You dont have javascript enabled! Please enable it!

দৈনিক ১৫-২০ হাজার শরণার্থী ত্রিপুরায় আসছেন
বাংলাদেশ হইতে ত্রিপুরায় আগত শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

আগরতলা, ২১ জুন ত্রিপুরায় শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীশচীন্দ্র লাল সিংহ, বিধান সভার বর্তমান অধিবেশনে একটি বিবৃতি দেন। বিবতিটির পূর্ণ বয়ান নিম্নরূপ:
১. যে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর উদ্ভব হয়েছে সেই সম্পর্কে আমি এই সভার গত অধিবেশনে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণণা দিয়েছি। সেই থেকে পশ্চিম পাকস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের উপর যে বর্বর ও নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তা আজ সারা বিশ্বে দিনের মতাে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গীকৃত প্রাণের দীপ্তি কখনাে পাশবিক শক্তির কাছে পরাস্ত হতে পারে না। বাংলাদেশে যারা আছেন তাদের দুঃখ-দুর্দশা ছাড়াও পাক বাহিনীর সন্ত্রাসের রাজত্বে গত ১০ সপ্তাহ ধরে নারী ও শিশুসহ যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, আমরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছি।
২. শরণার্থী স্রোত এখনও অব্যাহত আছে। এমনকি গত সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একমাত্র সিধাই, মােহনপুর এলাকাতে ২০,০০০ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছেন। এদের অধিকাংশই মুসলমান। ত্রিপুরার মােট শরণার্থী সংখ্যা এখন আনুমানিক দশ লক্ষ। তাদের মধ্যে রেজিস্ট্রিকৃত শরণার্থী সংখ্যা হলাে ৮.০৩ লক্ষ। যারা রেজিস্টিকৃত নয় তাদের সংখ্যা আনুমানিক দুই লক্ষ। ত্রিপুরার আশ্রয় শিবিরগুলােতে শরণার্থী সংখ্যা ৫.৮৮ লক্ষ। বর্তমানে প্রতিদিন ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ শরণার্থী এখানে আসছেন।
৩. এমন বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র ও পানীয়-জলের সংস্থান করা স্বভাবতই এক বিরাট সমস্যা। তদুপরি সীমিত সম্পদ ও যােগাযোেগ অসুবিধা হেতু অনগ্রসর রাজ্য ত্রিপুরার পক্ষে এই সমস্যা আরও জটিল। ১৫ লক্ষ মানুষের ভারে ব্ৰিত একটি রাজ্যের পক্ষে প্রায় ১০ লক্ষ শরণার্থীর অতিরিক্ত চাপ যে কী নিদারুণ সমস্যার সৃষ্টি করে তা সহজেই অনুমেয়। অন্য কোনাে রাজ্যকেই তার জনসংখ্যার অনুপাতে এত অধিক পরিমাণ শরণার্থীর ভার বহন করতে হয়নি। উপরন্তু এভাবে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী আগমন অব্যাহত থাকলে কী পরিমাণ শরণার্থীর চাপ এ রাজ্যকে বহন করতে হতে পারে তা কল্পনাতীত।
৪. সীমিত সম্পদ নিয়ে এই বিপুল ও জটিল সমস্যার মােকাবেলায় সম্মুখীন হতে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ও প্রশাসনের যে অকুণ্ঠ সহযােগিতা পাওয়া যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। এমন একটি দুঃসাধ্য সমস্যার মােকাবেলায় এই ক্ষুদ্র রাজ্যটির কাজ দেখে দেশ-বিদেশ থেকে আগত পরিদর্শকগণ বিমুগ্ধ হয়েছেন। এ কথাও স্বীকার্য, আমরা সকল শরণার্থীর জন্য, বিশেষত রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তবর্তী সাব্রুম ও বিলােনিয়া মহকুমায় পরিমিত আশ্রয়ের সংস্থান করতে সক্ষম হইনি। এতদ্ব্যতীত শরণার্থীদেরকে আরও নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উদ্বাস্তু আগমন অভাবনীয়, আকস্মিক ও অস্বাভাবিক হারে হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকা স্বাভাবিক, তবুও এগুলাে অপসারণ করে ত্রাণ সংস্থার কাজকর্মের সর্ববিধ প্রয়াস চালানাে হচ্ছে।
৫. সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছেন মাননীয় সদস্যদের অবগতির জন্য সেগুলাের কয়েকটি আমি সংক্ষেপে উল্লেখ করছি। বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ও জনসাধারণের সহায়তায় এ পর্যন্ত ২.২৫ লক্ষ শরণার্থীর জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিবিরবাসীদের পানীয়-জলের সংস্থানের জন্য ২৫০টি নলকূপ ও ৫০০ কঁচা কূপ খনন করা হয়েছে। আশ্রয় শিবির নির্মাণের কাজ চলছে। ছাউনির সরঞ্জামের অভাব থাকতে কাজের অগ্রগতি কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ছন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ছাউনির কিছু সরঞ্জাম সবেমাত্র এসে পৌঁছেছে। আমরা ৩০ হাজার তবু ও বহু সংখ্যক ত্রিপল চেয়ে পাঠিয়েছি। এ পর্যন্ত মাত্র হাজার খানিক তঁাবু পাওয়া গিয়েছে এবং বাকিগুলাে শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। প্রায় ছ’হাজার তাঁবুর রেলওয়ে রসিদ এসে পৌঁছেছে এবং আরাে তঁাবুর জন্য সরবরাহকারীদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবহন, সড়ক দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য হওয়ায় আমরা সাজসরঞ্জাম আশানুরূপ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আমদানি করতে পারছি না। ছাউনির কাজে পলিথিনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
৬. প্রশাসন যন্ত্রের উপর থেকে চাপ যথাসম্ভব কমাবার উদ্দেশে ও সুষ্ঠুভাবে সমগ্র ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য সম্প্রতি একটি নতুন উদ্বাস্তু ত্রাণ অধিকার খােলা হয়েছে। এই বিভাগটি দ্রুত সংগঠিত হচ্ছে। একজন ডিরেক্টর, তিনজন এডিএম, ২৬ জন ক্যাম্প সুপারভাইজার ও অন্যান্য সাহায্যকারী পদ মঞ্জুর করা হয়েছে। একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, চারজন এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, ২৬ জন ওভাশিয়ার ও কয়েকজন ক্লার্ক নিয়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন অনুমােদন করা হয়েছে। নবনিযুক্ত কর্মচারীগণকে শীঘ্রই কর্মস্থলে প্রেরণ করা হবে। আমাদের চিকিৎসকের অভাব থাকায় আমরা শরণার্থীদের মধ্য থেকে চিকিৎসকদের সাহায্য চেয়েছি। দৈনিক ১৫ টাকা বেতনে আমরা ১০০ জন যােগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তার নিয়ােগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে শরণার্থীদের মধ্য থেকে চিকিৎসা সাহায্যকারী কর্মচারী নিয়ােগ করা হয়েছে। চিকিৎসার সুবিধা যথাসম্ভব সম্প্রসারণ করা হয়েছে। জি.বি. ও ভি.এম, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা চাহিদার তুলনায় খুবই সীমাবদ্ধ। হাসপাতালগুলাের শয্যা সংখ্যা বাড়ানাে হচ্ছে এবং রােগীর শয্যা সংকুলানের জন্য বাইরে থেকে তাঁবু আনা হচ্ছে। এরূপ কিছু পরিমাণ তঁাবু সবেমাত্র এসে পৌঁছেছে। ২০,০০০ শরণার্থী বিশিষ্ট একটি বা একাধিক শিবিরের জন্য একটি করে ডিসপেনসারি খােলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শরণার্থীদের মােটামুটি সবাইকে টিকা ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
৭. ত্রাণ কাজের জন্য ভারত সরকার এখন পর্যন্ত ৩.২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়ােজন হলে আরাে টাকা পাওয়া যাবে বলে ভারত সরকার আমাদেরকে আশা দিয়েছেন।
৮. যে ২৬টি শিবির আমরা গড়ে তুলছি সেগুলাে ছাড়াও প্রতিটি শিবিরে ৬০ হাজার ব্যক্তি বসবাস করতে পারে এমন বড় ৪টি শিবির গড়ে তােলারও প্রস্তাব করা হচ্ছে। ভারত সরকারের ত্রাণ বিভাগ এই শিবিরগুলাে পরিচালনা করবেন। এর জন্য কতগুলাে জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যােগাযােগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কথা চিন্তা করেই রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে দুটো শিবির গড়ে তােলা হবে। ভারত সরকারের কাছ থেকে অনুমােদন পাওয়া মাত্র যাতে শরণার্থীগণকে রেল যােগে স্থানান্তরে পাঠানাে সম্ভব হয় সেই জন্য ধর্মনগরে একটা বড় অস্থায়ী শিবির স্থাপন করা হচ্ছে। অপর তিনটি কেন্দ্রীয় শিবিরের সাথে এই অস্থায়ী শিবিরটিরও রক্ষণাবেক্ষণের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরেই অর্পণ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। যে সমস্ত তাবু ইতিমধ্যেই পৌছে গেছে সেগুলাে অস্থায়ী শিবিরে খাটানাে হবে। শিক্ষা নিকেতনগুলােতে যাতে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম শুরু হতে পারে তার জন্য আমরা অনেক আগে থেকেই স্কুল বাড়িগুলােকে খালি করার চেষ্টা করছি। বহু শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে তাদের বন্ধু-বান্ধব অথবা আত্মীয়-স্বজন যেভাবে বিরাট দায়িত্ব বহন করছেন, সরকার সে বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। আরাে শিবির তৈরি হলে আমরা যতশীঘ্র সম্ভব তাদের সেই দায়িত্ব ভার হ্রাস করার চেষ্টা করবাে। শরণার্থীদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে এ ব্যাপারে যদি কিছু সাহায্য করা যায় সে জন্য আমরা ভারত সরকারের সাথে যােগাযােগ করছি।
৯. বর্তমানে নিতান্ত সীমিত হারে আকাশ পথে শরণার্থীদের স্থানান্তরে পাঠানাে হচ্ছে। প্রতিদিন এ জন্য ৪টি আমেরিকান উড়ােজাহাজ গৌহাটি এবং আগরতলার মধ্যে যাতায়াত করছে। আসার পথে তারা প্রায় একশত মেট্রিক টন খাদ্যশস্য গৌহাটি থেকে নিয়ে আসে এবং ফেরার পথে শরণার্থীগণকে গৌহাটি নিয়ে যায়। আসাম সরকার কামরূপ জেলায় এই সমস্ত শরণার্থীদের জন্য কতগুলাে অভ্যর্থনা কেন্দ্র খুলেছেন। প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১,৫০০ জন শরণার্থীকে আকাশ পথে বাইরে পাঠানাে হচ্ছে। ধর্মনগর থেকে রেল যােগে শরণার্থীদের স্থানান্তরে পাঠানাের ব্যাপারেও আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
১০, আমাদের খাদ্যশস্যের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত প্রায় ৫০০ শিবিরে গুদাম থেকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু ত্রিপুরা একটা ঘাটতি অঞ্চল সেহেতু বাইরে থেকেই আমাদের খাদ্য শস্যের যােগান দিতে হবে। রেলওয়ে আউট এজেন্সি ধর্মগড় থেকে ট্রাকে করে গুদামে খাদ্যশস্য বহন করার কাজ যথাযথভাবে করতে পারেনি; ফলে ধর্মনগরে খাদ্যশস্য অতিরিক্ত পরিমাণে জমা হয়ে পড়ে। আউট এজেন্সির কাজ-কর্মের মান যাতে আরাে উন্নত হতে পারে তার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যােগাযােগ করা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু করা যায়নি। পরিবহন সংস্থার অধীনে ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং ভারত সরকারকে অনুরােধ করে সেনাবাহিনীর গাড়ি এনে যত বেশি ট্রাক যােগাড় করা সম্ভব ত্রিপুরা সরকার সেই বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছেন। রাস্তা পরিবহন সংস্থা ৩৪টা ট্রাক ইতিমধ্যে সগ্রহ করেছে এবং আরাে ২৬টি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীও এ। কাজে অনেকগুলাে ট্রাক নিয়ােগ করেছে। এর ফলে খাদ্যশস্য যথাযথভাবে চালান করা সম্ভব হয়েছে এবং বর্তমানে ধর্মনগর রেলপথে মজুদ খাদ্যশস্যের চাপ নেই। পূর্বে ধর্মনগরে অনেকগুলাে ওয়াগন জমে যাওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন সপ্তাহ বিধি-নিষেধ আরােপ করেছিলেন কিন্তু পরে আমাদের চাপে পড়ে সেই বিধি-নিষেধ তারা তুলে নিয়েছেন এবং বর্তমানে খাদ্যশস্যের চালান আসা শুরু হয়েছে। খাদ্যাবস্থার উপর আমাদের সদা সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে এবং রেলযােগে রাস্তা দিয়ে অথবা আকাশ পথে খাদ্যশস্য আমদানি করার ব্যাপারেও আমরা সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। জনসাধারণের সহযােগিতা ও তাদের সাহচর্যে সঙ্কটময় আগামি দুই অথবা তিন মাসকাল ভালােভাবে অতিবাহিত করা সম্ভব হবে। তবু এর মধ্যে যদি কিছু ঘাটতি দেখা দেয় সেটা সম্পূর্ণভাবে অস্থায়ী হবে বলেই আশা।
১১. যে সমস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ত্রাণ কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সমস্ত শরণার্থীদের পক্ষ থেকে এবং ত্রিপুরার জনসাধারণের পক্ষ থেকে তাদের সেই কাজের অকুণ্ঠ প্রশংসা করার এই সুযোেগ আমি গ্রহণ করছি। প্রথম দিকে এই সাহায্যের পরিমাণ ও গতি… জানাচ্ছি বাংলাদেশের অতি ভয়ঙ্কর ঘটনায় অবশেষে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়েছে। সুতরাং প্রায় প্রতি দিনের এখন ওষুধপত্র, তাঁবু, ঘরের ছাউনি, গুঁড়াে দুধ প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণ আকাশ পথে চালান আসছে।
১২. এই সভা স্বীকার করবেন যে, অস্বাভাবিকভাবে জনসংখ্যা ফীত হওয়ায় জনসাধারণের এবং প্রশাসনের উপর আকস্মিকভাবে বিরাট একটা চাপ পড়েছে। ত্রিপুরার জনসাধারণ সব সময়ই সমস্ত অসুবিধাজনক অবস্থাই সহ্য করে এসেছেন। আমি এই সভাকে আশ্বাস দিতে পারি যে, আমাদের জনবল ও উপকরণ সীমিত হওয়া সত্ত্বেও শরণার্থীদের ত্রাণ কাজে আমরা সর্বশক্তি নিয়ােগ করবাে। সদস্যদের দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা বিভিন্ন শিবির পরিদর্শন করবেন। ঐ কমিটিদ্বয়ের ও সভার যে কোনাে সদস্যের হিতকর অভিমত পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

সূত্র: ত্রিপুরা
২৩ জুন, ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!