You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.01.01 | উন্নত ও অনুন্নত দেশের পার্থক্য দূর করতে হবে: বঙ্গবন্ধু | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

উন্নত ও অনুন্নত দেশের পার্থক্য দূর করতে হবে: বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নরম্যান কার্ক এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে বলেন যে, বাংলাদেশের জনগণের জীবনের মান উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার সাথে তার দেশ সর্বাত্মক সহযােগিতা প্রদান করবে। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী কার্কের সম্মানে আয়ােজিত ভােজসভায় তিনি উপরােক্ত মন্তব্য করেছেন। পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু মাননীয় অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলাের মধ্যে বিরাজমান ব্যবধান দূর করে একটি সুসামঞ্জস্য নিয়ম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। ভােজসভায় মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রী, কূটনৈতিক মিশনারি প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরম্যান কার্ক তার ভাষণে বলেন, তার দেশ সর্বদা বাংলাদেশের কথা স্মরণ রাখবে। যদিও নিউজিল্যান্ড তার প্রতিবেশী দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলােকে সাহায্য দানের ব্যাপারে বিশেষভাবে প্রচেষ্টা রাখছে-তবুও সে বাংলাদেশের প্রয়ােজনের কথা কখনাে উপেক্ষা করবে না। মি. কার্ক বলেন, সমগ্র বিশ্ব আজ পারস্পরিক অর্থনৈতিক বিবৃতির উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের জাতিসমূহের জীবিকা একটি সমৃদ্ধশীল বিশ্ব অর্থনীতি ও সুসামঞ্জস্য আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুনের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু দেশসমূহের উন্নয়ন প্রচেষ্টার উপর একটি ছায়া যেন বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা ও বর্তমান তেলসংকট উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলাের সংগতিকে ব্যাহত করছে। সীমিত তৈল উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা শিল্প উৎপাদন হ্রাস এবং বিশ্ব বাণিজ্য নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে। তেল সংকটকে একটি সাময়িক অসুবিধা বলে চিন্তা করা অনুচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। মি. কাক বলেন, অর্থনৈতিক দিগন্তের কালাে মেঘ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেই আমরা পারস্পরিক নির্ভরশীল বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তােলার ব্যাপারে সহযােগিতা ও আলাপ আলােচনার জন্য নতুন কৌশল অবলম্বনে অধিকতর সচেষ্ট হব। আমরা এই পথের কথাই গভীরভাবে ভাবছি বলে প্রধানমন্ত্রী কার্ক উল্লেখ করেন। শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিধানে আন্তর্জাতিক সহযােগিতার কথা উল্লেখ করে মি. কার্ক বলেন, বিশ্ব সম্পদের প্রতি আজ গভীর নজর দেয়া বিশ্বের নেতৃত্বের উচিত। সেই সময় এখন এসে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে আনন্দ প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে আয়ােজিত ভােজসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলাের মধ্যবর্তী পার্থক্য দূর করে সুষম আন্তর্জাতিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কাককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের একজন সত্যিকার বন্ধু নিউজিল্যান্ডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরম্যান কার্ককে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণ ও ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে আজ স্বাগত জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দ বােধ করছি। বিশেষ করে নববর্ষের শুরু এই দিনে আপনাকে আমাদের মাঝে পাওয়াটা সত্যি নতুন বছরের শুভ সূচনা বলা চলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে আমাদের সবচেয়ে পুরােনাে ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অন্যতম বলে গণ্য করে থাকি। আমাদের সফল মুক্তি সংগ্রামের পরেই প্রথম যে কজন সম্মানিত অতিথি আমাদের দেশে এসেছিলেন, আপনি তাঁদের একজন। তখন বাংলাদেশের ব্যাপারে যে আগ্রহ এবং তার কল্যাণের প্রশ্নে যে উৎকণ্ঠা আপনার মাঝে লক্ষ্য করেছি তা আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। সম্প্রতি অটোয়ায় কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনকালে আমাদের বৈঠক থেকে একথা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি। যে, হাজার কাজের মাঝেও বাংলাদেশের ব্যাপারে আপনার গভীর আগ্রহ বিন্দুমাত্র ক্ষুন্ন হয়নি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আবার বাংলাদেশ সফরের জন্য আমার আমন্ত্রণ আপনি গ্রহণ করাতে আমি নিজেকে সত্যি গৌরবান্বিত মনে করছি। আশা করি আমাদের দেশে আপনার ও আপনার সহযােগীদের অবস্থান আনন্দদায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রামকালে এবং স্বাধীনতার পর নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রতি যে সমবেদনাপূর্ণ মনােভাব গ্রহণ করে এসেছে আমরা তাকে অত্যন্ত মূল্য দিয়ে থাকি। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তেও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই আপনারা আমাদেরকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা দিয়েছেন। এটা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনাদের উদার সহায়তার প্রমাণ। আমাদের বর্তমান সমস্যাবলী কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য আপনাদের আগ্রহ কত ঐকান্তিক। দিল্লি চুক্তি অনুযায়ী বাঙালি ও পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে সমস্যাদি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপনারা মূল্যবান অবদান রেখেছেন। আপনাদের এই সহায়তা আমাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ন্যায়সঙ্গত আসন গ্রহণের জন্য যখন আমরা চেষ্টা করছি তখন আমাদের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়ে আপনার আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তি সংগ্রামের সফল সমাপ্তির অব্যবহিত পরেই বাংলাদেশে কি অবস্থা বিরাজ করেছিল তা আপনি নিজেই দেখেছেন। দুই শতাধিক বছরের ঔপনিবেশিক শাসন, শােষণ, বঞ্চনা এবং যুদ্ধকালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে আমাদের জনগণ কি রকম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল আপনি নিজেই তা জানেন। এই অবস্থায় আমাদের সরকারের সামনে দেশের আইন-শৃঙ্খলার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ও প্রশাসন যন্ত্রকে সঠিকভাবে চালু করাই প্রথম ও আশু কর্তব্য হিসেবে দেখা দিয়েছিল। এই বিরাট কাজ হাতে নেয়ার সাথে সাথে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে আমরা গড়ে তুলতে শুরু করি। স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের জন্য একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন গ্রহণ করে। গত বছরের মার্চ মাসে সার্বজনীন ভােটাধিকারের ভিত্তিতে প্রাপ্তবয়স্ক ভােটে দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘকাল বিভিন্ন ধরনের স্বৈরাচারী শাসনে পিষ্ঠ আমাদের জনগণ এই প্রথম স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জীবন গড়ে তােলার সুযােগ পেয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সাফল্যের জন্য আমরা নিশ্চয়ই কিছুটা সন্তোষ বােধ করতে পারি। আপনি বােধ হয় অবগত আছেন, বাংলাদেশে আমরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াদাবদ্ধ। গণতান্ত্রিক কাঠামােয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি গড়ে তােলার ব্যাপারে যে সকল বাধা-বিপত্তি ও অসুবিধা রয়েছে একটি সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা হিসেবে আপনি নিঃসন্দেহে সে সম্পর্কে অবহিত আছেন। তবু আমরা সুনিশ্চিত যে, মুক্তিযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিপুল জনশক্তিকে আমরা আমাদের জাতীয় লক্ষ্য অর্জনের কাজে ব্যবহার করতে সক্ষম হব। বঙ্গবন্ধু আরাে বলেন, আপনার গতবারের সফরের পর আমাদের দেশে অন্যান্য ক্ষেত্রেও আস্থার যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল তাদের সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতির মূল কাঠামাে আমরা গড়ে তুলেছি। এবং সম্প্রতি আমাদের পাঁচসালা পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে পুনর্গঠনের কাজ নিষ্পন্ন করা। জাতীয় উৎপাদনের হার বছরে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং সর্বোপরি খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা। এই পরিকল্পনা মেয়াদের শেষে বৈদেশিক সাহায্যের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা উল্লেখযােগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে। তবে এটা আমরা স্বীকার করি যে, আমাদের জনগণের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রয়ােজনীয় ত্যাগ স্বীকার করার উপর আমাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় ভূমিকা উল্লেখ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা সত্যি আনন্দের কথা যে, আমাদের এই কর্তব্য সম্পাদনের ব্যাপারে আমরা আপনার দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য ও সহায়তা পাচ্ছি। এ সম্পর্কে আপনার সাথে আলােচনা ও আমাদের কতিপয় উদ্বেগের ব্যাপারে আপনাদের সাথে মতবিনিময়ের প্রতিক্ষায় রয়েছি। আজ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে চিত্র পাওয়া যায় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এমনিতে বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে উন্নয়নশীল দেশগুলাে কোন সময়ই বিপর্যয় এড়িয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। তার উপরে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে কালাে মেঘের অশুভ ঘনঘটা। কম উন্নত দেশগুলাের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশসমূহের বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ যেমন নগণ্য তেমনি ব্ৰিত করছে অনিশ্চিত অবস্থা। জাতির নূন্যতম সম্পদ সরবরাহের যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জিত না হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক ব্যাপার। কারণ আমাদের দেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহকে বর্তমানে বহুবিধ অসুবিধার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে। এদেশের বিপুল জনসমষ্টির মধ্যে ধূমায়িত হচ্ছে অসন্তোষের বহ্নি। এই এলাকাসমূহে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পরিহার করতে হলে এখানকার জনগণের আরাে অর্থবহ, সুন্দর, সুখী জীবনযাত্রার আকাক্ষা পরিপূরণের দিকে নজর দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজেই উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থের একজন অক্লান্ত প্রবক্তা। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যকার বর্তমান ব্যবধান সুষম আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তােলার পক্ষে যে মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে তার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আপনি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থায় সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। আমরা এটার সুপ্রশংসিত চিত্র লক্ষ্য করেছি। আমরা শুধু এই আশাই করবাে, আপনার কণ্ঠে যে সতর্ক বাণী উচ্চারিত হয়েছে অন্যান্য মহলেও যেন তার সহানুভূতিশীল প্রতিধ্বনি খুঁজে পাওয়া যায়। যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্বের দুই-তৃতীয়াশ এলাকায় ক্ষুধা-বুভুক্ষা, অনাহার ও রােগশােকের বিরুদ্ধে সুসংহত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আজ বাংলাদেশে আপনাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আমরা এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন যে, একজন রাষ্ট্রনেতা ও মানবদরদিকে আমরা স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সত্যি সৌভাগ্যের বিষয় যে, বাংলাদেশ আপনাকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছে। আমি একান্তভাবে এ আশা পােষণ করি আমাদের দুদেশের মধ্যকার ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক সম্পর্ক আগামী বছরগুলিতে দুই দেশের জনগণকে পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে আরাে সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন বছর আপনার ও আপনার দেশের জন্য সুখের হােক। বিশ্বের সকল দেশের জনগণের জন্য বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি। মহাত্মনগণ, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহােদয়গণ, এবার আমি মহামানব রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সুদীর্ঘ জীবন, আমাদের মহামান্য অতিথি নরম্যান কার্ক এবং নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের সম্প্রসারণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে স্বাস্থ্যপানে আপনাদের যােগদান করার জন্যে অনুরােধ জানাচ্ছি।৬

রেফারেন্স: ১ জানুয়ারি ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত