You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.03.18 | জাসদের উস্কানিতেই সরকার দমননীতি গ্রহণে বাধ্য হয়েছে | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

জাসদের উস্কানিতেই সরকার দমননীতি গ্রহণে বাধ্য হয়েছে

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুপরিকল্পিত উপায়ে উস্কানি দিয়ে সরকারকে দমন নীতি গ্রহণে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বিবৃতিতে গত ১৭ মার্চে দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে উপরােক্ত প্রতিবেদন রাখেন। কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর বিবৃতিতে বলা হয়, গণজীবনের গভীর সংকটকে মূলধন করে জাসদ ‘জ্বালাও পােড়াও’ ‘অস্ত্রের বদলা অস্ত্র’ ‘ঘেরাও’ প্রভৃতি উস্কানি ও হিংসাত্মক কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয় দেশদ্রোহী জনস্বার্থ বিরােধী রাজনীতি অনুসরণ করেই জাসদ নেতৃত্ব ১৭ মার্চ পল্টনে তাদের জনসভাতে নানা প্রকার চরম উস্কানিমূলক বক্তৃতা প্রদান করে। এমনকি তারা কৃষকদের সরকারি ধান সংগ্রহে লেভি দেয়ার পরিবর্তে লেভি আদায়কারীদের গলাকাটার উস্কানিও দিয়েছে। ঐ সভা শেষে জাসদ নেতৃত্ব উত্তেজিত দলীয় কর্মীদের মিছিলসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে যায় এবং সেখানে নানারূপ উচ্ছঙ্খল কাজকর্মের প্ররােচনা দান করেন। এরই পরিণতিতে পুলিশ ও রক্ষী বাহিনীর গুলি বর্ষণে ৫-৬ জন যুবক তরুণের শােচনীয় মৃত্যু ঘটেছে। জাসদ নেতৃত্ব তাদের দেশদ্রোহী জনস্বার্থ বিরােধী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সুযােগে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে রাজনৈতিক খেলাতে জাসদ নেতৃত্ব দিচ্ছে তাতে অর্থনীতি সংকটের নিরসনের পরিবর্তে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এতে লাভ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও দেশের অন্যান্য শত্রুদের। উপসংহারে কমিউনিস্ট পার্টি বলেন: ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও এর রাজনীতি দেশ ও জাতির স্বার্থ বিরােধী। দেশ ও জনগণের স্বার্থেই এই ক্ষতিকর রাজনীতির মােকাবেলা করা দরকার। বিবৃতিতে তারা দেশপ্রেমিক শক্তিসমূহের ঐক্যের উপর গুরুত্ব আরােপ করেন।
লেবার পার্টি: বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে গত পরশুর ঘটনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে মােকাবেলা করার দাবী জানানাে হয়। পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধান সংগঠক নিহত ও আহতদের পরিবার পরিজনের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন। ৭৩

রেফারেন্স: ১৮ মার্চ, ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত