শরণার্থীদের আশ্রয় ও খাদ্যের সংস্থান আমাদের করতে হবে- মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ৩০ জুন: শরণার্থীদের ত্রাণ কাজে আমাদের প্রত্যেককে সুসংহত মনােভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এ এক বিরাট কাজ। পিতৃ-পিতামহের ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে যারা আজ ভারতের বুকে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের আশ্রয় ও খাদ্যের সংস্থান আমাদের করতে হবে। আজ কমলপুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এম.এল.এ এবং স্থানীয় অফিসারদের সাথে আলােচনা কালে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীশচীন্দ্র লাল সিংহ এ কথা বলেন। ত্রিপুরায় শরণার্থী আগমনজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং শরণার্থীদের আশ্রয় ও খাদ্য দানের অবস্থান সরেজমিন দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ঝটিকা সফরে আজ কমলপুরে রওয়ানা হয়ে যান।
বেলা একটার সময় তিনি কমলপুর পৌছেই বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির সাথে আলােচনা করেন। কমলপুর-কৈলাশহর এবং কমলপুর খােয়াই সংযােগকারী রাস্তাগুলাে যাতে অবিলম্বে তৈরি করা হয় তার জন্য জনপ্রতিনিধিগণ মুখ্যমন্ত্রীর নিকট দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট অফিসারকে তৎক্ষণাৎ সে বিষয়ে নির্দেশ দেন।
আমবাসাতে ৫০ হাজার শরণার্থী বাসের উপযােগী শিবির তৈরির কাজে ব্যাপৃত থাকায় পূর্ত বিভাগের আমবাসা ডিভিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিবির তৈরির কাজটি ত্রাণ বিভাগের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে করানাের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিকট দাবি করা হয়।
সূত্র: ত্রিপুরা
৭ জুলাই, ১৯৭১
২২ আষাঢ়, ১৩৭৮