You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.03.08 | বাংলাদেশের জাতিসংঘভুক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধু-বুমেদীন ব্যাপক আলােচনা | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশের জাতিসংঘভুক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধু-বুমেদীন ব্যাপক আলােচনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুমেদীনের মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নসহ আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলােচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বুমেদীন প্রায় চার ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকা এসে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে এক ঘণ্টাব্যাপী একান্ত আলােচনা বৈঠকে মিলিত হন। পরে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় ঘরােয়াভাবে আলােচনায় যােগদান করেন। প্রেসিডেন্ট বুমেদীনের স্বদেশ যাত্রার পর ঢাকা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রেসিডেন্ট বুমেদীন এর মধ্যে অনুষ্ঠিত আলােচনার বিষয় সম্পর্কে উপরােক্ত আভাস দেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে এবং অন্যান্য ব্যাপারে চীনা মনােভাব সম্পর্কে দুই নেতার মধ্যে আলাপ-আলােচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি জবাব এড়িয়ে বলেন, সামগ্রিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আলােচিত বিষয়ের মধ্যে ছিল কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি হাঁ-না বললেও আভাস দেন যে, আলােচনা হয়েছে। ঢাকার কূটনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেছেন যে, দুই নেতার মধ্যে আলােচনাকালে প্রেসিডেন্ট বুমেদীন বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানের স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রতি চীনের বর্তমান মনােভাব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেছেন। উল্লেখযােগ্য যে, ঢাকায় আসার আগে প্রেসিডেন্ট বুমেদীন চীন উত্তর কোরিয়া ও উত্তর ভিয়েতনাম সফর করেছেন। গত মাসের শেষে লাহােরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনের সময় লাহােরে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার আলােচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের প্রতি চীনের বর্তমান মনােভাব কি সে সম্পর্কে আভাস দেয়ার ব্যাপারটি সবাই এড়িয়ে গেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা ব্যাখ্যা করেন। বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে মনােভাবের ক্ষেত্রে উভয় নেতা মিল খুঁজে পেয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের গঠনমূলক ও প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ পুনরায় আরবদের সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে রাজী হয়েছে।২৯

রেফারেন্স: ৮ মার্চ, ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত