বাংলাদেশ আফ্রো-এশীয় জনগণের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে: তাজউদ্দীন আহমদ
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ জোর দিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার আফ্রো-এশীয় জনগণের মুক্তি সংগ্রাম ও বিশ্ব শান্তি ও সমাজবিরােধীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে। তাদের সংগ্রামকে সমর্থন দিয়ে যাবে। অর্থমন্ত্রী বুধবার সফররত সােভিয়েত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের প্রতিনিধিদলের এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। সােভিয়েত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের নেতা মি. মিখাইল স্যালকোভস্কি ও বাংলাদেশ আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উক্ত সভায় ভাষণদান করেন। জনাব তাজউদ্দীন বলেন, বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলাে ক্রমশ তাদের পায়ের নিচকার মাটি হারাচ্ছে। এবং সে দিনের আর বেশি দেরি নেই যখন এই সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণ শক্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তিনি এই সমস্ত জঘন্য ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য বিশ্বের প্রগতিবাদী শক্তিগুলাে একতাবদ্ধ। হওয়ার আহ্বান জনান। ভারত মহাসাগরে দিয়াগাে গার্সিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তি ব্যাহত করার সাম্রাজ্যবাদীদের এটা আর। একটি ঘৃণ্য পদক্ষেপ। তিনি আঞ্চলিক শান্তিকামী শক্তিগুলাের প্রতি সংগ্রামে রত থাকার আহ্বান জানান। মি. মিখাইল স্যালকোভস্কি তাকে প্রদত্ত সম্বর্ধনার উত্তরে বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ও সােভিয়েত ইউনিয়নের যুক্ত প্রচেষ্টায় যে সংগ্রাম চলছে তা কালক্রমে সংহত হয়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন দিকে আদর্শ ও নীতি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই। দেশের বন্ধুত্ব আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সােভিয়েত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদ ও বাংলাদেশের আফ্রো-এশীয় সংহতি সংস্থা এক। যুক্ত ইশতেহার ঘােষণা করেন।৪৮
রেফারেন্স: ১১ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত