অর্থনীতিতে প্রাণস্পন্দন আনতে হবে
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী খােন্দকার মােশতাক আহমদ জনগণের দুর্দশা লাঘবের স্বার্থে স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে সরকারের সাথে পূর্ণ সহযােগিতার জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মন্ত্রী শনিবার সকালে ঢাকা হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৩ টি বণিক সমিতি এবং ১৬টি বাণিজ্যিক সংস্থার এক সম্মেলন উদ্বোধনকালে একথা বলেন। সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আবদুল মােমিন তালুকদার আওয়ামী লীগ পার্টির চীপ হুইপ শাহ মােয়াজ্জেম হােসেনও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামনে আজকে প্রধান কাজ হচ্ছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম সম্প্রসারিত করা। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রাণস্পন্দন ফিরিয়ে না আনলে জনগণের ভােগান্তির অবসান হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী তার ভাষণে বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর গুরুত্ব আরােপ করে বলেন, আরও বেশি রপ্তানি করে অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই আমাদের রপ্তানি বা নিজের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। একই সাথে দেশের সার্বিক চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে আমদানি বাণিজ্যকেও বর্তমান পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় রপ্তানি বাড়িয়ে আমদানি বাণিজ্যে ঘাটতি পূরণ না হলে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় রােধ করা সম্ভব হবে না। তিনি প্রসঙ্গত বলেন, আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য সামনে রেখেই আমদানি প্রণীত হওয়া উচিত। জনাব মােশতাক আহমদ তার ভাষণে অসৎ আমদানিকারকদের তীব্র সমালােচনা করেন। তিনি বলেন যে তার সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম বন্দর সফরকালে দেখেছেন কতিপয় আমদানিকারক বিজ্ঞান সামগ্রীর লাইসেন্স দিয়ে ঘড়ি আমদানি করেছে এবং তাতে কারখানার যন্ত্রপাতির লাইসেন্স দিয়ে আমদানিকারকরা বাই-সাইকেল আমদানি করেছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকার আমদানিকারকদের এ ধরনের অসৎ উপায় কখনও বরদাস্ত করবে না। জনাব মােশতাক আহমদ আশা প্রকাশ করেন যে, দেশের বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায় তাদের আন্তরিকতা নিয়ে সরকারের সাথে সহযােগিতা দিয়ে যাবে।৪৪
রেফারেন্স: ১৩ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত