শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ‘লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার’ ঘোষণা | পাকিস্থান অবজার্ভার | ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ |
লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার (১৯৫৯), সংশোধিতঃ
অন্যান্য বিষয় ছাড়াও কেন্দ্রে সংরক্ষিতদের বিষয়াদি সংযুক্তি তালিকার আওতাধীন।
২৩শে সেপ্টেম্বর, করাচী – রাষ্ট্রপতি আজ লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার, ১৯৫৯ সংশোধিত করে আদেশ জারি করেন, যা একইসাথে কেন্দ্র ও প্রদেশের বাইরের সকল ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নে ক্ষমতা দানে প্রভাব ফেলবে; যেগুলি বিশেষ করে ১৯৫৬ সালের সংবিধানের অধীনে কেন্দ্রে সংরক্ষিত।
এই অর্ডার এমনভাবে হয়েছে যে প্রদেশে বিদ্যমান কোন আইন প্রভাবিত হবে না যদি না তা ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর হতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত আইনের সাথে নিতান্তই কোন ভাবে বিরোধের ক্ষেত্রে এবং তখন তা শুধুমাত্র ততোটাই বিরোধপূর্ণ।
এই অর্ডারের অধিকতর ফলস্বরূপ যদি বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজন হয় তবে প্রচলিত পদ্ধতিতে মীমাংসিত করার জন্য কোন আনুষাঙ্গিক চক্রের অবলম্বনে বিরোধ মীমাংস করা যেতে পারে।
এই অর্ডারের অধিকতর ফলস্বরূপ যদি বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজন হয় তবে প্রচলিত পদ্ধতিতে মীমাংসিত করার জন্য কোন আনুষাঙ্গিক চক্রের অবলম্বনে বিরোধ মীমাংস করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ নং ১৭, ১৯৫৯ নিম্নরূপঃ
রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ নং ১৭, ১৯৫৯ করাচী, ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯।
লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার (১৯৫৯), সংশোধিত, ঘোষণানুসারে ———- ১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসের সপ্তম দিনে এবং এতদুদ্দেশ্যে তাকে করা সক্রিয় সব ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সন্তুষ্ট চিত্তে নিম্নলিখিত আদেশ তৈরী এবং জারী করেনঃ-
১। এই অধ্যাদেশকে লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার (১৯৫৯), সংশোধিত, না অভিহিত করা যেতে পারে।
২। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
লেজিস্টেটিভ পাওয়ার্স অর্ডার (১৯৫৯), সংশোধিত, এর মধ্যে, নিম্নলিখিত নতুন অনুচ্ছেদটি সবসময় অধ্যাদেশের অংশ হিসেবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
“৪। (১) বিধান প্রয়োগের মধ্যে ১৯৫৮ সালের অধ্যাদেশ আইনের (ক্রমান্বয়ে কার্যকর) ২য় ধারার দফা (I), ৪র্থ ধারার দফা (১) এবং ৫ম ধারার দফা (১)।
(A )বিষয়গুলো পঞ্চম তফসিলের প্রাদেশিক তালিকায় লিপিবদ্ধ সহ যে কোন পরিস্থিতিতে আনুষাঙ্গিক তালিকা হিসেবে সেই তফসিলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং
(B ) সামঞ্জস্যপূর্ণ আইন প্রণয়নের ক্ষমতায় পঞ্চম তফসীলের কোন ধরণের তালিকায় কোন বিষয় লিপিবদ্ধ না হলে, কর আরোপের কোন আইন সহ এমনতরো তালিকায় উল্লেখ করা না হলে তা অনুষঙ্গী তালিকার সাপেক্ষে লিপিবদ্ধ করতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা হিসেবে গণ্য হবে।
<2.008.029>
আর আইন প্রণয়নে ফেডারেশন এবং প্রদেশের ক্ষমতা নিয়ামানুযায়ী হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং ফেডারেশন ও প্রদেশের নির্বাহী কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা সেই অনুযায়ী বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।“
৩। (১) প্রদেশের পরবর্তী পদানুবর্তী দফার বিধানাবলীর সাপেক্ষে এই আদেশের কিছুই প্রাদেশিক আইন বা এর অংশের বৈধতা ক্ষুন্ন করে না, অতএব যেইদিন এই আদেশ বলবৎ হবে সেইদিনই তা কার্যকরী হবে।
(২) প্রাদেশিক আইন বা এর অংশে এই আদেশ কার্যকরের সময় যদি ১৯৫৮ সালের অক্টোবরের সপ্তম দিন হতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইনের বিধানাবলীর কারণে বেমানান বলে বিবেচিত হয় তবে তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধতা হিসেবে অকার্যকর বলে বর্ধিত করা হবে। -এ.পি.পি .