You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.02.07 | এক শ্রেণির লােকের হাতে অস্ত্র থাকায় শান্তি বিপন্ন: তাজউদ্দীন আহমদ | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

এক শ্রেণির লােকের হাতে অস্ত্র থাকায় শান্তি বিপন্ন: তাজউদ্দীন আহমদ

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সরকারের আইন প্রয়ােগকারী সদস্যদের ছাড়া দেশে অন্য কাউকে অস্ত্র রাখতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সমাজে এক শ্রেণির মানুষের হাতে অস্ত্র থাকায় আজ জনগণের তথা সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইসলামিক একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় হকার্স লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। আমাদের বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হলে প্রত্যেকটি মানুষের অর্থনৈতিক কর্ম তৎপরতা বাড়াতে হবে। এই অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়ানাের পূর্ব শর্ত হচ্ছে স্থিতিশীল আইন শৃঙ্খলা ও সামাজিক শান্তি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ, জাতি ও সমাজের সার্বিক স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসলেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে মানুষের অর্থনৈতিক কর্ম তৎপরতা। অর্থমন্ত্রী জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের সীমিত সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরােপ করেন। প্রথমেই জাতিকে ক্ষুধা থেকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি হকার্সদের শহরের মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে খালি জায়গা দখল না করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিপনী কেন্দ্র গড়ে তােলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি হকারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হকারদের সামনে রেখে এক শ্রেণির লােক শহরে জমি দখল করে নিতে পারে। অতীতে এরূপ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হকার্স লীগের আহ্বায়ক জনাব মােস্তফা কামাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবত, পূর্তমন্ত্রী জনাব সােহরাব হােসেন, প্রতি মন্ত্রী বেগম নুরহাজান মাের্শেদ। জনাব সেরনিয়াবত তার বক্তৃতায় বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি হকারদের সমবায় সমিতি গঠন করে সরকারের সহযােগিতায় তাদের পুনর্বাসন কাজে এগিয়ে আসার উপদেশ দিয়েছেন। পূর্তমন্ত্রী জনাব সােহরাব হােসেন তার বক্তৃতায় বলেন, ছিন্নমূল হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাজার নির্মাণের সরকারি পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন কার্যকরী পরিষদ: সম্মেলনে বাংলাদেশে জাতীয় হকার্স লীগের নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়। জনাব মােস্তফা কামালকে সভাপতি এবং জনাব আলীম হােসেন আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে এবং ৫৪ জন সদস্য নিয়ে এই কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।২০

রেফারেন্স: ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত