ভােজসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে, শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেসব প্রতিশ্রুতি করেছে তা নিরবচ্ছিন্ন। কারণ একমাত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমেই জাতীয় স্বাধীনতাকে সুসংহত করে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রােগ, বেকারত্ব দূরীকরণে জাতির সর্বশক্তি ও সম্পদ নিয়ােজিত রয়েছে। বাংলাদেশ সফররত যুগােশ্লাভ প্রেসিডেন্ট মার্শল টিটো ও মাদাম টিটোর সম্মানে আয়ােজিত ভােজসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, শান্তির অন্বেষায় প্রদত্ত সমগ্র প্রতিশ্রুতির আলােকে নবগঠিত বাংলাদেশ উপমহাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণে গঠনমূলক ও বাস্তবমুখী নীতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু বলেন, উপমহাদেশের দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে দিল্লি চুক্তি বাংলাদেশের স্মরণীয় পদক্ষেপ। দৃঢ় প্রত্যয় পােষণ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, দিল্লি চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তির পথ উন্মোচন করবে। বঙ্গবন্ধু বলেন, বিশ্বব্যাপী উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত সংগ্রামে বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে। বঙ্গবন্ধু বলেন, যুগােশ্লাভ যেমন সমাজতন্ত্রের পথে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে তেমনি গণতান্ত্রিক মূল্যবােধে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মূল্যবান অবদান ও জোটনিরপেক্ষ নীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালনে বঙ্গবন্ধু মার্শাল টিটোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধু বলেন যে, মার্শাল টিটোর শান্তি ও জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রতি যেমন আনুগত্য রয়েছে, বাংলাদেশের জনগণও এতে সমভাবে অংশীদার।১২
রেফারেন্স: ৩০ জানুয়ারি ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত