সও বাতিল করে দিয়েছেন। শেখ মুজিবর রহমান বর্তমানে তাঁর ধানমণ্ডীস্থ বাসভবনে অবস্থান করছেন। বেলা দেড়টায় এই খবর পাওয়া যায়। ১৯৬৮ সালের ফৌজদারী আইন সংশোধনী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) অর্ডিন্যান্সের ৪ ধারা অনুযায়ী ১৯৬৮ সালের ২১শে এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তি নং এম,আর ও ৫৯ (আর) ৬৮ বলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবর রহমান ও অন্যান্যদের মামলা শুরু হয়।
১৯৬৮ সালের জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানী শুরু হয় এবং ১৯৬৯ সালের ২৭শে জানুয়ারী শুনানী শেষ হয়।
তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
১। শেখ মুজিবর রহমান
২। লেফটেন্যান্ট কমাণ্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন।
৩। স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান।
৪। সুলতান আহমদ।
৫। নূর মোহাম্মদ।
৬। জনাব আহমদ ফজলুর, সিএসপি।
৭। সার্জেন্ট মফিজুল্লাহ।
৮। প্রাক্তন কর্পোরাল আবুল বাশার।
৯। প্রাক্তন হাবিলদার দলিল উদ্দীন।
১০। জনাব রুহুল কুদ্দুস, সিএসপি।
১১। সার্জেন্ট মোহাম্মদ ফজলুল হক।
১২। মিঃ ভূপতিভূষণ চৌধুরী (মানিক চৌধুরী)।
১৩। মিঃ বিধান কৃষ্ণ সেন।
১৪। সুবেদার (আবদুর রাজ্জাক)।
১৫। সাবেক হাবিলদার-ক্লার্ক মুজিবুর রহমান
১৬। সাবেক সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবদুর রাজজাক।
১৭। সার্জেন্ট জহুরুল হক (শহীদ)।
১৮। সাবেক এ বি মোহাম্মদ খুরশীদ।
১৯। খান এম শামসুর রহমান, সিএসপি।
২০। রিসালদার এ কে এম শামসুল হক।
২১। হাবিলদার আজিজুল হক।
২২। জনাব ফজলুল বারী।
২৩। সার্জেন্ট শামসুল হক।
২৪। মেজর শামসুল আলম।
২৫। ক্যাপ্টেন মোঃ আবদুল মোতালেব।
২৬। ক্যাপ্টেন এম শওকত আলী মিয়া
২৭। ক্যাপ্টেন খন্দকার নজমুল হুদা।
২৮। ক্যাপ্টেন এ এম এম নূরুজ্জামান।
২৯। সার্জেন্ট আবদুল জলিল।
৩০। জনাব মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী।
৩১। ফাস্ট লেফটেনান্ট এম এম এম রহমান।
৩২। সাবেক সুবেদার এ কে এম তাজুম ইসলাম।
৩৩। জনাব মোহাম্মদ আলী রেজা।
৩৪। ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দিন
৩৫। ফাস্ট লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ।
সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯