ইসলামী সম্মেলনে বাংলাদেশের যােগদানের প্রশ্নে আলজিরিয়া ও লিবিয়া আশাবাদী
ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আরব জগতের মনােভাবের উল্লেখযােগ্য উন্নতি ঘটেছে এবং আলজিরিয়া ও লিবিয়ার নেতৃবৃন্দ উপমহাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ৬ দিন ব্যাপী আলজিরিয়া ও লিবিয়া সফর শেষে ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পর ড. কামাল হােসেন সাংবাদিকদের নিকট এই কথা জানান। তিনি বলেন আমাদের বক্তব্য তাদের নিকট ব্যক্ত করেছি এবং তারা তা উপলব্ধি করেছেন। ইসলামী সম্মেলনের পূর্বে পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে আলজিরিয়া ও লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে বুমেদীন অথবা কর্ণেল গাদ্দাফী কোনাে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে ড. কামাল হােসেন বলেন, সকলেই চান যে, আমরা এই সম্মেলনে যােগদান করি। আলজিরিয়া ও লিবিয়া সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি উভয় দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে আলােচনা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, যদিও লিবিয়া এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও তাকে পূর্ণ মর্যাদার সাথে সাদরে গ্রহণ করা হয়। তিনি আরও বলেন যে, সতুরই আলজিয়ার্সে জোটনিরপেক্ষ ব্যুরাের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাতে ১৭ টি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী যােগদান করবে। ড. হােসেন বলেন, শীঘ্রই আলজিরিয়া থেকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট আনােয়ার সাদতের বাংলাদেশ সফরের কোন সম্ভাবনা আছে কিনা এই মর্মে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাকে অনেক আগেই আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট সাদত কোনাে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা। প্রশ্ন করা হলে ড. হােসেন বলেন সকলেই এ ব্যাপারে চেষ্টা করছেন। ইসলামী সম্মেলনে বাংলাদেশে যােগদানের প্রশ্নে বাংলাদেশর ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে ড. কামাল হােসেন সে ব্যাপারে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।৪১
রেফারেন্স: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত