ভাসানী ন্যাপের সম্মেলনে সংঘর্ষ
ঢাকা: ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বৃহস্পতিবার তাঁর দলের জাতীয় কার্যনির্বাহক কমিটি পরবর্তী ছয় মাস কাজ চালানাের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠনকল্পে দলের সর্বময় ক্ষমতা স্বহস্তে গ্রহণ করেছেন। এডহক কমিটির সদস্যদের নাম শীঘ্রই ঘােষণা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বার্তা প্রতিষ্ঠান এই খবর জানিয়েছে। সন্ধ্যায় সন্তোষে ভাসানী ন্যাপের। দু’দিবস বাদী কাউন্সিল অধিবেশনের সমাপ্তি দিবসে মাওলানা উপরােক্ত সিদ্ধান্তের কথা ঘােষণা করেন। পূর্বাহ্নে ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলীম আল রাজীর সভাপতিত্বে সমাপ্তি দিবসে প্রথম অধিবেশনে জে, কাজী জাফর আহমদ যখন তার রির্পোট পেশ করছিলেন তখন কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মওলানা ভাসানী অসুস্থতার দরুণ উক্ত প্রাতঃকালীন অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযােগ্য যে, দলে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জে. পদে নির্বাচন নিয়ে ড. রাজী, জনাব মশিউর রহমান, জনাব বজলুল সাত্তার, গাজী শহীদুল্লাহ, কাজী জাফর আহমদ, রাশেদ খান মেনন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোনাে প্রকার ঐক্যমতে পৌছাতে ব্যর্থ হন। অতঃপর ভাসানী বর্তমান কমিটি বাতিলের কথা ঘােষণা করেন। মওলানা সাহেব বলেন, তিনি ৬ মাস পর সংগঠনের একটি জাতীয় সম্মেলনে আহ্বান করবেন। এবং সেই সম্মেলনেই তার দলের জাতীয় কার্য নির্বাহক কমিটি নির্বাচন করা হবে। সেই সময় পর্যন্ত সংগঠনের আদর্শ নীতি পরিপন্থী কার্যকলাপের সন্দেহে দলের যে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার পূর্ণ সাংগঠনিক ক্ষমতা তার হাতে থাকবে। ন্যাপ প্রধান তাঁর বক্তৃতায় রক্ষী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কার্যকলাপের সমালােচনা করে অভিযােগ করেন যে, তারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি বলেন, যদি এই সমস্ত বাহিনীর সদস্যরা বিরােধী দলের কর্মীদেরকে নির্যাতন ও হয়রানির পদ্ধতি পরিত্যাগ না করে তা হলে তিনি দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। ভাসানী সাহেব বলেন, গােপন রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরা সমাজ বিরােধী নয় বরং তারা আসল দেশপ্রেমিক।১১৫
রেফারেন্স: ৩১ জানুয়ারি ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত